কালানুক্রমিক ঘটনাবলি
০১.০১.২০২৩
♦ দেশে করোনাভাইরাসের ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭ শনাক্ত।
♦ ঢাকার পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (BBCFEC) ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা শুরু।
০৩.০১.২০২৩
♦ দেশের ২৪তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে নিয়োগ পান মো. মাহবুব হোসেন।
০৯.০১.২০২৩
♦ জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) বিল, ২০২৩’ পাস।
১০.০১.২০২৩
♦ স্বাধীনতার মহানায়ক বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস পালিত।
১২.০১.২০২৩
♦ সরকারের নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের খুচরা দাম ইউনিটপ্রতি ১৯ পয়সা বাড়ানো হয়। ১ জানুয়ারি ২০২৩, থেকে নতুন দাম কার্যকর হয়।
১৩.০১.২০২৩
♦ গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ৫৭তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব শুরু।
১৪.০১.২০২৩
♦ ২১তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু।
♦ চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে নির্মিত দেশের ১,৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু।
১৫.০১.২০২৩
♦ ‘ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড’ এর নাম পরিবর্তন করে ‘ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসি রাখা হয়।
♦ বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধের (জানুয়ারি-জুন) জন্য মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে।
১৬.০১.২০২৩
♦ জাতীয় সংসদে ‘বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বিল, ২০২৩’ পাস।
১৮.০১.২০২৩
♦ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রায় ১২০০ মার্চেন্ট নিয়ে শুরু হয় ক্যাশলেস বা নগদবিহীন বাংলাদেশ উদ্যোগের যাত্রা।
♦ শিল্পখাতে প্রাকৃতিক গ্যাসের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়।
১৯.০১.২০২৩
♦ দেশে প্রথমবারের মতো মৃত ব্যক্তির দান করা কিডনি অন্য ব্যক্তির দেহে প্রতিস্থাপন করা হয়।
২৩.০১.২০২৩
♦ মানবতাবিরোধী অপরাধের ৫০তম রায় প্রদান করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
♦ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘এজেন্সি টু ইনোভেট (a2i) আইন, ২০২৩’ এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন।
২৪.০১.২০২৩
♦ জাতীয় সংসদে ‘সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল, ২০২৩’ পাস।
২৭.০১.২০২৩
♦ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি জানুয়ারি মাসের ২৪ তারিখ পর্যন্ত দেশে ১৫৫ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
♦ শিশু সাহিত্যের জন্য ‘বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২২’ পাচ্ছেন- ধ্রব এষ।
২৮.০১.২০২৩
♦ ২০২২ সালে বাংলাদেশ ও দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ ৩ বিলিয়ন ডলার (রপ্তানির ৮৩% তৈরী পোশাক)।
♦ পার্বত্য এলাকার নিরাপত্তার জন্য চালু হচ্ছে পুলিশের নতুন ইউনিট- মাউন্টেন পুলিশ।
২৯.০১.২০২৩
♦ চলতি বছরে (২০২৩ সালে) নিপাহ ভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয়েছে রাজশাহী জেলায়।
♦ বাংলাদেশে প্রথম নিপাহ ভাইরাস শনাক্ত হয় মেহেরপুর জেলায়।
৩০.০১.২০২৩
♦ জহির রায়হানের প্রয়াণ দিবস ৩০ জানুয়ারি।
৩১.০১.২০২৩
♦ বাংলাদেশের প্রথম মরণোত্তর কিডনি দাতা সারাহ ইসলাম।
♦ মুক্তিবাহিনী বঙ্গবন্ধুর কাছে অস্ত্র সমর্পণ করে ৩১ জানুয়ারি, ১৯৭২।
আলোচিত বাংলাদেশ
রিপোর্ট-সমীক্ষা
কৃষি শুমারি ২০১৯: চূড়ান্ত প্রতিবেদন
২৭ ডিসেম্বর, ২০২২ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS) কৃষি শুমারি ২০১৯-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদন অনুযায়ী-
• মোট খানা – ৩,৫৫,৫২,২৯৬টি।
• অকৃষি থানা: ১,৮৬,৭০,৫৩৯টি।
• কৃষি খানা: ১,৬৮,৮১,৭৫৭টি।
• কৃষি কাজে নিয়োজিত: ৪৭.৪৮%।
• ভূমিহীন: ৮.০২%।
• কৃষি জমি: ২,২৯,৭৫,২৮১ (একর)।
• নিট আবাদি জমি: ১,৮৬,৩৬৪,৩৪ (একর)
শস্য আবাদ (একর)
• আউশ: ২,৪৫,৯১,০৭।
• আমন: ১,১৯,৭০,৬৬০।
• বোরো: ১,১০,৬৫, ৪২৯।
• পাট: ১,৬৯,৯৪,৯৮।
• ইক্ষু: ২,১৮,৬৫৪।
• গম: ৮,২০,৪১৮।
• গবাদি পশু: ৩,০০,৮৯,১০৫টি।
• ভেড়া-ছাগল: ২,০৩,৯৬,৩০৯টি।
• কৃষিমজুর খানা: ৯,২০,০৮৯৫টি।
জাতীয় প্রতিবন্ধী ব্যক্তি জরিপ ২০২১
• প্রকাশ: ২৭ ডিসেম্বর, ২০২২।
• প্রকাশক: বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)।
প্রতিবেদন অনুযায়ী-
• মোট প্রতিবন্ধীর সংখ্যা: ৪০,৩৩,২৬৮ জন।
• দেশের মোট জনসংখ্যার প্রতিবন্ধী: ২.৮০%।
• প্রতিবন্ধিতার ধরন – অটিজম বা অটিজমস্পেকট্রাম ডিজঅর্ডার: ০.০৫%।
• শারীরিক প্রতিবন্ধিতা: ১.৩৫%।
• মানসিক অসুস্থতাজনিত প্রতিবন্ধিতা: ০.২৯%।
• দৃষ্টি প্রতিবন্ধিতা: ০.৪৬%।
• বাক প্রতিবন্ধিতা: ০.৩২%।
• বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধিতা: ০.২২%।
• শ্রবণ প্রতিবন্ধিতা: ০.৩৬%।
• সেরিব্রাল পালসি: ০.০৮%।
• ডাউন সিনড্রোম: ০.০৪%।
• শ্রবণ-দৃষ্টিপ্রতিবন্ধিতা: ০.০২%।
• বহুমাত্রিক প্রতিবন্ধিতা: ০.৩৫%।
• অন্যান্য প্রতিবন্ধিতা: ০.০৫%।
প্রতিবন্ধিতার প্রধান কারণসমূহ:
• জন্মগত সমস্যা: ৪১.০৯%।
• অসুস্থতা: ৩৬.৩৫%।
• গাছ বা ছাদ থেকে পড়ে যাওয়া: ১২.২৭%।
• সড়ক দুর্ঘটনা: ৫.৫৩%।
• বিভাগ অনুযায়ী প্রতিবন্ধিতার হার বেশি → খুলনা ৩.৬২%, কম: সিলেট ২.১৫%।
দেশ বার্তা
জাতিসংঘের ৩ সংস্থার সহ-সভাপতি
১১ জানুয়ারি, ২০২৩ জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত ২০২৩ সালের জন্য জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP), জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (UNFPA) ও জাতিসংঘ প্রকল্প সেবাসমূহের কার্যালয়ের (UNOPS) নির্বাহী বোর্ডের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। জাতিসংঘে নিযুক্ত কেনিয়ার স্থায়ী প্রতিনিধি এসব বোর্ডের সভাপতি নির্বাচিত হয়। অন্য তিনজন সহ-সভাপতি হলেন কোস্টারিকা, ইউক্রেন ও তুরস্কের স্থায়ী প্রতিনিধি। মাঠ পর্যায়ে জাতিসংঘের উন্নয়ন এজেন্ডাগুলো এগিয়ে নিতে UNDP, UNFPA ও UNOPS’র সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি রয়েছে। মোহাম্মদ আব্দুল মুহিত জাতিসংঘ শান্তি বিনির্মাণ কমিশনের বর্তমান চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন এবং ২০২২ সালে UN Women -এর নির্বাহী বোর্ডের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
হাওরে উড়ালসড়ক
কিশোরগঞ্জের হাওর অঞ্চলে ৫,৬৫১ কোটি টাকা ব্যয়ে উড়ালসড়ক নির্মিত হচ্ছে। ১৭ জানুয়ারি, ২০২৩ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। কিশোরগঞ্জের মিঠামইন উপজেলা থেকে শুরু হয়ে করিমগঞ্জ উপজেলার মরিচখালীতে গিয়ে শেষ হবে এ সড়ক। ১৫.৩১ কিমি দৈর্ঘ্যের উড়ালসড়কের মূল অংশ নির্মাণে খরচ হবে ২,৭৭৩ কোটি টাকা। আর বাকি প্রায় ৩,০০০ কোটি টাকা খরচ হবে জমি অধিগ্রহণ, জমির স্থাপনা বাবদ ক্ষতিপূরণ, সংযোগ সড়কসহ চারটি সেতু নির্মাণ এবং সড়ক প্রশস্ত করার কাজে। উড়ালসড়ক নির্মাণে ১৫১ একর জমি অধিগ্রহণ করা হবে। এ জমি অধিগ্রহণে খরচ হবে ২৬৬ কোটি টাকা। প্রকল্প এলাকায় জমি অধিগ্রহণের ফলে ১,১৩২টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাদের ক্ষতিপূরণে সরকারের খরচ হবে ২৩০ কোটি টাকা। এছাড়া সেতু নির্মাণ, সড়ক প্রশস্ত করা, যানবাহনের জ্বালানি, অফিস ভাড়া, বেতন-ভাতা, অন্যান্য সব খরচসহ প্রকল্পে মোট খরচ হবে ৫,৬৫১ কোটি টাকা।
একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশন
৫ জানুয়ারি, ২০২৩ একাদশ জাতীয় সংসদের ২১তম অধিবেশন শুরু হয়। ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ পর্যন্ত পাস হওয়া বিলগুলো হলো-
বিল | পাস |
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের বিচারক (ছুটি, পেনশন ও বিশেষাধিকার) বিল, ২০২৩ | ৯ জানুয়ারি, ২০২৩ |
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন বিল, ২০২৩ | ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ |
বাংলাদেশ নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিল (সংশোধন) বিল, ২০২৩ | ২৩ জানুয়ারি, ২০২৩ |
সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা বিল, ২০২৩ | ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ |
জাকাত তহবিল ব্যবস্থাপনা বিল, ২০২৩ | ২৫ জানুয়ারি, ২০২৩ |
‘সংসদ উপনেতা’ জাতীয় সংসদে সংসদ নেতার কাজে সহায়তা এবং তার অনুপস্থিতিতে তার হয়ে কাজ করেন। উপনেতা সরকারি সংসদ সদস্যদের সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনের ভিত্তিতে নির্বাচিত হন। এ পদটি পূর্ণমন্ত্রীর পদমর্যাদার সমান। দেশের প্রথম সংসদ উপনেতা ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ১২ জানুয়ারি, ২০২৩ সংসদ সদস্য মতিয়া চৌধুরীকে সংসদের উপনেতা মনোনীত করা হয়। ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ স্পিকার তাকে উপনেতা হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেন। তিনি শেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য।
জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্ব
• বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশে বাংলাদেশের ৮১টি কূটনৈতিক মিশন চালু রয়েছে। ৮১টি মিশনের মধ্যে ১৭টি মিশনে বাংলাদেশের মালিকানাধীন নিজস্ব চ্যান্সারি ভবন (দূতাবাস ভবন) এবং ১৪টি মিশনে নিজস্ব মালিকানাধীন রাষ্ট্রদূতের বাসভবন রয়েছে। এছাড়া ৫টি মিশনে বাংলাদেশের মালিকানাধীন জমি রয়েছে।
• বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল ৩৪৬টি; নিউজ পোর্টাল ১৬২টি, দৈনিক পত্রিকার নিবন্ধিত অনলাইন পোর্টাল ১৬৯টি এবং টিভি চ্যানেলের অনলাইন পোর্টাল ১৫টি।
• পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির জন্য ভারতের অংশে ৫ কিলোমিটারসহ প্রায় ১৩১.৫ কিমি ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন (IBFPL) নির্মাণ করা হয়।
• বর্তমানে দেশে চিনিকল রয়েছে ১৫টি।
সাধারণের জন্য খুলছে বঙ্গভবন
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির অফিস ও বাসভবন হিসেবে পরিচিত সম্মান আর গৌরবের প্রতীক বঙ্গভবন সাজানো হয়েছে নতুন রূপে। বহু বছরের জরাজীর্ণ স্থাপনা তোশাখানা জাদুঘর ভেঙে সেটিকে নান্দনিক করে গড়ে তোলা হয়েছে। বিমান হামলা থেকে রাষ্ট্রপতিকে রক্ষার জন্য তৈরি বিশেষ ভবনটি রূপ পেয়েছে আধুনিক স্থাপনায়, যা এত বছর পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে ছিল। তিনটি বড় পুকুর দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর। ২৪ জানুয়ারি, ২০২৩ এক বছরের কর্মযজ্ঞ শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন স্থাপনা উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ২০২৩ সালের এপ্রিলে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে। মূলত তার আগ্রহে বঙ্গভবনকে নতুন করে সাজানো হয়েছে। সর্বোচ্চ নিরাপত্তার চাদরে থাকা ভবনটি সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হবে তার ইচ্ছাতেই। অনলাইনে টিকিট কেটে দর্শনার্থীরা বঙ্গভবনের ভেতরের দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা দেখতে পারবেন। তবে নিরাপত্তার দিক বিবেচনা করে রাষ্ট্রপতির অফিস ও বাসভবন দেখার সুযোগ জনসাধারণের জন্য থাকছে না। বঙ্গভবনের ভেতরে হলেও নবনির্মিত স্থাপনাগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির অফিস ও বাসভবন বেশ দূরে। মূলত সীমিত আকারে বঙ্গভবনের একটি অংশ দর্শনার্থীদের জন্য চালু করা হবে।
রেডিওর ইতি
৮১ বছরের যাত্রার ইতি টানল বিবিসি বাংলা রেডিও। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২২ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা ও রাত সাড়ে ১০টায় শেষবারের মতো বিবিসি রেডিওতে প্রচারিত হয় সংবাদ ও সাময়িক প্রসঙ্গের অনুষ্ঠান ‘প্রবাহ’ ও ‘পরিক্রমা’। এর মধ্য দিয়ে দীর্ঘকাল বাংলার মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রে থাকা রেডিওটির সম্প্রচার বন্ধ হয়ে যায়। বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসে ব্যাপক পরিবর্তনের জেরে বিবিসি বাংলা রেডিও বন্ধের এ সেপ্টেম্বরে ওয়ার্ল্ড সার্ভিস কর্তৃপক্ষ বাংলায় রেডিও সম্প্রচার বন্ধের পরিকল্পনা ঘোষণা করে। ১১ অক্টোবর, ১৯৪১ বিবিসি বাংলা রেডিওর যাত্রা শুরু হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ক্রান্তিকালে মিত্রপক্ষের বক্তব্য ভারতীয় উপমহাদেশের মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে চালু হয় বিবিসি বাংলা রেডিও। বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিবিসি নামটি সবচেয়ে বেশি পরিচিতি পায় ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময়।
ব্রিটিশ ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (BBC)
যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি গণমাধ্যম সংস্থা। টেলিভিশন, বেতার এবং ইন্টারনেটে সম্প্রচারের জন্য বিভিন্ন ইংরেজি অনুষ্ঠান প্রচার এবং তথ্য সেবা সরবরাহ করা এর প্রধান কাজ। ১৮ অক্টোবর, ১৯২২ BBC প্রতিষ্ঠা করা হয়। বিবিসি এর সদর দপ্তর হলো ‘ব্রডকাস্টিং হাউসে’ যা যুক্তরাজ্যের রাজধানী লন্ডনে অবস্থিত।
প্রাকৃতিক বৈচিত্র্যের সুন্দরবন
ইতিহাস
সুন্দরবন বাংলাদেশের দক্ষিণ অংশে গঙ্গা ও ব্রহ্মপুত্রের বদ্বীপ এলাকায় অবস্থিত পৃথিবীর বৃহত্তম জোয়ারধৌত গরান বনভূমি (Mangrove Forest)। ‘সুন্দরবন’ নামটি সম্ভবত সুন্দরী বৃক্ষের আধিক্যের কারণে (সুন্দরী-বন) অথবা সাগরের বন (সমুদ্র-বন) কিংবা এ বনভূমির আদিবাসী চন্দ্রবেদে থেকে উদ্ভূত। সাধারণভাবে গৃহীত ব্যাখ্যাটি হলো এখানকার প্রধান উদ্ভিদ সুন্দরী বৃক্ষের (Heritiera fomes) নাম অনুসারেই এ বনভূমির নামকরণ। খ্রিষ্টীয় ষষ্ঠ শতকের আগে গঙ্গার মূল প্রবাহ থেকে ভৈরব ও পদ্মা নদী প্রবাহিত হওয়ার পর সুন্দরবন অঞ্চলে ব-দ্বীপের সৃষ্টি হয়। মুঘল আমলে (১২০৩- ১৫৩৮) স্থানীয় এক রাজা পুরো সুন্দরবনের ইজারা নেন। ১৭৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্তৃক মুঘল সম্রাট দ্বিতীয় আলমগীর এর কাছ থেকে স্বত্বাধিকার পাওয়ার পরপরই সুন্দরবনের মানচিত্র তৈরি করা হয়। ১৮২৮ সালে ব্রিটিশ সরকার সুন্দরবনের স্বত্বাধিকার অর্জন করে। এল. টি হর্জে ১৮২৯ সালে সুন্দরবনের প্রথম জরিপকার্য পরিচালনা করেন। ১৮৭৮ সালে সমগ্র সুন্দরবন এলাকাকে সংরক্ষিত বন হিসেবে ঘোষণা করা হয় ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের সময় সুন্দরবনের ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার বাংলাদেশ অংশে পড়ে।
অবস্থান ও আয়তন
বাংলাদেশের খুলনা, বাগেরহাট ও সাতক্ষীরা জেলায় এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের দুই জেলা উত্তর চব্বিশ পরগনা ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জুড়ে বিস্তৃত। ১০,০০০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে গড়ে ওঠা সুন্দরবনের প্রায় ৬,০১,৭০০ হেক্টর। বা ৬,০১৭ বর্গ কিলোমিটার (৬২%) রয়েছে বাংলাদেশে যা দেশের আয়তনের ৪.১৩% এবং বাকি অংশ (৩৮%) রয়েছে ভারতের মধ্যে।
বাঘ শুমারি
১৯৭৫ সালে সুন্দরবনে প্রথমবারের মতো বাঘ শুমারি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ২০০৪ সালে UNDP’র সহায়তায় বন বিভাগ পাগমার্ক (পায়ের ছাপ) পদ্ধতির ওপর ভিত্তি করে পরিচালিত জরিপে ৪৪০টি রয়েল বেঙ্গল টাইগার গণনা করে। ২০০৬ সালে অধ্যাপক ও বাঘ গবেষক ড. মনিরুল এইচ খান ক্যামেরা ট্র্যাপিং ও আপেক্ষিক সংখ্যা পদ্ধতি অনুসরণ করে জানান, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ২০০টি। ২০১৫ সাল থেকে বন বিভাগ বাঘ গণনার ক্ষেত্রে অত্যাধুনিক ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতির ব্যবহার শুরু করে। সে জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ছিল ১০৬টি। এরপর ২০১৮ সালে ক্যামেরা ট্র্যাপিং পদ্ধতির মাধ্যমে আরেকটি বাঘ শুমারি করে বন বিভাগ জানায়, সুন্দরবনে বাঘের সংখ্যা ১১৪টি।
মেট্রোরেল: গতির বাহনে গন্তব্য
২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ রাজধানী ঢাকার দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁও অংশে উড়াল ট্রেন চালুর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ প্রবেশ করে মেট্রোরেলের যুগে। এটি দেশের প্রথম সম্পূর্ণ বিদ্যুৎচালিত ট্রেন, যা চলাচল করছে স্বয়ংক্রিয়ভাবে। এ প্রেক্ষাপটে মেট্রোরেল নিয়ে বিশেষ আয়োজন।
মেট্রোরেল আইন
জনসাধারণকে স্বল্প ব্যয়ে দ্রুত ও উন্নত গণপরিবহন সেবা প্রদানের লক্ষ্যে মেট্রোরেল নির্মাণ, পরিচালনা, রক্ষণাবেক্ষণ ও নিয়ন্ত্রণ এবং তদসংশ্লিষ্ট বিষয়ে বিধান প্রণয়ন করে ২৬ জানুয়ারি, ২০১৫ জাতীয় সংসদে পাস হয় ‘মেট্রোরেল বিল, ২০১৫’। ২ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ রাষ্ট্রপতি বিলটিতে স্বাক্ষর করলে এটি আইনে পরিণত হয়।
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (DMTCL) বাংলাদেশের একটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থা, যা ঢাকা মেট্রোরেল নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে। ঢাকা মেট্রোরেল নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচালনার জন্য ৩ জুন, ২০১৩ DMTCL প্রতিষ্ঠা করা হয়।
লোগোর ডিজাইনার
মেট্রোরেলের লোগোর ডিজাইনার আলী আহসান নিশান। লোগের মধ্যে তুলে ধরা হয়েছে পুরো বাংলাদেশকে। একটা লাল সূর্য উঠছে। নিচে বাংলার চিরচেনা সবুজের মাখামাখি। দুইয়ে মিলে বাংলাদেশ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ছাত্র নিশানের বাড়ি নওগাঁ জেলায়।
ভাড়া
মেট্রোরেলের ব্যয়, জনসাধারণের আর্থিক সামর্থ্য বিবেচনায় নিয়ে মেট্রোরেল বিধিমালা ২০১৬ এর বিধি ২২ অনুযায়ী নিম্নরূপভাবে ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে।
• কিলোমিটার প্রতি ভাড়া ৫ টাকা।
• সর্বনিম্ন ভাড়া ২০ টাকা।
• সর্বোচ্চ ভাড়া ১০০ টাকা (উত্তরা-কমলাপুর)।
• যাত্রীগণ MRT Pass / Rapid Pass ব্যবহার করে প্রতি যাত্রায় ১০% রেয়াত পাবেন।
• যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাগণ বিনা ভাড়ায় মেট্রোরেলে ভ্রমণ করতে পারবেন।
• বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিবর্গ প্রতিটি Single Trip এর জন্য ১৫% ছাড় পাবেন।
• ৯০ সেন্টিমিটার পর্যন্ত উচ্চতার শিশু অভিভাবকের সঙ্গে বিনা ভাড়ায় ভ্রমণ করতে পারবে।
প্রথম নারী চালক
২৮ ডিসেম্বর ২০২২ মেট্রোরেলে ইতিহাস সৃষ্টি করেন দুই নারী। মরিয়ম আফিজা মেট্রোরেলের প্রথম নারী চালক। মেট্রোরেলের চালকের পদটির নাম ‘ট্রেন অপারেটর’। আসমা আক্তার প্রথম নারী স্টেশন অপারেটর। ট্রেন অপারেটর কখনো কখনো স্টেশন কন্ট্রোলারের দায়িত্ব পালন করবেন। আবার স্টেশন কন্ট্রোলার প্রয়োজন হলে ট্রেন চালাবেন। লক্ষ্মীপুর জেলার রামগঞ্জ উপজেলার করপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা মরিয়ম নিয়োগ পান ২ নভেম্বর ২০২২। আসমা আক্তার রাজধানীর তিতুমীর কলেজ থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক করেন। স্টেশন কন্ট্রোলার পদে নিয়োগ পান ২১ আগস্ট ২০১৯।
মোট স্টেশন: ১৭টি —
• উত্তরা উত্তর, উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর ১১, মিরপুর ১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, আগারগাঁও, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, কাওরান বাজার, শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ সচিবালয়, মতিঝিল এবং কমলাপুর।
• প্রথম যাত্রী: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
• ট্রেন তৈরি: জাপানে।
• সার্কভুক্ত দেশের মধ্যে ভারত প্রথম, দ্বিতীয় পাকিস্তান এবং তৃতীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালু হয়।
প্রযুক্তির চমক
জাপানের প্রযুক্তিতে তৈরি দেশের প্রথম মেট্রোরেলের নান্দনিক স্টেশনগুলোতে থাকছে যাত্রীদের অত্যাধুনিক সেবার সব সুবিধা মেট্রোরেলে যাত্রী নিরাপত্তায় রয়েছে সর্বাধুনিক প্রযুক্তি।
Rapid Pass
গণপরিবহনের সমন্বিত ই-টিকেটিং (One Card for all Transport) ব্যবস্থা প্রবর্তন ও ভাড়া আদায়ের লক্ষ্যে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (DICA) কর্তৃক স্মার্ট কার্ড Rapid Pass প্রচলন করে। ৪ জানুয়ারি ২০১৮ মেট্রোরেল, বাস র্যাপিড ট্রানজিট, বাংলাদেশ রেলওয়ে, BIWTC’র নৌ-যান, সরকারি ও বেসরকারি বাস সার্ভিসে স্বাচ্ছন্দ্যে ও নিরবচ্ছিন্ন যাতায়াতে Rapid Pass সিস্টেম চালু করা হয়। মেট্রোরেল লাইন-৬ এ Rapid Pass সিস্টেম প্রবর্তন, ভাড়া আদায় ও সেটেলমেন্ট এর লক্ষ্যে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ DMTCL’র সাথে Public Transport Operator (PTO) Agreement স্বাক্ষরিত হয়। মেট্রোরেল চালুর প্রথম দিন থেকে Rapid Pass কার্ডের স্পেসিফিকেশন অনুসারে তৈরি MRT পাস কার্ডের মাধ্যমে মেট্রোরেলের ভাড়া আদায় করা হয়। Rapid Pass এর প্রাথমিক মূল্য ৪০০ টাকা, যার মধ্যে ২০০ টাকা প্রাথমিক রিচার্জ এবং বাকি ২০০ টাকা কার্ডের জমা মূল্য। টিকেট বিক্রয় মেশিন থেকে ২০ টাকা এবং ডাচ্ বাংলা ব্যাংক-এর নির্ধারিত শাখা থেকে সর্বনিম্ন ১০০-১,০০০ টাকা রিচার্জ করা যাবে। তবে কার্ডের ব্যালেন্স ১০,০০০ টাকার বেশি হতে পারবে না। মেট্রোরেলের স্টেশনের সকল টিকেট ভেন্ডিং মেশিন (TVM) এবং টিকেট অফিস মেশিন (TOM) থেকে রিচার্জ করতে পারবেন।
মেট্রোরেলের ইতিহাস
যুক্তরাজ্যের লন্ডন শহরকে কেন্দ্রের সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য ১৮৩০ সালে বিশিষ্ট নাগরিক চার্লস পিয়ারসন লন্ডন সিটি করপোরেশনের কাছে একটি ভূগর্ভস্থ রেলপথের প্রস্তাব করেন। করপোরেশনের কর্তাব্যক্তিরা তার এই অদ্ভুত এবং অনেকটা ‘অবাস্তব’ প্রস্তাবে প্রথমে বেশ গড়িমসি দেখালেও, নাছোড়বান্দা পিয়ারসনের উপর্যুপরি চাপের কাছে নতি স্বীকার করে এমন প্রকল্পে অর্থায়নে সম্মতি দেন। ১৮৫৪ সালে মেট্রোপলিটন রেলওয়েকে এ ধরনের লাইন নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়। ১৮৫৫ সালে নির্মাণের প্রস্তুতির জন্য লন্ডনের অনুরূপ ভূতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্যের একটি ছোট শহর কিবলেস ওয়ার্থে একটি ছোট টেস্ট টানেল তৈরি করা হয়। ১০ জানুয়ারি, ১৮৬৩ বাষ্পচালিত লোকোমোটিভ ইঞ্জিনযুক্ত রেলের মাধ্যমে প্যাডিংটন এবং ফ্যারিংডনের মধ্যে চালু হয় লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড ট্রেন। এর মাধ্যমে বিশ্বের প্রথম মেট্রোরেল ব্যবস্থার যাত্রা শুরু হয়। এটি ‘দ্য আন্ডারগ্রাউন্ড’ এবং ‘দ্য টিউব’ নামেও পরিচিত। ১৮৯০ সালে এ পথে প্রথম ইলেকট্রিক্যাল ট্রেন চলাচল শুরু করে। ৪০২ কিলোমিটার দীর্ঘ লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড বর্তমানে ২৭টি স্টেশনের মাধ্যমে বছরে ১১৭ কোটি যাত্রী পরিবহন করছে। এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে জাপান ১৯২৭ সালে মেট্রোরেল চালু করে। প্রতিবেশী দেশ ভারতে প্রথম মেট্রোরেলের সূচনা হয় ২৪ অক্টোবর, ১৯৮৪ কলকাতা নগরীতে। বর্তমানে বিশ্বের ৬০টি দেশের ১৯২টি শহরে মেট্রোরেল ব্যবস্থা চালু রয়েছে।
বিশ্বের গভীরতম মেট্রোরেল স্টেশন ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের ‘আর্সেনালনা’। স্টেশনটি ভূগর্ভের ১০৫.৫ মিটার বা ৩৪৬ ফুট নিচে অবস্থিত।
বিশ্বের দীর্ঘতম সাংহাই মেট্রো চীনে অবস্থিত।
রেলপথের দৈর্ঘ্য ও স্টেশন সংখ্যা অনুযায়ী বিশ্বের বৃহত্তম মেট্রোরেল নিউইয়র্ক সিটি সাবওয়ে।
বিশ্বের ব্যস্ততম মেট্রো ব্যবস্থা টোকিও মেট্রো ও মস্কো মেট্রো। বিশ্বের দীর্ঘতম পাঁচ মেট্রোরেল | ||||
নাম | দেশ | যাত্রা শুরু | দৈর্ঘ্য (কিমি) | স্টেশন |
সাংহাই মেট্রো | চীন | ২৮ মে, ১৯৯৩ | ৮৩১ | ৫০৮ |
বেইজিং সাবওয়ে | চীন | ১৫ জানুয়ারি, ১৯৭১ | ৭৮৩ | ৪৬৩ |
লন্ডন আন্ডারগ্রাউন্ড | যুক্তরাজ্য | ১০ জানুয়ারি, ১৮৬৩ | ৪০২ | ২৭০ |
গুয়াংঝো মেট্রো | চীন | ২৮ জুন, ১৯৯৭ | ৬০৭.৬ | ২৯৪ |
নিউইয়র্ক সিটি সাবওয়ে | যুক্তরাষ্ট্র | ২৭ অক্টোবর, ১৯০৪ | ৩৯৯ | ৪৭২ |
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন
রাষ্ট্রপতি
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সাংবিধানিক প্রধান। বাংলাদেশের সংবিধানের চতুর্থ ভাগের ৪৮-৫৪ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতি সম্পর্কিত বিধানাবলি বিধৃত হয়েছে। রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে অধিষ্ঠিত এবং তিনি সংবিধান ও আইন বলে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতা প্রয়োগ ও দায়িত্ব সম্পন্ন করেন। অধিকন্তু সরকারের যাবতীয় নির্বাহী কার্যাদি রাষ্ট্রপতির নামে সম্পাদন করা হয়। সংবিধানের ৫৬(৩) অনুচ্ছেদের ধারা অনুসারে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ ব্যতীত রাষ্ট্রপতি সর্বদা প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুসারে কার্যনির্বাহ করেন।
নির্বাচনের ইতিহাস
স্বাধীনতার পর বাংলাদেশ রাষ্ট্রপতি শাসিত ও সংসদীয় উভয় পদ্ধতিতে পরিচালিত হওয়ায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি মাঝে মধ্যে পরিবর্তিত হয়েছে। ১৯৭২ সালের সংবিধানের দ্বিতীয় তফসিল মোতাবেক রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হতেন সংসদ সদস্যদের গোপন ভোটে। ১৯৭৫ সালে সংবিধানে চতুর্থ সংশোধনী অনুসারে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান প্রত্যক্ষ ভোটে প্রবর্তিত হয়। এরপর ১৯৯১ সালে সংবিধানের ১২তম সংশোধনী অনুসারে সংসদীয় পদ্ধতি চালু হলে পরোক্ষ ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের বিধান করা হয়। বর্তমানে সংবিধানের ৪৮(১) অনুচ্ছেদ অনুসারে সংসদ-সদস্যদের দ্বারা রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। এ পর্যন্ত বাংলাদেশে ১১ বার রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
নির্বাচনের সময়কাল
নির্বাচন | সময়কাল | নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি |
প্রথম | ২৪ জানুয়ারি, ১৯৭৪ | মোহাম্মদ উল্লাহ |
দ্বিতীয় | ৩ জুন, ১৯৭৮ | লে. জেনারেল জিয়াউর রহমান |
তৃতীয় | ১৫ নভেম্বর, ১৯৮১ | আবদুস সাত্তার |
চতুর্থ | ১৫ অক্টোবর, ১৯৮৬ | লে. জেনারেল হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ |
পঞ্চম | ৮ অক্টোবর, ১৯৯১ | আবদুর রহমান বিশ্বাস |
ষষ্ঠ | ২৩ জুলাই, ১৯৯৬ | বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদ |
সপ্তম | ১২ নভেম্বর, ২০০১ | এ. কিউ. এম. বদরুদ্দোজা চৌধুরী |
অষ্টম | ৫ সেপ্টেম্বর, ২০০২ | প্রফেসর ড. ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ |
নবম | ২০০৯ | মো. জিল্লুর রহমান |
দশম | ২২ এপ্রিল, ২০১৩ | মো. আবদুল হামিদ |
একাদশ | ১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ | মো. আবদুল হামিদ |
নির্বাচন পদ্ধতি
১৯৯১ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন আইন অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি সংসদ-সদস্যগণের প্রকাশ্য ভোটে নির্বাচিত হন। আর প্রধান নির্বাচন কমিশনার ‘নির্বাচনী কর্তা’ হিসেবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পরিচালনা করেন। একাধিক প্রার্থী হলে সংসদের অধিবেশন কক্ষে নির্বাচনী কর্তার সামনে নির্ধারিত ব্যালট পেপারে পছন্দের প্রার্থীর নাম ও নিজের স্বাক্ষর দিয়ে তা জমা দিতে হয়। ভোট শেষে সর্বাধিক সংখ্যক ভোটপ্রাপ্তকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়, আর সমান ভোট পেলে প্রার্থীদের মধ্যে লটারির মাধ্যমে ফলাফল নির্ধারণ করা হয়। রাষ্ট্রপতি পদে একক প্রার্থী হলে বিধান অনুযায়ী ভোটগ্রহণের প্রয়োজন পড়ে না।
যোগ্যতা
রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা- অন্যূন বয়স ৩৫ বছর।
সংসদ- সদস্য নির্বাচিত হওয়ার যোগ্যতা।
সংবিধানের অধীন অভিশংসন দ্বারা রাষ্ট্রপতির পদ থেকে অপসারিত হননি।
পদের মেয়াদ
সংবিধানের ৫০ নং অনুচ্ছেদ অনুসারে রাষ্ট্রপতির পদের মেয়াদ- রাষ্ট্রপতি কার্যভার গ্রহণের তারিখ থেকে ৫ বছর। একাদিক্রমে হোক বা না হোক-কোনো ব্যক্তি দুই মেয়াদের অধিক রাষ্ট্রপতি পদে অধিষ্ঠিত থাকতে পারবে না। স্পিকারের উদ্দেশ্যে স্বাক্ষরযুক্ত পত্রযোগে রাষ্ট্রপতি স্বীয় পদ করতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি তার কার্যভারকালে সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হবেন না এবং কোনো সংসদ-সদস্য রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে রাষ্ট্রপতিরূপে কার্যভার গ্রহণের দিনে সংসদে তার আসন শূন্য হবে।
রাষ্ট্রপতির কার্যালয়
রাষ্ট্রপতিকে তার কাজে সর্বোত্তম সাহায্যের সরকারি বাসভবন বঙ্গভবনে তার একটি কার্যালয় রয়েছে। যার নাম রাষ্ট্রপতির কার্যালয়। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব ও রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের নেতৃত্বে দু’টি বিভাগ পরিচালিত হয়। এ বিভাগ দু’টি হলো— জন বিভাগ ও আপন বিভাগ। জন বিভাগের দায়িত্ব রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে রাষ্ট্রপতিকে সাংবিধানিক, আইনগত ও নির্বাহী দায়িত্ব পালনে দাপ্তরিক সহায়তা দান। অন্যদিকে, আপন বিভাগের দায়িত্ব রাষ্ট্রপতির বাসভবন সংক্রান্ত কাজকর্ম পরিচালনা ও তত্ত্বাবধান, আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম ব্যবস্থাপনা, অন্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, ভিনদেশী সম্মানিত ব্যক্তি ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের অভ্যর্থনা ও ভোজ ব্যবস্থাপনা, রাষ্ট্রপতির ব্যক্তিগত নিরাপত্তা বিধান ও প্রতিরক্ষা কার্য সম্পাদন ইত্যাদি।
সাংবিধানিক কার্যাবলি:
প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রী:
প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীদের নিয়োগ [৫৬(২) অনুচ্ছেদ] • প্রতিরক্ষা ‘কর্মবিভাগ সমূহের সর্বাধিনায়ক-এর দায়িত্ব পালন [৬১ অনুচ্ছেদ] • বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল পদে নিয়োগদান [৬৪ (১) অনুচ্ছেদ] • সরকারি বিজ্ঞপ্তি দ্বারা সংসদ আহ্বান, স্থগিত ও ভঙ্গ [৭২(১) অনুচ্ছেদ) • সংসদ ভেঙ্গে যাওয়া অবস্থায় অধ্যাদেশ প্রণয়ন ও জারী [৯৩ (১) অনুচ্ছেদ] • প্রধান বিচারপতি রাষ্ট্রপতি কর্তৃক নিযুক্ত হবেন এবং প্রধান বিচারপতির সাথে পরামর্শ করে রাষ্ট্রপতি অন্যান্য বিচারককে নিয়োগদান [৯৫(১) অনুচ্ছেদ] • প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারকে নিয়োগদান, [১১৮(১) অনুচ্ছেদ] • বাংলাদেশের মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগদান [১২৭(১) অনুচ্ছেদ] • সরকারী কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও অন্যান্য সদস্যগণকে নিয়োগ [১৩৮(১) অনুচ্ছেদ] • প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, ডেপুটি স্পীকার, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য এবং প্রধান বিচারপতিকে শপথ পাঠ করানো [১৪৮ অনুচ্ছেদ ও ৩য় তফসিল]
রাষ্ট্রপতির নিরাপত্তা বাহিনী:
• প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট ৫ জুলাই, ১৯৭৫ স্বাধীনতার পর থেকেই রাষ্ট্রীয় অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের নিরাপত্তার জন্য ‘প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্ট’ (PCR) প্রতিষ্ঠা করা হয়। PGR বঙ্গভবনে অবস্থিত বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির নির্বাহী অফিসের একটি সত্তা, রাষ্ট্রপতির বিদেশ ভ্রমণ, রাষ্ট্রপতির সাধারণ যাতায়াত, চিকিৎসা সহায়তা ও জরুরি চিকিৎসা সেবা এবং আতিথেয়তা পরিষেবাসহ সকল ধরনের নিরাপত্তা, সামরিক সহায়তা নিশ্চিত করে। PGR’র প্রধান হলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব এবং এটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি অংশ। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকেই এ পর্যন্ত PGR দেশ ও বিদেশ হতে আগত রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকার প্রধান এবং রাষ্ট্র ঘোষিত যেকোনো অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গের দৈহিক নিরাপত্তাসহ সকল প্রকার রাষ্ট্রাচার কার্য অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করে আসছে।
স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স:
১৫ জুন, ১৯৮৬ রাষ্ট্রপতি ও বিদেশ থেকে আগত রাষ্ট্রপ্রধানদের নিরাপত্তার জন্য প্রেসিডেন্ট সিকিউরিটি ফোর্স (PSF) নামে একটি বিশেষ নিরাপত্তা দল গঠন করা হয়। ২৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৯১ নাম পরিবর্তন করে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (SSF) বা বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী নামকরণ করা হয়। যদিও প্রাথমিকভাবে কেবল রাষ্ট্রপতি ও রাষ্ট্রকর্তৃক ঘোষিত অতিগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের নিরাপত্তা প্রদানে SSF গঠিত হয়। কিন্তু সংসদীয় সরকার পদ্ধতি চালু হওয়ার পর রাষ্ট্রপতি ছাড়াও সরকার প্রধানকেও SSF নিরাপত্তা প্রদান করে আসছে।
‘বঙ্গভবন’ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির কার্যালয় ও বাসভবন। ১ সেপ্টেম্বর ১৯০৫ তদানীন্তন ব্রিটিশ বাংলা প্রেসিডেন্সিকে বিভক্ত করে ‘পূর্ববঙ্গ ও আসাম’ নামে একটি প্রদেশ প্রতিষ্ঠার ঐতিহাসিক পটভূমিতে বঙ্গভবন প্রতিষ্ঠিত হয়। নবসৃষ্ট প্রদেশের রাজধানী করা হয় ঢাকাকে আর প্রদেশের প্রধান শাসনকর্তা তথা লেফটেন্যান্ট-গভর্নর নিযুক্ত হন। ইন্ডিয়ার সিভিল সার্ভিসের সদস্য স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার। নবনিযুক্ত লেফটেন্যান্ট গভর্নর ও তার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য একটি উপযুক্ত অফিস ও বাসভবন নির্মাণ করা জরুরি হয়ে পড়ে। ঢাকার নবাব স্যার খাজা সলিমুল্লাহর জমিতে ১৯০৫ সালের আগস্ট-সেপ্টেম্বরে এই ভবনের কাজ শুরু হয়। এটি ‘অস্থায়ী গভর্নমেন্ট হাউজ’ হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার পূর্ববঙ্গ ও আসাম প্রদেশের প্রধান শাসনকর্তা হিসেবে ১৪ ফেব্রুয়ারি ১৯০৬ নবনির্মিত অস্থায়ী গভর্নমেন্ট হাউজে প্রবেশ করেন। অচিরেই ভবনটি ‘দিলখুশা গভর্নমেন্ট হাউজ’ নামে পরিচিতি লাভ করে।
১৪ আগস্ট ১৯৪৭ পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হলে পূর্ব বাংলা একটি প্রদেশে পরিণত হয়। ঢাকাকে এই প্রদেশের রাজধানী করা হয়। নতুন প্রাদেশিক শাসনকর্তার নামকরণ করা হয় ‘গভর্নর’ এবং তার দপ্তর ও বাসস্থান নির্বাচিত হয় গভর্নমেন্ট হাউজ। এ সময় ‘গভর্নমেন্ট হাউজ’ এর নাম পরিবর্তন করে নতুন নামকরণ করা হয় ‘গভর্নর হাউজ’। ৯ মে ১৯৬১ প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ে গভর্নর হাউজের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তৎকালীন পূর্ব বাংলার গভর্নর লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোহাম্মদ আযম খানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৬৪ সালে গভর্নর হাউজটি নতুন আঙ্গিকে পুনর্নির্মাণ করা হয়। ২৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদের অন্যান্য সদস্যগণ গভর্নর হাউজে মন্ত্রিপরিষদের প্রথম সভা করেন সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী গভর্নর হাউজকে ‘বঙ্গভবন’ নামে নতুন নামকরণ করা হয়। বঙ্গভবনের মূলভবনে রয়েছে ঐতিহাসিক দরবার হল। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রধান বিচারপতি, মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দের শপথ অনুষ্ঠিত হয় এ দরবার হলে। বিদেশি রাষ্ট্রপ্রধানগণের বাংলাদেশ সফরকালে তাদের সম্মানে এখানে নৈশভোজের আয়োজন করা হয়।
প্রথম ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী
টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার উপজেলার গ্রাম থেকে উঠে আসা জাহিদুল ইসলাম রূপান্তরিত হয়ে এখন অঙ্কিতা ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ব্যবস্থাপনা বিভাগে এক্সিকিউটিভ এমবিএ করার সুযোগ পান তিনি। চাকরি করছেন ব্র্যাক ব্যাংকে। টাঙ্গাইলের সরকারি সা’দত কলেজ থেকে গণিতে স্নাতক পাস করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী হিসেবে রেকর্ড গড়েন অঙ্কিতা।
মৃতদেহ থেকে জৈব সার
মানুষের মরদেহ থেকে জৈব সার তৈরির প্রক্রিয়া অনুমোদন দেয় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য সরকার। ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ গভর্নর ক্যাথি হোকুল অনুমোদন দেওয়ার পর নিউইয়র্ক ষষ্ঠ অঙ্গরাজ্য হিসেবে পদ্ধতিটির অনুমোদন দেয়। এ পদ্ধতিতে জৈব সার বানাতে আবদ্ধ অবস্থায় কয়েক সপ্তাহ মরদেহ থাকলে পঁচে যায়। সেখানে কাঠের গুঁড়া, বিশেষ ধরনের লতাপাতা ও খড় ঘাসের মতো কিছু উপাদান রাখা হয়। জীবাণুমুক্ত করার জন্য তাপ প্রয়োগ করা হয়। এটি পরিবেশবান্ধব এবং এর ব্যবহারে সীমিত জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার করা সম্ভব। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ওয়াশিংটন প্রথম এ পদ্ধতির অনুমোদন দেয়।
BRRI
নতুন ৩ জাত ২৬ ডিসেম্বর, ২০২২ বাংলাদেশ ধান পবেষণা ইনস্টিটিউট (BRRI) উদ্ভাবিত আরও তিনটি নতুন জাতের ধান জাতীয় বীজ বোর্ডের অনুমোদন পায়। ব্রি ধান-১০৩ আমন মৌসুমের, বাসমতী টাইপের সুগন্ধি জাত ব্রি ধান- ১০৪ ও ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ বোরো মৌসুমের জন্য অবমুক্ত করা হয়। ব্রি ধান-১০৩ আমন জাতটির গড় ফলন প্রতি হেক্টরে ৬.২ টন। ব্রি ধান-১০৪-এ আধুনিক উফশী ধানের সব বৈশিষ্ট্য বিদ্যমান। এ জাতটি বাসমতী টাইপের ব্রির একমাত্র সুগন্ধি ধানের জাত। এই জাতের হেক্টর প্রতি গড় ফলন ৭.২৯ টন। বোরো মৌসুমের ব্রি হাইব্রিড ধান-৮ এবং ফলন প্রতি হেক্টরে সাড়ে ১০-১১ টন।