কালানুক্রমিক ঘটনাবলি
০১.০২.২০২৩
♦ ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ লোকসভায় ২০২৩-২৪ অর্থবছরের কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করেন।
০৩.০২.২০২৩
♦ ইউক্রেনের কিয়েভে ২৪তম ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU)-ইউক্রেন শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।
০৪.০২.২০২৩
♦ শ্রীলঙ্কার স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি।
♦ ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় অসিয়ানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দুই দিনের বৈঠকের সমাপ্তি।
০৫.০২.২০২৩
♦ ইরানে সম্প্রতি সরকারবিরোধী বিক্ষোভের জেরে আটককৃত কয়েক হাজার বন্দিকে ক্ষমা করে দেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি।
০৬.০২.২০২৩
♦ তুরস্ক-সিরিয়া সীমান্ত অঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে অর্ধ লক্ষাধিক মানুষের মৃত্যু হয়।
০৯.০২.২০২৩
♦ দক্ষিণ আফ্রিকায় তীব্র বিদ্যুৎ-সংকট মোকাবিলায় দেশটিতে ‘জরুরি দুর্যোগকালীন অবস্থা’ ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসা।
১০.০২.২০২৩
♦ হোয়াইট হাউসে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভা।
১৩.০২.২০২৩
♦ নিউজিল্যান্ডে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় ‘গ্যাব্রিয়েল’।
১৪.০২.২০২৩
♦ তিন দিনের সফরে চীনে গিয়ে প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি।
১৫.০২.২০২৩
♦ স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেন পদত্যাগের ঘোষণা দেন। সমালোচনার মুখে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস।
১৭.০২.২০২৩
♦ জার্মানিতে তিনদিনব্যাপী ৫৯তম মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন শুরু।
১৮.০২.২০২৩
♦ ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় দুই দিনব্যাপী ৩৬তম আফ্রিকান ইউনিয়ন (AU) শীর্ষ সম্মেলন শুরু।
২০.০২.২০২৩
♦ ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর প্রায় এক বছর পর প্রথমবারের মতো আকস্মিক কিয়েভ সফরে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
♦ তুরস্কে আবারও ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে।
২১.০২.২০২৩
♦ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ‘নিউ স্টার্ট’ স্থগিতের ঘোষণা দেন।
♦ যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম শহর হিসেবে সিয়াটল জাতপাতজনিত বৈষম্যকে বেআইনি ঘোষণা করে।
২৪.০২.২০২৩
♦ ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের বর্ষপূর্তিতে চীন ১২ দফা শান্তি প্রস্তাব দেয়।
২৫.০২.২০২৩
♦ দুইদিনের সফরে ভারত পৌঁছে জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ।
♦ নাইজেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত।
আলোচিত বিশ্ব
সম্মেলন-বৈঠক
AU শীর্ষ সম্মেলন AU–African Union
আয়োজন: ৩৬তম। সময়কাল ১৮-১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
স্থান: আদ্দিস আবাবা, ইথিওপিয়া।
মিউনিখ নিরাপত্তা সম্মেলন (MSC)
MSC-Munich Security Conference
৫৯তম সময়কাল: ১৭-১৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
স্থান: মিউনিখ, জার্মানি।
IOSCO’র এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কমিটির (APRC) সম্মেলন- IOSCO-International Organization of Securities Commissions.
সময়কাল: ২২-২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
স্থান: ঢাকা, বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো IOSCO’র এশিয়া প্যাসিফিক রিজিওনাল কমিটির (APRC) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
রিপোর্ট-সমীক্ষা
গণতন্ত্র সূচক
প্রকাশ: ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
প্রকাশক: The Economist Intelligence Unit
সূচকের শিরোনাম: Democracy Index 2022
অন্তর্ভুক্ত দেশ ও অঞ্চল: ১৬৭টি।
সূচক অনুযায়ী
• শীর্ষ দেশ: নরওয়ে।
• সর্বনিম্ন দেশ: আফগানিস্তান।
সার্কভুক্ত দেশের অবস্থান
• ত্রুটিপূর্ণ গণতন্ত্র: ৪৬. ভারত ও ৬০. শ্রীলঙ্কা।
• হাইব্রিড রেজিম বা মিশ্র গণতন্ত্র: ৭৩. বাংলাদেশ, ৮৪. ভুটান, ১০১. নেপাল ও ১০৭. পাকিস্তান।
• স্বৈরতন্ত্র: ১৬৭. আফগানিস্তান।
দুর্নীতি ধারণা সূচক ২০২২
প্রকাশ: ৩১ জানুয়ারি ২০২৩
প্রকাশক: ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (TI)
অন্তর্ভুক্ত দেশ: ১৮০টি।
সূচক অনুযায়ী
• শীর্ষ দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ: সোমালিয়া; স্কোর ১২।
• কম দুর্নীতিগ্রস্ত দেশ: ডেনমার্ক, স্কোর ৯০।
সার্কভুক্ত দেশের অবস্থান:
দেশ | ঊর্ধ্ব | নিম্ন | স্কোর |
ভুটান | ২৫ | ৫১ | ৬৮ |
মালদ্বীপ | ৮৫ | ২৬ | ৪০ |
ভারত | ৮৫ | ২৬ | ৪০ |
শ্রীলঙ্কা | ১০১ | ২২ | ৩৬ |
নেপাল | ১১০ | ২১ | ৩৪ |
পাকিস্তান | ১৪০ | ১৪ | ২৭ |
বাংলাদেশ | ১৪৭ | ১২ | ২৫ |
আফগানিস্তান | ১৫০ | ১১ | ২৪ |
বিশ্ব ভাষাচিত্র
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
সংস্করণ: ২৬তম
প্রকাশক: Ethnologue
| ব্যবহৃত শীর্ষ ৭ ভাষা |
| মাতৃভাষা অনুসারে শীর্ষ ৭ ভাষা | |
ক্রম | নাম | সংখ্যা (মিলিয়ন) | নাম | সংখ্যা (মিলিয়ন) |
১ | ইংরেজি | ১,৫০০ | মান্দারিন | ৯২০ |
২ | মান্দারিন | ১,১০০ | স্প্যানিশ | ৪৭৫ |
৩ | হিন্দি | ৬০০.২ | ইংরেজি | ৩৭৩ |
৪ | স্প্যানিশ | ৫৪৮.৩ | হিন্দি | ৩৪৪ |
৫ | ফরাসি | ২৭৪.১ | বাংলা | ২৩৪ |
৬ | আরবি | ২৭৪.০ | পর্তুগিজ | ২৩২ |
৭ | বাংলা | ২৭২.৭ | রুশ | ১৫৪ |
ভাষা নিয়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য
• বিশ্বে মোট ভাষার সংখ্যা ৭,১৬৮টি।
• সর্বাধিক ভাষার দেশ পাপুয়া নিউগিনি।
• বাংলাদেশে ভাষার সংখ্যা ৩৬টি।
• ইংরেজি ভাষায় কথা বলে ১৪৬টি দেশে।
৭৬তম বাফটা অ্যাওয়ার্ড
১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ যুক্তরাজ্যের লন্ডনের রয়্যাল ফেস্টিভ্যাল হলে ৭৬তম ‘বাফটা অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখযোগ্য বিজয়ী: অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট।
পরিচালক: এডওয়ার্ড বারগার, অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট।
মৌলিক চিত্রনাট্য: মার্টিন ম্যাকডোনা, দ্য বানশিল্প অব ইনিশেরিন।
অভিনেতা: অস্টিন বাটলার, এসভিস।
অভিনেত্রী: কেট ব্ল্যানচেট, টার।
পার্শ্ব অভিনেতা: ব্যারি কিয়োন, দা বানশিজ অব ইনিশেরিন।
পার্শ্ব অভিনেত্রী: ক্যারি কনডন, দ্যু বানশিজ অব ইনিশেরিন
অইংরেজিভাষী সিনেমা: অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট।
তথ্যচিত্র: নাভালনি।
অ্যানিমেটেড সিনেমা: গিয়েরমো ডেল টরোস পিনোকিও।
৬৫তম গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ড
৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের ক্রিপটো ডটকম অ্যারেনায় গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডের ৬৫তম আসর অনুষ্ঠিত হয়।
উল্লেখযোগ্য বিজয়ী–
• অ্যালবাম অব দ্য ইয়ার: হ্যারি স্টাইলস (হ্যারিস হাউস)।
• গানের অ্যালবাম লিকেজ্জা (অ্যাবাউট ড্যাম টাইম)।
• র্যাপ অ্যালবাম: কেন্ড্রিক লামার (মিস্টার মোরাল অ্যান্ড দ্য বিগ স্টিপারর্স)।
• দেশাত্মবোধক অ্যালবাম: উইলি নেলসন (অ্যা বিউটিফুল টাইম)।
• দেশাত্মবোধক গায়ক: উইলি নেলসন (লাইভ ফরেভার)।
• পপ ভোকাল অ্যালবাম: হ্যারি স্টাইলস (হ্যারিস হাউস)।
• রক অ্যালবাম: ওজি অসবর্ন (প্যাশেন্ট নাম্বার ৯)।
ইতিহাসে বিয়ন্সে
এবারের আসরে চারটি গ্র্যামি জিতে সবচেয়ে বেশি গ্র্যামি জয়ী হিসেবে ইতিহাস গড়েন মার্কিন গায়িকা বিয়ন্সে। এখন পর্যন্ত ৩২টি গ্র্যামি লাভ করেন এ তারকা। এবার তিনি সেরা নাচ/ ইলেকট্রিক মিউজিক অ্যালবাম (রেনেসাঁ), সেরা ট্রাডিশনাল আর অ্যান্ড আর পরিবেশনা (প্লাস্টিক অব দ্য সোফা), সেরা নাচ / ইলেকট্রিক রেকর্ডিং (ব্রেক মাই সোল) এবং সেরা আর অ্যান্ড আর গান (কাফ ইট) বিভাগে পুরস্কার পান।
দেশভিত্তিক নিয়মিত আয়োজন
পাকিস্তান
পাকিস্তানে প্রথম হিন্দু নারী আমলা
২০২৩ সালে পাকিস্তানের ইতিহাসে সরকারি পদে নিয়োগ পেয়ে ইতিহাস গড়েন ২৭ বছর বয়সি নারী ডা. সানা রামচন্দ গুলওয়ানি। তার আগে দেশটিতে আর কোনো হিন্দু নারী আমলা হতে পারেননি। তাকে দেশটির পাঞ্জাব প্রদেশের হাসান আবদাল শহরের সহকারী কমিশনার পদে নিযুক্ত করা হয়। তার বাড়ি পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের ছোট্ট শহর শিকারপুরে। চিকিৎসক সানা পড়াশোনা করেন সিন্ধু প্রদেশের লারকানায় অবস্থিত শহীদ মুহতারেমা বেনজির ভুট্টো মেডিকেল ইউনিভার্সিটিতে। ২০২০ সালে সেন্ট্রাল সুপেরিয়র সার্ভিসেস (CSS) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন তিনি।
জাপান
সাত হাজার নতুন দ্বীপ
সাত হাজারের বেশি নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করেছে জাপান। অত্যাধুনিক ম্যাপিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে দ্বীপগুলোর সন্ধান পায় দেশটি। এ কারণে দ্বীপরাষ্ট্র জাপানের মানচিত্রেও পরিবর্তন আসছে। দেশটির জিওস্পেশাল ইনফরমেশন কর্তৃপক্ষ ২০২৩ সালের মার্চে আপডেট হওয়া নতুন মানচিত্রটি প্রকাশ করবে, যাতে আবিষ্কার হওয়া দ্বীপগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হবে। ১৯৮৭ সালে ভূতাত্ত্বিক জরিপ পরিচালনা করে জাপান কোস্টগার্ড। বর্তমান মানচিত্র অনুযায়ী, দেশটিতে সব মিলিয়ে দ্বীপের সংখ্যা ৬,৮৫২টি। আবিষ্কৃত দ্বীপগুলো নিয়ে মোট দ্বীপ সংখ্যা ১৪,১২৫টি। ৩৫ বছর আগের ঔ জরিপে বাদ পড়েছিল নদী ও জলাশয়ে থাকা অনেক দ্বীপ। নতুন এ দ্বীপগুলোর অবস্থান দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের নাগাসাকি অঞ্চলে। অনেকগুলো ছোট ছোট দ্বীপের সমন্বয়ে জাপানের প্রায় ৪৭টি বড় দ্বীপ রয়েছে। এগুলোর মধ্যে প্রধান ৪টি হলো হোক্কাইডো, হোনসু, শিকোকু এবং কিয়োশু। নতুন জরিপ অনুয়ায়ী, শুধু হোক্কাইডোতেই দ্বীপ রয়েছে ১,৪৭৩টি।
চীনা নারীর জাপানি দ্বীপ ক্রয়
জাপানের ইয়ানাহা দ্বীপ ক্রয় করেছেন চীনা এক নারী। তবে দ্বীপে কোনো জনবসতি নেই। জাপানের দক্ষিণাঞ্চলের ওকিনাওয়া দ্বীপের উত্তরে ইয়ানাহা দ্বীপটি অবস্থিত। ইয়ানাহা দ্বীপের মালিকানা এর আগে একাধিকবার পরিবর্তিত হয়। ২০২১ থেকে ইয়ানাহা দ্বীপটির একাংশের মালিক টোকিওর এক কনসার্ল্টিং ফার্ম। এ ফার্মটি চীনা ব্যবসা বিষয়ে বিশেষজ্ঞ। ওকিনাওয়ার ইজেনা গ্রামের একটা অফিস থেকে দ্বীপটির তত্ত্বাধান করা হয়। দ্বীপটির ৫০% জমির মালিক কোম্পানি। তবে অধিকাংশ সৈকত স্থানীয় সরকার অধীনে রয়েছে। চীনে সাধারণত আইন অনুযায়ী, কোনো ব্যক্তি জমির মালিক হতে পারেন না।
জাপান-ফিলিফাইন প্রতিরক্ষা চুক্তি
১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ জাপান-ফিলিপাইন প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করে। চুক্তি অনুযায়ী, জাপানি সেনারা ফিলিপাইনের দুর্যোগ ও মানবিক প্রয়োজনগুলোতে ফিলিপাইনে যেতে পারবে। এ ছাড়াও প্রশিক্ষণ অনুশীলনের সুযোগ তৈরি হয়। ২০১৫ সালেই ঘনিষ্ঠ প্রতিরক্ষা সম্পর্ক স্থাপনের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে দেশ দুটি। দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন জলসীমা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে চীন এবং জাপান-ফিলিপাইনের। এছাড়া দেশ দুটি বৈশ্বিক রাজনীতিতে চীনের প্রতিদ্বন্দ্বী যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলীয় প্রতিনিধি।
যুক্তরাজ্য
মুদ্রা থেকে বাদ ব্রিটিশ রাজা-রানি
রাজতন্ত্রের শৃঙ্খল থেকে মুক্তির অংশ হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার পাঁচ ডলারের নোট থেকে বাদ যাবে ব্রিটিশ রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের ছবি। এর পরিবর্তে স্থান পাবে অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্ট ও ব্যক্তিত্বর ছবি। ১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ এমন সিদ্ধান্ত নেয় দেশটির সরকার। ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২ প্রয়াত হন রানি। দ্বিতীয় এলিজাবেথ-এর পর ব্রিটিশ সিংহাসনে বসেন তৃতীয় চার্লস। কিন্তু অস্ট্রেলীয় নোটে সেই পরস্পরা মেনে চলা হবে না। তবে এ সিদ্ধান্ত এখনই কার্যকর হবেনা। কারণ মুদ্রার নকশা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। পাশাপাশি নোটের ছবি বদলের জন্য গণভোটের আয়োজন করা হবে। যতদিন এ নকশা চূড়ান্ত না হয়, ততদিন পুরোনো নোট ব্যবহার করা যাবে। এর আগে ৬ নভেম্বর ১৯৯৯ রাজতন্ত্র থেকে মুক্তির দাবিতে অস্ট্রেলিয়ায় গণভোট হয়। কিন্তু রানি এলিজাবেথের পক্ষে ৫৪.৮৭% ভোট পড়েছিল।
চেচনিয়ার জাতির পিতা
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ দক্ষিণ রুশ প্রজাতন্ত্র চেচনিয়ার আইনপ্রণেতারা সর্বসম্মত ভোটে দেশটির নেতা রমজান কাদিরভকে ‘জাতির পিতা’ হিসেবে স্বীকৃতি দেন। এ দিন চেচনিয়ার পার্লামেন্টে আইনপ্রণেতারা একটি সাংবিধানিক সংশোধনী অনুমোদন করেন। এর ফলে চেচেন ভাষায় কাদিরভের উপাধি দেওয়া হয় Mekh-Da যার আক্ষরিক অর্থ ভূমির পিতা। তবে সাধারণত ‘জনগণের পিতা’ বা ‘জাতির পিতা’ বোঝাতে এটি ব্যবহৃত হয়। উত্তর ককেশাসের একটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চল চেচনিয়া প্রজাতন্ত্র। ১১ ডিসেম্বর, ১৯৯৪-৩১ আগস্ট ১৯৯৬ এবং ৭ অগস্ট, ১৯৯৯-৩০ এপ্রিল ২০০০ এর দু’টি বিচ্ছিন্নতাবাদী যুদ্ধে চেচনিয়া বিধ্বস্ত হয়। কাদিরভ ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০০৭ থেকে চেচনিয়া শাসন করে আসছেন। তার বাবা, আখমাদ কাদিরভ ১৯৯০ এর দশকে একজন চেচেন বিচ্ছিন্নতাবাদী যোদ্ধা ছিলেন। পরে তিনি পক্ষ পরিবর্তন করেন এবং রাশিয়ার প্রতি আনুগত্যের প্রতিশ্রুতি দেন। ৯ মে, ২০০৪ তিনি নিহত হওয়ার আগে তাকে চেচনিয়া প্রজাতন্ত্রের প্রথম প্রধান হিসেবে মনোনীত করা হয়েছিল।
মধ্যপ্রাচ্য
প্রথম উচ্চগতির নারী ট্রেন চালক
২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ সৌদি আরবে প্রথমবারের মতো উচ্চগতির ট্রেন চালান এক সৌদি নারী। তার নাম থারা আলি। দেশটিতে নারীদের সরকারি ও বেসরকারি কাজে নিয়োজিত করার যে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, তারই আলোকে তিনি প্রথম নারী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মক্কা থেকে মদিনা পর্যন্ত দ্রুতগতির ট্রেন চালানোর সুযোগ পান। মক্কা থেকে মদিনা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহনের জন্য হারামাইন হাইস্পিড রেলওয়ে নামে নতুন এ দ্রুতগতির ট্রেন চালু করে সৌদি আরব। রেলপথে পবিত্র এ দুই শহরের দূরত্ব ৪৫০ কিলোমিটার। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে সৌদি আরবে নারীরা গাড়ি চালানোর অনুমতি পান।
নিউ স্টার্ট স্থগিত
২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বার্ষিক ‘টেস্ট অব দ্য ন্যাশন’ ভাষণে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যকার পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ‘নিউ স্টার্ট’ স্থগিতের ঘোষণা দেন। এরই প্রেক্ষিতে ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ রুশ পার্লামেন্ট এটির অনুমোদন দেয়। ৮ এপ্রিল, ২০১০ যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার মধ্যে নিউ স্টার্ট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। দুই দেশের সে সময়ের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও দিমিত্রি মেদভেদেভ চুক্তিটি স্বাক্ষর করেছিলেন। চুক্তি অনুযায়ী, উভয় দেশের সর্বোচ্চ ১,৫৫০টি পারমাণবিক অস্ত্র মোতায়েনের সুযোগ ছিল। ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১১ নিউ স্টার্ট চুক্তি কার্যকর হয়। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতায় আসার পর ২০২১ সালে চুক্তিটির মেয়াদ আরও পাঁচ বছর বাড়ানো হয়। যার মেয়াদ ৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৬ শেষ হওয়ার কথা ছিল।
ইরান
ভূগর্ভস্থ বিমান ঘাঁটি
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ইরান ভূগর্ভস্থ বিমান ঘাঁটি উদ্বোধন করে। দেশটি এ প্রথম মাটির নিচে নিজেদের বিমান ঘাঁটি নির্মাণের কথা প্রকাশ করল। এটি পাহাড়ের কাছে মাটির নিচে তৈরি করা হয়। ভূগর্ভস্থ এ বিমান ঘাঁটির নাম দেওয়াা হয় ‘ঈগল-৪৪’। এটি ইরানের বিমানবাহিনীর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘাঁটি। এখানে ক্ষেপণাস্ত্রসহ যুদ্ধবিমান রয়েছে। এ ঘাঁটিতে যুদ্ধবিমান ছাড়াও ড্রোন রাখা সম্ভব। ইরান গত কয়েক বছরে দেশটির বিভিন্ন এলাকায় অসংখ্য বিমান ঘাঁটি তৈরি করেছে। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলের যেকোনো হামলা প্রতিরোধে এ ঘাঁটি থেকে তাৎক্ষণিক বিমান উড্ডয়ন সম্ভব। ইরান এর আগে ২০২২ সালের মে মাসে একটি গোপন ড্রোন ঘাঁটির কথা জানায়।
ভারত
বৃহত্তম হেলিকপ্টার কারখানা
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভারত বৃহত্তম হেলিকপ্টার কারখানা চালু করে, যেখান থেকে প্রতিবছর কমপক্ষে এক হাজার হেলিকপ্টার তৈরি করা যাবে। প্রাথমিকভাবে এ কারখানায় ভারতের নকশায় উন্নত ‘লাইট ইউটিলিটি হেলিকপ্টার’ তৈরি করা হবে। কর্ণাটক রাজ্যের দক্ষিণাঞ্চলে কারখানাটি গড়ে তোলা হয়। এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির এ দেশটি বিশ্বের ছয়টি দেশের মধ্যে একটি যাদের স্থল, সমুদ্র এবং আকাশ থেকে পারমাণবিক হামলা করার সক্ষমতা রয়েছে।
গ্রেট নিকোবরে নতুন মেগা বন্দর
২৮ জানুয়ারি, ২০২৩ ভারত সরকারের বন্দর ও নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় ‘গ্যালাথিয়া বে’ প্রকল্পের জন্য ‘এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্ট’ (আগ্রহপত্র) আহ্বান করে বিজ্ঞপ্তি দেয়। ভারত মহাসাগর লাগোয়া গ্রেট নিকোবর দ্বীপে প্রায় এক হাজার কোটি ডলার খরচ করে একটি ‘ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর’ ও সেই সঙ্গে বিমানবন্দর, টাউনশিপ, বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিরাট একটি হাব তৈরির উদ্যোগ নেয় ভারত সরকার। ‘গ্যালাথিয়া বে’ নামে এ ট্রান্সশিপমেন্ট বন্দর বাংলাদেশ ও ভারতসহ পুরো বঙ্গোপসাগরে নৌ-বাণিজ্যের চেহারাই পাল্টে দেবে।
ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট → যখন কোনো বড় জাহাজের কার্গো বা কন্টেইনারকে তার অন্তিম গন্তব্যে (ফাইনাল ডেস্টিনেশন) পৌঁছে দিতে কোনো বন্দরে ভিড়িয়ে তুলনায় ছোট কোনো জাহাজে সেই মাল খালাস করা হয়, তখনই সেই বন্দরকে বলা হয় ‘ট্রান্সশিপমেন্ট পোর্ট’।
নতুন গোয়েন্দা সাবমেরিন
২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ ভারতীয় নৌবাহিনীতে যুক্ত হয় নতুন সাবমেরিন আইএনএস বাগির (INS Vagir)। জলসীমান্তের নজরদারি চালানোর পাশাপাশি ভারত মহাসাগরে গোয়েন্দাগিরিও করবে বাগির। গত দুই বছরে ভারতীয় নৌবাহিনীতে মোট তিনটি সাবমেরিন অন্তর্ভুক্ত হয়। ১২ নভেম্বর, ২০২০ সম্পন্ন হয় INS Vagir এর নির্মাণ কাজ। এরপর ২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২ থেকে ট্রায়াল শুরু হয়। বিশ্বের সেরা সেন্সর ব্যবহার করা হয় এ সাবমেরিনে, যার সাহায্যে এটি শত্রুপক্ষের অবস্থান অনেক দূর থেকে বুঝতে পারবে। সাবমেরিনটির নামকরণ করা হয় সামুদ্রিক হাঙরের নামে। যার ইংরেজি নাম Sand Shark। ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে INS Vagir নামক আরও একটি সাবমেরিন ছিল। জানুয়ারি ২০০১ আইএনএস বাগিরকে অবসরে পাঠানো হয়।
বৈশ্বিক করপোরেট প্রতিষ্ঠানে ভারতীয় বংশোদ্ভূত
বিশ্বের বড় বড় করপোরেট প্রতিষ্ঠানের শীর্ষপদে ভারতীয় বংশোদ্ভূতদের আধিক্য বাড়ছে। এ তালিকায় নতুন সংযোজন ইউটিউবের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) নীল মোহন। ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ তিনি এ পদে যোগ দেন। এ নিয়ে গুগল, মাইক্রোসফ্ট, আইবিএম, স্টারবাক্সসহ নামীদামি সংস্কার নেতৃত্বে রয়েছে ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা।
ভারতীয় বংশোদ্ভূত CEO
প্রতিষ্ঠান | নাম | দায়িত্ব গ্রহণ |
অ্যাডোবি | শান্তনু নারায়ণ | ১ ডিসেম্বর, ২০০৭ |
মাইক্রোসফ্ট | সত্য নাদেলা | ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪ |
গুগল | সুন্দর পিচাই | ১০ আগস্ট, ২০১৫ |
আইবিএম | অরবিন্দ কৃষ্ণ | ৬ এপ্রিল, ২০২০ |
বাটা | সন্দীপ কাটারিয়া | ডিসেম্বর, ২০২০ |
শ্যানেল | লীনা নায়ার | ডিসেম্বর, ২০২১ |
স্টারবাক্স | লক্ষ্মণ নরসিংহ | ১ এপ্রিল, ২০২৩ |
বিশ্বব্যাংকের নতুন প্রেসিডেন্ট
বিশ্বব্যাংকের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন নাগরিক অজয় বাঙ্গা। ২৩ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তাকে বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হিসেবে মনোনয়ন দেন। রীতি অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট এ পদে মনোনয়ন দেন। অজয় বর্তমানে ইকুইটি ফার্ম জেনারেল আটলান্টিকের ভাইস প্রেসিডেন্টের দায়িত্বে রয়েছে। অজয় বাঙ্গা ১০ নভেম্বর, ১৯৫৯ ভারতের পুনেতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৯৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান। ২০১৬ সালে ভারতের মর্যাদাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ লাভ করে। এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ পদত্যাগের ঘোষণা দেন বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস। ৩০ জুন, ২০২৩ তার পদত্যাগ কার্যকর হবে। বৈশ্বিক উষ্ণতা নিয়ে নিজস্ব অভিমত ব্যাখ্যা করতে ব্যর্থ হওয়ায় ডেভিড ম্যালপাস বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টের পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন। ৯ এপ্রিল, ২০১৯ বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট হন ম্যালপাস। ২০২৪ সালের এপ্রিলে তার পাঁচ বছর পূর্ণ হতো।
অন্ধ্র প্রদেশের পূর্ণাঙ্গ রাজধানী বিশাখাপত্তম
৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী ওয়াই এস জগন্মোহন রেড্ডি ঘোষণা করেন অন্ধ্রপ্রদেশের নতুন পূর্ণাঙ্গ রাজধানী হবে বিশাখাপত্তম। ২ জুন, ২০১৪ অন্ধ্রপ্রদেশ ভেঙে তৈরি হয় নতুন রাজ্য তেলেঙ্গানা। অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের রাজধানী ছিল হায়দরাবাদ। রাজ্য ভিভাজনের পরও হায়দরাবাদকে তেলেঙ্গানার অস্থায়ী রাজধানী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সালে অমরাবতী বিশাখাপত্তম ও কুর্নুলকে নিয়ে ‘তিন রাজধানী পরিকল্পনা’। অনুযায়ী একটি বিল পাস হয় অন্ধ্রপ্রদেশের বিধানসভায়। সেখানে বলা হয়, রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন ও রাজ্যের প্রধান সচিবালয় হবে বিশাখপত্তমে। অন্যদিকে কুর্নুলে থাকবে অন্ধ্র হাইকোর্ট। ২০২২ সালের মার্চে ছ’মাসের মধ্যে অমরাবতীকে পূর্ণাঙ্গ রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট। পরবর্তীতে তিন রাজধানী পরিকল্পনা থেকে সরে আসে সরকার।
প্রথম লিথিয়াম খনি
৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ভারত সরকার দেশটি ভূগর্ভে প্রথমবারের মতো উল্লেখযোগ্য পরিমাণ লিথিয়ামের মজুত পাওয়ার ঘোষণা দেয়। Geological Survey of India (GSI) জম্মু ও কাশ্মীরের রিয়ার্সি জেলার সালাল-হাইমানা এলাকায় ৫৯ লাখ টন লিথিয়ামের খনির সন্ধান পাওয়া দেখতে রুপালি, সাদা, নরম ধাতু লিথিয়াম বৈদ্যুতিক গাড়ি, ল্যাপটপ ও মোবাইলে ব্যবহৃত ব্যাটারির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
২২০টি বোয়িং ক্রয়
যুক্তরাষ্ট্রের বোয়িং কোম্পানির কাছ থেকে ২২০টি বোয়িং ক্রয় করবে এয়ার ইন্ডিয়া। এ চুক্তির আর্থিক মূল্য ৩, ৪০০ কোটি ডলার। এয়ার ইন্ডিয়া বোয়িং থেকে ১৯০টি ৭৩৭ ম্যাক্স, ২০টি ৭৮৭ ড্রিমলাইনার এবং ১০টি ৭৭৭ এক্স মডেলের বিমান কিনবে। এর সঙ্গে তাদের কাছে আরও ৫০টি ৭৩৭ ম্যাক্স এবং ২০টি ৭৮৭ এস মডেলের বিমান কেনার প্রস্তাব রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রার নিরিখে এ চুক্তিটি বোয়িংয়ের তৃতীয় বৃহত্তম। ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ফ্রান্সের থেকে ২৫০টি এয়ারবাস কেনারও চুক্তি করে ভারত।
যুক্তরাষ্ট্র
পোল্যান্ডের কাছে হিমার্স রকেট বিক্রি
পোল্যান্ডের কাছে দীর্ঘপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র, রকেট ও ক্ষেপণাস্ত্রব্যবস্থা বিক্রির সম্ভাব্য একটি চুক্তি অনুমোদন করে যুক্তরাষ্ট্র। ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর ১,০০০ কোটি ডলার মূল্যের চুক্তিটি করার অনুমোদন দেয়। তবে অনুমোদন পেলেও এখনো এ সংক্রান্ত কোনো চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। প্যাকেজের মধ্যে রয়েছে ১৮টি High Mobility Artillery Rocket System (HIMARS), ১৮৫ মাইল রেঞ্জের ৪৫টি Army Tactical Missile Systems (ATACMS) এবং এক হাজারের বেশি Guided Multiple Rocket Launch System (GMLRS)। ২০২২ সালে জেনারেল ডাইনামিকসের তৈরি ১১৬টি আব্রামস ট্যাংক এবং ২৫০টি M1A2 ট্যাংক কেনার ছাড়পত্র পায় পোল্যান্ড। ২০২২ সালের মে মাসে পোল্যান্ড যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে আরও ৫০০টি হিমার্স ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা চেয়েছিল।
স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন
৭ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ মার্কিন কংগ্রেসে বার্ষিক স্টেট অব দ্য ইউনিয়ন ভাষণ দেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এ বাৎসরিক ভাষণ ছিল পার্লামেন্ট সদস্যদের উদ্দেশ্যে, কিন্তু তার বার্তার মূল লক্ষ্য ছিল আমেরিকার জনগণ। স্টেট ইউনিয়ন ভাষণ ১৭৯০-১৮০০ সাল পর্যন্ত বক্তব্য আকারে উপস্থাপন করা হয়। ১৮০১-১৯১২ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টরা একটি বিশাল বিবৃতি লিখে পাঠাতেন। আর ১৯১৩-১৯৩৩ সাল পর্যন্ত প্রেসিডেন্টদের কেউ লিখে আবার কেউ বক্তব্যের মাধ্যমে কংগ্রেসকে তার পরবর্তী বছরের পরিকল্পনার কথা জানাতেন। ১৯৩৩ সাল থেকে ব্যতিক্রম ছাড়া লিখিত বক্তব্য বাদ দিয়ে সরাসরি ভাষণকে জনসম্মত বলে বিবেচনা করা শুরু হয়।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে নিকি হ্যালি
১৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত মার্কিন রিপাবলিকান নেতা নিকি হ্যালি। ১৫ নভেম্বর, ২০২২ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার ঘোষণা দিয়ে আগে থেকেই মাঠে রয়েছেন দেশটির ৪৫তম প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। নিকি হ্যালি দুই মেয়াদে যুক্তরাষ্ট্রের সাউথ ক্যারোলাইনা থেকে হাউজ অব রিপ্রিজেন্টিটিভ ও গর্ভনর (২০০৫-২০১১ এবং ২০১১-২০১৭) ছিলেন। তিনি ২০১৭-২০১৮ মেয়াদে জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। ৫ নভেম্বর, ২০২৪ যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
নতুন চিফ অব স্টাফ
৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নতুন চিফ অব স্টাপ নিযুক্ত হন জেফ জিয়েন্টস। তিনি রন ক্লেইনের স্থলাভিষিক্ত হন। জিয়েন্টস তার কর্মজীবন বেসরকারি খাতে শুরু করলেও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও একেবারে ছোট নয়। বারাক ওবামা প্রশাসনে অর্থনৈতিক উপদেষ্টা হিসেবে কাজ করেন এবং ২০২১ সালে বাইডেন প্রশাসন তিনি কোভিড নীতি সমন্বয়ক হিসেবে যোগ দেন।
তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প
৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ তুরস্ক-সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার প্রলয়ংকরী ভূমিকম্প আঘাত হানে। স্মরণকালের ভয়াবহ ভূমিকম্পে ধসে গেছে কয়েক হাজার ঘরবাড়ি আর মৃতের সংখ্যা অর্ধ লক্ষাধিক।
আঘাত হানার তারিখ: ৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
সময়কাল: স্থানীয় সময় ভোর ৪: ১৭ মিনিটে (ইউটিসি ০১: ১৭: ৩৫)
মাত্রা: ৭.৮
উৎপত্তিস্থল: ভূপৃষ্ঠের ১৭.৯ কিমি (১১ মাইল) গভীরে
কেন্দ্র: সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের গাজিয়ানতেপ শহরের কাছে
ভূকম্পন বিন্দু: ৩৭.১৬৬০ উত্তর ৩৭.০৩২০ পূর্ব
ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা: প্রধানত তুরস্ক ও সিরিয়া
হতাহত: নিহত অর্ধ লক্ষাধিক ও আহত ১.২৫ লাখের অধিক।
ক্ষয়ক্ষতি: প্রলয়ংকরী এ ভূমিকম্পে তুরস্কে শত শত ঐতিহাসিক ও বসবাসের স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ঐতিহাসিক স্থাপনার মধ্যে ২০০০ বছরের পুরোনো রোম, বাইজানটাইন এবং অটোমান সাম্রাজ্যের সাক্ষী ‘গাজিয়ানতেপ ক্যাসেল’ লন্ডভন্ড হয়ে যায়। এর আগে ১৯৩৯ সালে ডিসেম্বরে তুরস্কের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার ভয়াবহ ভূমিকম্প হয়। ঐ সময় ৩০,০০০ এর অধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।
ভূমিকম্পের পরিমাপ
ভূমিকম্পের মাত্রা নির্ধারণে ব্যবহৃত যন্ত্রের নাম সিসমোগ্রাফ। মাটির নিচে কম্পন সৃষ্টি হলে এই সিসমোগ্রাফে পাওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল, সময় ও স্থায়িত্বকাল নির্ধারণ করা হয়। রিখটার স্কেলে কোনো ভূমিকম্পের প্রাবল্যকে সংখ্যা দিয়ে প্রকাশ করা হয়। এটি একটি ১০-ভিত্তির লগারিদমীয় পরিমাপ। এ পরিমাপে যেকোনো সংখ্যার ভূমিকম্প পূর্ববর্তী সংখ্যার চাইতে ১০ গুণ শক্তিশালী। তবে এখন রিখটার স্কেলের পরিবর্তে Moment Magnitude Scale নামে ভূমিকম্প পরিমাপ করার একটি স্কেল রয়েছে।
ভূমিকম্পের কারণ
পৃথিবীর ভূত্বক পৃথক বিট দিয়ে গঠিত। এই বিটকে বলা হয় প্লেট। এগুলো একটি আরেকটি পাশাপাশি থাকে। এ প্লেটগুলো প্রায়ই সরে যেতে চেষ্টা করে। কিন্তু একটির সঙ্গে আরেকটির ঘর্ষণের কারণে তা সম্ভব হয় না। তবে চাপ বেশি বেড়ে গেলে কখনো কখনো একটি প্লেট হঠাৎ করে ঝাঁকুনি দেওয়ায় ভূ-পৃষ্ঠের উপরিভাগ সরে যায়। ভূ-অভ্যন্তরের সবচেয়ে উপরের দিকে থাকা লিথোস্ফিয়ার স্তরে এমন ৭টি বড়, ১৫টি মাঝারি ও বেশ কিছু তুলনামূলক ক্ষুদ্র প্লেট রয়েছে। সীমানাতেই যত গণ্ডগোল। ঐ চলতে থাকা এ প্লেটগুলোর সীমানাকে বলে ‘সিস্টেম অব ফল্টস’। এ ফল্ট বলতে দুই টুকরো পাথরের মাঝখানের ফাটল বা চ্যুতি। টেকটোনিক প্লেটের যেকোনো দুটি ফল্টের মধ্যে ঘষা বা সংঘর্ষ ঘটলেই দেখা দেয় ভূমিকম্প। তুরস্কের ঠিক নিচ দিয়ে এমন দুটি ফল্ট লাইন রয়েছে। এর একটি ‘নর্থ আনাতোলিয়ান ফল্ট লাইন’। অন্যটি ‘ইস্ট আনাতোলিয়ান ফল্ট লাইন’। এ দুই ফাটল-রেখা বরাবরই তুরস্কের অবস্থান। তাই দেশটি বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল।
স্থায়িত্ব
ভূমিকম্প সাধারণত কয়েক সেকেন্ড থেকে ১/২ মিনিট স্থায়ী হয়। তবে কিছু কিছু ভূমিকম্প ৮-১০ মিনিটও স্থায়ী হয়। মাঝে মাঝে কম্পন এত দুর্বল হয় যে, তা অনুভব করা যায় না। মূল ভূমিকম্পকে বলা হয় মেইন শক, এরপর হয় আফটার শক। মূল ভূমিকম্পের আগে অল্পমাত্রায় ভূ-কম্পনকে ফোরশক বলা হয়। তুরস্কে মূল ভূমিকম্পের পরে ১৭০০ আফটার শক রেকর্ড করা হয়।
বিশ্বে প্রতিদিন যত বার ভূমিকম্প হয়
সারা বিশ্বে প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১৩৮ বার ভূমিকম্প হয়। ২০২২ সালে ৪৯,৮৩১টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভূমিকম্পপ্রবণ দেশ জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ইন্দোনেশিয়া, ফিজি। তুরস্কে যে ভূমিকম্প হয়েছে তার তীব্রতা বছরে একবার বা বহু বছরে একবার হয়।
মাত্রা ও প্রাণহানির ব্যাপকতা বিবেচনায় বিশ্বের কয়েকটি ভূমিকম্প
মাত্রা অনুযায়ী | সর্বাধিক প্রাণহানি | |||||
মাত্রা | দেশ | সময়কাল | প্রাণহানি | মাত্রা | দেশ | সময়কাল |
৯.১-৯.৩ | ইন্দোনেশিয়া | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ | ২,৩০,০০০ | ৯.১-৯.৩ | ইন্দোনেশিয়া | ২৬ ডিসেম্বর ২০০৪ |
৯.১ | জাপান | ১১ মার্চ ২০১১ | ২,২০,০০০ | ৭.০ | হাইতি | ১৩ জানুয়ারি ২০১০ |
৮.৮ | চিলি | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১০ | ৮৮,০০০ | ৭.৯ | চীন | ১২ মে ২০০৮ |
৮.৬ | ইন্দোনেশিয়া | ২৮ মার্চ ২০০৫ | অর্ধ লক্ষাধিক | ৭.৮ | তুরস্ক ও সিরিয়া | ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ |
৮.৬ | ইন্দোনেশিয়া | ১১ এপ্রিল ২০১২ | ৪৭,০০০ | ৭.৬ | পাকিস্তান | ৮ অক্টোবর ২০০৫ |
২ মে ১৯৬০ চিলিতে সবচেয়ে ৯.৫ মাত্রার ভূমিকম্পটি রেকর্ড করা হয়। |
চ্যাটজিপিটি: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিস্ময়
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) দিকে ঝুঁকছে বিশ্বের টেক জায়ান্ট প্রতিষ্ঠানগুলো। গুগল, মাইক্রোসফট, মেটা- একে একে সবাই চ্যাটবট তৈরিতে ব্যস্ত। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই (OpenAI) চ্যাটজিপিটি নামে একটি চ্যাটবট চালু করেছে।
চ্যাটজিপিটি কী?
ChatGPT’র পূর্ণরূপ Chat Generative Pre-trained Transformer। এটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার একটি চ্যাটবট সিস্টেম বা আলাপচারিতা করার সফটওয়্যার। Reinforcement learning from Human Feedback নামক একটি মেশিন লার্নিং কৌশল ব্যবহার করে চ্যাটজিপিটি তৈরি করা হয়। এটি কথোপকথন শুরু, প্রশ্নের উত্তর প্রদান, ভুল স্বীকার, ভুল অনুমান চ্যালেঞ্জ এবং অযাচিত অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতে সক্ষম। এটি তার ৩০০ বিলিয়ন শব্দের তথ্যভান্ডারে থাকা নানা তথ্য-উপাত্ত নিয়ে লিখিত প্রশ্নের জবাব হাজির করে। চ্যাটজিপিটিতে ইন্টারনেটের ওয়েব পেজ, ওয়েব টেক্সট, বই, উইকিপিডিয়া, আর্টিকেলসহ বিভিন্ন সোর্স থেকে বিপুল ডাটা রয়েছে।
নির্মাতা প্রতিষ্ঠান
যুক্তরাষ্ট্রের সানফ্রান্সিসকোর ওপেনএআই নামের একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা গবেষণাকারী প্রতিষ্ঠান চ্যাটজিপিটি উদ্ভাবন করে। ১১ ডিসেম্বর, ২০১৫ স্যাম অ্যাল্টম্যান, ইলন মাস্কসহ কয়েকজন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ওপেনএআই গড়ে তোলেন। ৩০ নভেম্বর, ২০২২ চ্যাটজিপিটির পরীক্ষামূলক ভার্সন চালু হয়। এর আগে ১১ জুন, ২০২০ প্রতিষ্ঠানটি জিপিটি-৩ (GPT-3) নামের একটি অ্যাপলিকেশন তৈরি করে। সেটি মানুষের মতো করে বার্তা লিখতো। জিপিটি-৩ এবং পরবর্তীতে তৈরি করা জিপিটি-৩.৫ মিলেই চ্যাটজিপিটি তৈরি করা হয়। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে মাইক্রোসফট এ কোম্পানিতে এক বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করে তাদের সাথে যুক্ত হয়।
বৈশিষ্ট্য
চ্যাটজিপিটির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো মানুষের মতো লেখা বা টেক্সট তৈরি করার ক্ষমতা। অর্থাৎ, কোনো একটি বিষয়ে একজন মানুষ যেমন প্রত্যুত্তর দিতে পারে, চ্যাটজিপিটি সে রকমই জবাব লিখে জানাতে পারে। এটি চ্যাটবটের মতো অ্যাপগুলোর জন্য বিশেষভাবে উপযোগী। চ্যাটজিপিটির লক্ষ্য হলো, এমন একটি কথোপকথন চালিয়ে যাওয়া, যা প্রায় সহজাত মনে হয়। স্বাভাবিক ভাষাকে যন্ত্র যাতে আরও বেশি করে বুঝতে পারে এবং বিস্তৃত পরিসরে এর প্রয়োগ করতে পারে, সেই ক্ষমতা চ্যাটজিপিটির রয়েছে। বর্তমানে ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং (NLP) নিয়ে যে ব্যাপক আগ্রহ তৈরি হয়েছে, তারই প্রায়োগিক রূপ এই চ্যাটজিপিটি। ইন্টারনেট থেকে লিখিত কথোপকথনের একটি বড় তথ্যভাণ্ডার দিয়ে চ্যাটজিপিটিকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। এই প্রশিক্ষণের অর্থ হলো, এটি মানুষের বিভিন্ন রকম ভাষাশৈলী, বিন্যাস এবং বিষয়গুলোর সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে। যত বেশি ধরনের কথোপকথন পাওয়া যাবে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির বৈশিষ্ট্য অনুযায়ী প্রোগ্রামটি তত সঠিকভাবে কথার প্রত্যুত্তর স্বয়ংক্রিয়ভাবে দিতে পারবে।
সুবিধা
এআই মডেলের দ্বারা তৈরি চ্যাটবট সম্পূর্ণ নির্ভুল এবং যুক্তি-যুক্তভাবে রেজাল্ট প্রদর্শন করে। এই চ্যাটবট আপনার জন্য কবিতা লেখা, পরীক্ষার প্রশ্নের উত্তর লেখা, অর্থনীতি-রসায়ন থেকে শুরু করে একাধিক প্রশ্নের উত্তরসহ ডিজিটাল সহকারী হিসেবে কাজ করতে সক্ষম। এছাড়া বিভিন্ন চিকিৎসা সম্পর্কিত তথ্য, প্রোগ্রামিং ভাষা এবং গেমও খেলা যায়।
অসুবিধা
কিছু সুবিধা থাকলেও এই চ্যাটবটে কেবল টেক্সট রেজাল্ট পাওয়া যায়। ভিডিও বা ভিজুয়াল রেজাল্ট আসে না। এছাড়া এটি উত্তর দিতে সক্ষম নয়।
চ্যাটজিপিটির পাল্টা বট বার্ড
ধারণা করা হয়, চ্যাটজিপিটির বিপুল জনপ্রিয়তার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে গুগল। কারণ, গুগলের সার্চ ইঞ্জিন যেখানে মানুষকে নানা ধরনের সূত্র ধরিয়ে দিয়েই ক্ষান্ত হয়, সেখানে চ্যাটজিপিটি রীতিমতো সমাধান দেয়। ৩১ জানুয়ারি, ২০২৩ গুগল বার্ড (BARD) নামে একটি চ্যাটবট ওপেন করে জনগণের মতামত নেওয়ার জন্য। বর্তমানে এটি পরীক্ষমূলক কার্যক্রমে রয়েছে।
চ্যাটবট
চ্যাটবট এক ধরনের কম্পিউটার প্রোগ্রাম বা সফটওয়্যার যা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে গঠিত। এটি একটি বড় ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল যাকে অসংখ্য ডেটা দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়। ফলে কোনো ডিভাইসের মাধ্যমে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে মানুষের মতো করে যোগাযোগ স্থাপন করতে পারে; অর্থাৎ ম্যাসেজের রিপ্লাই দিতে পারে।
AI
প্রোগ্রামিংয়ের মাধ্যমে মেশিনকে বুদ্ধিমান করে তোলাই Artificial intelligence (AI) বা কৃত্রিম মেধা। এটি এক ধরনের সফটওয়্যার টেকনোলজি, যা রোবট বা কম্পিউটারকে মানুষের মতো কাজ করায় এবং ভাবায়। যেমন, কারো কথা বুঝতে পারা, সিদ্ধান্ত নেওয়া, দেখে চিনতে পারা ইত্যাদি। এককথায় মেশিন লার্নিং। ১৯৪০ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পথচলা শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য ব্রিটিশ গণিতবিদ অ্যালান টুরিং এবং নিউরোলজিস্ট গ্রে ওয়াল্টার বুদ্ধিমান মেশিন এবং তার বিভিন্ন সম্ভাবনা সম্পর্কে প্রথম ধারণা দেন।
ক্যাশলেস বাংলাদেশ
ডিজিটাল লেনদেনে উৎসাহিত করতে ১৮ জানুয়ারি ২০২৩ ঢাকার মতিঝিলে ক্যাশলেস বা নগদবিহীন বাংলাদেশ প্রচারণার উদ্বোধন করে বাংলাদেশ ব্যাংক। বাংলা কিউআর কোডের মাধ্যমে পেমেন্টসহ সব ডিজিটাল লেনদেনের সুফল সাধারণ মানুষকে জানাতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়। অন্যদিকে ব্যাংকসহ সকল আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ৩০ জুন ২০২৩ এর মধ্যে অ্যাপে ‘বাংলা কিউআর’ কোড পেমেন্ট সিস্টেম চালুর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
কিউআর কোড কী
QR Code এর পূর্ণরূপ হচ্ছে Quick Response code। মূলত দ্রুততার সঙ্গে এর মাধ্যমে তথ্য সংগ্রহ (ডাটা এনকোড) করা যায় বলে এ নাম। এটি সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডে একটি বর্গাকার গ্রিডে সাজানো অনেকগুলো কালো বর্গক্ষেত্র নিয়ে গঠিত যা, ক্যামেরার মতো একটি ইমেজিং ডিভাইস দিয়ে পড়া যায়। এ কোড পড়ার জন্য প্রয়োজনীয় অ্যাপ আমাদের স্মার্টফোনেই থাকে। প্রতিটি বিন্দু বাইনারি কোডে এক এবং প্রতিটি খালি জায়গাগুলি শূন্যকে প্রতিনিধিত্ব করে। এই গ্রিডগুলি Uniform resource Locator (URL) সহ সংখ্যা, অক্ষর বা উভয়ের সেট সাঙ্কেতিক অক্ষরে সংগ্রহ করে। সবচেয়ে ছোট গ্রিডে ২১টি সারি ও ২১টি স্তম্ভ এবং সবচেয়ে বড় গ্রিডে ১৭৭টি স্তম্ভ ও ১৭৭টি সারি থাকে। যখন কোনো ব্যক্তি একটি কোড স্ক্যান করেন তখন ফোনে একটি URL উপস্থাপন করে। URL’র ওপর টাচ করলেই মোবাইল ব্রাউজারে ঐ URLটি খুলে যাবে।
কিউআর কোডের উদ্ভাবন
১৯৯৪ সালে জাপানের জনপ্রিয় অটোমোবাইল কোম্পানি টয়োটার অধীন ‘ডেনসো ওয়েভ’ (বর্তমান ডেনসো কর্পোরেশন) এর ইঞ্জিনিয়ার মাসাহিরো হারা সর্বপ্রথম কিউআর কোড নকশা করেন। মূলত মোড়কজাত করার সময় গাড়িকে ট্র্যাক করার উদ্দেশ্যেই এটি তৈরি করা হয়, যা পুরো জাপানেই ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সাধারণ বারকোডের তুলনায় এটি দ্রুত পঠনক্ষম হয়ে ওঠে। সাধারণ বারকোডের তুলনায় এটি দ্রুত পঠনক্ষম এবং বেশি তথ্য ধরে রাখতে পারায় গাড়ি শিল্পের বাইরেও জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
কিউআর পেমেন্ট
• মোবাইলে আপনার ব্যাংক/MPS/Payment Service Provider (PSP) অ্যাপ ডাউনলোড করুন।
• ব্যাংক/MFS/PSP’র অ্যাপে পিন টাইপ করে লগ ইন করুন।
• দোকান বা মার্চেন্ট আউটলেট প্রদর্শিত কিউআর কোড স্ক্যান করুন।
• পণ্য বা সেবায় মূল্য পরিশোধ করার জন্য টাকার পরিমাণ লিখুন।
• পিন/ওটিপি টাইপ করে লেনদেন সম্পন্ন করুন।
• লেনদেন সম্পন্ন হবে এবং পেমেন্টের কনফার্মেশন ও ডিজিটাল রিসিট পাবেন।
ক্রেতার সুবিধা
পেমেন্ট করতে নগদ অর্থের প্রয়োজন হয় না · ক্রেডিট/ডেবিট/প্রিপেইড কার্ড সঙ্গে না থাকলেও ব্যাংক/MFS/PSP অ্যাপের সঙ্গে পূর্বে সংযুক্ত কার্ড ব্যবহার করে পেমেন্ট করা যায়। · ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা MFS ওয়ালেটের মাধ্যমে পেমেন্ট করা যায়।
বিক্রেতার সুবিধা
নগদ অর্থ ব্যবস্থাপনার প্রয়োজন হয় না বিধায় ছেঁড়া-ফাটা বা জাল নোট গ্রহণের আশঙ্কা থাকে না। · কিউআর এর ইনস্টলেশন, রক্ষণাবেক্ষণ এবং আনুসঙ্গিক অন্যান্য খরচ অনেক কম · বড় বিক্রেতাদের পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিক্রেতারাও কম খরচে কিউআর ব্যবহার করে পণ্য বা সেবার মূল্য গ্রহণ করতে পারবেন।
বাংলা কিউআর কোড
বাংলাদেশে বিভিন্ন ব্যাংক ও Mobile Financial Services (MFS)- এর কিউআর কোড থাকলেও সর্বজনীন কিউআর নেই। ফলে, ঐ ব্যাংক বা MFS গ্রাহকরা পারস্পরিক লেনদেনেই সীমাবদ্ধ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বজনীন বাংলা কিউআর প্রবর্তনের উদ্যোগ গ্রহণ করে। ১১ মার্চ, ২০১৯ বাংলাদেশ ব্যাংক বাংলা কিউআর স্ট্যান্ডার্ড ঘোষণা করে। ৬ জানুয়ারি ২০২১ মোবাইল ফোনে কিউআর কোডভিত্তিক আর্থিক লেনদেনের জন্য ‘বাংলা কিউআর’ বাধ্যতামূলক করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে সম্প্রতি ১০টি ব্যাংক, ৩টি MFS ও ৩টি আন্তর্জাতিক পেমেন্ট স্কিম যুক্ত হয়। এসব ব্যাংক ও MFS অ্যাকাউন্টধারী গ্রাহক বাংলা কিউআর-এ অংশ্রহণকারী যেকোনো ব্যাংক বা MFS অ্যাকাউন্টধারী মার্চেন্টকে পণ্য বা সেবার মূল্য পরিশোধ করতে পারেন একবার স্ক্যান করেই।
সীমাহীন লেনদেন
একজন গ্রাহক এখন থেকে দিনে যত খুশি ‘বাংলা কিউআর’ কোডে লেনদেন করতে পারবেন। ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ বাংলাদেশ ব্যাংক এ-সংক্রান্ত একটি পরিপত্র জারি করে। এছাড়া দেশের সব ব্যাংক, মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস প্রোভাইডার (MFS), পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার এবং পেমেন্ট সার্ভিস অপারেটরে পাঠানো নির্দেশনায় বলা হয়, ৩০ জুন, ২০২৩ এর মধ্যে ব্যাংকগুলোর অ্যাপে ‘বাংলা কিউআর’ কোড পেমেন্ট সিস্টেম চালু করতে হবে।
গোয়েন্দা নজরদারিতে গুপ্তচর বেলুন
গুপ্তচর বেলুন
গুপ্তচর বেলুন (Spy Balloon) সাধারণত নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হয়। এ ধরনের বেলুন সাধারণ হিলিয়াম গ্যাসে ভরা থাকে। এটি আকাশের অনেক উঁচুতে উড়তে সক্ষম। বেলুনের নিচের অংশে একটি সৌরশক্তির প্যানেল থাকে, যা থেকে বেলুনটি পরিচালনার শক্তি জোগায় এবং নিচেই ক্যামেরা, রাডার, সেন্সর এবং যোগাযোগের সরঞ্জাম থাকে। এ বেলুনগুলো বাণিজ্যিক বিমান যে উচ্চতায় ওড়ে তার থেকে বেশি উচ্চতায় উড়ে থাকে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে চালনা করা যায় এগুলো।
ইতিহাস
১৮০০ সাল থেকে গুপ্তচর বেলুনের প্রয়োগ শুরু হয়। ১৮৫৯ সালে ফ্রাঙ্কো-অস্ট্রিয়ান যুদ্ধে নজরদারির জন্য ফ্রান্স প্রথম এ বেলুন ব্যবহার করে। সেই বেলুনে মানুষও থাকত। ১৮৬১-১৮৬৫ সাল অবধি গৃহযুদ্ধের সময়েও এই ধরনের বেলুনের ব্যাপক প্রয়োগ হয়েছিল। সে সময় বেলুনের আরোহীরা দুরবিন দিয়ে তথ্য সংগ্রহ করে মোর্স কোডের মাধ্যমে সংকেত পাঠাতো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হাইড্রোজেন ভরা বেলুন বড় ভূমিকা পালন করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় গুপ্তচর বেলুনের ব্যবহার আরও বৃদ্ধি পায়। বিশ্বযুদ্ধে জাপানি বাহিনী মার্কিন ভূখণ্ডে অগ্নিসংযোগকারী বোমা পরিবহনে বেলুন ব্যবহার করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যুক্তরাষ্ট্র বেশি উচ্চতায় উড়তে পারে এমন বেলুন তৈরি করা শুরু করে। মিশনের নাম দেওয়া হয় Project Genetrix। শীতল যুদ্ধের সময় যুক্তরাষ্ট্র ও সোভিয়েত ইউনিয়ন একে অপরের ওপর নজরদারির জন্য এ বেলুন ব্যবহার করে। সেই আমলে গোয়েন্দা বেলুন বাতাসের টানে অনেক সময় দিগ্ভ্রান্ত হয়ে যেত। কিন্তু এখনকার আধুনিক বেলুন ক্যামেরা, রাডার ও রেডিও ডিভাইসসজ্জিত থাকায় তা সাধারণত পথ হারায় না।
সুবিধা
গোয়েন্দা নজরদারির সবচেয়ে পুরোনো পদ্ধতিগুলোর একটি হলো বেলুন। গত কয়েক দশক ধরে নজরদারির কাজে স্যাটেলাইটের ব্যবহার হয়ে আসছে। বর্তমানে লেজার প্রযুক্তি ও কাইনেটিক অস্ত্র উদ্ভাবনের ফলে স্যাটেলাইটকে সহজেই অন্ধ করে দেওয়া সম্ভব। তাই আবারো বেলুনের প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়েছে দেশগুলোর। গুপ্তচর বেলুনে যে সকল সুবিধা রয়েছে—
• নজরদারি বেলুনগুলো অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন। ক্যামেরা একদম নিচে তাক করা থাকে। তাই খুব কাছ থেকে নির্দিষ্ট স্থান বা বস্তু পর্যবেক্ষণ করা যায়।
• কখনো কখনো আবহাওয়ার ওপর এর গতিপথ নির্ভর করলেও নির্দেশক যন্ত্র ব্যবহার করে বেলুনকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
• কম ব্যয়বহুল এবং খুব সহজেই মোতায়েন করা যায়।
• স্যাটেলাইট থেকে অনেক কম উচ্চতায় বেলুন ওড়ে তাই অনেক বেশি জায়গাজুড়ে নজরদারি চালাতে পারে।
• স্যাটেলাইট তার নিজের কক্ষপথেই ঘুরতে থাকে। কিন্তু বেলুন যেকোনো জায়গায় পাঠানো যায়।
• সর্বনিম্ন কক্ষপথে প্রদক্ষিণকারী স্যাটেলাইটের চেয়েও বেলুনগুলো স্পষ্ট ছবি তুলতে পারে।
• নজরদারি বেলুনগুলো ইলেকট্রনিক সংকেত সংগ্রহ করতে এবং যোগাযোগে বাধা তৈরিতে সক্ষম।
মার্কিন আকাশে চীনা গুপ্তচর বেলুন
২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ মার্কিন সামরিক বাহিনী যুক্তরাষ্ট্রের মন্টানার আকাশে সন্দেহভাজন চীনা গুপ্তচর বেলুন শনাক্ত করে। দেশটির অভিযোগ চীন এ বেলুনের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ সামরিক ঘাঁটির ওপর নজরদারি করছে। এ ঘটনায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন চীন সফরের পরিকল্পনা বাতিল করে। ২০১৮ সালের পর মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম চীন সফরের সমস্ত সম্ভাবনা উবে যায় ‘গুপ্তচর’ বেলুনকাণ্ডের পর। ৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ ক্যারোলিনা উপকূলে মার্কিন যুদ্ধবিমান দিয়ে বেলুনটি ভূপাতিত করা হয়। একটি এফ-২২ যুদ্ধ বিমান থেকে AIM-9X Sidewinder ক্ষেপণাস্ত্রের মাধ্যমে নির্ভুলভাবে বেলুনটিকে আঘাত করে। এতে বেলুনটির ধ্বংসাবশেষ আটলান্টিক মহাসাগরে ছড়িয়ে পড়ে।
গগণচুম্বী গোয়েন্দা বেলুন
• হিলিয়াম গ্যাসে পরিপূর্ণ।
• শক্তি উৎপাদনে সৌর শক্তির ব্যবহার।
• ক্যামেরা, রাডার, সেন্সর যোগাযোগ ব্যবস্থা সংযুক্ত থাকে।
কত উচ্চতায় উড়তে পারবে?
• গোয়েন্দা বেলুন ১,২০,০০০ ফুট (৩৭ কিমি)।
• ৮০,০০০ ফুট (২৪ কিমি)।
• ৬৫,০০০ ফুট (২০ কিমি) যুদ্ধ বিমান।
• ৪০,০০০ ফুট (১২ কিমি) বাণিজ্যিক বিমান।
অগ্নিঝরা মার্চ
১ মার্চ
অসহযোগ আন্দোলন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান বেলা ১টা ৫ মিনিটে এক বেতার ঘোষণার মাধ্যমে ৩ মার্চ ১৯৭১ ঢাকায় আহূত পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত ঘোষণা করেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে ২-২৫ মার্চ ১৯৭১ পাকিস্তান সরকারের বিরুদ্ধে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে পরিচালিত আন্দোলনই হলো অসহযোগ আন্দোলন ১৯৭১। এ আন্দোলনে কেন্দ্রীয় শাসনের বিপরীতে স্বশাসন প্রতিষ্ঠার কথা বলা হয়। এ আন্দোলনের শুরুতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছাত্রলীগ ও ডাকসু নেতাদের সাথে পরামর্শ করে উভয় সংগঠনের সমন্বয়ে ‘স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ’ গঠন করেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার মাধ্যমে এ অসহযোগ আন্দোলনের সমাপ্তি ঘটে।
২ মার্চ
প্রথমবারের মতো জাতীয় পতাকা উত্তোলন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবন প্রাঙ্গণে মানচিত্র খচিত স্বাধীন বাংলার জাতীয় পতাকা প্রথমবারের মতো উত্তোলন করেন ডাকসু’র তৎকালীন ভিপি আ স ম আবদুর রব। মানচিত্র খচিত বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকার নকশাকার ছিলেন শিবনারায়ণ দাস। ৬ জুন, ১৯৭০ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হলের (তৎকালীন ইকবাল হল) ১১৮ নং কক্ষে বসে তিনি এ পতাকার নকশা সম্পন্ন করেন।
৩ মার্চ
স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ
ঢাকার পল্টনে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ আয়োজিত জনসভায় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ইশতেহার পাঠ করেন ছাত্র নেতা শাজাহান সিরাজ। ইশতেহারের উল্লেখযোগ্য বিষয়সমূহ-
• ৭ কোটি মানুষের জন্য আবাসিক ভূমি হিসেবে স্বাধীন ও সার্বভৌম এ রাষ্ট্রের নাম হবে ‘বাংলাদেশ’।
• স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে ব্যবহৃত হবে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর রচিত ‘আমার সোনার বাঙলা আমি তোমায় ভালোবাসি…’ সঙ্গীতটি।
• স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের সর্বাধিনায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
বঙ্গবন্ধু জাতির পিতা
৩ মার্চ ‘শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি’ স্লোগান ধারণ করে সভা করেছিল। তৎকালীন ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সংসদ। সেই সভায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি অবিচল আস্থা রেখে স্বাধীন বাংলার সংগ্রামকে এগিয়ে নিতে তিনটি আহবান ও দুটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। সেই সব আহবান ও সিদ্ধান্ত বিজ্ঞপ্তি আকারে প্রকাশ করা হয়। সেই বিজ্ঞপ্তিই বাঙালি জাতির মুক্তি সংগ্রামের অন্যতম ঐতিহাসিক দলিল। সেই প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ৪ নম্বরে থাকা সিদ্ধান্তে বঙ্গবন্ধুকে প্রথম জাতির পিতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়। আর এটিই বঙ্গবন্ধুকে জাতির পিতা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রথম আনুষ্ঠানিক দলিল।
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ
• ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অলিখিত এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন।
• ভাষণকাল: ৭ মার্চ, ১৯৭১ (রবিবার)।
• ভাষণ শুরু: বিকেল ৩টা ২০ মিনিটে।
• স্থান: রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান), রমনা, ঢাকা।
• মোট সময়: ১৮ মিনিট, মতান্তরে ১৯ মিনিট।
• শব্দ সংখ্যা: ১,১০৮টি।
• ভিডিও রেকর্ডকারী: পাকিস্তান চলচ্চিত্র বিভাগের পরিচালক ও অভিনেতা আবুল খায়ের।
• অডিও রেকর্ডকারী: এএইচ খন্দকার।
• শব্দ ধারণ: সৈয়দ মইনুল আহসান।
• ভাষণে দাবি ছিল: ৪টি।
• মাইকের নাম: কল-রেডি।
• প্রথম লাইন: ভাইয়েরা আমার, আজ দুঃখ ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি।
• শেষ লাইন: এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম। জয় বাংলা।
• ইউনেস্কো বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য ঘোষণা করে। ৩০ অক্টোবর, ২০১৭।
• উল্লেখযোগ্য ভাষায় অনূদিত- ইংরেজি, হিন্দি, রাশিয়ান, আরবি, ফরাসি, চীনা, ইতালীয়, জাপানি, স্প্যানিশ, পার্সিয়ান, কোরিয়ান এবং উর্দু।
১৯ মার্চ
প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ
অসহযোগ আন্দোলন দুর্বল করতে অন্যান্য সেনানিবাসের মতো জয়দেবপুরের দ্বিতীয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের বাঙালি সৈন্যদের কৌশলে নিরস্ত্র করার জন্য তাদের অস্ত্র জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় ঢাকা ব্রিগেড সদর দপ্তর। কিন্তু মুক্তিকামী বাঙালি সৈন্য ও স্থানীয় জনতা তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে অস্ত্র জমা না দিয়ে চান্দনা চৌরাস্তা থেকে জয়দেবপুর পর্যন্ত পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে বাধা দেওয়ার জন্যে সড়ক অবরোধ করে। পাকিস্তানি বাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জাহানজেব ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈন্যদের সতর্কতা ও রাস্তায় আন্দোলনকারীদের দেখে অস্ত্র জমা নেওয়ার আশা ত্যাগ করে ঢাকায় ফিরছিলেন। এ সময় ছাত্র-জনতা জয়দেবপুরের রেলক্রসিং এলাকা ও চান্দনা চৌরাস্তায় তাদের বাধা দেন। এ সময় পাকিস্তানি বাহিনী গুলি ছুড়লে ছাত্র- জনতা সশস্ত্র প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। পাকিস্তানি হানাদারদের বিরুদ্ধে এটাই ছিল মুক্তিযুদ্ধের প্রথম সশস্ত্র প্রতিরোধ যুদ্ধ।
২০ মার্চ
অপারেশন সার্চলাইট অনুমোদিত
গভর্নর ও সামরিক আইন প্রশাসক লে. জে. সাহেবজাদা ইয়াকুব খান পূর্ব পাকিস্তানের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ‘অপারেশন ব্লিটৎস’ নামে একটি পরিকল্পনা তৈরি করেন। তিনি সামরিক শক্তি প্রয়োগে রাজি না থাকায় ৫ মার্চ পদত্যাগ করেন। দুইদিন পরই তার উত্তরসূরি হিসেবে যোগ দেন ‘বেলুচিস্তানের কসাই’ হিসেবে খ্যাত জেনারেল টিক্কা খান। তার নির্দেশে ১৮ মার্চ সকালে জেনারেল রাওফরমান আলী ও জেনারেল খাদিম হোসেন রাজা অপারেশন সার্চলাইটের বিস্তারিত পরিকল্পনা করেন। সেদিন জেনারেল টিক্কা খান এ নীলনকশা অনুমোদন করেন।
২৫ মার্চ
কালরাত্রি
রাত সাড়ে দশটায় পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠীর নির্দেশনায় ‘অপারেশন সার্চলাইট’ কোড নামে নিরস্ত্র বাঙালিদের ওপর বর্বরোচিত গণহত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞ শুরু করে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। রক্তলোলুপ ইয়াহিয়া খানের নির্দেশে পরিচালিত ইতিহাসের জঘন্যতম এ গণহত্যা ‘কালরাত্রি’ হিসেবে পরিচিত।
২৭ মার্চ
স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর বাঙালি অফিসার মেজর জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পক্ষে চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র পাঠ করেন।
স্বাধীনতা ঘোষণা
২৫ মার্চ ১৯৭১ মধ্যরাতের অব্যবহিত পর রাত ১২.২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। ইপিআরের ওয়্যারলেসের মাধ্যমে ঘোষিত বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণাটি ছিল-
This may be my last message, from today Bangladesh is independent. I call upon the people of Bangladesh wherever you might be and with whatever you have, to resist the army of occupation to the last. Your fight must go on until the last soldier of the Pakistan occupation army is expelled from the soil of Bangladesh and final victory is achieved.
Sheikh Mujibur Rahman
26 March 1971
ইহাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের জনগণকে আহ্বান জানাইতেছি যে, যে যেখানে আছ, যাহার যাহা কিছু আছে, তাই নিয়ে রুখে দাঁড়াও, সর্বশক্তি দিয়ে হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ করো। পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর শেষ সৈন্যটিকে বাংলার মাটি হইতে বিতাড়িত না করা পর্যন্ত এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও।
শেখ মুজিবুর রহমান
২৬ মার্চ ১৯৭১
বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার
রাত ১.২০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার অভিযানের শিরোনামে ব্যবহার করা হয় Big Bird নামের শব্দ। কারণ অপারেশন সার্চলাইটে বঙ্গবন্ধুর কোড নেম এটি। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তারের পর ওয়্যারলেসে সেনা সদর দপ্তরে জানানো হয় Big Bird in the Cage। ওই রাতে আদমজী ক্যান্টনমেন্ট স্কুলে তাকে রাখা হয়। পরে নিয়ে যাওয়া হয় পাকিস্তানে। বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানের কারাগারে ছিলেন ২৮৯ দিন। প্রথমে ছিলেন লায়ালপুর কারাগারে এবং ৪ ডিসেম্বর ১৯৭১ নেওয়া হয় মিয়ানওয়ালি কারাগারে।
স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র গঠন
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ‘স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র’-এর ভূমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাকবাহিনীর হঠাৎ আক্রমণে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি যখন দিশেহারা, অসহায় তখন চট্টগ্রামের কালুরঘাট ট্রান্সমিটার ২৬ মার্চ পরিণত হয় ‘স্বাধীন বাংলা বিপ্লবী বেতার কেন্দ্রে’। এ বেতার কেন্দ্রের প্রথম অনুষ্ঠান দেশের মানুষকে সাহস জোগায় আর স্বাধীনতার জন্য অনুপ্রাণিত করে। হতবিহ্বল জাতিকে প্রথম আশার বাণী শোনান চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের নেতা আবদুল হান্নান। তার ঘোষণাটি ২৬ মার্চ ১৯৭১ কালুরঘাট ট্রান্সমিটার থেকে প্রচারিত হয়। এ বিপ্লবী বেতার কেন্দ্র থেকেই মেজর জিয়াউর রহমান ২৭, ২৮ ও ৩০ মার্চ দেশবাসীর উদ্দেশে ভাষণ দেন। ৩০ মার্চ পাকবাহিনী আক্রমণ চালায় এ বেতার কেন্দ্রের ওপর। বেলাল মোহাম্মদ ও আবুল হোসেন সন্দ্বীপ উদ্যোগী হয়ে এক কিলোওয়াট ট্রান্সমিটারটি প্রথমে রামগড় এবং পরে ভারতের আগরতলায় নিয়ে যান।
অন্যান্য
বৃহস্পতির আরও ১২ চাঁদ
সৌরজগতের বৃহত্তম গ্রহ বৃহস্পতি (Jupiter)। গ্রহটি সূর্য থেকে দূরত্বের দিক দিয়ে পঞ্চম। ২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের ‘কার্নেগি ইনস্টিটিউশন ফর সায়েন্স’ এর জ্যোতির্বিজ্ঞানী স্কট শেপার্ডের নেতৃত্বে পর্যবেক্ষক দল বৃহস্পতির কক্ষপথে ১২টি উপগ্রহ বা চাঁদের সন্ধান পান। এক্ষেত্রে তারা হাইওয়ারের সুবারু টেলিস্কোপ ও চিলির কেরো টেলোলো ইন্টার-আমেরিকান অবজারভেটরির ডার্ক এনার্জি ক্যামেরা ব্যবহার করেন। ২০২৩ সালে International Astronomical Union (IAU) এর মাইনর প্ল্যানেট সেন্টার আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়। ফলে উপগ্রহের সংখ্যার নিরিখে শনির ‘মুকুট’ এখন বৃহস্পতির। নতুন আবিষ্কৃত ১২টি উপগ্রহসহ বৃহস্পতির মোট উপগ্রহ ৯২টি। অন্য দিকে, শনির কক্ষপথে ঘুরছে ৮৩টি উপগ্রহ। উল্লেখ্য, চারটি গ্রহ বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস এবং নেপচুনকে মিলিতভাবে জোভিয়ান জগৎ বলা হয়।
মহাকাশে সৌদি নারী নভোচারী
২০২৩ সালের শেষে মহাকাশে প্রথম নারী নভোচারী পাঠাবে সৌদি আরব। সৌদি নারী নভোচারীর নাম রায়ানা বারনাওয়ি। এ সময় তার সঙ্গে থাকবেন সৌদি আরবের আরেক নভোচারী আলি আল-কারনি। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (ISS) রায়ানা ও আলি এএক্স-২ মহাকাশ মিশনে অবস্থানরত নভোচারীদের সঙ্গে যুক্ত হবেন। এর আগে ১৯৮৫ সালে সৌদি আরবের তখনকার যুবরাজ সুলতান বিন সালমান বিন আবদুল আজিজ প্রথম আরব মুসলিম হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের একটি অভিযানের অংশ হয়ে মহাকাশে ভ্রমণ করেন। তিনি সৌদি বিমানবাহিনীর পাইলট ছিলেন। ২০১৮ সাল থেকে নতুন করে মহাকাশে নভোচারী পাঠানোর উদ্যোগ শুরু করে সৌদি আরব।
খেলাধুলা
অনুর্ধ্ব-১৯ নারী বিশ্বকাপ
• আয়োজন: প্রথমবার
• আয়োজক: আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল
• সময়কাল: ১৪-২৯ জানুয়ারি, ২০২৩
• স্বাগতিক: দক্ষিণ আফ্রিকা
• ভেন্যু: ২টি পচেফস্ট্রুম ও বেনোনি
• অংশগ্রহণকারী দল: ১৬টি
• মোট ম্যাচ: ৪১টি
• খেলার ফরম্যাট: টি-২০
• প্রতিযোগিতার ধরন: দ্বৈত গ্রুপ রাউন্ড- রবিন ও নকআউট
• চ্যাম্পিয়ন: ভারত (১ম শিরোপা)
• রানার্স আপ: ইংল্যান্ড
• সেরা খেলোয়াড়: গ্রেস স্ক্রিভেনস
• সর্বাধিক রান: শ্বেতা সেহরাওয়াত (২৯৭); ভারত
• সর্বাধিক উইকেট: ম্যাগি ক্লার্ক (১২); অস্ট্রেলিয়া
অনূর্ধ্ব-২০ নারী সাফ ফুটবল
SAFF U-20 WOMEN’S CHAMPIONSHIP
• আয়োজন: চতুর্থ
• আয়োজক: সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন (SAFF)
• সময়কাল: ৩-৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
• স্বাগতিক: বাংলাদেশ
• ভেন্যু: ১টি— বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম
• অংশগ্রহণকারী দল: ৪টি বাংলাদেশ, ভারত, নেপাল ও ভুটান
• মোট ম্যাচ: ৭টি
• চ্যাম্পিয়ন: বাংলাদেশ
• রানার্স আপ: নেপাল
• সেরা খেলোয়াড়: সামসুন্নাহার; বাংলাদেশ
• সর্বোচ্চ গোলদাতা: সামসুন্নাহার (৫)
• সেরা গোলরক্ষক: রুপনা চাকমা; বাংলাদেশ
• মোট গোল: ৩২টি
• ফেয়ার প্লে ট্রফি: ভুটান
বয়স ভিত্তিক ফুটবলে বাংলাদেশের ট্রফি
ট্রফি | প্রতিপক্ষ | সাল |
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ | নেপাল | ২০১৫ |
এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ | ভারত | ২০১৬ |
সাফ অনূর্ধ্ব-১৫ | ভারত | ২০১৭ |
সাফ অনুর্ধ্ব-১৮ | নেপাল | ২০১৮ |
সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ | ভারত | ২০২১ |
সাফ অনূর্ধ্ব-২০ | নেপাল | ২০২৩ |
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন
আয়োজন: ১১১তম · সময়কাল: ১৬-২৯ জানুয়ারি, ২০২৩ · ভেন্যু: মেলবোর্ন পার্ক, ভিক্টোরিয়া · পুরুষ একক: নোভাক জকোভিচ (সার্বিয়া); ২১তম গ্র্যান্ডস্লাম · নারী একক: এরিনা সাবালেস্তা (বেলারুশ); প্রথমবার গ্র্যান্ডস্লাম জয়।
ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ ২০২২
• আয়োজন: ১৯তম। আয়োজক: আন্তর্জাতিক ফুটবল ফেডারেশন (FIFA)।
• সময়কাল: ১-১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩।
• স্বাগতিক: মরক্কো। ভেন্যু: ২টি – তানজিয়ার ও রাবাত
• অংশগ্রহণকারী দল: ৭টি।
• চ্যাম্পিয়ন: রিয়াল মাদ্রিদ (৫ বার); এটি ক্লাবের শততম ট্রফি।
• রানার্স আপ: আল হিলাল।
• সর্বোচ্চ গোলদাতা: পেদ্রো (ফ্লামেঙ্গো) ৪টি।
• মোট গোল: ৩০টি
• সেরা খেলোয়াড়: ভিনিসিয়ুস জুনিয়র (রিয়াল মাদ্রিদ)।
• ফেয়ার প্লে ট্রফি: রিয়াল মাদ্রিদ।
• ২০তম আসর অনুষ্ঠিত হবে সৌদি আরবে ১২-২২ ডিসেম্বর, ২০২৩।
এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস
আন্তর্জাতিক অঙ্গনে দেশকে পদক জেতানোর স্বপ্ন নিয়ে ২০২২ সালে দেশে আসেন ইংল্যান্ড প্রবাসী ইমরানুর রহমান। ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ কাজাখস্তানে এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ৬০ মিটার স্প্রিন্টে ৬.৫৯ সেকেন্ড সময় নিয়ে সোনা জিতেন বাংলাদেশের দ্রুততম মানব। এশিয়ার মঞ্চে এর আগে বাংলাদেশ কখনো পদকই পায়নি। ইমরানুরের পেছনে থেকে দ্বিতীয় হন হংকংয়ের শাক কাম চিং (৬.৬৫ সেকেন্ড)।
ফুটবলে ‘সাদা কার্ড’
ফুটবলে হলুদ কার্ড, লাল কার্ডের ব্যবহার ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপ থেকে শুরু হয়, সেই থেকে খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফের সদস্যসহ দলের সঙ্গে সম্পৃক্তদের শাস্তি-দণ্ড হিসেবে হলুদ কার্ড, লাল কার্ড দিয়ে থাকেন রেফারিরা। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর দেশে ফুটবলে ইতিহাসে প্রথম বারের মতো ‘সাদা কার্ড’ দেখান রেফারি। ২১ জানুয়ারি, ২০২৩ পর্তুগালের ‘মহিলা কাপে’ বেনফিকা ও স্পোর্টিং লিসবনের মধ্যকার ম্যাচে রেফারি কাতারিনা ব্রাঙ্কো ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ‘সাদা কার্ড’ দেখানোর কীর্তি গড়েন। তিনি ‘সাদা কার্ড’ দেখান শান্তির প্রতীক হিসেবে, দুই দলের মেডিক্যাল টিমের সদস্যদের ধন্যবাদ বা কৃতজ্ঞতা স্বরূপ।
বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ
• আয়োজন: নবম
• আয়োজক: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (BCB)
• সময়কাল: ৬ জানুয়ারি-১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩
• ভেন্যু: ৩ -ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট
• অংশগ্রহণকারী দল: ৭টি
• মোট ম্যাচ: ৪৬টি
• খেলার ফরম্যাট: টি-২০
• প্রতিযোগিতার ধরন: ডাবল রাউন্ড-রবিন এবং প্লেফ
• চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স (৪র্থ বার)
• রানার্স আপ: সিলেট স্ট্রাইকার্স
• সিরিজ সেরা নাজমুল হোসেন
• সর্বাধিক রান: নাজমুল হোসেন (৫১৬); সিলেট।
• সর্বাধিক উইকেট: তানভীর ইসলাম (কুমিল্লা) ও হাসান মাহমুদ (রংপুর) ;১৭টি
• ফাইনাল সেরা: জনসন চার্লস
• আর্থিক পুরস্কার (টাকায়): টুর্নামেন্ট সেরা ১০ লাখ
• ফাইনাল সেরা: ৫ লাখ
• রানার্স আপ: ১ কোটি
• চ্যাম্পিয়ন: ২ কোটি
রোল অব অনার
মৌসুম | চ্যাম্পিয়ন | রানার্স আপ |
২০১২ | ঢাকা | বরিশাল |
২০১৩ | ঢাকা | চট্টগ্রাম |
২০১৫ | কুমিল্লা | বরিশাল |
২০১৬ | ঢাকা | রাজশাহী |
২০১৭ | রংপুর | ঢাকা |
২০১৯ | কুমিল্লা | ঢাকা |
২০২০ | রাজশাহী | খুলনা |
২০২২ | কুমিল্লা | বরিশাল |
২০২৩ | কুমিল্লা | সিলেট |