কালানুক্রমিক ঘটনাবলি
০১.১১.২০২২
♦ জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশন (সংশোধন) বিল, ২০২২’ পাস।
০২.১১.২০২২
♦ জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ গ্যাস, তেল ও খনিজ সম্পদ করপোরেশন বিল, ২০২২’ পাস।
০৩.১১.২০২২
♦ দেশের অভ্যন্তরে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি পায় বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রা।
০৪.১১.২০২২
♦ প্রথমবারের মতো সরকারিভাবে জাতীয় সংবিধান দিবস পালিত হয়।
০৫.১১.২০২২
♦ দু’দিনের সফরে ঢাকা পৌঁছেন যুক্তরাষ্ট্রের উপ-সহকারী মন্ত্রী আফরিন আক্তার।
০৬.১১.২০২২
♦ এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু।
♦ বাস র্যাপিড ট্রানজিট (BRT) প্রকল্পের উত্তরা থেকে টঙ্গী রেলগেট উড়াল সড়ক এবং টঙ্গী ফ্লাইওভারের একাংশ খুলে দেওয়া হয়।
♦ জাতীয় সংসদে ‘আন্তর্জাতিক উদরাময় গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ বিল, ২০২২’ পাস।
♦ একাদশ জাতীয় সংসদে ২০তম অধিবেশনের সমাপ্তি।
♦ ৪৫তম ইন্টারন্যাশনাল কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং কনটেস্টের চূড়ান্ত পর্ব বাংলাদেশে শুরু।
০৭.১১.২০২২
♦ দেশের ১০০টি সড়ক সেতু উদ্বোধন।
♦ রংপুর সিটি কর্পোরেশনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
০৮.১১.২০২২
♦ ২০২২-২৩ অর্থবছরের ৬ষ্ঠ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (ECNEC) সভা অনুষ্ঠিত।
০৯.১১.২০২২
♦ আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়।
১০.১১.২০২২
♦ ইউরোপীয় ইউনিয়নের (EU) কমিশনার ইলভা জোহানসন দু’দিনের সফরে প্রথমবার ঢাকায় পৌঁছান।
১২.১১.২০২২
♦ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটড এক্সপেসওয়ের নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন।
♦ দু’দিনের সফরে ঢাকা পৌঁছেন সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র উপমন্ত্রী নাসের বিন আব্দুল আজিজ আল দাউদ।
১৩.১১.২০২২
♦ ডিজিটাল লেনদেনের প্ল্যাটফর্ম ‘বিনিময়’ সেবার উদ্বোধন।
১৫.১১.২০২২
♦ নতুন সময়সূচিতে সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের অফিস শুরু।
১৬.১১.২০২২
♦ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে মেমোরেনডাম অব কো-অপারেশন (MoC) স্বাক্ষরিত।
১৯.১১.২০২২
♦ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত।
২০.১১.২০২২
♦ দেশের বিভিন্ন অর্থনৈতিক অঞ্চলে ৫০টি শিল্প ইউনিট উদ্বোধন।
২১.১১.২০২২
♦ দেশের প্রথম প্রতিষ্ঠান হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ইনজেকটেবল ওষুধ রপ্তানি শুরু করে এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেড।
২৪.১১.২০২২
♦ দেশের নতুন বেসরকারি এয়ারলাইন্স এয়ার অ্যাস্ট্রার বাণিজ্যিক উড্ডয়ন শুরু ।
♦ ভারত মহাসাগরীয় দেশগুলোর সহযোগিতা জোটের (IORA) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক রাজধানী ঢাকায় অনুষ্ঠিত
♦ ঢাকা-ডনমুয়াং রুটে ফ্লাইট চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করে থাই এয়ার এশিয়া ।
২৫.১১.২০২২
♦ দেশের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ নির্ণয়ে ৪০ দিনের জরিপ শুরু ।
২৬.১১.২০২২
♦ কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের একটি টিউবের পূর্ত কাজের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
২৭.১১.২০২২
♦ প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (NICAR) ১১৮তম বৈঠক অনুষ্ঠিত ।
২৮.১১.২০২২
♦ মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ ।
২৯.১১.২০২২
♦ ভারতে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত হাইকমিশনারের নাম কী? মো: মোস্তাফিজুর রহমান।
৩০ নভেম্বর,২০২২
♦ ঢাকার আন্তর্জাতিক পর্যটন মেলায় কতটি দেশ অংশ নেবে? ১৫টি দেশ।
♦ বাংলাদেশে কত শতাংশ ডায়াবেটিস রোগীর রেটিনা ক্ষতিগ্রস্ত? ৩৩ শতাংশ (প্রায়)।
আলোচিত বাংলাদেশ
শেখ জামালকে নিয়ে দুই বই
৩১ নভেম্বর ২০২২ বঙ্গবন্ধুর দ্বিতীয় পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামালের ‘রণাঙ্গনের ডায়েরি’ এবং ‘শহিদ লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল: দেশপ্রেম ও তারুণ্যের দীপ্ত শিখা’ শীর্ষক দুটি গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বাধীনতাযুদ্ধে শেখ জামালের প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে মুক্তিযুদ্ধে তার অবদান এবং জীবনের বিভিন্ন সময়ের ঘটনাবলি দিয়ে সাজানো হয়েছে গ্রন্থ দুটি।
জাপানের সর্বোচ্চ খেতাব অর্জন
৩ নভেম্বর ২০২২ জাপান সরকার ‘২০২২ ফল ইম্পেরিয়াল ডেকোরেশনস’ শিরোনামে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ ক্যাটাগরিতে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান’ পুরস্কার প্রদানের ঘোষণা দেয়। এবার ছয় বাংলাদেশি এ পুরস্কারে ভূষিত হন। এর মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবুল বারকাত ‘অর্ডার অব দ্য রাইজিং সান, গোল্ড রে উইথ রিবন’; জাপান দূতাবাসের সাবেক স্থানীয় কর্মী খান জাহাঙ্গীর আলম অর্ডার অব দ্য স্যাকরেড ট্রেজার, গোল্ড অ্যান্ড সিলভার রে; সমর ক্রুজ, আব্দুল গফুর, সুজিত কুমার বড়ুয়া ও পরিমল বড়ুয়া ‘অর্ডার অব দ্য স্যাকরেড ট্রেজার, সিলভার রে’ সম্মাননা পান। ১৮৭৫ সালে জাপানের সম্রাট মেইজি দ্য গ্রেট Order of the Rising Sun প্রবর্তন করেন, যা দেশটির ইতিহাসে প্রবর্তিত প্রথম খেতাব। সামরিক বাহিনীর সদস্য ছাড়া সরকারি- বেসরকারি ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে এ পুরস্কার দেওয়া হয়।
কারকাস সাহিত্য পুরস্কার
মার্কিন ম্যাগাজিন Kirkus Reviews ২০১৪ সাল থেকে ফিকশন, নন-ফিকশন ও শিশু-কিশোর সাহিত্য এ তিন বিভাগে কারকাস সাহিত্য পুরস্কার প্রদান করে। প্রতি বিভাগে পুরস্কারের অর্থমূল্য ৫০,০০০ মার্কিন ডলার। নন-ফিকশন বিভাগে ২০২২ সালের কারকাস সাহিত্য পুরস্কার লাভ করেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মার্কিন সাহিত্যিক তন্বী নন্দিনী ইসলাম। তিনি তার স্মৃতিকথাধর্মী বই In Sensorium: Notes for My People এর জন্য এ পুরস্কার পান। ফিকশন বিভাগে বিজয়ী হন হারনান ডিয়াজ আর শিশু-কিশোর সাহিত্য বিভাগে হারমনি বেকার।
বাংলা একাডেমি পরিচালিত পুরস্কার
• ২ নভেম্বর ২০২২ বাংলা একাডেমি পরিচালিত তিনটি সাহিত্য পুরস্কার ঘোষণা করা হয়।
• সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার: ২০২২ সালের সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন বিশিষ্ট গবেষক ড. ইসরাইল খান। সাহিত্যিক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কার: ২০২২ সালের সাহিত্যিক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধসাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত হন বিশিষ্ট গবেষক ড. রাজিয়া সুলতানা।
• কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার: কবীর চৌধুরী শিশুসাহিত্য পুরস্কার ২০২২-এ ভূষিত হন বিশিষ্ট ছড়াকার সিরাজুল ফরিদ।
জাতীয় সমবায় পুরস্কার
৫ নভেম্বর ২০২২ নয়টি সমবায় সমিতি এবং একজন ব্যক্তিকে ‘জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০২১’ প্রদান করা হয়। জাতীয় সমবায় পুরস্কার বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত বেসামরিক সম্মাননা পদক। দেশের দারিদ্র্য বিমোচন এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য প্রতি বছর বাংলাদেশ সরকার দেশের সেরা সমবায়ী ও সমবায় সমিতিকে এই পুরস্কার প্রদান করে।
জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড
দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে থাকা উদ্যমী তরুণদের উৎসাহিত করতে ২০১৫ সাল থেকে ইয়াং বাংলা আয়োজন করে আসছে জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড।
ষষ্ঠবারের মতো আয়োজিত এবারের আসরে বিভিন্ন বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখার স্বীকৃতি হিসেবে ৫টি বিভাগে দেশের ১০ সংগঠনকে প্রদান করা হয় এই অ্যাওয়ার্ড। জয় বাংলা ইয়ুথ অ্যাওয়ার্ড-২০২২ এর এবারের বিজয়ীরা হলেন— জয় বড়ুয়া লাবলু (প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও, রোবোলাইফ টেকনোলজিস); বিজন কুমার (পরিচালক, বিকে স্কুল অব রিসার্চ); মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান (সভাপতি, বোসন বিজ্ঞান সংঘ); মুহাম্মদ শাওন মাহমুদ (প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, বিজ্ঞানপ্রিয়); আরিয়ান আরিফ (প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, মজার ইশকুল); আসাদুজ্জামান মিলন (প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, মিলন স্মৃতি পাঠাগার); এবিএম মাহমুদুল হাসান (প্রতিষ্ঠাতা, ইয়ুথ প্ল্যানেট); মো. মুইনুর আহসান ফয়সাল (সাধারণ সম্পাদক); সুইচ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন; প্রসেনজিৎ কুমার সাহা (প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি, উচ্ছ্বাস) এবং জান্নাতুল মাওয়া (নির্বাহী পরিচালক, বিন্দু নারী উন্নয়ন সংগঠন)। এছাড়াও আজীবন সম্মাননা দেওয়া হয় ‘উন্মাদ’ প্রকাশনার কার্টুনিস্ট আহসান হাবিব এবং ইয়াংগুয়াং ম্রোকে (পার্বত্য চট্টগ্রামের লেখক ও গবেষক)।
দেশের খবর
ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি
২০২২ সালের ডিসেম্বরে ভারতের শিল্পগোষ্ঠী আদানি গ্রুপের অঙ্গপ্রতিষ্ঠান আদানি পাওয়ারের বিদ্যুৎ বাংলাদেশে আসবে। প্রতিষ্ঠানটি ঝাড়খণ্ডের গোড্ডা এলাকায় একটি থার্মাল পাওয়ার সেন্টার তৈরি করেছে। এ সেন্টার থেকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডকে (BPDB) বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে। দেশের বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতার লক্ষ্যে ১১ জানুয়ারি ২০১০ ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে সহযোগিতামূলক ফ্রেমওয়ার্ক অ্যাগ্রিমেন্ট স্বাক্ষরিত হয়। এ চুক্তির আওতায় ১১ আগস্ট ২০১৫ ভারতের আদানি পাওয়ারের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে BPDB । চুক্তি অনুসারে BPDB আগামী ২৫ বছর এ কেন্দ্র থেকে ১,৪৯৬ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কিনবে। ২০১৩ সালে ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি শুরু করে সরকার। বর্তমানে দেশটি থেকে ১,১৬০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করছে বাংলাদেশ।
মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা
একাত্তরে যুক্তরাষ্ট্র সরকার পাকিস্তানের পক্ষ নিলেও মুক্তিকামী বাঙালির পাশে দাঁড়ান সে দেশের সিনেটর এডওয়ার্ড টেড কেনেডি নামে পরিচিত এডওয়ার্ড এম কেনেডি। পাকিস্তান সরকারের বাধায় বাংলাদেশে আসতে না পারলেও ভারতে এসে শরণার্থী শিবির ঘুরে দুর্দশার চিত্র দেখেন, পাকিস্তানি হানাদারেরা যে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালায় তার বিবরণ শুনেন। যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে মতামত তৈরিতে বড় ভূমিকা-নেন। যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ২৯ অক্টোবর ২০২২ এডওয়ার্ড কেনেডির ছেলে এডওয়ার্ড টেড কেনেডি জুনিয়রসহ তার পরিবারের নয়জন সদস্য সাত দিনের সফরে বাংলাদেশে আসেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য ৩১ অক্টোবর ২০২২ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রয়াত মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড এম টেড কেনেডিকে ‘ফ্রেন্ডস অব লিবারেশন ওয়ার অনার’ (মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননা) প্রদান করেন।
ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন
২ নভেম্বর ২০২২ প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’র নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন। ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২১ এর পরীক্ষামূলক পাইলিংয়ের কাজ উদ্বোধন করা হয়। এটি রাজধানী ঢাকার দ্বিতীয় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। প্রথমটি বিমানবন্দর-যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত বিস্তৃত ‘ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে’।
• জুলাই ২০১৭- জুন ২০২২ প্রকল্পটির মেয়াদ থাকলেও কাজ শেষ না হওয়ায় আরও চার বছর মেয়াদ বাড়ানো হয়। সঙ্গে নির্মাণ ব্যয়ও বাড়ে ৬৫০ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে বর্তমানে নির্মাণ ব্যয় ১৭,৫৩৫ কোটি টাকা।
• G2G পদ্ধতিতে চীনের এক্সিম ব্যাংকের ঋণে তৈরি করা হবে ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এ প্রকল্পে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ৯,৬৯২ কোটি টাকা। ২৬ অক্টোবর ২০২১ এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ প্রকল্পের ঋণচুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
• ২৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ঢাকা-আশুলিয়া এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তৈরি হবে বিমানবন্দর, আব্দুল্লাহপুর, আশুলিয়া, বাইপাইল ও ইপিজেড রুটে। বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে উড়ালসড়কে ওঠানামার জন্য তৈরি করা হবে ১৬টি র্যাম্প। এক্সপ্রেসওয়ের পাশাপাশি ১৪ কিলোমিটারের বেশি সড়ক তৈরি করা হবে। এছাড়া নবীনগর এলাকায় তৈরি করা হবে ১.৯৫ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি ফ্লাইওভার, ২.৭২ কিলোমিটার সেতু ও ৫০০ মিটার ওভারপাস।
‘হ্যালো এসবি’ অ্যাপ
১৬ নভেম্বর ২০২২ জনগণের সেবা পাওয়া সহজ করার লক্ষ্য নিয়ে বাংলাদেশ পুলিশের বিশেষ শাখা উদ্বোধন করে ‘হ্যালো এসবি’ নামের একটি মোবাইল অ্যাপ। এর মাধ্যমে ই-পাসপোর্ট/এমআরপি পাসপোর্ট নবায়ন, সংশোধন, ইমিগ্রেশন সেবা, দ্বৈত নাগরিকত্ব, ভিসা ইস্যু ও নবায়ন, নিবন্ধন, সিকিউরিটি ক্লিয়ারেন্স, এনজিও সংক্রান্ত তথ্য, দত্তক, ভ্রমণ ইত্যাদি সেবা পাওয়া যাবে। এছাড়াও অ্যাপটির মাধ্যমে সেবাগ্রহীতারা অভিযোগ ও পরামর্শ প্রদান কিংবা কোনো তথ্য প্রদান করতে পারবেন।
GCC’র সাথে সমঝোতা স্মারক
১৮ নভেম্বর ২০২২ বাহরাইনের রাজধানী মানামায় উপসাগরীয় সহযোগিতা সংস্থার (GCC) সঙ্গে বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। এই সমঝোতার মাধ্যমে জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তার পাশাপাশি বাণিজ্য-বিনিয়োগে সহযোগিতার নতুন দ্বার উন্মোচিত হবে। GCC জোটের সদস্যরা সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, বাহরাইন ও ওমান। সমঝোতা স্মারকটি দুই পক্ষের মধ্যে বিভিন্ন খাতে যৌথ কর্মপরিকল্পনা, জয়েন্ট ওয়ার্কিং গ্রুপ এবং কারিগরি দল, যৌথ বাণিজ্য পরিষদ গঠনের সুযোগ তৈরি ও সহযোগিতাকে এগিয়ে নিতে আইনি কাঠামো হিসেবে কাজ করবে।
বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ
WRO–তে সাফল্য
১৭-১৯ নভেম্বর ২০২২ জার্মানির ডর্টমুন্ড শহরে অনুষ্ঠিত বিশ্ব রোবট অলিম্পিয়াডের (WRO)। ২৪তম আসরে প্রথমবারের মতো অংশ নিয়ে বাংলাদেশের দুটি দল সাফল্য পায়। ফিউচার ইঞ্জিনিয়ার্স ক্যাটাগরিতে টিম লেইজি-গো তৃতীয় এবং ফিউচার ইনোভেটরস ক্যাটাগরিতে রোবোনিয়াম বাংলাদেশ অষ্টম স্থান লাভ করে। বিশ্বের ৭৩ দেশের ৩৭৫টি দলের প্রায় ১,৩০০ প্রতিযোগী এ আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ২০২০ সালে বাংলাদেশ বিশ্ব রোবট অলিম্পিয়াডের ৮৪তম সদস্য হয়।
ডোলমা খাং জয়
৫ নভেম্বর ২০২২ প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ৬,৩৩২ মিটার উচ্চতার ঝুঁকিপূর্ণ নেপালে হিমালয়ের নতুন শৃঙ্গ ডোলমা খাং শিখরে পা রাখেন শায়লা বিথী। ৩১ অক্টোবর ২০২২ কাঠমান্ডু থেকে ডোলমা খাংয়ের উদ্দেশে চেট চেট এলাকা থেকে ট্র্যাকিং শুরু করেন তিনি। শায়লা বিথী ২০২১ সালের অক্টোবরে হিমালয়ের ৬,১৮৯ মিটার উঁচু আইল্যান্ড পর্বত জয় করেন। এর আগে তিনি প্রথম বাংলাদেশি নারী হিসেবে ২০১৮ সালে তিব্বতের লাকপারি, ২০১৯ সালে হিমালয়ের দুর্গম তাশিলাপচা গিরি ও ২০২১ সালে বিখ্যাত থ্রি-পাস অতিক্রম করেন।
শান্তি মিশনে নারী পুলিশ শীর্ষে
জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে নারী পুলিশ সদস্য পাঠানোর দিক থেকে বাংলাদেশ শীর্ষস্থানে। বাংলাদেশের নারী শান্তিরক্ষীরা লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা ও সংঘাত-সংঘর্ষ কমাতে, বিশেষ করে নারী-শিশুর নিরাপত্তা প্রদানে মূল চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করছেন। বর্তমানে বাংলাদেশের ১৫০ নারী পুলিশ। কর্মকর্তা জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছেন। ২০০০ সালে ৫ নারী পুলিশের একটি টিম প্রথমবারের মতো পূর্ব তিমুরে যায়। এরপর ২০১০ সালে বাংলাদেশ নারী পুলিশের প্রথম কনটিনজেন্ট পাঠানো হয় হাইতি মিশনে। বর্তমানে বাংলাদেশ পুলিশের ৫০০ সদস্য জাতিসংঘ পুলিশ হিসেবে বিভিন্ন শান্তিরক্ষা মিশনে কাজ করছেন। শান্তি প্রতিষ্ঠাকালে বাংলাদেশের ৩০ জন পুলিশ সদস্য তাদের জীবন উৎসর্গ করেন।
বঙ্গবন্ধু টানেল
১৫ নভেম্বর ২০২২ দেশের তথা দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম কর্ণফুলী নদীর তলদেশ দিয়ে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রথম টিউবের কাজ সম্পন্ন হয়। ২৬ নভেম্বর ২০২২ টানেলের দ্বিতীয় টিউবের কাজ শেষ হয়।
বঙ্গবন্ধু টানেলের টোল আদায়
১৬ নভেম্বর ২০২২ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৩৪তম সভায় বন্দর নগরীতে দেশের প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেলের প্রায় ১৮৩.৮২ কোটি টাকার রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের কাজ চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডকে দেওয়া হয়। কোম্পানিটিকে প্রায় ৬৫% অর্থ স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে, যার পরিমাণ প্রায় ৬৫৬.৯৮ কোটি টাকা। অবশিষ্ট ৩৫% অর্থ বিদেশি মুদ্রায় পরিশোধ করা হবে, যার পরিমাণ প্রায় ৩২৬.৮৪ কোটি টাকা।
♦ খনন কাজ: প্রথম সুড়ঙ্গ শুরু ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০১৯ এবং শেষ ২ আগস্ট ২০২০। দ্বিতীয় সুড়ঙ্গ শুরু ১২ ডিসেম্বর ২০২০ এবং শেষ ৭ অক্টোবর, ২০২১।
♦ নাম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল (Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman Tunnel)।
♦ অবস্থান: পতেঙ্গা ও আনোয়ারা, চট্টগ্রাম যেই নদীর তলদেশ: কর্ণফুলী মূল টানেলের দৈর্ঘ্য: ৩.৪ কিমি ।
♦ টানেলের উভয়প্রান্তে সংযোগ সড়ক: ৫.৩৫ কিমি ।
♦ টানেল যুক্ত করবে: চট্টগ্রাম নগরকে আনোয়ারা উপজেলার সঙ্গে ।
♦ নির্মাণ শুরু: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ।
♦ সম্ভাব্য উন্মুক্তকাল: জানুয়ারি ২০২৩ ।
♦ যানবাহন চলাচল: পণ্যবাহী ট্রাক, বাস ও মোটরগাড়ি ।
♦ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান: চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড নির্মাণ তথ্য শুরু ।
♦ নির্মাণ ব্যয়: ৯,৮৮০.৪০ কোটি টাকা ।
♦ অর্থায়ন করে: চীনের এক্সিম ব্যাংক ঋণ দেয় ৫,৯১৩.১৯ কোটি টাকা। বাকি অর্থের জোগান দেয় বাংলাদেশ সরকার ।
♦ মোট টিউব: ২টি (যানবাহন চলবে ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে) ।
♦ প্রতি টিউবের দৈর্ঘ্য: ২.৪৫ কিমি ।
♦ টিউবের বাহিরের ব্যাস: ১২.১২ মিটার ।
♦ ভিতরের ব্যাস: ১০.৮০ মিটার ।
♦ এক টিউব থেকে অন্য টিউবের পাশাপাশি দূরত্ব: প্রায় ১২ মিটার ।
♦ এ প্রকল্পের মাধ্যমে চট্টগ্রাম শহরকে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ রূপে গড়ে তোলা হচ্ছে যে শহরের আদলে: চীনের সাংহাই ।
♦ টানেলের ফলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের দূরত্ব কমবে: ১৫ কিমি।
বাংলাদেশ সংবিধানের সুবর্ণজয়ন্তী
৪ নভেম্বর ২০২২ প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় ‘জাতীয় সংবিধান দিবস’। এদিন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৫০ বছর পূর্তি। অন্যদিকে ১৬ ডিসেম্বর ২০২২ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকরের সুবর্ণজয়ন্তী।
সংবিধান:
সাধারণ অর্থে সংবিধান (Constitution) হলো কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংগঠন পরিচালনার মৌল নীতিমালা। রাজনৈতিক পরিভাষায় সংবিধান হলো রাষ্ট্রের মৌল ও সর্বোচ্চ আইন। সংবিধানে রাষ্ট্রের বিভিন্ন সংগঠন পরিচালনার মৌলিক নীতিমালা লিপিবদ্ধ থাকে। সরকারের ক্ষমতা ও দায়িত্ব, জনগণের মৌলিক অধিকার, সরকার পদ্ধতি, সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কীভাবে পরিচালিত হবে তা সংবিধানে লিপিবদ্ধ থাকে। লিখিত না অলিখিত এদিক বিবেচনায় সংবিধানকে দু’শ্রেণিভুক্ত করা হয়। অধিকাংশ দেশের সংবিধানই লিখিত, গ্রন্থভুক্ত। আবার সংবিধান অলিখিতও হয়। কিছু মৌলিক আইন, প্রথা, পূর্ব- অভিজ্ঞতা সংবিধানের মতো গণ্য হয়। যেমন— যুক্তরাজ্যের সংবিধান। পরিবর্তনের পদ্ধতি বিবেচনায় সংবিধান দু’রকম। সুপরিবর্তনীয় এবং দুষ্পরিবর্তনীয়। বাংলাদেশের সংবিধান একটি লিখিত এবং দুষ্পরিবর্তনীয় সংবিধান।
গণপরিষদ বা সাংবিধানিক পরিষদ
Constituent Assembly কে বাংলায় গণপরিষদ বা সাংবিধানিক পরিষদ বলা যায়। একটি বিশেষ আইন সংক্রান্ত পরিষদ যার দায়িত্ব সংবিধান প্রণয়ন, সংবিধানের মূলনীতি নির্ধারণ বা সংবিধানের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা। ১৭৮৯ সালে Constituent Assembly নামটি প্রথম ব্যবহার করে ফরাসি ন্যাশনাল এসেম্বলি ।
বাংলাদেশে গণপরিষদ গঠন
পৃথিবীর অধিকাংশ দেশে সংবিধান প্রণয়নের জন্য গণপরিষদ গঠন করা হয়। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নেও এমন একটি গণপরিষদ গঠন করা হয় ৭ এবং ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭০ পূর্ব পাকিস্তান থেকে নির্বাচিত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের ৪৬৯ জন সদস্যের মধ্যে (জাতীয় পরিষদের ১৬৯+ প্রাদেশিক পরিষদের ৩১০ = ৪৭৯ জন) ৪০৩ জন সদস্য নিয়ে গণপরিষদ গঠিত হয়। কেননা ৪৭৯ জন সদস্যের মধ্যে জাতীয় পরিষদের মহিলাদের জন্য সংরক্ষিত ১০ আসনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি, মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে নিহত হয়েছিলেন ১২ জন, দালালির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছিলেন ৫ জন, দুর্নীতির দায়ে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন ৪৬ জন, পাকিস্তানের প্রতি আনুগত্য স্বীকার করেছিলেন ২ জন (নুরুল আমীন ও স্বতন্ত্র সদস্য রাজা ত্রিদিব রায়), পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চাকরি গ্রহণ করেছিলেন ১ জন। গণপরিষদের ৪০৩ জন সদস্যের মধ্যে ৪০০ জন ছিলেন আওয়ামী লীগ, ১ জন ছিলেন ন্যাপ (মোজাফ্ফর) এর এবং বাকি ২ জন ছিলেন নির্দলীয়।
সংবিধান রচনার দিনপঞ্জি ১৯৭২
♦ ১১ জানুয়ারি অস্থায়ী সংবিধান আদেশ জারি।
♦ ২৩ মার্চ গণপরিষদের আদেশ জারি। যা ২৬ মার্চ১৯৭১ থেকে কার্যকর।
♦ ১০ এপ্রিল গণপরিষদের সদস্য মাওলানা আবদুর রশীদ তর্কবাগীশের সভাপতিত্বে গণপরিষদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়। তিনি প্রথমে নিজেই নিজের শপথবাক্য পাঠ করেন এবং পরবর্তী সময়ে পরিষদের অন্য সদস্যদের শপথবাক্য পাঠ করান। একই অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাব এবং সৈয়দ নজরুল ইসলামের সমর্থনে শাহ আব্দুল হামিদ (রংপুর ৫, জাতীয় পরিষদ) স্পিকার ও তাজউদ্দীন আহমদের প্রস্তাবে এবং ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর সমর্থনে মোহাম্মদ উল্লাহ (নোয়াখালী ২৭৫, প্রাদেশিক পরিষদ) ডেপুটি স্পিকার নির্বাচিত হন।
♦ ১১ এপ্রিল সংবিধানের খসড়া প্রণয়ন করার উদ্দেশ্যে তৎকালীন আইনমন্ত্রী ড. কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ জন সদস্যের সমন্বয়ে ‘খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটি’ উত্থাপন করলে সর্বসম্মতভাবে গৃহীত হয়।
♦ ১৭ এপ্রিল খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির প্রথম বৈঠক
♦ ১১ অক্টোবর খসড়া সংবিধান প্রণয়ন কমিটির শেষ বৈঠকে খসড়া সংবিধানের চূড়ান্ত রূপ গৃহীত। হোসেন কর্তৃক খসড়া সংবিধান বিল আকারে উত্থাপন।
♦ ১৯-৩০ অক্টোবরখসড়া সংবিধানের ওপর প্রথম পাঠ অনুষ্ঠিত।
♦ ৩১ অক্টোবর-৩ নভেম্বর খসড়া সংবিধানের ওপর দ্বিতীয় পাঠ অনুষ্ঠিত।
♦ ৪ নভেম্বর (১৮ কার্তিক ১৩৭৯, শনিবার) খসড়া সংবিধানের ওপর তৃতীয় বা সর্বশেষ পাঠ অনুষ্ঠিত এবং গণপরিষদ কর্তৃক খসড়া সংবিধান গৃহীত। বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাব অনুযায়ী, ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত পরিষদের অধিবেশন মুলতবি করা হয়।
♦ ১৪ ডিসেম্বর অধিবেশন শুরু হলে গণপরিষদের সদস্যরা হস্তলিখিত মূল সংবিধানে বাংলা লিপি ও ইংরেজি- লিপিতে স্বাক্ষর করেন। স্পিকারের আমন্ত্রণে সংবিধানে প্রথম স্বাক্ষর দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ৩৯৯ জন সদস্য হাতে লিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষর করেন।
♦ ১৫ নভেম্বর স্বাক্ষর অনুষ্ঠানের শেষ সময় পর্যন্ত কিছু বিষয়ে মতপার্থক্য থাকায় ৪ জন সদস্য— মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, মোহাম্মদ আজিজার রহমান এবং মোহাম্মদ ইব্রাহীম সংবিধানে স্বাক্ষর করেননি।
♦ ১৫ ডিসেম্বর গণপরিষদের সিদ্ধান্ত ও অভিপ্রায় অনুযায়ী, রাত ১২টায় গণপরিষদের বিলুপ্তি ঘটে।
♦ ১৬ ডিসেম্বর গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয়।
সংবিধান প্রণয়নকারী ৩৪ ব্যক্তি
ড. কামাল হোসেন, মো. লুৎফর রহমান, অধ্যাপক আবু সাইয়িদ, এম আবদুর রহিম, এম আমীর-উল ইসলাম, মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম মনজুর, আবদুল মুনতাকীম চৌধুরী, ডা. ক্ষিতীশ চন্দ্র, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, খন্দকার মুশতাক আহমেদ, এ এইচ এম কামারুজ্জামান, আবদুল মমিন তালুকদার, এ কে এম আবদুর রউফ, মোহাম্মদ বায়তুল্লাহ, বাদল রশীদ, খন্দকার আবদুল হাফিজ, শওকত আলী। খান, মো. হুমায়ুন খালিদ, আছাদুজ্জামান খান, এ কে মোশাররফ হোসেন আখন্দ, আবদুল মমিন, শামসুদ্দিন মোল্লা, শেখ আবদুর রহমান, ফকির সাহাব উদ্দিন আহমদ, অধ্যাপক খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট সিরাজুল হক, দেওয়ান আবু আব্বাছ, হাফেজ হাবিবুর রহমান, আবদুর রশিদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ খালেদ ও বেগম রাজিয়া বানু।
সংবিধান সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিত্ব:
♦ কমিটির প্রধান: ড. কামাল হোসেন
♦ কমিটির একমাত্র বিরোধী দলীয় সদস্য: সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত
♦ কমিটির একমাত্র নারী সদস্য: বেগম রাজিয়া বানু
♦ হস্তলিখিত সংবিধানের মূল লেখক: এ কে এম আবদুর রউফ।
♦ খসড়া সংবিধান পর্যালোচনায় ভাষা বিশেষজ্ঞ: ড. আনিসুজ্জামান (আহ্বায়ক), সৈয়দ আলী আহসান ও মযহারুল ইসলাম।
♦ সংবিধানের ইংরেজি লেখক: ড. কামাল হোসেন
♦ সংবিধানের বাংলায় অনুবাদক: ড. আনিসুজ্জামান।
♦ অঙ্গসজ্জার সার্বিক বা মূল তত্ত্বাবধায়ক: শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন।
♦ অঙ্গসজ্জায়: শিল্পী হাশেম খান
♦ লিপিকরণে: এ কে এম আবদুর রউফ
♦ অলংকরণে: শিল্পী জনাবুল ইসলাম, মসরজিৎ রায় চৌধুরী, আবুল বারক আলভী।
সংবিধান সংশ্লিষ্টি সংখ্যা তথ্য:
সংখ্যা | বিষয় |
১ | সংবিধানের প্রস্তাবনা |
২ | সংবিধানের ভাষা (বাংলা ও ইংরেজি) |
৪ | সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি |
৭ | সংবিধানের তফসিল সংখ্যা |
১১ | সংবিধানের ভাগ |
১৭ | সংবিধানের সংশোধনী |
৩৪ | সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য |
৮২ | হস্তলিখিত মূল সংবিধানের পৃষ্ঠার সংখ্যা |
১৫৩ | সংবিধানের অনুচ্ছেদ সংখ্যা |
৩০০ | খসড়া সংবিধান প্রণয়নে ব্যয়কৃত ঘণ্টার সংখ্যা |
৩৯৯ | হস্তলিখিত মূল সংবিধানে স্বাক্ষরকারী |
৪০৩ | গণপরিষদের সদস্য সংখ্যা |
সংবিধানে জন:
জন | বিষয় | অনুচ্ছেদ |
৫০ | সংসদের সংরক্ষিত নারী আসন | ৬৫(৩)ক |
৬০ | জাতীয় সংসদে কোরাম সদস্য সংখ্যা | ৭৫(২) |
৩০০ | সংসদের নির্বাচিত সংসদ সদস্য | ৬৫(২) |
সংবিধানে বছর:
বছর | বিষয় | অনুচ্ছেদ |
২ | সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারপতির মেয়াদকাল | ৯৮ |
৫ | রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদকাল | ৫০(১) |
৫ | সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও সদস্যদের মেয়াদকাল | ১৩৯(১) |
৫ | নির্বাচন কমিশনারদের মেয়াদকাল | ১১৮(৩) |
৫ | মহা হিসাব-নিরীক্ষকের মেয়াদকাল | ১২৯(১) |
১৮ | ভোটার হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স | ১২২(২)খ |
২৫ | প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স | ৬৬(১) |
২৫ | স্পিকার ও ডেপুটি স্পিকার হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স | ৬৬(১) |
২৫ | মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স | ৬৬(১) |
২৫ | জাতীয় সংসদের সংসদ সদস্য হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স | ৬৬(১) |
৩৫ | রাষ্ট্রপতি হওয়ার সর্বনিম্ন বয়স | ৪৮(৪)ক |
৬৫ | সরকারি কর্মকমিশনের সদস্যদের বয়সসীমা | ১৩৯(১) |
৬৫ | মহা হিসাব-নিরীক্ষকের অবসরের বয়সসীমা | ১২৯(১) |
৬৭ | সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতির অবসরের বয়সসীমা | ৯৬(১) |
সংবিধানের দিন
দিন | বিষয় | অনুচ্ছেদ |
৭ | রাষ্ট্রপতি কোনো বিল পুনরায় সংসদে পুনর্বিবেচনার জন্য প্রেরণ করলে সংসদবিল পুনরায় গ্রহণ করে রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠালেতিনি ৭ দিনের মধ্যে তাতে সম্মতি দিবেন | ৮০(৪) |
১৫ | বিলে রাষ্ট্রপতির স্বাক্ষরের সর্বোচ্চ সময় | ৮০(৩) |
৩০ | নির্বাচনের পর সংসদের অধিবেশন আহ্বান | ৭২(২) |
৬০ | সংসদে দুই অধিবেশনের মধ্যস্থিত বিরতিকাল | ৭২(১) |
৯০ | সংসদের অনুমতি ব্যতীত অনুপস্থিত থাকলে সংসদপদ শূন্য হয় | ৬৭(১)খ |
৯০ | উক্ত দিনের মধ্যে শপথ না নিলে সংসদ সদস্যপদ শূন্য হবে | ৬৭(১)ক |
১২০ | জরুরি অবস্থার মেয়াদকাল | ১৪১-ক(১) |
উল্লেখযোগ্য দেশে সংবিধান দিবস:
দেশ | দিবস | দেশ | দিবস |
ভারত | ২৫ নভেম্বর | যুক্তরাষ্ট্র | ১৭ সেপ্টেম্বর |
জাাপান | ৩ মে | জার্মানি | ২৩ মে |
চীন | ৪ ডিসেম্বর | রাশিয়া | ১২ ডিসেম্বর |
বিবিধ তথ্যে বিশ্বের সংবিধান
• পবিত্র কোরআন যে দেশের সংবিধান > সৌদি আরব।
• শব্দের দিক দিয়ে বৃহত্তম লিখিত সংবিধান > ভারত।
• শব্দের দিক দিয়ে ক্ষুদ্রতম সংবিধান > মোনাকো।
• বিশ্বের প্রাচীনতম লিখিত সংবিধান > যুক্তরাষ্ট্র।
• লিখিত সংবিধান নেই > যুক্তরাজ্য, কানাডা, ইসরায়েল, নিউজিল্যান্ড, সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত।
প্রথম বাস র্যাপিড ট্রানজিট
BRT কী
BRT’র পূর্ণরূপ Bus Rapid Transit। BRT একটি উন্নত মানের আধুনিক বাসভিত্তিক ট্রানজিট ব্যবস্থা যা দ্রুত, সাশ্রয়ী, নিরাপদ এবং আরামদায়ক চলাচলের ব্যবস্থা করে। এতে চলাচল নির্বিঘ্ন করার জন্য ডেডিকেটেড লেন ব্যবহার করা হয়। এর সুবিধাগুলির মধ্যে রয়েছে— যানজট এড়িয়ে দ্রুত বিপুল সংখ্যক যাত্রী পরিবহন করা। BRT সিস্টেমে যাত্রীদের ভাড়া প্রদানের জন্য ই-টিকেটিং, অটোমেটিক গেটের ব্যবস্থা এবং আধুনিক ও সহায়ক অবকাঠামোর ব্যবস্থা থাকে।
ইতিহাস
বিশ্বের প্রথম Bus Rapid Transit (BRT) সিস্টেমটি ছিল কানাডার অটোয়ার ওসি ট্রান্সপো সিস্টেম। ১৯৭৩ সালে প্রবর্তিত এ BRT সিস্টেমটির প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল শহরের কেন্দ্রস্থলে ডেডিকেটেড বাস লেন স্থাপন করা। ১৯৮৩ সালে প্রথম Exclusive Busway (‘ট্রানজিটওয়ে’ নামে পরিচিত) তৈরি করা হয়। ১৯৯৬ সালে ৩১ কিলোমিটার ট্রানজিটওয়ে সিস্টেম চালু করা হয়। ১৯৭৪ সালে বিশ্বের দ্বিতীয় BRT সিস্টেমটি ব্রাজিলের কুরিটিবাতে নির্মিত হয়। ২০০০ সালে কলম্বিয়ার বোগোতায় ট্রান্সমিলেনিও নামে প্রথম BRT সিস্টেম চালু হয়, যা অন্যান্য BRT’র সেরা ও সফল বৈশিষ্ট্যগুলোর সন্নিবেশ ঘটিয়ে বিশ্বের সর্বাধিক ক্ষমতাসম্পন্ন এবং সর্বোচ্চ গতির BRT সিস্টেম প্রবর্তন করে। ২০০৪ সালের জানুয়ারিতে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় এশিয়ার প্রথম BRT চালু হয়। জাকার্তায় চালু হওয়া ২১০ কিলোমিটার (১৩০ মাইল) BRT বর্তমানে বিশ্বের দীর্ঘতম BRI সিস্টেম।
বাংলাদেশে BRT’র পটভূমি
নগর পরিবহন ব্যবস্থা দক্ষ করে গড়ে তুলতে ২০০৫ সালে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে প্রণীত ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট প্রকল্পের আওতায় ঢাকা মহানগরীর জন্য কৌশলগত পরিবহন পরিকল্পনা (STP) প্রস্তুত করা হয়। ২০১৫ সালে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (JICA) কর্তৃক তা সংশোধন করা হলে সরকার কর্তৃক সেটি সংশোধিত STP হিসেবে অনুমোদিত হয়। এটিই নগর পরিবহন পরিকল্পনার বর্তমান ভিত্তি হিসেবে কাজ করছে। BRT ব্যবস্থা প্রবর্তনের উদ্দেশ্যে ঢাকার বিভিন্ন প্রান্তের ৬টি প্রধান করিডোর বিশ্লেষণ করা হয়। ২০১২ সালে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় BRT লাইন-৩ প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। ১ জুলাই ২০১৩ BRT ব্যবস্থা বাস্তবায়ন, পরিচালনা ও ব্যবস্থাপনার জন্য ১০০% সরকারি মালিকানাধীন ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড (Dhaka BRT) গঠন করা হয়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও কয়েক দফা বৃদ্ধির পরও কাজ শেষ হয়নি। রাজধানী ঢাকায় এটিই প্রথম বাস র্যাপিড ট্রানজিট প্রকল্প।
FACT FILE: BRT
♦ প্রকল্পের নাম: Greater Dhaka Sustainable Urban Transport Project (বিআরটি বিমানবন্দর- (গাজীপুর)।
♦ বাস্তবায়নকারী সংস্থা: সড়ক ও জনপথ বিভাগ (RHD), বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ (BBA), স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (LGED) এবং ঢাকা বাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানী লিমিটেড (Dhaka BRT) ।
♦ প্রকল্প অর্থায়নকারী: বাংলাদেশ সরকার, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (ADB), ফরাসি উন্নয়ন সংস্থা (AFD) ও গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি (GEF)।
♦ প্রকল্পের প্রাক্কলিত ব্যয়: ৪,২৬৮ কোটি টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকারের ১,৪২৫ কোটি টাকা এবং বাকি টাকা প্রকল্প সাহায্য।
♦ প্রকল্পের ঠিকাদার: উড়াল সড়ক ও নিচের সড়ক নির্মাণ চায়না গ্যাঝুবা গ্রুপ করপোরেশন (CGGS), জিয়াংশু প্রভিনশিয়াল ট্রান্সপোর্টেশন ইঞ্জিনিয়ারিং গ্রুপ এবং ওয়েহেই ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড টেকনিক্যাল কো-অপারেটিভ। আর গাজীপুরে BRT’র ডিপো নির্মাণে দেশীয় কোম্পানি সেল-ইউডিসি।
♦ দৈর্ঘ্য: ২০.৫০ কিমি
♦ ভূমিতে: ১৬ কিমি ও এলিভেটেড: ৪.৫০ কিমি।
♦ স্টেশন: ২৫টি
♦ বাস ডিপো: ১টি (গাজীপুর)
♦ টার্মিনাল: ২টি (বিমানবন্দর ও গাজীপুর)
♦ ফ্লাইওভার: ৬টি (বিমানবন্দর, জসিমুদ্দীন, কুনিয়া, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ভোগরা এবং জয়দেবপুর চৌরাস্তা)
♦ সেতু: ১টি (টঙ্গী সেতুকে ১০ লেনে উন্নীতকরণ)
♦ কিচেন মার্কেট: ৮টি
♦ এক্সেস রোড: ১১৩টি (৫৬ কিমি)
♦ উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন নর্দমা: উভয় পাশে ২৪ কিমি
♦ ফুটপাত: উভয় পাশে ২০.২ কিমি
♦ ভ্রমণ সময়: ৫০ মিনিট (গাজীপুর-এয়ারপোর্ট)
♦ বাস ফ্রিকোয়েন্সি: ২ থেকে ৫ মিনিট
বাংলাদেশর বিজয়গাঁথা
৩ ডিসেম্বর: যৌথ কমান্ড গঠন ৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমান্ড গঠিত হয়। যৌথ বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পরিচিত হয় মিত্রবাহিনী নামে। একই দিনে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী ভারতের বিমানবাহিনীর স্থাপনা ও রাডার স্টেশনগুলোতে বিমান হামলা চালায়। এতে করে ভারতজুড়ে জারি হয় জরুরি আইন। এ হামলার জবাবে রাতে সাড়ে ১১ টায় ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এর ফলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নতুন করে গতি সঞ্চারিত হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত অধ্যায়।
৬ ডিসেম্বর: প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা স্বাধীনতাকালীন বাংলাদেশের জেলা ছিল ১৯টি – বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও সিলেট। এ জেলাগুলোর মধ্যে প্রথম শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা। ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ যশোরেই প্রথম উঠেছিল বিজয়ী বাংলাদেশের পতাকা।
শক্রমুক্ত বর্তমান জেলাসমূহ (ঢাকা জেলা ব্যতীত)
২৯ নভেম্বর | পঞ্চগড় |
০৩ ডিসেম্বর | বরগুনা ও ঠাকুরগাঁও |
০৪ ডিসেম্বর | লক্ষ্মীপুর |
০৬ ডিসেম্বর | যশোর, ঝিনাইদহ, ফেনী, মেহেরপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, হবিগঞ্জ ও সুনামগঞ্জ |
০৭ ডিসেম্বর | নোয়াখালী, গোপালগঞ্জ, শেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা, সাতক্ষীরা ও গাইবান্ধা |
০৮ ডিসেম্বর | বরিশাল, ঝালকাঠি, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, চাঁদপুর, কুমিল্লা মৌলভীবাজার ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া |
০৯ ডিসেম্বর | নেত্রকোনা |
১০ ডিসেম্বর | ভোলা, জামালপুর, মাদারীপুর, ময়মনসিংহ ও নড়াইল |
১১ ডিসেম্বর | টাঙ্গাইল, কুষ্টিয়া ও মুন্সীগঞ্জ |
১২ ডিসেম্বর | নরসিংদী ও কক্সবাজার |
১৩ ডিসেম্বর | মানিকগঞ্জ, বগুড়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নীলফামারী |
১৪ ডিসেম্বর | বান্দরবান, জয়পুরহাট ও সিরাজগঞ্জ |
১৫ ডিসেম্বর | খাগড়াছড়ি, দিনাজপুর, সিলেট ও গাজীপুর |
১৬ ডিসেম্বর | নারায়ণগঞ্জ |
১৭ ডিসেম্বর | ফরিদপুর, কিশোরগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, রাঙ্গামাটি, রংপুর ও চট্টগ্রাম |
১৮ ডিসেম্বর | রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, পাবনা, নওগাঁ ও রাজশাহী |
২১ ডিসেম্বর | নাটোর |