পটুয়াখালীতে নবম ইপিজেড
২৯ আগস্ট ২০২৩ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পটুয়াখালী ইপিজেড প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। পটুয়াখালী জেলা সদরের আউলিয়াপুর ইউনিয়নের পচাকোড়ালিয়া মৌজায় ৪১৮ একর জায়গার ওপর ইপিজেডটি নির্মিত হবে। সম্পূর্ণ দেশীয় অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে পটুয়াখালী ইপিজেড। এটির উন্নয়নে ১,৪৪৩ কোটি টাকা ব্যয় ধরা হয়। এর মধ্যে ১,১০৫ কোটি টাকা সরকার দেবে, যার ৪০% মূলধনি (ইকুইটি) বিনিয়োগ। আর বাকি প্রায় ৩৩৮ কোটি টাকা বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (BEPZA) তার নিজস্ব তহবিল থেকে দেবে। ১২ নভেম্বর ২০১৯ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে বেপজার ৩৪তম গভর্নর বোর্ড সভায় নতুন তিনটি ইপিজেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তখন সিদ্ধান্ত হয় প্রস্তাবিত তিনটি ইপিজেড হবে গাইবান্ধা, যশোর ও পটুয়াখালীতে ।
বর্তমানে বাংলাদেশে মোট ৮টি ইপিজেড রয়েছে। ১৯৮৩ সালে বন্দর নগরী চট্টগ্রামে স্থাপিত হয় দেশের প্রথম ইপিজেড। পরবর্তী তিন দশকের মধ্যে পর্যায়ক্রমে স্থাপিত হয় বাকি ৭টি ইপিজেড । ঢাকা ইপিজেডের কাজ শুরু হয় ১৯৯৩ সালে; পরবর্তীতে বিনিয়োগকারীদের আগ্রহের পরিপ্রেক্ষিতে ১৯৯৭ সালে ইপিজেড সম্প্রসারণের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয় ।
জাতীয় ডেবিট কার্ড
১ নভেম্বর ২০২৩ থেকে বিদেশি কার্ড প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভরতা কমাতে এবং বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভের ওপর চাপ কমাতে ‘টাকা পে কার্ড’ নামে জাতীয় ডেবিট কার্ড চালু করবে বাংলাদেশ ব্যাংক । প্রাথমিকভাবে ৮টি ব্যাংক নিয়ে পাইলটিং কার্যক্রম করা হবে এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবহারের জন্য এটি চালু হবে। পরবর্তীতে টাকা থেকে রুপি কার্ড চালু করা হবে। জাতীয় পর্যায়ে এই কার্ড ব্যবহার হলে গ্রাহকের খরচ কমবে। ২ জুন ২০২৩ বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে ন্যাশনাল ডেবিট কার্ড চালুর উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানায় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
দেশের বৃহৎ সার কারখানা
৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ নরসিংদীর পলাশে ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানার কমিশনিং কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়। ‘ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প’ বাস্তবায়ন হলে দেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা হবে এটি। ১৯৭০ সালে নরসিংদীর ঘোড়াশালে ও ১৯৮৫ সালে পলাশে দুটি সার কারখানা প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর সার কারখানা দুটির সক্ষমতা কমে যাওয়ায় ২৪ আগস্ট ২০১৪ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উক্ত জায়গায় একটি নতুন, আধুনিক প্রযুক্তি ও জ্বালানি সাশ্রয়ী সার কারখানা নির্মাণ করার নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপর ৯ অক্টোবর, ২০১৮ একনেকে অনুমোদন দেওয়া হয়। ১০ মার্চ ২০২০ সরকার ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্পের কাজ শুরু করে। যার দায়িত্ব পায় জাপানি ও চায়নার দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১১০ একর জমির ওপর নির্মাণাধীন কারখানাটি দৈনিক ২,৮০০ টন হিসাবে বার্ষিক ৯ লাখ ২৪ হাজার টন গ্রানুলার ইউরিয়া সার উৎপাদন করবে।
পঞ্চগড়ে তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র
২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ পঞ্চগড়ে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এর মধ্য দিয়ে চট্টগ্রাম (১৯৪৯) ও মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের (২০০৮) পর দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্র চালু হয় পঞ্চগড়ে। ২৩ অক্টোবর ২০২২ পঞ্চগড়ে এই নিলাম কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন শুরু হয়। ১৯৯৬ সালে দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে চা চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০০০ সালে শুরু হয় ক্ষুদ্র পর্যায়ে চা চাষ। পঞ্চগড়ে ৮টি নিবন্ধিত ও ২০টি অনিবন্ধিত চা বাগান রয়েছে। উৎপাদনের দিক থেকে চট্টগ্রামকে ছাড়িয়ে এই চা অঞ্চল দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম চা চাষ অঞ্চল হিসেবে পরিচিতি পায়। বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত চা বাগান ১৬৮টি।
নিবন্ধিত চা বাগান | |
জেলা | সংখ্যা |
মৌলভীবাজার | ৯০ |
হবিগঞ্জ | ২৫ |
চট্টগ্রাম | ২২ |
সিলেট | ১৯ |
পঞ্চগড় | ৮ |
রাঙ্গামাটি | ২ |
ঠাকুরগাঁও | ১ |
খাগড়াছড়ি | ১ |
মোট | ১৬৮ |