বাংলাদেশ বিষয়াবলি

কালানুক্রমিক ঘটনাবলি

০১.০৩.২০২৩

♦ সোনালী আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে ঘোষণার গেজেট প্রকাশ।

♦ জাতীয় পরিচয়পত্র বা জন্মনিবন্ধন সনদ যাচাইয়ের মাধ্যমে আন্তঃনগর ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু করে বাংলাদেশ রেলওয়ে।

০২.০৩.২০২৩

♦ দেশের চূড়ান্ত ভোটার তালিকা প্রকাশ করে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (EC)।

♦ জাতীয় বীজ বোর্ডের ১০৯তম সভায় বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের (BRRI) উদ্ভাবিত ‘ব্রি ধান–১০৫’ ও ‘ব্রি ধান–১০৬’ জাতের অনুমোদন দেওয়া হয়।

০৩.০৩.২০২৩

♦ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়, কিশোরগঞ্জ–এর শিক্ষা কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।

♦ ইনস্টিটিউট ফর গ্লোবাল চেঞ্জের নির্বাহী চেয়ারম্যান হিসেবে দুই দিনের সফরে ঢাকা পৌঁছেন সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ার।

০৪.০৩.২০২৩

♦ যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে চারটি ই– গেটের উদ্বোধন।

♦ কাতারের রাজধানী দোহায় স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলনে যোগ দিতে কাতারের রাজধানী দোহার উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

০৭.০৩.২০২৩

♦ ঢাকার গুলিস্তানের সিদ্দিকবাজারে কুইন স্যানিটারি মার্কেটের সাততলা ভবনে বিস্ফোরণে পঁচিশের অধিক নিহত।

♦ দেশের প্রথম জাতীয় ব্রাউজার ‘তর্জনী’ চালু।

০৮.০৩.২০২৩

♦ কাতারে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর পঞ্চম জাতিসংঘ সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

♦ তিন দিনের সফরে ঢাকায় পৌঁছেন ব্রিটিশ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান মারি ট্রিভেলিয়ান।

১১.০৩.২০২৩

♦ ঢাকার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে তিন দিনব্যাপী ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’ শুরু।

♦ ময়মনসিংহে ৭৩টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন এবং ৩০টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

১২.০৩.২০২৩

♦ জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (ECNEC) সভায় আটটি প্রকল্প অনুমোদন।

♦ বাংলাদেশ জাতীয় যোগ্যতা কাঠামো (BNQF)–এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।

♦ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টি–২০ সিরিজ জয় করে বাংলাদেশ।

১৩.০৩.২০২৩

♦ মন্ত্রিসভার বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ট্রাফিক ইন ট্রানজিট– সংক্রান্ত চুক্তির খসড়া অনুমোদন।

♦ জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (NBR) এক প্রজ্ঞাপনে ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে ডিজেল আমদানির অনুমতি দেয়।

১৪.০৩.২০২৩

♦ টি–২০ সিরিজে ইংল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করে বাংলাদেশ।

১৫.০৩.২০২৩

♦ দেশের প্রথম মোবাইল অপারেটর সিটিসেলের লাইসেন্স বাতিল করে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (BTRC)।

১৬.০৩,২০২৩

♦ তৃতীয় ধাপে দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৫০টি মডেল মসজিদের উদ্বোধন।

১৭.০৩.২০২৩

♦ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৩তম জন্মবার্ষিকী পালত।

১৮.০৩.২০২৩

♦ ভারত–বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধন।

♦ বাগেরহাটের ফকিরহাটে দেশের ৪৯৪তম ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের উদ্বোধন।

২০.০৩.২০২৩

♦ গোপালগঞ্জ, রংপুর, গাজীপুর ও নাটোর জেলায় ‘বাংলা কিউআর কোডে লেনদেন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন।

♦ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটির কমিশনিং করেন।

২১.০৩.২০২৩

♦ ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে ভিসা সার্ভিস সেন্টার চালু করে সৌদি আরব।

২২.০৩.২০২৩

♦ ভুটান–বাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষর।

২৩.০৩.২০২৩

♦ বাংলাদেশ ৩৩তম ওয়ানডে সিরিজ জয়লাভ করে।

২৬.০৩.২০২৩

♦ ৫৩তম স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালিত।

২৮.০৩.২০২৩

♦ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘ভূমি উন্নয়ন কর আইন ২০২৩’ ও ‘ব্যাংক কোম্পানি (সংশোধন) আইন, ২০২৩’-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন।

♦ ইন্টারন্যাশনাল ফাইন্যান্স ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের (IFIC) নাম আইএফআইসি ব্যাংক পিএলসি করা হয়।

২৯.০৩.২০২৩

♦ তিনদিনব্যাপী দেশের প্রথম জাতীয় ভূমি সম্মেলন শুরু।

♦ উপজেলা পরিষদে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (UNO) মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার পদ সংক্রান্ত ৩৩ ধারা অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেয় হাইকোর্ট।

৩০.০৩.২০২৩

♦ সরকারি হাসপাতালে ফি দিয়ে বৈকালিক চিকিৎসা সেবা চালু।

 

আলোচিত বাংলাদেশ

OIC’র মানবাধিকার পরিষদের সদস্য

১৬–১৭ মার্চ ২০২৩ মৌরিতানিয়ার রাজধানী নোয়াকচটে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (OIC) পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের ৪৯তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠকে বাংলাদেশ OIC’র ইসলামি মানবাধিকার পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়। এ কাউন্সিলে এশিয়ার অন্য সদস্য দেশগুলো হলো তুরস্ক ও ইরান। এছাড়া OIC’র ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে ফিলিস্তিন ও নাইজেরিয়া নির্বাচিত হয়। ৫৭ সদস্যের ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাটির সভাপতির দায়িত্বে রয়েছে আয়োজক দেশ মৌরিতানিয়া।

জাতীয় মোবাইল ব্রাউজার তর্জনী

৭ মার্চ ২০২৩ ইন্টারনেট ব্যবহারে সহায়তা দিতে সম্পূর্ণ বাংলায় চালু হয় প্রথম জাতীয় ব্রাউজার ‘তর্জনী’। এতে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজি ভাষাও রয়েছে। অ্যাপল ও গুগল প্লে স্টোরে মিলবে নিরাপদ ও দ্রুতগতির এ বাংলাদেশি মোবাইল ব্রাউজার। গুগল ক্রোম ও অন্যান্য ব্রাউজারের মতো তর্জনী ব্রাউজারেও সব ধরনের আধুনিক ফিচার ব্যবহার করা হয়। এতে রয়েছে তর্জনী সার্চ বার, ডার্ক মোড, ট্যাব, বিজ্ঞাপন বন্ধ, বুকমার্ক, ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তাসহ নানা ফিচার। ব্রাউজারটি দেশের ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের ভাষাগত জটিলতা নিরসন এবং নিরাপদ সাইবার স্পেস তৈরি করবে।

পাট উৎপাদনে শীর্ষে বাংলাদেশ

ভারতকে টপকে বিশ্বের শীর্ষ পাট উৎপাদনকারী দেশ এখন বাংলাদেশ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) সর্বশেষ স্ট্যাটিস্টিক্যাল বুলেটিনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়। তথ্যমতে, পাটসহ বেশ কিছু পণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ কখনও ভারতকে টপকাতে পারেনি। কিন্তু গত কয়েক বছরে ভারতের পাটের উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে কমে যায়। এরই প্রেক্ষিতে ২০২০–২১ অর্থবছরে ভারতে পাটের উৎপাদন ৯,৮০,০০০ টন। আর বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১,৪৮,০০০ টন। এর মাধ্যমেই ভারতকে টপকে যায় বাংলাদেশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (EPB) তথ্যমতে, ২০২১–২২ অর্থবছরে পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি করে আয় হয় ১১২,৭৭,৩০,০০০ মার্কিন ডলার। ২০২২– ২৩ অর্থবছরে এ খাত থেকে বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের লক্ষ্য ১২৮ কোটি মার্কিন ডলার।

কৃষিপণ্যের তালিকায় পাট

৯ জানুয়ারি, ২০২৩ মন্ত্রিসভার বৈঠকে সোনালী আঁশ পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে গণ্য করার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরই প্রেক্ষিতে ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩ কৃষি মন্ত্রণালয় পাটকে কৃষিপণ্য ঘোষণা করে প্রজ্ঞাপন জারি করে। ১ মার্চ, ২০২৩ যা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ফলে এখন থেকে পাটকে কৃষিপণ্য হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এর ফলে অন্যান্য কৃষিপণ্যের মতো পাটেও কৃষিঋণ পাওয়া যাবে। সেইসঙ্গে কৃষিপণ্য রপ্তানিতে যে ধরনের সুযোগ–সুবিধা দেওয়া হয়, পাটেও তা পাওয়া যাবে।

পাটজাত পণ্য: বর্ষপণ্য ২০২৩

১ জানুয়ারি, ২০২৩ ঢাকার পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ–চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (BBCFEC) ২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পাটজাত পণ্যকে বর্ষপণ্য, ২০২৩ ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ‘পাটজাত পণ্য’ কে ‘বর্ষপণ্য–২০২৩ (Product of the Year–2023)’ ঘোষণা করে গণবিজ্ঞপ্তি জারি করে। ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ যা গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়। ‘রপ্তানি নীতি ২০২১–২৪’ এর ৯.১২ অনুচ্ছেদে বলা হয়, পণ্যভিত্তিক রপ্তানিকে উৎসাহিত করার জন্য প্রতিবছর একটি পণ্যকে ‘বর্ষপণ্য’ ঘোষণা অব্যাহত রাখা হবে।

বাংলা নববর্ষের উৎপত্তি

বাংলা সনের প্রবর্তন করেন মুঘল সম্রাট জালালউদ্দিন মোহাম্মদ আকবর। তিনি খাজনা আদায়ের সুবিধার জন্য তার সভার জ্যোতির্বিদ আমির ফতেইউল্লাহ সিরাজীর সহযোগিতায় ১৫৮৪ সালে ‘তারিখ-এ- এলাহি’ নামে নতুন একটি বছর গণনা পদ্ধতি চালু করেন। ঐ সময়ে প্রচলিত রাজকীয় সন ছিল ‘হিজরি সন’, যা চন্দ্রসন হওয়ায় প্রতি বছর একই মাসে খাজনা আদায় সম্ভব হতো না। বাংলা সন শূন্য থেকে শুরু হয়নি, যে বছর বাংলা সন প্রবর্তন করা হয়, সে বছর হিজরি সন ছিল ৯২৩। সে অনুযায়ী, সম্রাটের নির্দেশে প্রবর্তনের বছরই ৯২৩ সালে যাত্রা শুরু হয় বাংলা সনের। এ ব্যাপারে ১০ মার্চ মতান্তরে ১১ মার্চ ১৫৮৪ সম্রাটের নির্দেশনামা জারি হয়। তবে এর কার্যকারিতা -দেখানো হয় ১৫৫৬ সাল থেকে। কারণ ঐ সালটি ছিল সম্রাট আকবরের সিংহাসনে আরোহণের বছর।

বৈসাবি

ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠী প্রতিবছর বাংলা চৈত্র মাসের ৩০ ও ৩১ তারিখ এবং বৈশাখের ১ তারিখ নববর্ষ পালন করে। বাংলা বছরের শেষ দুই দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিন দেশের ক্ষুদ্র নৃ–গোষ্ঠীসমূহ সাংগ্রাই, বিজু, বৈসুক, বিষু, বিহু, সাংগ্রাং, সাংলান, ফাগুয়া প্রভৃতি নামে এ উৎসব পালন করলেও সমতলে এটি ‘বৈসাবি’ নামে পরিচিত। ত্রিপুরাদের ‘বৈসুক’, মারমাদের ‘সাংগ্রাই ও চাকমাদের ‘বিজু– এ তিন নামের আধ্যক্ষর নিয়ে ‘বৈসাবি’ নামের উৎপত্তি। ১৯৮৫ সাল থেকে সম্মিলিত উদ্যোগে বৈসাবি উৎসব পালিত হয়ে আসছে।

মঙ্গল শোভাযাত্রা

বাংলাদেশের জনগণের লোকজ ঐতিহ্যের প্রতীক মঙ্গল শোভাযাত্রা দেশের লোকজ সংস্কৃতি উপস্থাপনের মাধ্যমে সব শ্রেণির মানুষে একত্র করার লক্ষ্যে ১৯৮৫ সালে যশোরে ‘চারুপীঠ নামের এক সংগঠন প্রথমবারের মতো বর্ষবরণ করতে আনন্দ শোভাযাত্রার আয়োজন করে। যশোরের সে শোভাযাত্রার পর ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে আয়োজন করা হয় প্রথম আনন্দ শোভাযাত্রার। – ১৯৯৫ সালের পর থেকে এ আনন্দ শোভাযাত্রাই মঙ্গল শোভাযাত্রা’ নামে পরিচিতি লাভ করে। শিল্পী ইমদাদ হোসেন ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’র নামকরণ করেন। ৩০ নভেম্বর, ২০১৬ জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সাংস্কৃতিক সংস্থা (UNESCO)– এর নির্বস্তুক বা অধরা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান পায় বাংলা নববর্ষ বরণের বর্ণিল উৎসব ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’।

ভুটানবাংলাদেশ ট্রানজিট চুক্তি

বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ২০২৩ সালের ২২ মার্চে একটি ট্রানজিট চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। পরস্পরের ভূমি ব্যবহার করে বাণিজ্য জোরদারের লক্ষ্য নিয়ে ভুটানের রাজধানী থিম্পুতে ‘প্রটোকল অব দ্য এগ্রিমেন্ট অন দ্য মুভমেন্ট অব ট্রাফিক ইন ট্রানজিট বিটুইন বাংলাদেশ অ্যান্ড ভুটান’ শীর্ষক শিরোনামে এই চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি এবং ভুটানের পক্ষে দেশটির শিল্প বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী কার্মা দর্জি সই করেন। এর ফলে বাংলাদেশের জল, স্থল ও আকাশপথ ব্যবহার করে ভুটান নির্ধারিত ফি দিয়ে তৃতীয় দেশের সঙ্গে আমদানি–রপ্তানি বাণিজ্য করতে পারবে। আর ভবিষ্যতে চীনের সঙ্গে ভুটানের সরাসরি সড়ক যোগাযোগ হলে তখন এ ট্রানজিট সুবিধায় ভুটানের ভেতর দিয়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য করতে পারবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপালকে নিয়ে চার দেশীয় মোটরযান চলাচল চুক্তি (BBIN) থেকে ভুটান সরে যাওয়ার পর বাংলাদেশের কাছে দ্বিপক্ষীয় ট্রানজিট চুক্তির প্রস্তাব দেয়। বর্তমানে বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে ট্রানজিট চুক্তি রয়েছে, ভারত যার আওতায় বাংলাদেশের কয়েকটি বন্দর ও সড়ক ব্যবহার করতে পারছে। উল্লেখ্য, ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ বাংলাদেশ প্রথম এবং একমাত্র অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (PTA) স্বাক্ষর করে ভুটানের সঙ্গে। এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে আর ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাবে।

দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটির কমিশনিং

২০২৩ সালের ২০ মার্চ  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি বাংলাদেশ নৌবাহিনীর প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটির কমিশনিং করেন। দেশের প্রথম সাবমেরিন ঘাঁটির নাম ‘বিএনএস শেখ হাসিনা’। নবনির্মিত সাবমেরিন ঘাঁটিতে একসঙ্গে মোট ছয়টি সাবমেরিন এবং আটটি যুদ্ধজাহাজ রাখা যাবে। ১২ মার্চ ২০১৭ চীন থেকে আনা বানৌজা ‘নবযাত্রা’ ও ‘জয়যাত্রা’ নামের সাবমেরিন দুটির কমিশনিং করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৭ সালে প্রায় ৭০০ একর জায়গা নিয়ে সাবমেরিন ঘাঁটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। এ ঘাঁটি থেকে দেশের সাবমেরিন দুটির পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হবে। সাবমেরিন দুটির প্রতিটির দৈর্ঘ্য ৭৬ মিটার ও প্রস্থ সাড়ে ৭ মিটার। পূর্ণ ধারণক্ষমতা নিয়ে এগুলোর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৭ নটিক্যাল মাইল।

দেশের প্রথম পাথরবিহীন রেলপথ

দেশের প্রথম পাথরবিহীন রেলপথ নির্মিত হয় পদ্মা সেতুতে। পদ্মা সেতু রেল-সংযোগ প্রকল্পের আওতায় ঢাকা থেকে যশোর পর্যন্ত ১৬৯ কিমি রেললাইন নির্মাণ করা হচ্ছে। তিনটি ভাগে এ নির্মাণকাজ চলছে। এগুলো হলো— ঢাকা থেকে মাওয়া, মাওয়া থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা ও ভাঙ্গা থেকে যশোর। মাওয়া থেকে ফরিদপুরের ভাঙ্গা অংশে পদ্মা সেতুর অবস্থান। সাধারণ রেললাইন যেভাবে পাথরের ওপর বসানো হয়, পদ্মা সেতুর ১৩.৩ কিমি রেললাইন সেভাবে নির্মাণ করা হয়নি। অর্থাৎ মূল সেতুর ৬.১৫ কিমি, সেতু থেকে জাজিরার পদ্মা স্টেশন পর্যন্ত ভায়াডাক্ট ৪ কিমি ও সেতু হতে মাওয়া স্টেশন পর্যন্ত ৩.১৫ কি.মি রেলপথ হচ্ছে পাথরবিহীন।

পুরস্কার

WSIS পুরস্কার

তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশ্বের অন্যতম সম্মানজনক পুরস্কার World Summit on the Information Society (WSIS) পুরস্কার। ২০২৩ সালের WSIS পুরস্কার লাভ করে বাংলাদেশ সরকারের Aspire to Innovation (a2i) প্রকল্প এবং Bangladesh NGOs Network for Radio & Communication (ENNRC)। করোনা মহামারির সময় ‘কোভিড-১৯ টেলিহেলথ সেন্টার’ চালুর জন্য ই-হেলথ বিভাগে পুরস্কার পায় a2i। অন্যদিকে কালচারাল ডাইভার্সিটি অ্যান্ড আইডেনটিটি, লিঙ্গুইস্টিক ডাইভার্সিটি অ্যান্ড লোকাল কনটেন্ট বিভাগে পুরস্কার পায় BNNRC।

স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৩

বাংলাদেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার স্বাধীনতা পুরস্কার। ১৯৭৭ সালে এ পুরস্কার প্রবর্তন করা হয়। পুরস্কারপ্রাপ্ত বিজয়ীদেরকে ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণ দ্বারা নির্মিত একটি পদক, ৫ লক্ষ টাকা ও একটি সম্মাননা পত্র প্রদান করা হয়। জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৩ সালে ৯ জন ব্যক্তি ও ১ টি প্রতিষ্ঠান ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ লাভ করেন। ৯ মার্চ তাদের নাম ঘোষণা করা হয় এবং ২৩ মার্চ বিজয়ীদের পদক প্রদান করা হয়।

ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান

ক্ষেত্র

বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অব.) শামসুল আলম

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ

প্রয়াত লেফটেন্যান্ট এজি মোহাম্মদ খুরশিদ (মরণোত্তর)

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ

শহীদ খাজা নিজামউদ্দিন ভূঁইয়া (মরণোত্তর)

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ

মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী (মায়া), বীর বিক্রম 

স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধ

প্রয়াত ড. মোহাম্মদ মাইনুদ্দিন আহমেদ (সেলিম আল দীন) (মরণোত্তর)

সাহিত্য

পবিত্র মোহন দে

সংস্কৃতি

এ এস এম রকিবুল হাসান

ক্রীড়া

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর

সমাজসেবা/জনসেবা

বেগম নাদিরা জাহান (সুরমা জাহিদ)

গবেষণা ও প্রশিক্ষণ

ড. ফেরদৌসী কাদরী

গবেষণা ও প্রশিক্ষণ

Leave a Reply