বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সমীক্ষা – ২০২৩
আর্থ সামাজিক নির্দেশকসমূহ: তুলনামূলক চিত্র ২০২২ ও ২০২৩
ক্যাটাগরি | ২০২২ | ২০২৩ | ক্যাটাগরি | ২০২২ | ২০২৩ |
সাধারণ জনমিতিক পরিসংখ্যান | মোট দেশজ উৎপাদন GDP (সাময়িক) | ||||
জনসংখ্যা (মিলিয়ন) | ১৬৯.১১ | ১৬৯.৮৩ | চলতি মূল্যে GDP (কোটি) | ৩৯,৭৬,৪৬২ | ৪৪,৩৯,২৭৩ |
জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার (%) | ১.৩৭ | ১.৩ | স্থির মূল্যে GDP (কোটি) | ৩০,৩৯,২৭৩ | ৩২,১৮,০৩১ |
পুরুষ-মহিলা অনুপাত | ১০০.২:১০০ | ৯৮.১:১০০ | স্থির মূল্যে GDP প্রবৃদ্ধির হার(%) | ৭.২৫ | ৬.০৩ |
জনসংখ্যার ঘনত্ব/বর্গ কিমি (জন) | ১,১৪০ | ১,১৫৩ | চলতি মূল্যে মাথাপিছু জাতীয় আয় | ২,৪১,৪৭০ টাকা | ২,৭০,৪১৪ টাকা |
মৌলিক জনমিতিক পরিসংখ্যান | চলতি মূল্যে মাথাপিছু জাতীয় আয় | ২৮২৪ মা.ড. | ২৭৬৫ মা.ড. | ||
স্থূল জন্মহার (প্রতি হাজার) জন | ১৮.১ | ১৮.৮ | চলতি মূল্যে মাথাপিছু GDP | ২,৩২,৮২৮ টাকা | ২,৫৯,৯১৯ টাকা |
স্থূল মৃত্যুহার (প্রতি হাজার) জন | ৫.১ | ৫.৭ | চলতি মূল্যে মাথাপিছু GDP | ২৭২৩ মা.ড. | ২৬৫৭ মা.ড. |
শিশু মৃত্যুহার [এক বছরের কমবয়সি (প্রতি হাজারে জীবিত জন্মে)] জন | ২১ | ২২ |
| ||
পরিবহণ (কিলোমিটার) | |||||
প্রজনন হার (১৫-৪৯ বয়সি নারী) | ২.০৪ | ২.০৫ | মোট সড়ক | ২২,৪৩৩ | ২২,৪৭৬ |
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহার (%) | ৬৩.৯ | ৬৫.৬ | জাতীয় মহাসড়ক | ৩,৯৯০ | ৩,৯৯১ |
প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল (বছর) | ৭২.৮ | ৭২.৩ | আঞ্চলিক মহাসড়ক | ৪,৮৯৭ | ৪,৮৯৮ |
পুরুষ | ৭১.২ | ৭০.৬ | ফিডার/জেলা রোড | ১৩,৫৪৫ | ১৩,৫৮৭ |
মহিলা | ৭৪.৫ | ৭৪.১ | রেলপথ | ৩,০৯৩ | ৩,১০১ |
বিবাহের গড় বয়স পুরুষ (বছর) | ২৫.২ | ২৬.৩ | সঞ্চয় ও বিনিয়োগ (GDP’র %) (সাময়িক) | ||
বিবাহের গড় বয়স মহিলা (বছর) | ১৯.১ | ২০.৭ | দেশজ সঞ্চয় | ২১.৫৬ | ২৬.০২ |
সামাজিক সেবা | জাতীয় সঞ্চয় | ২৫.৪৫ | ৩০.২২ | ||
সুপেয় পানি গ্রহণকারী (%) | ৯৮.৩ | ৯৮.২ | মোট বিনিয়োগ | ৩১.৬৮ | ৩১.২৫ |
স্বাস্থ্যসম্মত পায়খানা ব্যবহারকারী (%) | ৮১.৫ | ৮৫.৮ | সরকারি | ৭.৬২ | ৭.৬১ |
স্বাক্ষরতা হার (%) (৭ বছর+) | ৭৫.২ | ৭৬.৪ | বেসরকারি | ২৪.০৬ | ২৩.৬৪ |
পুরুষ | ৭৭.৪ | ৭৮.৬ | বৈদেশিক লেনদেন ভারসাম্য (মি.মা.ড.) | ||
মহিলা | ৭২.৯ | ৭৪.২ | রপ্তানি আয়, এফওবি | ৩২,০৭১ | ৩৪,৯৬৬ |
শ্রমশক্তি ও কর্মসংস্থান (কোটি) | আমদানি ব্যয়, এফওবি | ৫৪,৩৭৭ | ৪৮,৭৯৪ | ||
মোট শ্রমশক্তি (১৫ বছর + ) | ৬.৩৫ | ৭.৩৪ | চলতি হিসাবের ভারসাম্য | -১২,৮৩৪ | -৪,৩৮৭ |
পুরুষ | ৪.৩৫ | ৪.৭৫ | সার্বিক ভারসাম্য | -২,২২২ | -৭,৯৪৯ |
মহিলা | ২.০০ | ২.৫৯ | আর্থিক পরিসংখ্যান | ||
শ্রমশক্তির শতকরা হার (%) |
|
| মোট ব্যাংক | ৬১ | ৬১ |
কৃষি | ৪০.৬ | ৪৫.৩৩ | রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ব্যাংক | ৬ | ৬ |
শিল্প | ২০.৪ | ১৭.০২ | বিশেষায়িত ব্যাংক | ৩ | ৩ |
সেবা | ৩৯.০ | ৩৭.৬৫ | বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক | ৪৩ | ৪৩ |
দারিদ্র্য পরিস্থিতি (%) | বৈদেশিক ব্যাংক | ৯ | ৯ | ||
দারিদ্র্যের হার | ২০.৫ | ১৮.৭ | ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান | ৩৫ | ৩৫ |
চরম দারিদ্র্যের হার | ১০.৫ | ৫.৬ | মূল্যস্ফীতি (%) | ||
| সাধারণ | ৫.৮৩ | ৯.২৪ | ||
খাদ্য | ৫.৫২ | ৮.৮৪ | |||
খাদ্য-বহির্ভূত | ৬.৩২ | ৯.৭২ |
আমদানি-রপ্তানি
দেশভিত্তিক রপ্তানি
• দেশভিত্তিক রপ্তানির উপাত্ত অনুযায়ী, ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশি পণ্যের প্রধান আমদানিকারক দেশ হিসেবে শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি। আলোচ্য সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে যথাক্রমে ৬,৪৩৯.৭৭ মি.মা.ড. এবং ৪,৯০৬.১৩ মি.মা.ড. মূল্যের পণ্য রপ্তানি হয়, যা দেশের মোট রপ্তানির ১৭.৩৭% ও ১৩.২৩%।
• যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানিতে রপ্তানিকৃত প্রধান পণ্যসমূহ— তৈরি পোশাক, নিটওয়্যার, হিমায়িত চিংড়ি, কাঁকড়া, গৃহস্থালি বস্ত্র ইত্যাদি। দেশভিত্তিক পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে পরবর্তী অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য (৯.৫৭%) ও ফ্রান্স (৫.৬৮%)।
আমদানি ব্যয়
• ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই- ফেব্রুয়ারি) মোট আমদানি ব্যয়ের পরিমাণ ৫২,৭১৩.১ মি.মা.ড., যা পূর্ববর্তী অর্থবছরের একই সময়ের মোট আমদানি ব্যয়ের (৫৮,৭৭৪ মি.মা.ড.) তুলনায় ১০.৩% কম।
• ২০২২-২৩ অর্থবছরে (জুলাই- ফেব্রুয়ারি) বাংলাদেশ চীন থেকে সর্বাধিক আমদানি করে, যা মোট আমদানির ২৭.২৮%। দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ভারত (১২.৪৮%) ও জাপান (৩.৫২%)
জাতীয় বাজেট ২০২৩-২৪
স্মার্ট বাংলাদেশের হাতছানি
বাজেট হলো একটি দেশের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের বিস্তারিত হিসাব-নিকাশের বিবরণী। যা একটি নির্দিষ্ট সময়কালের জন্য সরকারের ব্যয় ও রাজস্বগুলোর একটি পূর্বাভাসও। Budget একটি ইংরেজি শব্দ, এটি এসেছে ফরাসি শব্দ Bougette থেকে। যার অর্থ চামড়ার ব্যাগ। জানা যায়, ১৭৩৩ সালে যুক্তরাজ্যের পার্লামেন্টে প্রথম জাতীয় বাজেট ও রাজস্ব নীতি উত্থাপন করেন স্যার রবার্ট ওয়ালপোল। বাংলা একাডেমির বিবর্তনমূলক বাংলা অভিধানে বলা হয়েছে, ১৯০২ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলায় বাজেট শব্দটি প্রথম ব্যবহার করেন। ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটের উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলো নিচে তুলে ধরা হলো।
• বাজেট: ৫২তম (অন্তর্বর্তীকালীন বাজেট বাদে)
• ঘোষণা: ১ জুন, ২০২৩
• ঘোষক: আ হ ম মুস্তফা কামাল (টানা ৫ম বার)
• স্লোগান: উন্নয়নের অভিযাত্রার দেড় দশক পেরিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা
• বাজেট পাস: ২৬ জুন, ২০২৩
• বাজেট কার্যকর: ১ জুলাই, ২০২৩
আওয়ামীলীগ সরকারের টানা ১৫তম এবং মোট ২৫তম বাজেট। সর্বাধিক বাজেট পেশ করেন এম সাইফুর রহমান ও আবুল মাল আব্দুল মুহিত (১২ বার করে)।
এক নজরে বাজেট
• বাজেটের আকার: ৭,৬১,৭৮৫ কোটি টাকা
• পরিচালন ব্যয়: ৪,৮৪,২০৩ কোটি টাকা
• উন্নয়ন ব্যয়: ২,৭৭,৫৮২ কোটি টাকা
• রাজস্ব আয়: ৫,০০,০০০ কোটি টাকা
• বৈদেশিক অনুদান: ৩,৯০০ কোটি টাকা
• ঘাটতি (অনুদানসহ): ২,৫৭,৮৮৫ কোটি টাকা
• GDP’র প্রবৃদ্ধি: ৭.৫%
• মূল্যস্ফীতি: ৬.০%
• মোট GDP: ৫০,০৬,৭৮২ কোটি টাকা
• বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (ADP): ২,৬৩,০০০ কোটি টাকা (মোট বাজেটের ৩৪.৫%)।
সর্বোচ্চ বরাদ্দ
• জনপ্রশাসন খাত: ১,৬৭,৮৮০ কোটি টাকা (মোট বাজেটের ২২.০%)
• শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাত: ১,০৪,১৩৭ কোটি টাকা (মোট বাজেটের ১৩.৭%)
• পরিবহন ও যোগাযোগ: ৮৭,৬২৯ কোটি টাকা (মোট বাজেটের ১১.৫%)
করমুক্ত আয়সীমা
শ্রেণি | ২০২৩-২৪ (টাকা) |
সাধারণ | ৩,৫০,০০০ |
মহিলা ও ৬৫ বছর বা তদূর্ধ্ব | ৪,০০,০০০ |
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি ও তৃতীয় লিঙ্গ | ৪,৭৫,০০০ |
যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা (গেজেটভুক্ত) | ৫,০০,০০০ |
ন্যূনতম কর
এলাকা | ২০২২-২৩ | ২০২৩-২৪ |
ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন | ৫,০০০ টাকা | অপরিবর্তিত |
অন্যান্য সিটি কর্পোরেশন | ৪,০০০ টাকা | অপরিবর্তিত |
অন্যান্য এলাকা | ৩,০০০ টাকা | অপরিবর্তিত |
কত টাকা আয়ে কত কর
বার্ষিক আয় | অর্থবছর (২০২৩-২৪) |
০ – ৩,৫০,০০০ টাকা | ০ |
৩,৫০,০০১ – ৪,৫০,০০০ টাকা | ৫% |
৪,৫০,০০১ – ৭,৫০,০০০ টাকা | ১০% |
৭,৫০,০০১ – ১১,৫০,০০০ টাকা | ১৫% |
১১,৫০,০০১ – ১৬,৫০,০০০ টাকা | ২০% |
১৬,৫০,০০১ – তার বেশি | ২৫% |
দীর্ঘ বাজেট বক্তৃতা
এবারের বাজেট শুনতে সময় লাগে প্রায় সোয়া দুই ঘণ্টা। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নিজে পড়লে হয়তো সময় আরও বেশি লেগে যেত। কিন্তু পুরো বাজেট বক্তৃতা আগে থেকে রেকর্ড করে অডিও-ভিজ্যুয়াল পদ্ধতিতে উপস্থাপন করা হয়। সিনেমার মতোই বিষয়বস্তু অনুযায়ী, যন্ত্রসংগীত যুক্ত করা হয় এতে। সুন্দর কণ্ঠের অধিকারী একজনকে দিয়ে পুরো বাজেট রেকর্ড করে দেখানো বা শোনানো বিশ্বের একমাত্র ঘটনা। পৃষ্ঠার সংখ্যার দিক থেকেও এবারের বাজেট বক্তৃতাই বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘ বক্তৃতা। মূল বক্তৃতা ১৯৮ পৃষ্ঠার, পরিশিষ্টসহ আছে ২৪৮ পৃষ্ঠা। ২০২২-২৩ অর্থবছরের বক্তৃতাটি ছিল ২০৮ পৃষ্ঠার।
এক নজরে বাজেট
বিবরণ | বাজেট (২০২৩-২৪) | সংশোধিত (২০২২-২৩) | বাজেট (২০২২-২৩) | হিসাব (২০২১-২২) |
রাজস্ব প্রাপ্তি ও বৈদেশিক অনুদান রাজস্ব প্রাপ্তি (বিবরণী)-১ করসমূহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড নিয়ন্ত্রিত করসমূহ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বহির্ভুত করসমূহ কর ব্যতীত প্রাপ্তি বৈদেশিক অনুদান/১ (বিবরণী-৫) |
৫,০০,০০০ ৪,৫০,০০০ ৪,৩০,০০০ ২০,০০০ ৫০,০০০ ৩,৯০০ |
৪,৩৩,০০০ ৩,৮৮,০০০ ৩,৭০,০০০ ১৮,০০০ ৪৫,০০০ ৩,২৬৩ |
৪,৩৩,০০০ ৩,৮৮,০০০ ৩,৭০,০০০ ১৮,০০০ ৪৫,০০০ ৩,২৭১ |
৩,৩৪,৬৪২ ২,৯৯,৫৮৫ ২,৯২,৮৮১ ৬,৭০৪ ৩৫,০৫৬ ২,৩২২ |
মোট | ৫,০৩,৯০০ | ৪,৩৬,২৬৩ | ৪,৩৬,২৭১ | ৩,৩৬,৯৬৪ |
ব্যয় পরিচলন ব্যয় আবর্তক ব্যয় (বিবরণী-৩) এর মধ্যে – অভ্যন্তরীণ ঋণের সুদ বৈদেশিক ঋণের সুদ মূলধন ব্যয়/২ (বিবরণী-৪) খাদ্য হিসাব (বিবরণী-৮) ঋণ ও অগ্রিম (নীট)/৩ (বিবরণী-৬ক) উন্নয়ন ব্যয় স্কিম/৪ (বিবরণী-১০) এডিপি বহির্ভূত বিশেষ প্রকল্প (বিবরণী-৬ক) বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি/৫ (বিবরণী-৯) কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচি (এডিপি বহির্ভূত) ও স্থানান্তর/৬ (বিবরণী-১০) |
৪,৭৫,২৮১ ৪,৩৬,২৪৭
৮২,০০০ ১২,৩৭৬ ৩৯,০৩৪ ৫০২ ৮৪২০ ২,৭৭,৫৮২ ৩,৭৬৮ ৭,৯৮৬
২,৬৩,০০০ ২,৮২৮ |
৪,১৪,২৮৩ ৩,৯০,০৮৫
৮০,৬৯১ ৯,৩২২ ২৪,১৯৮ ১,০৯৭ ৩,৫২০ ২,৪১,৬০৭ ৩,৭৩২ ৭,৪৩৬
২,২৭,৫৬৬ ২,৮৭৩
|
৪,১১,৪০৬ ৩,৭৩,২৪২
৭৩,১৭৫ ৭,২০০ ৩৮,১৬৪ ৫৪০ ৬,৫০১ ২,৫৯,৬১৭ ৩,১৫৫ ৭,৭২১
২,৪৬,০৬৬ ২,৬৭৫
|
৩,২৫,৬৮২ ৩,০৭,৭২৫
৭৩,২২৫ ৪,৫৫৪ ১৭,৯৫৬ ২,৪৩৭ -৫,১০৪ ১,৯৫,১৭৩ ২,৮৭২ ৪,৪৫১
১,৮৬,০৬০ ১,৭৯০
|
মোট ব্যয় | ৭,৬১,৭৮৫ | ৬,৬০,৫০৭ | ৬,৭৮,০৬৪ | ৫,১৮,১৮৮ |
সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদানসহ) | -২,৫৭,৮৮৫ | -২,২৪,২৪৪ | -২,৪১,৭৯৩ | -১,৮১,২২৪ |
(জিডিপির শতকরা হার) | -৫.২ | -৫.১ | -৫.৪ | -৪.৬ |
সামগ্রিক ঘাটতি (অনুদান ব্যতীত) | -২,৬১,৭৮৫ | -২,২৭,৫০৭ | -২,৪৫,০৬৪ | -১,৮৩,৫৪৬ |
(জিডিপির শতকরা হার) | -৫.২ | -৫.১ | -৫.৫ | -৪.৬ |
অর্থসংস্থান বৈদেশিক ঋণ-নীট বৈদেশিক ঋণ (বিবরণী-৫) বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ (বিবরণী-৯) অভ্যন্তরীণ ঋণ (বিবরণী-৬খ) ব্যাংকিং ব্যবস্থা হতে অর্থায়ন (নীট) দীর্ঘমেয়াদি ঋণ (নীট) স্বল্পমেয়াদি ঋণ (নীট) ব্যাংক বহির্ভুত ঋণ (নীট) জাতীয় সঞ্চয় প্রকল্পসমূহ (নীট) অন্যান্য (নীট)/৭ (বিবরণী-৭) |
১,০২,৪৯০ ১,২৭,১৯০ -২৪,৭০০ ১,৫৫,৩৯৫ ১,৩২,৩৯৫ ৮৬,৫৮০ ৪৫,৮১৫ ২৩,০০০ ১৮,০০০ ৫,০০০ |
৮৩,৮১৯ ১,০১,৯৬৯ -১৮,১৫০ ১,৪০,৪২৫ ১,১৫,৪২৫ ৭৩,৯০০ ৪১,৫২৫ ২৫,০০০ ২০,০০০ ৫,০০০ |
৯৫,৪৫৮ ১,১২,৪৫৮ -১৭০০০ ১,৪৬,৩৩৫ ১,০৬,৩৩৪ ৬৮,১৯২ ৩৮,১৪২ ৪০,০০১ ৩৫,০০০ ৫,০০১ |
৬৫,০২১ ৭৮,৩২৩ -১৩,৩০২ ১,১৫,২১৬ ৭৫,৫৩৩ ৪৯,০৫১ ২৬,৪৮২ ৩৯,৬৮৩ ২০,২৬০ ১৯,৪২৩ |
মোট অর্থসংস্থান | ২,৫৭,৮৮৫ | ২,২৪,২৪৪ | ২,৪১,৭৯৩ | ১,৮০,২৩৭ |
মেমোরেন্ডাম আইটেম: জিডিপি | ৫০,০৬,৭৮২ | ৪৪,৩৯,২৭৩ | ৪৪,৪৯,৯৫৯ | ৩৯,৭১,৭১৬ |
বিধবা ও বয়স্ক ভাতা বৃদ্ধি
২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে মাসিক বয়স্ক ভাতা ৫০০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকায় উন্নীত করা হয়। আর বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারীর ভাতা ৫০ টাকা বাড়ানো হয়। এবারের বাজেটে বয়স্ক ভাতাভোগীর সংখ্যা ৫৭.০১ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৮.০১ লাখ, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা নারী ভাতাভোগী ২৪.৭৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২৫.৭৫ লাখ এবং প্রতিবন্ধী ভাতাভোগী ২৩.৬৫ লাখ থেকে বাড়িয়ে ২৯ লাখ করা হয়। বর্তমান সরকারের লক্ষ্য-২০৪১ সালের মধ্যে একটি সুখী-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণ।
স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য বিশেষ বরাদ্দ
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে তরুণ-তরুণী ও যুবসমাজকে প্রস্তুত করতে গবেষণা, উদ্ভাবন ও উন্নয়নমূলক কাজের জন্য ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ রাখা হয়। এরই মধ্যে সাধারণ, কারিগরি, বৃত্তিমূলক ও জীবনমুখী শিক্ষার জন্য বিভিন্ন ই-লার্নিং প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে শিক্ষার সুযোগ তৈরি ও সম্প্রসারণে কাজ করা হচ্ছে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার স্মার্ট বাংলাদেশ ধারণা নিয়ে এগিয়ে যেতে চায়। সরকারের পরিকল্পনা অনুযায়ী, ভবিষ্যতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও উদ্ভাবন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৮০,০০০ তরুণ- তরুণীকে অগ্রসর প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। বর্তমানে স্টার্টআপ ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন উপযোগী অবকাঠামো গঠন ও সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। স্মার্ট বাংলাদেশের যে রূপরেখা সরকার দিয়েছে সেখানে ৪টি কৌশলের কথা বলা হয়েছে। রূপরেখাগুলো হলো— স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট সোসাইটি ও স্মার্ট গভর্নমেন্ট। এই চার কৌশলসহ অন্যান্য ক্ষেত্রে গবেষণা ও উদ্ভাবনে ১০০ কোটি টাকার এই বিশেষ তহবিল গঠন করা হচ্ছে, সেখানে মূলত অগ্রাধিকার পাবেন তরুণ-তরুণীরা।
সর্বজনীন পেনশন
১ জুন ২০২৩ জাতীয় সংসদে বাজেট উপস্থাপনে বলা হয় ২০২৩-২৪ অর্থবছর থেকে দেশে সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালু করবে সরকার। দেশের সকল প্রাপ্তবয়স্ক নাগরিককে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে ২৪ জানুয়ারি ২০২৩ জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল, ২০২৩’ পাস হয়। এরপর ৩১ জানুয়ারি রাষ্ট্রপতি বিলটিতে স্বাক্ষর করলে আইনে পরিণত হয়। ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ প্রজ্ঞাপন দ্বারা জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা করা হয়।