অর্থনীতি

রূপকল্প২০৪১ উন্নত বিশ্বে বাংলাদেশ

২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী দেশ- এমন লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার। ২০২০ সালকে ভিত্তি বছর বিবেচনা করে অর্থনীতি ও আর্থসামাজিক নানা ক্ষেত্রে উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নিয়ে প্রণয়ন করা হয় রূপকল্প ২০৪১। এটা একটা ‘ভিশনারী দলিল’। ১০ সেপ্টেম্বর ২০২০ রূপকল্প ২০৪১ বাস্তবে রূপায়ণ: বাংলাদেশের প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০২১-২০৪১’ আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করা হয়। ২০৪১ সালে একটি উন্নত বাংলাদেশে রূপান্তরিত হতে গেলে আমরা কী কী অর্জন করতে চাই, তার বহিকাঠামোটি তুলে ধরা হয় এ প্রেক্ষিত পরিকল্পনায়। এ রূপরেখা বা কাঠামোকে কেন্দ্র করেই অর্জনগুলো বাস্তবায়নের বিস্তারিত পরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। আর এর ওপর ভিত্তি করেই রচিত হবে আগামীর বাংলাদেশ।

বর্তমান আগামীর বাংলাদেশ : প্রেক্ষিত পরিকল্পনা ২০৪১ এর ভিত্তিমূলে রয়েছে দুটি প্রধান অভীষ্ট –

অভীষ্ট : ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে একটি উন্নত দেশ, যেখানে বর্তমান মূল্যে মাথাপিছু আয় হবে। ১২,৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি এবং যা হবে ডিজিটাল বিশ্বের সাথে সম্পূর্ণ সঙ্গতিপূর্ণ।

অভীষ্ট: বাংলাদেশ হবে সোনার বাংলা, যেখানে দারিদ্র্য হবে অতীতের ঘটনা। দারিদ্র্য নির্মূল করার পাশাপাশি পরিবেশের সুরক্ষা, উদ্ভাবনী জ্ঞান, অর্থনীতি বিকাশ ও উৎপাদিকা শক্তি বৃদ্ধি করে এমন একটি দ্রুতগতির অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে এ রূপান্তর সাধন সম্ভব হবে। সামষ্টিক অর্থনৈতিক গতি-প্রকৃতি

আর্থিক বছর

২০২০

২০৩১

২০৪১

প্রকৃতখাত নির্দেশক

GDP’র আয় প্রবৃদ্ধি(%)

৮.১৯

৮.৫১

৯.৯০

CPI মূল্যস্ফীতি (%)

৫.৫

৪.৭৬

৩.৯৬

জনসংখ্যা (মিলিয়ন)

১৬৯.৮

১৮০.৫

২১০.৩

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার (%)

১.৩৯

১.১৮

০.৭৮

GDP(%) হিসেবে

মোট জাতীয় সঞ্চয় (%)

৩১.৩১

৩৪.৭৭

৪৩.৯৫

মোট বিনিয়োগ (%)

৩২.৭৬

৩৭.৪৪

৪৬.৮৮

বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ (FDI)

১.০০

৩.০০

৩.০০

মাথাপিছু জাতীয় আয় (মা.ড.)

২,০৬৪

৩,২৭১

১৭,২২৯

আর্থিক নির্দেশক (GDP% হিসেবে)

মোট রাজস্ব (%)

১০.৪৭

১৪.০৬

২৪.১৫

মোট ব্যয় (%)

১৫.৫২

১৯.০৯

২৯.১৫

বহিঃস্থ নির্দেশক (প্রবৃদ্ধির হার % হিসেবে)

রপ্তানি

৫.০০

১০.৭৫

১১.০০

আমদানি

৫.০০

১১.১৫

১০.০০

প্রবাসী আয়

৯.০০

৬.০০

২.০০

বিনিময় হার (টাকা/মার্কিন ডলার)

৮৬.৯৭

৯৮.৬০

১৩০.৯৬

মাস হিসেবে আমদানি রিজার্ভ

৬.৬০

৭.০৯

৬.৭৩

দারিদ্র্য ও আয় বৈষম্য

নির্দেশক

HIES-২০১৬

২০২১

২০২৫

২০৩১

২০৪১

চরম দারিদ্র্য

১২.৯

৮.৩৮

৫.২৮

২.৫৫

০.৬৮

দারিদ্র্য

২৪.৩

১৭.২৭

১২.১৭

৭.০

২.৫৯

আয় বৈষম্য (পালমা অনুপাত)

২.৯৩

২.৯৩

২.৮০

২.৭৫

২.৭০

মানব ‍উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা

নির্দেশক

২০১৮

২০৩১

২০৪১

.স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা

আয়ুষ্কাল (বছরে)

৭২.৩

৭৫

৮০

জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার (%)

১.২

MMR (প্রতি লক্ষ জন্মে)

১৬৯

৭০

৩৬

শিশুমৃত্যুর হার (প্রতি হাজার জন্মে)

২২

১৫

অনূর্ধ্ব ৫ বয়সি শিশুদের ওজন স্বল্পতা (৫-৫৯ মাস)%

৩৩

খর্বতা (%)

৩১

১৫

TFR (%)

২.০৫

১.৮

১.৮

স্বাস্থ্য বিমার আওতা(%)

যৎসামান্য

৫০

৭৫

স্বাস্থ্য খাতে সরকারি ব্যয় (মোট দেশজ আয়ের %)

০.৭

১.৫

.শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ

বয়স্ক সাক্ষরতার হার (%)

৭২.০

১০০

১০০

নিট প্রাথমিক পর্যায়ে ভর্তি হার (%)

৯৭.৯

১০০

১০০

প্রাথমিক স্কুলে ঝরে-পড়া হার (%)

১৯.১

০.০

০.০

নিট মাধ্যমিক পর্যায়ে ভর্তি হার (%)

৬২.৩

৯০

৯৫

মাধ্যমিক স্কুলে ঝরে-পড়া হার (%)

৩৮.৩

০.০

০.০

উচ্চ শিক্ষায় ভর্তির হার (%)

১৭.৮

৫০

৮০

উচ্চ শিক্ষায় ছাত্রীদের অংশ (%)

২৬

৫০

৫০

TVET ভর্তি হার (%)

১৬.০৫

৩০.০০

৪১.০০

শিক্ষায় সরকারি ব্যয় (GDP %)

২.০

৩.৫

৪.০

শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ,১০০ টাকা

দেশের চামড়া পণ্য ও জুতা কারখানা শিল্প খাতের শ্রমিকের নিম্নতম মজুরি ৭,১০০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০ এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়। প্রসঙ্গত, এ শিল্প খাতের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি হার সুপারিশ করার জন্য ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের নাম ঘোষণার মাধ্যমে বোর্ড গঠন করা হয়। এ বোর্ডে মালিক ছিলেন ল্যান্ডমার্ক ফুটওয়্যার লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক মো. মমিনুল আহসান আর শ্রমিক প্রতিনিধি ছিলেন এপেক্স ফুটওয়্যার লিমিটেডের লাইন লিডার মো.আনিছুর রহমান। মজুরি বোর্ডের প্রস্তাবিত খসড়া সুপারিশ চূড়ান্ত করে ২ সেপ্টেম্বর জারি হওয়া প্রজ্ঞাপনটি ৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশ করে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।

৬টি গ্রেডগ্রেড এর মজুরি কাঠামো

প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, চামড়াজাত পণ্য ও জুতা কারখানায় শ্রমিকরা ছয়টি গ্রেডে বিভক্ত। যথা- গ্রেড-১ : পদ ৩টি; গ্রেড-২ : পদ ১৯টি; গ্রেড-৩ : পদ ২২টি; গ্রেড-৪ : পদ ২৪টি; গ্রেড-৫ : পদ ২৫টি এবং গ্রেড-৬ : পদ ২৪টি। এ শিল্পখাতে শ্রমিক রয়েছে ৬৮ হাজার জন। শ্রমিকদের মূল মজুরি মাসিক ৩,৫০০ টাকা, বাড়ি ভাড়া ১,৭৫০ টাকা চিকিৎসা ভাতা ৬০০ টাকা, যাতায়াত ভাতা ৩৫০ টাকা, খাদ্য ভাতা ৯০০ টাকাসহ মোট ৭,১০০ টাকা। এর আগে, শ্রমিকদের মূল মজুরি ছিল ২,৪২৫ টাকা, বাড়ি ভাড়া ৭২৭.৫০ টাকা, চিকিৎসা ও যাতায়াত ভাতা ৩০০ ও ২০০ টাকাসহ মোট মাসিক মজুরি ছিল ৩,৬৫২.৫০ টাকা।

বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে .% : (এডিবি)

চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি ৬.৮% হতে পারে। এ সময়ে মূল্যস্ফীতির হার ৫.৫%-এর ঘরেই থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB)। একই সঙ্গে বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ জিডিপির ১.১%-এ নেমে আসতে পারে। ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২০ ম্যানিলা থেকে প্রকাশিত এডিবির ত্রৈমাসিক প্রতিবেদন ‘এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুক-২০২০’-এর সেপ্টেম্বর মাসের আপডেটে এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়। এ প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি সহনশীল মাত্রায় থাকবে।

Leave a Reply