কালানুক্রমিক ঘটনাবলি
০২.০৯.২০২৩
♦ ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন।
♦ পঞ্চগড়ে দেশের তৃতীয় চা নিলাম কেন্দ্রের উদ্বোধন।
০৭.০৯.২০২৩
♦ ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল করে।
♦ রাশিয়ার প্রথম পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে বাংলাদেশে সফরে আসেন সের্গেই লাভরভ।
১০.০৯.২০২৩
♦ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ দুই দিনের সফরে ঢাকা পৌঁছেন।
১২.০৯.২০২৩
♦ বাংলাদেশ-যুক্তরাজ্য পঞ্চম কৌশলগত সংলাপ ঢাকায় অনুষ্ঠিত।
১৩.০৯.২০২৩
♦ জাতীয় সংসদে ‘সাইবার-নিরাপত্তা বিল, ২০২৩’ ও ‘জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন বিল, ২০২৩’ পাস।
২২.০৯.২০২৩
♦ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে ভাষণ দেন।
♦ বাংলাদেশ ও কাজাখস্তানের মধ্যে ভিসা অব্যাহতি-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত।
২৬.০৯.২০২৩
♦ দেশের ২৪তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে বিচারপতি ওবায়দুল হাসানকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
আলোচিত বাংলাদেশ
দেশের প্রথম রোবোটিক সার্জন
চিকিৎসা বিজ্ঞানের নতুন সংযোজন রোবোটিক সার্জারি। যে পদ্ধতিতে মাত্র একটি ছিদ্র করে রক্তপাতহীন সার্জারি করা সম্ভব। রোবোটিক সার্জারি করার জন্য বাংলাদেশিদের মধ্যে প্রথম ও একমাত্র আন্তর্জাতিক সনদ লাভ করেন চিকিৎসক সরকার কামরুন জাহান ঝিনুক। যুক্তরাষ্ট্রের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অক্সফোর্ড রোবোটিক ইনস্টিটিউটে ৭ দিনের উচ্চতর প্রশিক্ষণ নিতে হয় তাকে। প্রশিক্ষণ শেষে সব ধরনের পরীক্ষায় সফলতার সঙ্গে উত্তীর্ণ হওয়ায় তাকে রোবোটিক সার্জারি পাসপোর্ট সনদ দেওয়া হয়। চিকিৎসক কামরুন জাহান বর্তমানে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক সার্জনের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়া যুক্তরাজ্যের রয়্যাল কলেজ অব লন্ডন থেকে এমআরসিএস ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম
সেপ্টেম্বর ২০২৩ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ‘টেস্টটিউব শিশুর জন্ম হয়। সরকারি কোনো হাসপাতালে এটি প্রথম টেস্টটিউব শিশু জন্মের ঘটনা। বাংলাদেশে প্রথম টেস্টটিউব শিশুর জন্ম হয় ২০০১ সালে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। এরপর একাধিক বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে টেস্টটিউব শিশুর জন্ম হয়। বন্ধ্যা নারীর মা হওয়ার আধুনিকতম পন্থা হলো ‘টেস্টটিউব শিশু’। এই পন্থায় স্ত্রীর ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু আর স্বামীর শরীর থেকে শুক্রাণু সংগ্রহ করা হয়। গবেষণাগারে সেই ডিম্বাণু ও শুক্রাণু নিষিক্ত করে কৃত্রিমভাবে ভ্রূণ সৃষ্টি করা হয়। পরে সেই ভ্রূণ স্ত্রীর গর্ভাশয়ে প্রতিস্থাপন করা হয়। স্বাভাবিক ভ্রূণের মতো কৃত্রিম ভ্রূণও একইভাবে বেড়ে উঠতে থাকে। এভাবে ৯ মাস পর যে শিশুর জন্ম হয়, তাকে টেস্টটিউব শিশু বলা হয়।
বাংলাদেশ কোড
শীঘ্রই দেশের প্রচলিত সব আইন একত্রে হালনাগাদ করে বাংলাদেশ কোড প্রকাশিত হবে। আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ থেকে মোট ৪৭ খণ্ডে এটি প্রকাশিত হবে। লাল-সবুজের মলাটে বাংলাদেশ কোডে ১,১৭৭টি প্রণীত আইন অন্তর্ভুক্ত করা হয়। Bangladesh Laws (Revision and Declaration) Act, 1973-এর ৩ ধারা অনুসারে প্রচলিত সব আইন হালনাগাদ করে বাংলাদেশ কোড প্রকাশের আইনগত বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে সংশোধনী আইন, রহিত করা আইন এবং নতুন প্রণয়ন করা আইন বাংলাদেশ কোডে ক্ষেত্রমতে অন্তর্ভুক্ত, সংশোধন ও বিয়োজন করা হয়। এর আগে সর্বশেষ ২০১৬ সালে বাংলাদেশ কোড প্রকাশিত হয়। ওই প্রকাশনায় ২০১৪ সালের জুন পর্যন্ত হালনাগাদ ছিল। বাংলাদেশ কোড হলো আইনের একটি সরকারি সংকলন এবং কোডিফিকেশন, যা বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় দ্বারা প্রকাশিত হয়। কোডটি ১৯৭৩ সালে শুরু হয় এবং ১৯৭৭ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এর ৩৮টি খণ্ড রয়েছে যার মধ্যে ২৬টি ইংরেজি এবং ১২টি বাংলায়। কোডটিতে ব্রিটিশ ভারত, পাকিস্তান (১৯৪৭-১৯৭১) এবং গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে প্রণীত আইন অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এটি জেলা আইন, ১৮৩৬ দিয়ে শুরু হয়।
নতুন জাত
কাঁঠাল: বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের (BARI) ফল গবেষণা বিভাগের বিজ্ঞানীরা আঠাবিহীন কাঁঠালের একটি জাত উদ্ভাবন করে। জাতটির নাম দেওয়া হয় ‘বারি কাঁঠাল-৬’। ২৬ জুন ২০২৩ জাতীয় বীজ বোর্ড জাতটি অবমুক্ত করে। এ জাত উদ্ভাবনের ফলে দেশে পেয়ারা, লটকন, আমের মতো কাঁঠালেরও বাণিজ্যিকভাবে চাষ শুরু হবে। এটি উচ্চফলনশীল জাত ও বারোমাস ফল দেবে। BARI’র উদ্যানতত্ত্ব ও গবেষণা কেন্দ্র এর আগে বারি কাঁঠাল-১, ২ ও ৩ নামের পৃথক উচ্চফলনশীল জাত অবমুক্ত করে ।
বাঁশ: ৭ আগস্ট ২০২৩ কৃষি মন্ত্রণালয়ের জাতীয় বীজ বোর্ড বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটকে (BFRI) নতুন ৩ প্রজাতির বাঁশের নিবন্ধন প্রদান করে। জাতগুলোর নাম দেওয়া হয়— বিবি১ (বরাক বাঁশ থেকে), বিএন১ (মাকলা বাঁশ থেকে) এবং বিএস১ (করজবা বাঁশ থেকে)। ফলে বর্তমানে দেশীয় বাঁশের প্রজাতির সংখ্যা ৪০টি।
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফর
১০-১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশ সফর করেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ। প্রায় ৩৩ বছর পর কোনো ফরাসি প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফর করলেন। এর আগে ২০-২৪ ফেব্রুয়ারি ১৯৯০ ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া মিতেরাঁ বাংলাদেশ সফর করেন। এবারের সফরকালে দুটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশ ফরাসি উড়োজাহাজ নির্মাণ সংস্থার তৈরি A350 মডেলের নতুন ১০টি এয়ারবাস ক্রয়ের প্রতিশ্রুতি দেয়। এগুলো দূরপাল্লার, ওয়াইড বডির ও ২ ইঞ্জিনবিশিষ্ট জেট বিমান।
সমঝোতা স্মারক
১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশ ও ফ্রান্সের মধ্যে অবকাঠামো, স্যাটেলাইটসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে ২টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। সমঝোতা স্মারক ২টি হলো— ১. ‘অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ERD) ও ফ্রান্স ডেভেলপমেন্ট এজেন্সির (FDA) মধ্যে Improving Urban Governance and Infrastructure Program বিষয়ে ক্রেডিট-সুবিধা চুক্তি’ এবং ২. ‘বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (BSCL) ও ফ্রান্সের Airbus Defence and Space SAS এর মধ্যে বঙ্গবন্ধু-২ আর্থ অবজারভেশন স্যাটেলাইট সিস্টেম-সম্পর্কিত সহযোগিতার বিষয়ে Letter of Intent (LoI)’।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর
ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে ৮-১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ভারত সফর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সার্কভুক্ত দেশের একমাত্র অতিথি রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশ এ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রণ পায়। ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে ৩টি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়। এগুলো হলো— কৃষি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ খাতে সহযোগিতা জোরদার, ২০২৩-২০২৫ সাল পর্যন্ত সাংস্কৃতিক বিনিময় কর্মসূচি এবং রুপি-টাকা বিনিময় সহজ করতে ভারতের এনপিসিআই ইন্টারন্যাশনাল পেমেন্টস লিমিটেড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে সমঝোতা।
বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২
ফ্রান্সের সহায়তায় এবার ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’ উৎক্ষেপণ করা হবে। এটি একটি আর্থ অবজারভেটরি স্যাটেলাইট। এর মাধ্যমে পৃথিবী তথা বাংলাদেশের স্থলভাগ ও জলভাগ পর্যবেক্ষণ করা হবে। ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২’ পৃথিবীর ছবি তুলে বাংলাদেশে পাঠাবে। বাংলাদেশে কৃষি ও অন্যান্য ক্ষেত্রে করণীয় অনেক কিছু জানা যাবে। বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় কেউ অনধিকার প্রবেশ কিংবা কোনো অপতৎপরতা চালায় কিনা সেটিও এ স্যাটেলাইটের মাধ্যমে জানা যাবে। ১১ মে ২০১৮ যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তায় বাংলাদেশ ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ করে। এর মধ্য দিয়ে ৫৭তম দেশ হিসেবে নিজস্ব স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশের তালিকায় যুক্ত হয় বাংলাদেশ। ফ্যালকন-৯ রকেটের মাধ্যমে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। এটি বাংলাদেশের প্রথম ভূ-উপরিস্থ যোগাযোগ ও সম্প্রচার উপগ্রহ।
বেসরকারি খাতে বৃহৎ বিদ্যুৎকেন্দ্র
চট্টগ্রাম বাঁশখালীর গন্ডামারায় নির্মিত এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের ১৩২০ মেগাওয়াট ক্ষমতার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের বাণিজ্যিক উৎপাদন শুরু হয়। ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে কেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের (৬৬০ মেগাওয়াট) উৎপাদিত বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে যোগ হয়। দেশি-বিদেশি অর্থায়নে দেশের প্রথম বৃহৎ বেসরকারি খাতের তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটির মালিক এস আলম গ্রুপ এবং চীনা কোম্পানি সেপকো থ্রি ও এইচটিজি-এর মালিকানাধীন এসএস পাওয়ার। বিদ্যুৎকেন্দ্রটি ১৪ জানুয়ারি, ২০২৩ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় গ্রিডের সাথে যুক্ত হয়। ২ ইউনিটের প্রথম প্রথম ইউনিট থেকে ২৪ মে, ২০২৩ পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। দ্বিতীয় ইউনিট থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয় ২৮ জুন, ২০২৩। ২৮,০০০ কোটিও বেশি ব্যয়ে নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রটি একক বেসরকারি বিনিয়োগে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। প্রকল্পটিতে শীর্ষস্থানীয় দেশীয় কোম্পানি এস আলমের অংশীদারত্ব ৭০% এবং বাকি ৩০% মালিকানায় রয়েছে চীনা কোম্পানি সেপকো থ্রি ও এইচটিজি। এটি পুরোপুরি উৎপাদনে থাকলে দৈনিক প্রায় ২.৯৩ কোটি ইউনিট ও মাসে প্রায় ৮৮ কোটি ইউনিটের মতো বিদ্যুৎ সরবরাহ করবে জাতীয় গ্রিডে। ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ও এসএস পাওয়ারের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের পর এটির কাজ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং চীনের রাষ্ট্রপতি সি চিন পিং।
আন্তর্জাতিক নিউক্লিয়ার ক্লাবে বাংলাদেশ
৫ অক্টোবর ২০২৩ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের (ইউনিট-১) জ্বালানি হিসেবে ইউরেনিয়াম হস্তান্তর করবে রাশিয়া। এই জ্বালানি সরবরাহ করবে রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান টিভিইএল। ইউরেনিয়াম হলো বিদ্যুৎকেন্দ্রটির জ্বালানি। পারমাণবিক প্রকল্প বাস্তবায়নে এটাই চূড়ান্ত ধাপ। কোনো দেশের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প এলাকায় জ্বালানি (ইউরেনিয়াম) পৌঁছালে তখন দেশটি আন্তর্জাতিক নিউক্লিয়ার ক্লাবে অন্তর্ভুক্ত হয় । সে হিসেবে অক্টোবরে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে আন্তর্জাতিক নিউক্লিয়ার ক্লাবের সদস্য হবে।
বাগেরহাটে ৩০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র
৩০ আগস্ট, ২০২৩ অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক বাগেরহাটের রামপাল উপজেলা ৩০০ মেগাওয়াট (AC) ক্ষমতার সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা অনুমোদন দেওয়া হয়। নো ইলেকট্রিসিটি, নো পেমেন্ট শর্তে চারটি প্রতিষ্ঠানকে যৌথভাবে এই বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের পরিকল্পনা অনুমোদন দেয় সরকার। বিদ্যুৎ বিভাগের অধীন বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে (BPDB) কর্তৃক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য সৌদি আরবের অ্যাকোয়া পাওয়ার কোম্পানি, বাংলাদেশের কমফিট কম্পোজিট নিট লিমিটেড, ভিয়েলাটেক্স স্পিনিং লিমিটেড এবং মিডল্যান্ড ইস্ট পাওয়ার লিমিটেডকে অনুমোদন দেওয়অ হয়। নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে এটি হবে দেশের সর্ববৃহৎ সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। উল্লেখ্য, বর্তমানে দেশের সবচেয়ে বড় সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের নাম তিস্তা সোলার লিমিটেড। এটির বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা ২০০ মেগাওয়াট।
গভীর সমুদ্র চুক্তি স্বাক্ষর
২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ ও তার সুষ্ঠু ব্যবহার সংক্রান্ত চুক্তি Marine Biological Diversity of Areas Beyond National Jurisdiction জাতিসংঘ সদর দপ্তরে স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত করা হয় । এটি High Seas Treaty নামেও পরিচিত। বাংলাদেশের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা । স্বাক্ষরকারী ৬০টি দেশ অনুমোদন করলে ১২০ দিন পর চুক্তিটি কার্যকর হবে। আর চুক্তিটি ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত জাতিসংঘের সদর দপ্তরে স্বাক্ষরের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধিতে অর্ধেক পৃথিবী তলিয়ে যাওয়া রোধে অত্যাবশ্যকীয় পদক্ষেপ গ্রহণে ৪ মার্চ ২০২৩ জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলো এ চুক্তির খসড়ায় স্বাক্ষরে সম্মত হয়। ১৯ জুন ২০২৩ জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আনুষ্ঠানিকভাবে গৃহীত হয়। চুক্তির শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- মেরিন প্রটেকটেড অঞ্চলে সম্পদ আহরণ করা যাবে না, উন্নয়নশীল দেশগুলো যাতে গভীর সমুদ্রে সম্পদ আহরণ করতে পারে তার জন্য সক্ষমতা বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি হস্তান্তর, অতিরিক্ত মাত্রায় মাছ ধরা বন্ধ, পরিবেশের ওপর প্রভাব পর্যালোচনা, সমুদ্রদূষণ রোধ এবং গবেষণার জন্য অর্থ ব্যয় করতে হবে। জাতিসংঘের নিয়ম অনুযায়ী, যেকোনো দেশের তটরেখা বা উপকূল থেকে ৩৫০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত যে সমুদ্রসীমা, সেটির ওপর ওই দেশেরই অধিকার রয়েছে। এরমধ্যে ২০০ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত পানিতে ভাসমান মাছসহ অন্যান্য সম্পদ এবং সমুদ্রের তলদেশে যে সম্পদ রয়েছে, সবকিছুর মালিক ওই দেশ। কিন্তু ২০০ নটিক্যাল মাইলের বাইরে শুধু সমুদ্রের তলদেশের সম্পদের মালিক সেই দেশ আর ভাসমান সম্পদ অন্য যেকোনো দেশ আহরণ করার অধিকার রাখে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, ২০০ নটিক্যাল মাইলের পর ভাসমান সম্পদ, যা ‘মেরিন জেনেটিক রিসোর্সেস’ নামে পরিচিত, অন্য কোনো দেশ বা কোম্পানি তা আহরণ করলে সেটির একটি অংশ ওই অঞ্চলের মালিকানা যে দেশের, তাকে দিতে হবে।
বৈশ্বিক জৈব জ্বালানি জোট
প্রকৃতি রক্ষায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় জীবাশ্ম জ্বালানি নির্ভরতা কমিয়ে জৈব জ্বালানির ব্যবহার বাড়াতে গঠিত হয় বিশ্ব জৈব জ্বালানি জোট (Global Biofuel Alliance-GBA)। ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ জোট গঠনের ঘোষণা দেন। এ জোটের প্রাথমিক লক্ষ্য পেট্রোলের সঙ্গে ২০% ‘ইথানল’ মেশানো। এর ফলে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরতা কমবে। তাতে দূষণের মাত্রাও কমবে, যা জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় কিছুটা সহায়ক হবে। জোট ঘোষণার সময় আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, ব্রাজিল, ইতালি, সিঙ্গাপুর, মরিশাস, যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আবর আমিরাতের রাষ্ট্রপ্রধানরা উপস্থিত ছিলেন।