বাংলাদেশ বিষয়াবলি

কালানুক্রমিক ঘটনাবলি

০১.০৫.২০২৩

♦ বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য ই-ভিসা বা ইলেকট্রনিক ভিসা চালু করে সৌদি আরব।

০২.০৫.২০২৩

♦ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোনো শিক্ষক বা শিক্ষার্থী বুলিং ও র‌্যাগিংয়ে জড়ালে শাস্তির বিধান রেখে নীতিমালা জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

০৪.০৫.২০২৩

♦ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনের উদ্দেশে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়েন।

০৫.০৫.২০২৩

♦ যুক্তরাজ্যের রাজা তৃতীয় চার্লসের আমন্ত্রণে তার সিংহাসন আরোহণ অনুষ্ঠানে যোগ দিতে লন্ডন সফরে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

♦ ‘আকাশপথে পরিবহনে অংশীদারত্ব’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে একটি যৌথ ঘোষণা লন্ডনে স্বাক্ষর হয়।

০৭.০৫.২০২৩

♦ আফতাবনগরে ঢাকার মহানগরের সপ্তম আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের কার্যক্রম শুরু হয়।

০৮.০৫.২০২৩

♦ বিশ্বকবি রীবন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৬২তম জন্মবার্ষিকী পালিত।

♦ নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পায় ‘ইনসানিয়াত বিপ্লব’।

০৯.০৫.২০২৩

♦ তিন দেশে সফর শেষে ঢাকায় পৌঁছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১২.০৫.২০২৩

♦ ঢাকায় দু’দিনব্যাপী ইন্ডিয়ান ওশান কনফারেন্স (IOC) শুরু। 

১৩.০৫.২০২৩

♦ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বাংলাদেশে গোদ রোগ নির্মূল ঘোষণা করে।

১৪.০৫.২০২৩

♦ দেশের সব পৌরসভায় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধনের ফি পরিশোধে ই-পেমেন্ট (অনলাইনে লেনদেন ব্যবস্থা) চালু হয়।

♦ বাংলাদেশ ৩৪তম ওয়ানডে সিরিজ জয় লাভ করে।

♦ ঘূর্ণিঝড় মোখা আঘাত হানে।

১৬.০৫.২০২৩

♦ বাংলাদেশের উত্থাপিত কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ক প্রস্তাব জাতিসংঘে গৃহীত।

১৭.০৫.২০২৩

♦ নগদ ফাইন্যান্স পিএলসি’কে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের চূড়ান্ত লাইসেন্স দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

১৮.০৫.২০২৩

♦ মন্ত্রিসভার বৈঠকে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (RPO) সংশোধনীর চূড়ান্ত অনুমোদন।

১৯.০৫.২০২৩

♦ ৪৫তম বিসিএস প্রিলিমারি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত।

♦ ‘তোমার চোখে বিশ্ব দেখি’ স্লোগান নিয়ে স্যাটেলাইট টেলিভিশন ‘গ্রিন টেলিভিশন’-এর আনুষ্ঠিানিক সম্প্রচার শুরু হয়।

২১.০৫.২০২৩

♦ ১৭তম স্থলবন্দর হিসেবে বিলোনিয়ার অপারেশনাল কার্যক্রম উদ্বোধন।

♦ ভোলা থেকে সিলিন্ডারে গ্যাস সরবরাহের লক্ষ্যে বেসরকারি কোম্পানি ইন্ট্রাকো ও সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানির মধ্যে ১০ বছরের চুক্তি স্বাক্ষর।

২২.০৫.২০২৩

♦ ‘বগুড়া বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১’ কার্যকর করা হয়।

♦ কাতার অর্থনৈতিক ফোরামে যোগ দিতে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

♦ ভোলা সদর উপজেলায় দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা।

২৩.০৫.২০২৩

♦ বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি’ পদক প্রাপ্তির ৫০ বছর পূর্তি।

২৫.০৫.২০২৩

♦ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ত জন্মবার্ষিকী।

♦ কক্সবাজার অবস্থিত দেশের বৃহত্তম বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে পরীক্ষামূলকভাবে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যুক্ত হয়।

২৭.০৫.২০২৩

♦ ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (OIC) মহাসচিব হুসেইন ইব্রাহিম তাহা ৫ দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেন।

২৮.০৫.২০২৩

♦ বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে ২৫তম জাতীয় চারুকলা প্রদর্শনী শুরু।

♦ অস্ট্রেলিয়ার বাণিজ্যিক রাজধানী সিডনির বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের কার্যালয়ে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয় ।

৩১.০৫.২০২৩

♦ একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশন শুরু।

আলোচিত বাংলাদেশ

রিপোর্ট-সমীক্ষা

GDP’র সাময়িক হিসাব

১৬ মে, ২০২৩ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) ২০২২-২৩ অর্থবছরের সাময়িক GDP’র খাতওয়ারি অবদান ও প্রবৃদ্ধির হার এবং মাথাপিছু আয়ের সাময়িক হিসাব প্রকাশ করে। কৃষি, শিল্প ও সেবা- এ তিনটিকে প্রধান খাত ধরে গণনা করা হয় (GDP)।

GDPর খাওয়ারি অবদান ও প্রবৃদ্ধির হার
(ভিত্তি বছর ২০১৫-২০১৬)

খাতসমূহ

অবদানের হার (%)

প্রবৃদ্ধির হার (%)

২০২১-২২

২০২২-২৩(সা.)

২০২১-২২

২০২২-২৩(সা.)

কৃষি

১১.৬৬

১১.৩৮

৩.০৫

২.৬১

শিল্প

৩৫.২৭

৩৫.৫৫

৯.৮৬

৮.১৮

সেবা

৫৩.০৭

৫৩.০৭

৬.২৬

৫.৮৪

সার্বিক GDP

(উৎপাদন মূল্যে)

১০০.০০

১০০.০০

৭.১০

৬.০৩

GDP ও মাথাপিছু আয় তথ্য

বিষয়

২০২১-২২

২০২২-২৩(সাময়িক)

GDP (মিলিয়ন টাকা)

৩,৯৭,১৭,১৬৪

৪,৪৩,৯২,৭৩৩

GDP (মি.মা.ড.)

৪,৬০,২১৯

৪,৫৩,৮৫২

মাথাপিছু GDP (টাকা)

২,৩১,৮৬১

২,৫৯,৯১৯

মাথাপিছু GDP (মা.ড)

২,৬৮৭

২,৬৫৭

GNI (মিলিয়ন টাকা)

৪,১২,৯০,৬২৪

৪,৬১,৮৫,২৯১

GNI (মি. মা.ড.)

৪,৭৮,৪৫১

৪,৭২,১৭৮

মাথাপিছু GNI (টাকা)

২,৪১,০৪৭

২,৭০,৪১৪

মাথাপিছু GNI (মা.ড)

২,৭৯৩

২,৭৬৫

জনসংখ্যা (মিলিয়ন)

১৭১.৩০

১৭০.৭৯

বিনিয়ম হার (টাকা টু মা.ড.)

৮৬.৩০

৯৭.৮১

বাংলাদেশ স্যাম্পল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২১

১৭ এপ্রিল ২০২৩ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) প্রকাশ করে বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিক্স ২০২১। এ পরিসংখ্যানের মাধ্যমে দেশের প্রত্যেকটি মানুষের জন্ম, মৃত্যু, আয়ুষ্কাল ও বিয়ের মতো অবধারিত বিষয়ের চিত্র উঠে আসে।

জাতীয় জনসংখ্যা (১ জুলাই ২০২১): ১৭০.২৬ মিলিয়ন পুরুষ: ৮৪.৩৩ মিলিয়ন ও মহিলা: ৮৫.৯৩ মিলিয়ন।

বৃদ্ধির হার: ১.৩৭%।

জাতীয় জনসংখ্যা (প্রাক্কলিত) [১ জানুয়ারি ২০২২]: ১৭১,২৯৭ হাজার পুরুষ: ৮৬,৪৫৩ হাজার ও মহিলা: ৮৬,৪৫৪ হাজার।

ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যা: মুসলিম ৮৯.০% অন্যান্য ১১.০%।

জনসংখ্যার স্বাভাবিক বৃদ্ধির হার (RNI): ১.৩০১%।

জনসংখ্যার ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি): ১,১৫৩ জন।

নির্ভরশীলতার অনুপাত: ৫০% পল্লি: ৫২% শহর: ৪৫%।

আয়ুষ্কাল: প্রত্যাশিত আয়ুষ্কাল: ৭২.৩ বছর পুরুষ: ৭০.৬ বছর মহিলা: ৭৪.১ বছর।

বয়সি শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে জীবিত জন্মে): ২২ জন

মরণশীলতা: স্থূল মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে): ৫.৭ জন পল্লি: ৬.০ জন শহর: ৪.৮ জন।

এক বছরের নিচের বয়সি শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে জীবিত জন্মে): ২২ জন পুরুষ: ২৩ জন মহিলা: ২১ জন।

এক মাসের কম বয়সি শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে জীবিত জন্ম শিশু): ১৬ জন পুরুষ: ১৬ জন মহিলা: ১৫ জন।

পাঁচ বছরের কম বয়সি শিশু মৃত্যুহার (প্রতি হাজারে জীবিত জন্মে): ২৮ জন পুরুষ: ৩০ জন ও মহিলা: ২৭ জন।

মাতৃমৃত্যু অনুপাত (প্রতি লাখ জীবিত জন্ম শিশুর বিপরীতে): ১৬৮ জন পল্লি: ১৭৬ জন • শহর: ১৪০ জন।

জন্ম-নিয়ন্ত্রণ: জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ব্যবহারের হার: জাতীয়: ৬৫.৬% পল্লি: ৬৫.৭% • শহর: ৬৫.০%।

প্রজনন: স্থূল জন্মহার (প্রতি হাজারে) ১৮.৮ জন পল্লি: ১৯.৫ জন • শহর: ১৬.৪ জন।

মোট প্রজনন হার (১৫- ৪৯ বছর বয়সি): ২.০৫ পল্লি: ২.১৮ • শহর: ১.৬৬।

স্থুল প্রতিবন্ধী (প্রতি হাজার জনসংখ্যায়): ২৪.১।

বৈবাহিক অবস্থা: বিবাহের গড় বয়স পুরুষ: ২৫.৩ বছর • মহিলা: ১৯.১ বছর।

খানার বৈশিষ্ট্য: খানার আকার: ৪.৩।

খানা প্রধানের হার · পুরুষ: ৮৪.০% • মহিলা: ১৬.০%।

আলোর উৎস: বিদ্যুৎ: ৯৬.৯% • সোলার: ২.৩% • অন্যান্য: ০.৭%।

পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন: ট্যাপ এবং নলকূপ: ৯৭.০% উন্নত উৎসের পানি: ৯৮.২% • নিরাপদ পানি: ৭৩.১% • স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটারি ব্যবহারকারী: ৮৫.৮% • উন্মুক্ত স্থানে মলত্যাগ: ১.০% • অন্যান্য টয়লেট ব্যবহারকারী: ১৩.২%।

বিভাগ ও জেলাওয়ারি সাক্ষরতার হার (৭ বছর+)

সাক্ষরতার হার: ৭৬.৪% পুরুষ: ৭৮.৬% • নারী: ৭৪.২% • পল্লি: ৭৪.১% • শহর: ৮৩.৭%।

শীর্ষ জেলা: পিরোজপুর, ৮৯.৩৭% • সর্বনিম্ন জেলা: বান্দরবান, ৫৯.৩৬%।

১৫ বছর ও তদূর্ধ্ব ৭৪.১% পুরুষ: ৭৭.০% • নারী: ৭১.২% • পল্লী: ৭১.৪% • শহর: ৮২.৫%।

শীর্ষ জেলা: পিরোজপুর, ৮৮.৭০% • সর্বনিম্ন জেলা: বান্দরবান, ৫৩.৭৫%।

৬৪ জেলার সাক্ষরতার হার

ঢাকা বিভাগ

জেলার নাম

সাক্ষরতার হার

ঢাকা

৮৪.২৬

গাজীপুর

৮২.১৬

নারায়ণগঞ্জ

৮০.৩৯

ফরিদপুর

৭৯.৯৩

মাদারীপুর

৭৮.৫৪

গোপালগঞ্জ

৭৮.৪২

শরীয়তপুর

৭৮.৪২

মুন্সীগঞ্জ

৭৪.৩৪

রাজবাড়ী

৭৩.৬৯

নরসিংদী

৭৩.৬৯

টাঙ্গাইল

৭১.৫১

মানিকগঞ্জ

৭০.৮৯

কিশোরগঞ্জ

৬৮.৯৪

রাজশাহী বিভাগ

জেলার নাম

সাক্ষরতার হার

জয়পুরহাট

৮১.৮৬

চাঁপাইনবাবগঞ্জ

৭৭.৩০

রাজশাহী

৭৬.৩০

নওগাঁ

৭৪.৯৮

নাটোর

৭২.৫০

বগুড়া

৭২.৪৮

পাবনা

৭২.১৫

সিরাজগঞ্জ

৬৬.৫৩

চট্টগ্রাম বিভাগ

জেলার নাম

সাক্ষরতার হার

ফেনী

৮৩.৩৩

চট্টগ্রাম

৮২.৩৭

কুমিল্লা

৭৯.৬২

চাঁদপুর

৭৭.৭০

খাগড়াছড়ি

৭৬.৩৬

নোয়াখালী

৭৫.১৪

লক্ষ্মীপুর

৭৫.০২

ব্রাক্ষণবাড়িয়া

৭১.২৫

রাঙ্গামাটি

৭০.৫১

কক্সবাজার

৬৯.২২

বান্দরবান

৫৯.৩৬

ময়মনসিংহ বিভাগ

জেলার নাম

সাক্ষরতার হার

 

ময়মনসিংহ

৭২.৮৭

 

নেত্রকোনা

৭১.১০

 

শেরপুর

৬৮.১৬

 

জামালপুর

৬৩.৭৯

 

বরিশাল বিভাগ

 

জেলার নাম

সাক্ষরতার হার

 

পিরোজপুর

৮৯.৩৭

 

বরগুনা

৮৮.২৩

 

ঝালকাঠি

৮৫.১৬

 

বরিশাল

৮৪.৬৪

 

পটুয়াখালী

৮৩.৭৯

 

ভোলা

৭৪.১৯

 

সিলেট বিভাগ

 

জেলার নাম

সাক্ষরতার হার

 

মৌলভীবাজার

৭৭.৬৩

 

সিলেট

৭৬.৮৪

 

হবিগঞ্জ

৭৩.৭৭

 

সুনামগঞ্জ

৭২.৫৭

 

খুলনা বিভাগ

 

জেলার নাম

সাক্ষরতার হার

 

বাগেরহাট

৮৬.২০

 

খুলনা

৮২.৯৯

 

যশোর

৭৯.২৮

 

সাতক্ষীরা

৭৯.২৮

 

নড়াইল

৭৮.৮১

 

ঝিনাইদহ

৭৬.৭৪

 

মেহেরপুর

৭৬.০৮

 

মাগুরা

৭৪.৫০

 

চুয়াডাঙ্গা

৭৩.৬৮

 

কুষ্টিয়া

৭০.৯৫

 
   

রংপুর বিভাগ

 

জেলার নাম

সাক্ষরতার হার

ঠাকুরগাঁও

৮০.১৪

দিনাজপুর

৭৮.৯৯

লালমনিরহাট

৭৫.২০

পঞ্চগড়

৭৪.৪১

নীলফামারী

৭৩.৬৯

রংপুর

৭০.৯৫

গাইবান্ধা

৭০.৭১

কুড়িগ্রাম

৭০.৩২

জাতিসংঘে বাংলাদেশের প্রস্তাব গৃহীত

১৬ মে ২০২৩ কমিউনিটিভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা বিষয়ে জাতিসংঘে প্রথমবারের মতো একটি প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত সাধারণ পরিষদে ‘কমিউনিটিভিত্তিক প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা: সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’ শিরোনামে প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সরকারি-বেসরকারি অংশীদারত্বে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিক ভিত্তিক মডেল প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য উদ্ভাবনী নেতৃত্ব এ প্রস্তাব পাসের মধ্য দিয়ে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পায়। জাতিসংঘে ৭০টি সদস্য রাষ্ট্র প্রস্তাবে ‘কো-স্পন্সর’ করে।

প্রস্তাবটির সফল বাস্তবায়ন কমিউনিটি ক্লিনিক ভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বাংলাদেশের সকল মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে দেশে কমিউনিটি ক্লিনিক ভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চালু করেন, যা সারাদেশের তৃণমূল পর্যায়ে মানুষের দোরগোড়ায় সরকারের প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা পৌঁছে দিতে বিপ্লব ঘটায়। সরকার সারা দেশে পাবলিক-প্রাইভেট অংশীদারত্বে এ পর্যন্ত প্রায় ১৪,০০০ বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছে।

দেশ জুড়ে

নতুন বন্য প্রাণী অভয়ারণ্য

দেশের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে সরকার বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১১ এর ধারা ১৩(১)-এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে ১৬ এপ্রিল ২০২৩ কক্সবাজার জেলার রামু উপজেলাধীন ৫,৫১৮ একর সংরক্ষিত বনভূমিকে ‘বাইশারী ব্যাংডেপা বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য’ ঘোষণা করে। এটি নিয়ে দেশে মোট বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সংখ্যা এখন ২৫টি। এছাড়া কক্সবাজারে বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্যের সংখ্যা ৩টি। অন্য দুটি হলো- ফাঁসিয়াখালী বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য ও টেকনাফ বন্যপ্রাণী অভয়ারণ্য।

আলোকিত কুতুবদিয়া

১২ এপ্রিল ২০২৩ সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে কক্সবাজারের দুর্গম দ্বীপ কুতুবদিয়া বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করা হয়। দ্বীপটি প্রথমবারের মতো গ্রিডভিত্তিক বিদ্যুতের আওতায় আসে। মাতারবাড়ী উপকেন্দ্র হতে রিভারক্রসিং টাওয়ারের মাধ্যমে ৩৩ কেভি ওভারহেড লাইন, কুতুবদিয়া চ্যানেলের তলদেশে ফাইবার অপটিকসহ ৫ কিমি ডাবল সার্কিট ৩৩ কেভি সাবমেরিন ক্যাবল স্থাপন এবং কুতুবদিয়া দ্বীপে ৩৩/১১ কেভি উপকেন্দ্র চালুর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। মূল ভূখন্ড থেকে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে স্বাভাবিক লাইন নির্মাণের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের কোনো সুযোগ না থাকায় সাবমেরিন ক্যাবল ব্যবহার করা হয়। উপজেলাটির প্রায় ২১৫ বর্গমিটার এলাকায় বর্তমানে প্রায় ২ লাখ মানুষ বসবাস করে। এখানে ১৯৮০ সালে জেনারেটরের মাধ্যমে প্রায় ৬০০ গ্রাহকের মধ্যে সান্ধ্যকালীন কয়েক ঘণ্টার জন্য বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালু করা হয়।

দেশব্যাপী শতভাগ মানুষকে বিদ্যুৎ সুবিধার আওতায় আনতে ২০২০ সালে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা ব্যয়ে ‘হাতিয়া দ্বীপ, নিঝুম দ্বীপ ও কুতুবদিয়া দ্বীপ শতভাগ নির্ভরযোগ্য ও টেকসই বিদ্যুতায়ন’ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত প্রকল্পটির মেয়াদ রয়েছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষে সরকারের বিশেষায়িত এই প্রকল্পের আওতায় ১১ নভেম্বর ২০২২ নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপ বিদ্যুতায়ন করা হয়।

প্রধানমন্ত্রীর ত্রিদেশীয় সফর

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ এপ্রিল – ৮ মে ২০২৩ পর্যন্ত তিনটি দেশ (জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য) সফর করেন।

জাপান- ত্রিদেশীয় সফরের অংশ হিসেবে ২৫ এপ্রিল ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে জাপানে যান। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ষষ্ঠ জাপান সফর। আগে তিনি ১৯৯৭,২০১০,২০১৪,২০১৬ ও ২০১৯ সালে জাপান সফর করেন। ২৬ এপ্রিল ২০২৩ বাংলাদেশে ও জাপানের মধ্যে ১টি ‍চুক্তি ও ৭টি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিক হয়। ২৭ এপ্রিল ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ৪ জাপানি নাগরিককে ‘ফ্রেন্ড অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ তুলে দেন।

যুক্তরাষ্ট্র- ২৮ এপ্রিল তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। ১ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে ৫০ বছরের অংশীদারত্ব উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দেন। ১ মে ২০২৩ যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে বিশ্বব্যাংকের সাথে বাংলাদেশের ২৪০০০ কোটি টাকার ঋণ চুক্তি হয়। ৫টি প্রকল্পে এ ঋণ ব্যয় করা হবে।

যুক্তরাজ্য- ৪ মে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লন্ডনের উদ্দেশে ওয়াশিংটন ডিসি ত্যাগ করেন। ৬ মে তিনি তৃতীয় চার্লসের রাজ্যাভিষেকে যোগ দেন।

বাংলার বাসমতি বিনাধান-২৫

ময়মনসিংহের বাংলাদেশ পরমাণু কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিনা) এবার বোরো মৌসুমে আবাদের জন্য বিনাধান-২৫ উদ্ভাবন করেছে। দেশে উদ্ভাবিত ধানের জাতগুলোর মধ্যে বিনাধান-২৫ সর্বাধিক লম্বা ও চিকন। বৈশ্বিক উষ্ণতা সহিঞ্চু উচ্চফলনশীল ধানের এ জাতটি আবাদ করে হেক্টরপ্রতি গড়ে ৮ টন ফলন পাওয়া যায়। উচ্চফলনশীল এ ধানের চাল অনেকটাই পাকিস্তান ও ভারতের বাসমতি ধানের চালের মতো। অনেকেই বলে থাকেন এ জাতের ধান ‘বাংলার বাসমতি’। ৪২-৪৩ ডিগ্রি তাপমাত্রায় কোনো ধান টিকতে পারে না। কিন্তু বিনাধান-২৫ সেই উষ্ণতা সহ্য করতে পারে।

নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল

৮ মে ২০২৩ নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পায় ‘ইনসানিয়াত বিপ্লব বাংলাদেশ’। দলটির প্রতীক ‘আপেল’ নিবন্ধন নম্বর ৪৬। গত এক যুগে ৪৬টি দল নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন পায়। এর মধ্যে ৫টি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। ফলে বর্তমানে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত দল ৪১টি। 

দেশের ১১তম GI পণ্য

৯ মার্চ ২০১৭ ফল গবেষণা কেন্দ্র প্রথম ফজলী আমের GI সনদের জন্য আবেদন করে, যা ৬ অক্টোবর ২০১১ GI জার্নালে প্রকাশ করা হয়। এরপর চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এসোসিয়েশনও GI সনদের স্বীকৃতি দাবি করে। ২৪ মে ২০২২ পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (DPDT) শুনানির মাধমে উভয় প্রতিষ্ঠানকে GI সনদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। একই সাথে নামকরণ করা হয় রাজশাহী-চাপাইনবাবগঞ্জের ফজলী আম। তারপর ১৯ জানুয়ারি ২০২৩ পুনরায় তা GI জার্নালে প্রকাশ করা হয়। GI সনদের স্বীকৃতির নিয়ম অনুযায়ী দুই মাসের মধ্যে কেউ আপত্তি না করায় ২৫ এপ্রিল ২০২৩ DPDT ফল গবেষণা কেন্দ্র, বিনোদপুর, রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এসোসিয়েশনকে রাজশাহী-চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলী আমের GI সনদপত্র প্রদান করে। এ নিয়ে দেশের সনদপ্রাপ্ত GI পণ্য ১১টি।

তম

নাম

নিবন্ধিত

সনদ প্রদান

আবেদনকারী ও সনদপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান

জামদানি শাড়ী

১ সেপ্টেম্বর ২০১৫

১৭ নভেম্বর ২০১৬

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন

বাংলাদেশ ইলিশ

১৩ নভেম্বর ২০১৬

১৭ আগস্ট ২০১৭

মৎস্য অধিদপ্তর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাত আম

২ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

২৭ জানুয়ারি ২০১৯

বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট

বিজয়পুরের সাদা মাটি

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

১৭ জুন ২০২১

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, নেত্রকোনা

দিনাজপুর কাটারীভোগ

৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

১৭ জুন ২০২১

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট

বাংলাদেশ কালিজিরা

৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭

১৭ জুন ২০২১

বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট

রংপুরের শতরঞ্জি

১১ জুলাই ২০১৯

১৭ জুন ২০২১

বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন

রাজশাহী সিল্ক

২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৭  

১৭ জুন ২০২১

বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড

ঢাকাই মসলিন

২ জানুয়ারি ২০১৮

১৭ জুন ২০২১

বাংলাদেশ তাঁত বোর্ড

১০

বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি

৪ জুলাই ২০১৯

২৪ এপ্রিল ২০২২

মৎস্য অধিদপ্তর

১১

রাজশাহী চাপাইনবাবগঞ্জের ফজলী আম

৯ মার্চ ২০১৭

২৫ এপ্রিল ২০২৩

ফল গবেষণা কেন্দ্র ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি এসোসিয়েশন

ফাইলেরিয়া মুক্ত বাংলাদেশ

দক্ষিণ-পূর্ব  এশিয়া অঞ্চলে অবহেলিত গ্রীষ্মমণ্ডলী রোগ (NTD) লিম্ফ্যাটিক ফাইলেরিয়াসিস (Lymphatic Filariasis) বা গোদ রোগ। ১৩ মে ২০২৩ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বাংলাদেশে গোদ রোগ নির্মূলের ঘোষণা করে। WHO’র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের চতুর্থ দেশ হিসেবে বাংলাদেশ গোদ রোগ নির্মূল করে। অন্য তিনটি দেশ হলো­­- মালদ্বীপ, শ্রীলংকা এবং থাইল্যান্ড। ১৯৯৭ সালে WHO সিদ্ধান্ত নেয়, ২০২০ সালের মধ্যে সব দেশ থেকে ফাইলেরিয়া নির্মূল করতে হবে। সেই আলোকে বাংলাদেশর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ২০০১ সাল থেকে ফাইলেরিয়া নির্মূলে কর্মসূচি গ্রহণ করে। এ সময় দেশের ১৯ জেলাকে ফাইলেরিয়াপ্রবণ ঘোষণা করা হয়। জেলাগুলো হলো- পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মেহেরপুর, বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও বরগুনা। ২০০১-২০১৫ সালের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে রোগটি নির্মূলে সরকারের ঔষধ প্রমাসন অধিদপ্তর ব্যাপক প্রচারণা চালায়। পাশাপাশি ২০১১-২০২১ সালের মধ্যে প্রশিক্ষিত কর্মী দিয়ে পদ্ধতিগত এবং উচ্চমানের সংক্রমণ মূল্যায়ন জরিপ করা হয়। পঞ্চগড় জেলায় প্রথম গণওষুধ সেবন কার্যক্রম শুরু হয়। ২৪ অক্টোবর ২০১১ দেশে প্রথমবারের মতো মেহেরপুর, রাজশাহী, দিনাজপুর, পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলাকে ফাইলেরিয়ামুক্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর পর্যায়ক্রমে বাকি জেলাগুলো ফাইলেরিয়ামুক্ত ঘোষণা করা হয়।

বিশ্বের একমাত্র ফাইলেরিয়া হাসপাতাল- নীলফামারীর সৈয়দপুরে অবস্থিত বিশ্বের একমাত্র ফাইলেরিয়া অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল। ফাইলেরিয়ার চিকিৎসা সেবা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০২ সালে সৈয়দপুর উপজেলার কামারপুকুর ইউনিয়নের ধলাগাছ গ্রামে ফাইলেরিয়া হাসপাতালটি নির্মিত হয়।

দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র

ভোলা সদর উপজেলায় দেশের ২৯তম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করেছে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন এন্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (BAPEX)। ২২ মে ২০২৩ বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ নতুন এ গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারের ঘোষণা দেন। এর আগে ৮ মার্চ ২০২৩ ভোলা সদর উপজেলার পশ্চিম ইলিশা ইউনিয়নে মালেরহাট সংলগ্ন এলাকায় ইলিশা-১ কূপের খনন কাজ শুরু হয়। বাপেক্সের নকশা ও লোকেশন অনুযায়ী, আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান রাশিয়ার গ্যাজপ্রম কূপ খনন কাজ পরিচালনা করে। ৩,৪৭৫ মিটার গভীরতায় খনন করে ৩টি স্তরে Drill Stem Test (DST)-এর মাধ্যমে সফলভাবে কূপ খনন শেষ হয় ১৪ এপ্রিল ২০২৩। ২৮ এপ্রিল ২০২৩ কূপের মুখে আগুন জ্বালিয়ে গ্যাসের উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়। নতুন গ্যাসক্ষেত্রের তিন স্তরে ২০০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের মজুত রয়েছে। কূপ থেকে দৈনিক ২০-২২ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। ইলিশা-১ ভোলা জেলার তৃতীয় গ্যাসক্ষেত্র। ১৯৯৫ সালে ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় শাহবাজপুরে প্রথম গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কার করে বাপেক্স। একই প্রতিষ্ঠান ২০১৮ সালে আবিষ্কার করে ভোলার দ্বিতীয় গ্যাসক্ষেত্র-ভোলা নর্থ। উল্লেখ্য, দেশের ২৮তম গ্যাসক্ষেত্র সিলেটের জকিগঞ্জ।

ঘূর্ণিঝড় মোখা

১৪ মে ২০২৩ ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশে এবং মিয়ানমার সীমান্তে আঘাত হানে। এর কেন্দ্রের একটি অংশ বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপের ওপর দিয়ে যায়। তবে সাগর থেকে মাটিতে এসে মোখা অনেকটা দুর্বল হয়ে পড়ায় বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি।

ব্যতিক্রম ঘূর্ণিঝড় মোখা

গত দুই যুগে দেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে শক্তির তুলনায় না হলেও চরিত্রের দিক থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা ছিল ব্যতিক্রম। কেননা, দেশে এর আগে সিডর, আইলা বা ইয়াসের মতো শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়গুলো আঘাত হানার সময় উপকূলে তীব্র বাতাস, জলোচ্ছ্বাস ও বৃষ্টি ছিল। কিন্তু মোখা যখন উপকূলে আঘাত হানে, দেশের উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে রীতিমতো তাপপ্রবাহ বয়ে যায়। এছাড়া এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে আঘাত হানা ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে মোখাই সবচেয়ে ক্ষণস্থায়ী ঝড়, যার স্থায়িত ছিল ৬ ঘণ্টা।

নামকরণ

ঘূর্ণিঝড় মোখার নামকরণ করে ইয়েমেন। মোখা ইয়েমেনের একটি বন্দর শহরের নাম। ইয়েমেনের লোহিত সাগর উপকূলের শহর এটি। ঊনবিংশ শতকে ইয়েমেনের প্রধান বন্দরে পরিণত হয় মোখা। শহরটি কফি বাণিজ্যের জন্য সুপরিচিত। মোখা নামে একটি কফিরও নাম আছে।

-তালিকা অনুযায়ী পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়টির নাম হবে ‘বিপর্যয়’। এই নামটি বাংলাদেশের দেওয়া। এর পরবর্তী পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়ের নাম- তেজ (ভারত), হামুন (ইরান), মিধিলি (মালদ্বিপ), মিগজাউম (মিয়ানমার) ও রিমাল (ওমান)।

বাংলাদেশ

ঘূর্ণিঝড় মোখায় সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত ঘরবাড়ির সংখ্যা ২,০২২।

আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ি ১০,৪৬৯।

সেন্ট মার্টিনের অন্তত ১,২০০ কাঁচা ও টিনের ছাউনি এবং আধা পাকা ঘর ভেঙে যায়।

টেকনাফে ৩ জন লবণচাষী নিহত এবং ১১ জন সেন্ট মার্টিনে আহত হয়।

মিয়ানমার

মিয়ানমারে চার শতাধিক লোকের মৃত্যু হয়।

 রাখাইনে ঘরবাড়ি বিধ্বস্তসহ বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে পড়ে।

পদক

বঙ্গবন্ধুর জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রাপ্তি

‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ প্রদানকারী বিশ্ব শান্তি পরিষদ (WPC) একটি সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী বেসরকারি সংস্থা। ১৯৪৯ সালে সংস্থাটি তিনটি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার প্রবর্তন করে- আন্তজাতিক শান্তি পুরস্কার, সম্মানসূচক আন্তর্জাতিক শান্তি পুরস্কার (মরণোত্তর) এবং শান্তি পদক। ১৯৫৯ সালে শান্তি পদকের নামকরণ করা হয় ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’। ১০ অক্টোবর ১৯৭২ চিলির রাজধানী সান্তিয়াগোতে বিশ্ব শান্তি পরিষদের প্রেসিডেন্সিয়াল কমিটির সভায় ঘোষিত ও নিপীড়িত জনগণের অধিকার আদায়ের সংগ্রামে তথা বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় অসাধারণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘জুলিও কুর শান্তি পদক’ প্রদানের ঘোষণা দেওয়া হয়। ২৩ মে ১৯৭৩ জাতীয় সংসদের উত্তর প্লাজার উন্মুক্ত চত্বরে আয়োজিত বিশ্ব শান্তি পরিষদের উদ্যোগে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয় দু’দিনব্যাপী Asian Peace & Security Conference। তৎকালীন মহাসচিব রমেশ চন্দ্র বঙ্গবন্ধুকে ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ পরিয়ে দেন। ২৩ মে ২০২৩ বঙ্গবন্ধুর ‘জুলিও কুরি শান্তি পদক’ লাভের ৫০ বছর পূর্তি হয়। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ সরকার এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নানা উৎসবের আয়োজন করে।  

Leave a Reply