বাংলাদেশ বিষয়াবলি

কালানুক্রমিক ঘটনাবলি

০২-০৮-২০২৩

♦ বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন।

০৮-০৮-২০২৩

♦ দেশের ১৭তম GI পণ্য হিসেবে স্বীকৃতি পায় নাটোরের কাঁচাগোল্লা।

০৯-০৮-২০২৩

♦ আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় আরও ১২টি জেলা ও ১২৩টি উপজেলাকে গৃহহীন ও ভূমিহীনমুক্ত ঘোষণা।

০৯-০৮-২০২৩

♦ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক জ্বালানি আনতে রাশিয়ার সঙ্গে প্রটোকল স্বাক্ষর।

১০-০৮-২০২৩

♦ রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)।

১১-০৮-২০২৩

♦ আবারও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-২০ তিন সংস্করণের অধিনায়ক নির্বাচিত হন সাকিব আল হাসান।

১৭-০৮-২০২৩

♦ সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উদ্বোধন।

 

আলোচিত বাংলাদেশ

পান্না কায়সার (২৫মে-১৯৫০ ৪ আগস্ট ২০২৩)

বরেণ্য লেখক, সাংস্কৃতিক কর্মী ও সাবেক সংসদ সদস্য। তাঁর পারিবারিক নাম সাইফুন্নাহার চৌধুরী। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে স্নাতকোত্তর শেষে বেগম বদরুন্নেসা কলেজে শিক্ষকতার মাধ্যমে কর্মজীবনে প্রবেশ করেন পান্না কায়সার। ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৯৬৯ শহীদুল্লা কায়সারের সাথে তাঁর বিয়ে হয়। মুক্তিযুদ্ধের পর ১৯৭৩ সাল থেকে তিনি শিশু-কিশোর সংগঠন ‘খেলাঘর আসর’-এর প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি এই সংগঠনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৯৬-২০০১ সালের জাতীয় সংসদে তিনি সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। তাঁর দুই সন্তান- শমী কায়সার ও অমিতাভ কায়সার।

তাঁর প্রকাশিত সাহিত্যকর্ম– মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক: আগে ও পরে, মুক্তি, নীলিমায় নীল, হৃদয়ে বাংলাদেশ, মানুষ, রাসেলের যুদ্ধযাত্রা, না পান্না না চুনি, অন্য রকম ভালোবাসা, সুখ।

পুরস্কার­ ­– মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় অবদান রাখার জন্য তাকে ২০২১ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারে ভূষিত করা হয়।

নতুন নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল

১০ আগস্ট, ২০২৩ নতুন রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন পায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলন (বিএনএম) ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি)। বিএনএম দলটির প্রতীক ‘নোঙ্গর’ আর বিএসপি দলটির প্রতীক একতারা’। এ পর্যন্ত ৪৯টি দল নিবন্ধন পায়, যার মধ্যে ৫টি দলের নিবন্ধন বাতিল করা হয়। ফলে বর্তমান নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৪৪টি।

দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক চার্জিং স্টেশন

১৬ আগস্ট, ২০২৩ দেশে প্রথমবারের মতো বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির (ইভি) চার্জিং স্টেশন তেজগাঁও এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়। এ উদ্যোগের নাম দেওয়া হয়েছে ‘এখন চার্জ’। এই চার্জিং স্টেশন থেকে ফাস্ট চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি গাড়ি ৪০-৪৫ মিনিটে পুরোপুরি চার্জ করা যাবে। একবার চার্জ করলে ৫০০ কিলোমিটার পথ চলতে পারবে গাড়ি। পরিবেশ দূষণ রোধে অনেক দেশেই বৈদ্যুতিক গাড়ি ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০২২ সালের শেষ দিকে দেশে প্রথমবারের মতো বৈদ্যুতিক গাড়ি বিক্রি শুরু হয়। দেশে এখন ৩৪টির মতো বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি রয়েছে।

হাঁস, ভেড়া, গোরুর জিন রহস্য উন্মোচন

দেশে প্রথমবারের মতো নিজস্ব সক্ষমতায় দেশীয় প্রজাতির গোরু ‘মুন্সীগঞ্জ ক্যাটেল’ দেশীয় প্রজাতির ভেড়া ও হাঁসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স উন্মোচন করা হয়। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োটেকনোলজির (NIB) প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও মহাপরিচালক ড. মো. সলিমুল্লাহর নেতৃত্বে গবেষক দল এই ৩ প্রাণীর জীবনরহস্য উন্মোচন করেন। বাংলাদেশে ইতোমধ্যে পাট, মহিষ, ইলিশ, করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন জীবাণুর জিনোম সিকোয়েন্স আবিষ্কার করলেও বেশিরভাগই বিদেশের বিভিন্ন গবেষণাগারে সম্পন্ন হয়। এবারই প্রথম দেশি ল্যাবে গবেষণা সম্পন্ন হয়।

নাটোরের কাঁচাগোল্লা এখন GI পণ্য

দেশের ১৭তম GI পণ্য নাটোরের কাঁচাগোল্লা। ৮ আগস্ট ২০২৩ শিল্প মন্ত্রণালয়ের পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক অধিদপ্তরের মহা-পরিচলক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমানের স্বাক্ষরে নাটোর জেলা প্রশাসকের নামে কাঁচাগোল্লার জিআই স্বীকৃতি অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রায় ২৬৩ বছর পর সুস্বাদু মিষ্টান্ন কাঁচাগোল্লার ভৌগোলিক নির্দেশক GI নিবন্ধনের উদ্যোগ গ্রহণ করেন নাটোরের সাবেক ও রাজশাহীর বর্তমান জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।

দেশের সর্ববৃহৎ সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

২ আগস্ট, ২০২৩ দেশের সবচেয়ে বড় সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র তিস্তা সোলার লিমিটেডের উদ্বোধন করা হয়। গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত অনাবাদি চরের ৬৫০ একর জমিতে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি নির্মাণ করে বেক্সিমকো গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো পাওয়ার লিমিটেড। ৮ জানুয়ারি, ২০২৩ কেন্দ্রটি চালু হয়। এ কেন্দ্র থেকে প্রতিদিন ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হবে জাতীয় গ্রিডে। দেশের উল্লেখযোগ্য সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র-

নাম

ক্ষমতা (মে.ও.)

অবস্থান

চালু

টেকনাফ সোলার এনার্জি লিমিটেড

২০

টেকনাফ, কক্সবাজার

২০১৮

ইন্ট্রাকো সোলার পাওয়ার লিমিটেড

৩০

কালীগঞ্জ, লালমনিরহাট

২০২২

ইন্সপেক্টরা সোলার লিমিটেড

৩৫

শিবালয়, মানিকগঞ্জ

২০২১

সুতিয়াখালী সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র

৫০

ময়মনসিংহ সদর

২০২০

এনারগন মোংলা সোলার পার্ক

১০০

মোংলা, বাগেরহাট

২০২১

তিস্তা সোলার লিমিটেড

২০০

সুন্দরগঞ্জ, গাইবান্ধা

৮ জানুয়ারি ২০২৩

SDG অর্জনে বাংলাদেশ ১০১তম

SDSN কর্তৃক ২০১৭-২০২৩ সময়ে বাংলাদেশের SDG বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অবস্থান

বছর

বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিং

স্কোর

মোট দেশের সংখ্যা

২০১৭

১২০

৫৬.২

১৫৭

২০১৮

১১১

৫৯.৩

১৫৬

২০১৯

১১৬

৬০.৯

১৬২

২০২০

১০৯

৬৩.৫

১৬৬

২০২১

১০৯

৬৩.৫

১৬৫

২০২২

১০৪

৬৪.২

১৬৩

২০২৩

১০১

৬৫.৯

১৬৬

২৫ জুলাই, ২০২৩ প্রখ্যাত মার্কিন অর্থনীতিবিদ জেফারই ডেভিড সাকাহাসের নেতৃত্বে সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট সলিউশন নেটওয়ার্ক’র (SDSN) একটি স্বাধীন মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ করে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (SDG) অর্জনে বিশ্বের ১৬৬টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ১০১তম (২০২২ সালে ছিল ১৬৩টি দেশের মধ্যে ১০৪তম)। দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রতিবেদন তথ্যমতে, SDG’র ১৭টি লক্ষ্যের মধ্যে দুটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনে সঠিক পথে ও ছয়টি লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ পরিমিতরূপে উন্নতি করেছে। এসডিজির পাঁচটি লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ অপরিবর্তিত অবস্থায় রয়েছে। তিনটি লক্ষ্য অর্জনে বাংলাদেশ পিছিয়ে রয়েছে। একটি মূল্যায়নের জন্য উপাত্তে ঘাটতি রয়েছে।

বিশ্বব্যাপী নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে প্রধানমন্ত্রীর ৫ প্রস্তাব

বিশ্বব্যাপী টেকসই, নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের খাদ্য সম্মেলনে পাঁচ দফা প্রস্তাব উত্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৪ জুলাই, ২০২৩ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (FAO) সদর দপ্তরে জাতিসংঘের খাদ্য ব্যবস্থাপনা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এ প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

প্রধানমন্ত্রীর পাঁচ দফা প্রস্তাব-

প্রথমত: আধুনিক কৃষিতে বিনিয়োগের জন্য বহুপাক্ষিক উন্নয়ন ব্যাংক এবং বেসরকারি উদ্যোক্তাদের উৎসাহিত করতে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে আর্থিক প্রণোদনা ও নীতি সহায়তা প্রদান করা প্রয়োজন ।

দ্বিতীয়ত: জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগে ‘ব্ল্যাক সি গ্রেইন ডিল’-কে চালু রাখার পাশাপাশি খাদ্য ও সার রপ্তানির বিধিনিষেধগুলো তুলে নেওয়াসহ যেকোনো বাণিজ্য বাধা অপসারণের লক্ষ্যে সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়া একান্ত দরকার ।

তৃতীয়ত: জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় বৈশ্বিক এবং আঞ্চলিক ‘ফুড ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থার রূপান্তরের লক্ষ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোর সহায়তায় আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এগিয়ে আসতে হবে।

চতুর্থত: কৃষিশিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সঙ্গে তাল রেখে ন্যানো-প্রযুক্তি, বায়ো- ইনফরমেটিক্স ও অত্যাধুনিক কৃষি প্রযুক্তিগুলো সবার জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া বাঞ্ছনীয় ।

পঞ্চমত: প্রতিবছর বিশ্বজুড়ে উৎপাদিত খাদ্যের প্রায় এক-তৃতীয়াংশের অপচয় রোধে তরুণ সমাজকে অন্তর্ভুক্ত করার মধ্য দিয়ে ব্যাপক সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা জরুরি ।

স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস

১২ ডিসেম্বরকে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবসের পরিবর্তে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ দিবস’ হিসেবে পালনের ঘোষণা দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৭ আগস্ট ২০২৩ মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয় । ২০০৮ সালে জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে ১২ ডিসেম্বর ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণের বিস্তারিত রূপরেখা তুলে ধরে নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করেছিল আওয়ামী লীগ। ডিজিটাল বাংলাদেশের  ইশতেহারকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১৭ সালে প্রথমবারের মতো জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি দিবস পালন করে সরকার। ২৬ নভেম্বর, ২০১৮ দিবসটির নাম পরিবর্তন করে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস’ করা হয়েছিল।

১২ জেলা ও ১২৩ উপজেলা গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা

৯ আগস্ট, ২০২৩ ভূমিহীন ও গৃহহীন অসহায় ২২ হাজার ১০১টি পরিবারকে ঘর উপহার দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের চতুর্থ পর্যায়ের দ্বিতীয় ধাপে এসব ঘর দেওয়া হয়। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে বিনামূল্যে দুই শতক জমিসহ সেমিপাকা এসব ঘর দেওয়া হয়। একই সঙ্গে দেশের ১২৩টি উপজেলাকে সম্পূর্ণ ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হিসেবে ঘোষণা করেন সরকারপ্রধান। এর মধ্যে ১২টি জেলার সব উপজেলা ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত হলো ।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম

১৭ আগস্ট, ২০২৩ দেশের নাগরিকদের পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনতে বহুল প্রতীক্ষিত ‘সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম)’ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ‘upension.gov.bd’ নামক ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়। এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাবে অনুযায়ী, ২০২০ সালে ৬০ বছরের বেশি বয়সি মানুষের সংখ্যা ‍ছিল ১ কোটি ২০ লাখ মানুষ। ২০৪১ সালে এ সংখ্যা বেড়ে হবে ৩ কোটি ১০ লাখ। দেশের চার শ্রেণির প্রায় ১০ কোটি মানুষের কথা বিবেচনায় রেখে চালু করা হয় সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থা। সর্বজনীন পেনশনের আওতায় চার ধরনের স্কিম চালু করা হয়। স্কিমগুলো হলো- প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা স্কিম।

শর্তসমূহ:

জাতীয় পরিচয়পত্রকে ভিত্তি ধরে অন্তর্ভুক্তির বয়স: ১৮ থেকে ৫০ বছর ।

বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছর ঊর্ধ্ব বয়সের নাগরিকগণও সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণ করতে পারবেন এবং সেক্ষেত্রে স্কিমে অংশগ্রহণের তারিখ হতে ১০ বছর চাঁদা প্রদান শেষে তিনি যে বয়সে উপনীত হবেন সে বয়স হতে আজীবন পেনশন পারেন।

সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কর্মচারীরা আপাতত সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার বাইরে থাকবেন।

বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশিরা এতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবেন ।

১৮-৫০ বয়সি সকল কর্মক্ষম নাগরিক সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

পেনশনধারীরা আজীবন, অর্থাৎ মৃত্যুর আগপর্যন্ত পেনশন সুবিধা ভোগ করবেন।

পেনশন কর্মসূচিতে জমা করা অর্থ কোনো পর্যায়ে এককালীন উত্তোলনের সুযোগ থাকবে না।

৫০ শতাংশ ঋণ হিসেবে উত্তোলন করা যাবে, যা সুদসহ পরে পরিশোধ করতে হবে

পেনশন আয়করমুক্ত হবে।

চাঁদা জমা

মাসিক, ত্রৈমাসিক ও বার্ষিক।

টানা ১০ বছর দিতে পারবে।

মাস পার হলে পরবর্তী প্রতিদিনের জন্য বিলম্ব ফি ১%।

টানা তিন কিস্তি না দিলে পেনশন স্থগিত।

চাঁদার টাকা অগ্রিম জমা দেওয়া যাবে।

কর্মহীন হলে অসচ্ছল চাঁদাদাতা ঘোষণার আবেদন।

 নমিনি

নিবন্ধিত চাঁদা জমাকারী পেনশনে থাকাকালীন ৭৫ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে মারা গেলে জমাকারীর নমিনি বাকি সময়কালের (মূল জমাকারীর বয়স ৭৫ বছর পর্যন্ত) জন্য মাসিক পেনশন পাবেন।

নমিনি মারা গেলে নতুন নমিনি মনোনয়ন।

পেনশনার ও নমিনি মারা গেলে সংশ্লিষ্ট স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ও উত্তরাধিকার সনদের ভিত্তিতে উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন।

অনলাইনে নিবন্ধন

অনলাইনে ফরম পূরণ অথবা সোনালী ব্যাংকের যেকোনো শাখায় গিয়ে নিবন্ধন করা যাবে এবং চাঁদা দেওয়া যাবে।

চার ধরনের স্কিম:

প্রবাস: এটি শুধু বিদেশে কর্মরত বা অবস্থানকারী বাংলাদেশি নাগরিকের জন্য। এর মাসিক চাঁদার হার ধরা হয়েছে ৫ হাজার, সাড়ে ৭ হাজার ও ১০ হাজার টাকা করে।

প্রগতি: এই স্কিম বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদের জন্য। এক্ষেত্রেও তিন ভাগে চাঁদার হার ভাগ করা হয়েছে। কেউ চাইলে মাসে ২ হাজার, ৩ হাজার বা ৫ হাজার টাকা করে দিয়ে এই স্কিমে অংশ নিতে পারবে। আবার প্রতিষ্ঠান বা প্রতিষ্ঠানের মালিকও প্রগতি স্কিমে অংশ গ্রহণ করতে পারবে। সেক্ষেত্রে মোট চাঁদার অর্ধেক কর্মচারী এবং বাকি অর্ধেক প্রতিষ্ঠান বহন করবে।

সুরক্ষা: এই স্কিমটা স্বনির্ভর ব্যক্তির জন্য। অর্থাৎ কেউ কোথাও চাকরি করছেন না কিন্তু নিজে উপার্জন করতে পারেন, তারা সুরক্ষা স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। এর আওতায় পড়েন ফ্রিল্যান্সার, কৃষক, শ্রমিক ইত্যাদি পেশার লোকজন। এই স্কিমে চাঁদার হার চার রকম- মাসে এক হাজার, দুই হাজার, তিন হাজার ও পাঁচ হাজার টাকা করে।

সমতা: এই স্কিমে চাঁদার হার একটিই – এক হাজার টাকা। তবে এক্ষেত্রে প্রতিমাসে ব্যক্তি দেবে ৫০০ টাকা আর বাকি ৫০০ টাকা দেবে সরকার। মূলত দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাসরত স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য এই স্কিম। এক্ষেত্রে দারিদ্র্যসীমা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। যেমন বর্তমানে বছরে যাদের আয় এখন বছরে ৬০ হাজার টাকার মধ্যে তারাই কেবল এই স্কিমের অন্তর্ভুক্ত হবেন।

Leave a Reply