বাংলাদেশ বিষয়াবলি

কালানুক্রমিক ঘটনাবলি

০১.১১.২০২০

♦ স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে সুন্দরবনের সব পর্যটনকেন্দ্র খুলে দেওয়া হয়।

♦ ‘মুজিববর্ষের আহবান, যুব কর্মসংস্থান’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘জাতীয় যুব ‍দিবস’ পালিত।

০২.১১.২০২০

♦  প্রায় ১৮ মাস পালিয়ে থাকার পর মিয়ানমারে ‘বৌদ্ধ বিন লাদেন’ নামে পরিচিত কট্টরপস্থী বৌদ্ধভিক্ষু আশিন বিরাথু পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন।

♦   ‘জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও মরণোত্তর চক্ষুদান দিবস’ পালন।

০৩.১১.২০২০

♦  শোকাবহ ‘জেলহত্যা দিবস’ পালন।

০৪.১১.২০২০

♦  চট্টগ্রামের বিএন ফ্রিট হেডকোয়ার্টার্সে বাংলাদেশ নৌবাহিনী  ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর মধ্যে যৌথ প্রশিক্ষণ ও মহড়া কো-অপারেশন অ্যাফ্লোট রেডিনেস এন্ড ট্রেনিংয়ের (সিএআরটি) উদ্বোধন।

♦  দেশ ও দেশের বাইরে ব্রোকারেজ হাউজের ডিজিটাল বুথ স্থাপনের জন্য এ সংক্রান্ত নীতিমালা অনুমোদন করে বাংলাদেশ ‍সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (BSEC)।

০৫.১১.২০২০

♦  যুদ্ধজাহাজসহ নতুন পাঁচটি আধুনিক জাহাজ বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে কমিশনিং করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

০৬.১১.২০২০

♦  আসেম অর্থমন্ত্রী পর্যায়ের ১৪তম ভার্চুয়াল সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত।

♦  পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তের ২ ও ৩  নং খুঁটির ওপর ৩৬তম স্প্যান স্থাপন।

♦  বাংলাদেশ রসায়ন সমিতির আয়োজনে ‘১০ম বাংলাদেশ রসায়ন অলিম্পিয়াড -২০১৯’ অনলাইনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রসায়ন বিভাগে অনুষ্ঠিত হয়।

♦  রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে উদ্বোধন করা হয় ‘দাওয়াতুল কোরআন তৃতীয় লিঙ্গের মাদ্রাসা।’ বাংলাদেশে হিজড়াদের জন্য এ মাদ্রাসাই হলো প্রথম কোনো ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তৃতয় লিঙ্গের যে কেউ এখানে ভর্তি হতে পারবেন। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মুফতি মুহাম্মাদ আব্দুর রহমান আজাদ।

০৭.১১.২০২০

♦   ‘বঙ্গবন্ধুর দর্শন, সমবায়ে উন্নয়ন’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৪৯তম জাতীয় সমবায় দিবস পালিত।

০৮.১১.২০২০

♦  একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন শুরু। একই সাথে এটা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে অনুষ্ঠিত বিশেষ অধিবেশনও বটে, যা দেশের ইতিহাসে প্রথম।

♦  রাশিয়ার তৈরি দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার সংযোজনের মধ্য দিয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) এয়ার উইংয়ের আত্মপ্রকাশ।

♦  প্রবেশন বিশেষ আইনে প্রথম রায় প্রদান করেন হাইকোর্ট।

♦  বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে মাসব্যাপী ‘মুজিববর্ষ সাইক্লিং এক্সপেডিশন ২০২০’ পঞ্চগড়ের বাংলাবান্দা থেকে শুরু।

০৯.১১.২০২০

♦  জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কার্যপ্রণালি বিধির ১৪৭ ধারার আওতায় সাধারণ প্রস্তাব উত্থাপন করেন সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

♦  বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও যুক্তরাষ্ট্রের নৌবাহিনীর মধ্যে অনুষ্ঠিত যৌথ মহড়া ‘কো-অপারেশন’ অ্যাফ্লোট রেডিনেস এন্ড ট্রেনিং (কাতার) ২০২০’ সমাপ্ত।

১০.১১.২০২০

♦  দেশের ৬৪টি জেলায় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু।

♦  অবৈধ অস্ত্র মামলায় অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল শহিদ উদ্দিন চৌধুরী সহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা।

♦  শহিদ নূর হোসেন দিবস পালিত।

১১.১১.২০২০

♦   ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শন আদেশ, ২০২০’ গেজেট জারি করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

১২.১১.২০২০

♦  অনলাইনে তিনদিনব্যাপী ‘UIU- FBHRO ৩য় জাতীয় মানবসম্পদ ই-সম্মেলন ২০২০’ শুরু।

১৩.১১.২০২০

♦  জনপ্রিয় কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমদের ৭২তম জন্মদিন পালন।

♦  সাইবার বুলিং ও সাইবার অপরাধ থেকে শিশুদের সুরক্ষায় কাজ করার স্বীকৃতিস্বরূপ ‘আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার -২০২০’ পেয়েছে বাংলাদেশি কিশোর সাদাত রহমান।

♦  কালজয়ী উপন্যাস বিষাদ-সিন্ধু এর রচয়িতা মীর মোশাররফ হোসেনের ১৭৩তম জন্মদিন পালন।

১৪.১১.২০২০

♦  অনলাইনে তিনদিনব্যাপী ‘UIU-FBHRO ৩য় জাতীয় মানবসম্পদ ই-সম্মেলন ২০২০’ সমাপ্ত।

১৫.১১.২০২০

♦  মুজিববর্ষে জাতীয় সংসদের বিশেষ অধিবেশনে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপন করা সাধারণ প্রস্তাব গৃহীত।

♦  কোস্টগার্ড বাহিনীতে যুক্ত হয় ৯টি জাহাজ ও একটি ঘাঁটি।

♦  জুনায়েদ বাবুনগরী কওমি মাদ্রাসাভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলাম এর আমির এবং নুর হোসাইন কাসেমী মহাসচিব নির্বাচিত হন।

♦  বাংলাদেশ রেলওয়ের ১৫৮ বছর পূর্তি পালন।

♦  দেশে প্রথম রেল দিবস পালন।

১৬.১১.২০২০

♦  নারীদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে চালু হয় Police Cyber Support for Women নামের নতুন ইউনিট।

১৭.১১.২০২০

♦  সিলেটের কুমারগাঁও ১২০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎকেন্দ্রে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

♦  ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান রেখে ‘নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল-২০০০’ জাতীয় সংসদে কণ্ঠভোটে পাশ।

♦  মজলুম জননেতা মাওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিক পালন।

১৮.১১.২০২০

♦  ভালোভাবে বাঁচি সিওপিডিতে, সবখানে, সব সময় প্রতিপাদ্য নিয়ে ‘বিশ্ব সিওপিডি (শ্বাসতন্ত্রের জটিল রোগ বা ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজ) দিবস-২০২০’ পালিত।

১৯.১১.২০২০

♦  একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন সমাপ্ত।

♦  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী ধর্ষণের মামলার একমাত্র আসামি মজনু যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আলাদত।

২০.১১.২০২০

♦  ভার্চুয়ালি APEC শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

২১.১১.২০২০

♦  ভার্চুয়াল মাধ্যমে দু’দিনব্যাপী G-20 শীর্ষ সম্মেলন শুরু।

♦  সশস্ত্র বাহিনী দিবস পালিত।

২২.১১.২০২০

♦ দেশে প্রথমবারের মতো চালু হয় কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে হেলথ আউটকাম পরিমাপ ও ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড

♦  নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে শীতলক্ষ্যা নদীতে নির্মিত গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক সেতু উদ্ধোধন।

২৪.১১.২০২০

♦  নতুন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন জামালপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য মো. ফরিদুল হক খান দুলাল।

♦  বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হয় উড়োজাহাজ ‘ধ্রুবতারা’।

২৫.১১.২০২০

♦  ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত দ্বীপরাষ্ট্র কমলওয়েলথ অব ডোমিনিকের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন বিষয়ে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে চুক্তি স্বাক্ষর করেন জাতিসংঘে  বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাবাব ফাতিমা ও জাতিসংঘে ডোমিনিকার স্থায়ী প্রতিনিধি লরেন রুথ ব্যানিস রবার্টস।

♦  অধ্যাপক নেহাল আহমেদ ঢাকা শিক্ষা বোর্ড এর নতুন  হিসেবে চেয়ারম্যান নিযুক্ত।

২৭.১১.২০২০

♦  পবিত্র ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম পালিত।

২৯.১১.২০২০

♦  বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর আনুষ্ঠানিক ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

২৯.১১.২০২০

♦  যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজের উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

৩০.১১.২০২০

♦  ভার্চুয়াল মাধ্যমে সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার (SCO) সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত।

আলোচিত বাংলাদেশ

তিন বিশ্ব সংস্থার প্লাটফর্মের কোচেয়ার শেখ হাসিনা

বিশ্বের বিভিন্ন পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের সমন্বয়ে গঠিত ‘ওয়ান হেলথ গ্লোবাল লিডার্স গ্রুপ অন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিসট্যান্স’ এর কো- চেয়ার মনোনীত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘের দুই সহযোগী প্রতিষ্ঠান খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO) ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) এবং প্রাণীর রোগ প্রতিরোধে কাজ করা ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর অ্যানিমেল হেলথের (OIE) যৌথ উদ্যোগে ২০ নভেম্বর, ২০২০ প্লাটফর্মটির সূচনা হয়। রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণুদের ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠা ঠেকাতে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ সব কার্যকর ওষুধের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে যাত্রা করা এ প্লাটফর্মের কো-চেয়ার হিসেবে শেখ হাসিনার পাশাপাশি দায়িত্ব পালন করবেন বার্বাডোসের প্রধানমন্ত্রী মিয়া মোত্তেলিও।

 প্রথম নারী ডেপুটি CAG

বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম নারী উপ- মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (ডেপুটি CAG) হিসেবে নিয়োগ পান মনোয়ারা হাবীব। ১৬ নভেম্বর ২০২০ বাংলাদেশের মহা হিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (CAG) কার্যালয়ের এক অফিস আদেশে তাকে গ্রেড-১ পদে চলতি দায়িত্বে পদস্থাপন করা হয়। ১৭ নভেম্বর ২০২০ তিনি ডেপুটি CAG হিসেবে যোগদান করেন। তিনি এ পদে যোগদান করা ৪৪তম ব্যক্তি। মনোয়ারা হাবীব ১৯৬৪ সালে জামালপুর জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। ব্যক্তিগত জীবনে তিনি বিবাহিত ও তিন সন্তানের জননী।

 সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে স্রেডার গবেষণা

সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে দেশের কোন এলাকা সবচেয়ে উপযোগী তা বের করতে গবেষণা করছে টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা)। সোলার রেডিয়েশন রিসোর্স অ্যাসেসমেন্ট নামের এ সমীক্ষায় তা জনা সম্ভব হবে । দেশে সৌরবিদ্যুৎ  কেন্দ্র স্থাপন শুরু হলেও রেডিয়েশন রিসোর্স অ্যাসেসমেন্ট না থাকায় কোথায় প্রকল্প নির্মাণ লাভজনক তা এখনো জানা সম্ভব হয়নি। সূর্যালোকের বিকিরণ থেকেই সৌর প্যানেলে বিদ্যুৎ তৈরি হয়। রেডিয়েশন বা বিকিরণ মাত্রা একেক জেলায় একেক রকম। পঞ্চগড়ে বিকিরণ ক্ষমতা সবচেয়ে বেশি (বিকিরণের সূচক ১৬-১৮)। তাই সেখানে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন বেশি লাভজনক হবে। পঞ্চগড়ের পরেই আছে পাবনা (বিকিরণের সূচক ১৫-১৬ –এর মধ্যে)।

বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যমুনা নদীর ওপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রেলওয়ে সেতুর নির্মাণকাজ উদ্বোধন করেন ২৯ নভেম্বর ২০২০। বিদ্যমান বঙ্গবন্ধুর সেতুর ৩০০ মিটার উজানে এ সেতু নির্মাণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু রেলসেতুর দৈর্ঘ্য ৪.৮ কিমি। এ রেলসেতু নিমার্নে ব্যয় হবে ১৬,৭৮০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১২,১৪৯ কোটি টাকা দেবে জাইকা এবং অবশিষ্ট ৪,৬৩১ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পটির মেয়াদ ধরা হয়েছে জুলাই ২০১৬ থেকে আগস্ট ২০২৫ পর্যন্ত। এ রেলসেতুর ওপর দিয়ে ১২০ কিমি গতিতে রেল চলাচল করতে পারবে। সেতুর ওপর দিয়ে দ্রুতগতিতে রেল যোগাযোগ বাস্তবায়িত হলে পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে পশ্চিমাঞ্চলের আরো উন্নয়ন সম্ভব হবে।

প্রসঙ্গত, জাতীয় অর্থনৈতিক কাউন্সিলের নির্বাহী কমিটি ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে প্রথমে ৯,৭৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতু প্রকল্পটি পাশ করে এবং ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে প্রকল্পটি শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর নির্মাণ ব্যয় বৃদ্ধির ফলে ১৬,৭৮০ কোটি টাকা হয়। Obayashi Corporation, TOA Corporation এবং JFE –এর যৌথ উদ্যোগে ৬,৮০১ কোটি টাকা ব্যয়ে এ সেতুর পূর্বাংশ, আয় IHI এবং SMCC –এর যৌথ উদ্যোগে ৬,১৪৮ কোটি টাকা ব্যয়ে পশ্চিমাংশ নির্মিত হবে । সবগুলোই জাপানি সংস্থা।

অভিবাসন ব্যয় জরিপ ২০২০

♦ প্রকাশ : ১৮ নভেম্বর ২০২০

♦ প্রকাশক : বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (BBS)

♦ জরিপ পদ্ধতি : ২০১৫-২০১৮ সময়ে যারা অভিবাসী হন, তাদের পরিবারের মধ্যে দৈবচয়নের ভিত্তিতে জরিপটি করা হয়। অভিবাসন ব্যয় নিয়ে প্রথমবারের মতো জরিপ করে BBS।

জরিপ অনুযায়ী–

♦  অভিবাসী কর্মীর মাসিক গড় আয় ২৯,৮৫৫ টাকা। এর মধ্যে নারীর ২০,২২১ টাকা এবং পুরুষের ৩২,৫৪২ টাকা।

♦  একজন অভিবাসী সবচেয়ে বেশি আয় করেন সিঙ্গাপুরে, সেখানে মাসিক গড় আয় ৪৬,৮৯৫ টাকা।

♦  নারী ও পুরুষ মিলে অভিবাসী কর্মীদের মধ্যে প্রধান গন্তব্য দেশ ছিল সৌদি আরব।

♦  অভিবাসী কর্মীরা ব্যয়ের ৭৮ শতাংশই আত্মীয়স্বজন, বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও, মহাজন, ক্ষুদ্রঋণ দানকারী প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ নেয়।

♦  ঋণ ফেরত দিতে না পারায় সম্পত্তি হারিয়েছেন ১৩%।

♦  নিয়োগকারী কোম্পানীর সাথে চুক্তি নেই ৫৩ শতাংশের।

♦  পুরুষ কর্মীরা যেখানে ৮১% ঋণ করে বিদেশ গেছেন, সেখানে নারীদের করা ঋণ ৫৬%।

♦  চুক্তি নেই ৫৩% কর্মীর।

♦  ২০১৫-২০১৮ এ চার বছরে বাংলাদেশ থেকে ২৭ লাখ অভিবাসী বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ৮৫% ও নারী ১৫%।

♦  ২০১৫-১৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি অভিবাসী যায় কুমিল্লা জেলা থেকে।

♦  সরকারের বেঁধে দেয়া খরচের চেয়ে আড়াই গুণ খরচ হয় একজন অভিবাসীর। আর সেই অর্থ তুলে আনতেই লেগে যায় প্রায় ১৮ মাস।

♦  অভিবাসনে যেতে সরকার নির্ধারিত খরচের চিত্র (টাকা) – সিঙ্গাপুরে ২,৬২,২৭০ টাকা, সৌদি আরবে ১,৬৫,০০০ টাকা, মালয়েশিয়ায় ১,৬০,০০০ টাকা, লিবিয়ায় ১,৪৫,৭৮০ টাকা, বাহরাইনে ৯৭,৭৮০ টাকা, ওমানে ১,০০,৭৮০ টাকা এবং কাতারে ১,০০,৭৮০ টাকা। কিন্তু অভিবাসনে যেতে নারী-পুরুষ মিলে গড়ে একজন অভিবাসীর খরচ পড়ে সিঙ্গাপুর ৫,৭৪,২৪১ টাকা, সৌদি আরবে ৪,৩৬,৩৬৬ টাকা, মালয়েশিয়ায় ৪,০৪,৪৪৮ টাকা, কাতারে ৪,০২,৪৭৮ টাকা এবং ওমানে ৩,০৮,০৪৭ টাকা।

ভূমি ব্যবস্থাপনায় স্বয়ংক্রিয় নামজারি

ভূমিসংক্রান্ত যে কোনো সেবা পেতে মানুষকে নানা রকম হয়রানির শিকার হতে হয়। এর অবসানে জমি রেজিস্ট্রেশন, নামজারি (Mutation) ও রেকর্ড অব রাইটস (RoR) কার্যক্রমের মধ্যে সমন্বয় সাধনের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। ৯ নভেম্বর, ২০২০ প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে এ সংক্রান্ত এক প্রস্তাবে অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা। সিদ্ধান্তটি যথাযথ বাস্তবায়িত হলে ভূমি ব্যবস্থাপনায় বড় ধরনের ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে। জমি রেজিস্ট্রেশন, নামজারি ও RoR সমন্বিতভাবে হলে জমি রেজিস্ট্রেশনের আট দিনের মধ্যেই নামজারি করা সম্ভব হবে। এতে বন্ধ হবে হয়রানি ও প্রতারণা। কারণ, এর ফলে একজনের জমি আরেকজন রেজিস্ট্রি করতে পারবে না। ফলে কমে আসবে জমিসংক্রান্ত মামলা-মোকদ্দমা। এক কথায়, এর মধ্যে দিয়ে ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন ঘটবে। ১৭টি উপজেলায় পরীক্ষামূলকভাবে নতুন ব্যবস্থা চালু করা হয়। এক বছরের কম সময়ের মধ্যে পুরো দেশে এ কার্যক্রম শুরু করা হবে।

বর্তমানে ভূমি নিবন্ধনের কাজটি হয় আইন মন্ত্রণালয়ের অধীনে সাব-রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ের মাধ্যমে। আর নামজারির কাজটি হয় ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ের মাধ্যমে। নতুন ব্যবস্থায় দুই দপ্তরের মধ্যে অভিন্ন ‘সফটওয়্যার’ থাকবে এবং তা যৌথভাবে পরিচালনা করা হবে। প্রচলিত পদ্ধতিতে নামজারির জন্য ভূমির মালিককে দীর্ঘ প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ নির্ধারিত ফি’র সাথে জমির মালিকানাসংক্রান্ত কাগজপত্র এসি ল্যান্ড কার্যালয়ে জমা দিতে হয়। সেখান থেকে তা পাঠানো হয় তহশিলদারের কার্যালয়ে। তহশিলদার সন্তুষ্ট হলে তা পাঠানো হয় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে। এরপর সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ভূমি অফিসের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন চাওয়া হয়। এ প্রক্রিয়ায় জড়িত হন ভূমি অফিসের নাজির। এছাড়া জমির ক্রেতা-বিক্রেতাকে ল্যান্ড ট্রান্সফার নোটিশ দেয়া হয়। এ দীর্ঘ প্রক্রিয়ায় সবকিছু ঠিক থাকার পরও ভূমির মালিককে নামজারির জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হয়।

একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন

 শুরু ৮ নভেম্বর, ২০২০ শেষ ১৯ নভেম্বর, ২০২০ (বিল পাস ৯টি কার্যদিবস ১০ দিন।)

বিল

পাসের তারিখ

সামুদ্রিক মৎস্য বিল, ২০২০

১৬ নভেম্বর, ২০২০

মৎস্য ও মৎস্যপণ্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ বিল, ২০২০

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন (সংশোধন) বিল, ২০২০

১৭ নভেম্বর, ২০২০

আকাশপথে পরিবহন (মন্ট্রিল কনভেনশন) বিল, ২০২০

কোম্পানি (সংশোধন) বিল, ২০২০

১৮ নভেম্বর, ২০২০

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (সংশোধন) বিল, ২০২০

সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় বিল, ২০২০

বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড বিল, ২০২০

১৯ নভেম্বর, ২০২০

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ (সংশোধন) বিল, ২০২০

বিশেষ অধিবেশন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক (মুজিবর্ষ) উপলক্ষ্যে একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম বিশেষ অধিবেশন ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম বিশেষ অধিবেশনও বটে। সংসদ কক্ষে জাতির পিতার ছবিসহ অনুষ্ঠিত হয় এ অধিবেশন। বিশেষ এ অধিবেশনে প্রথম এবং শেষ চার কার্যদিবস চলে সাধারণ অধিবেশনের মতো। ৯ নভেম্বর ২০২০ বিশেষ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মারক বক্তৃতা দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ঐ দিনই জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে সংসদে একটি প্রস্তাব আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যা গৃহীত হয় ১৫ নভেম্বর, ২০২০।

বিশেষ অধিবেশন

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক (মুজিবর্ষ) উপলক্ষ্যে একাদশ জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশন ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম বিশেষ অধিবেশন ছিল দেশের ইতিহাসে প্রথম বিশেষ অধিবেশনও বটে। সংসদ কক্ষে জাতির পিতার ছবিসহ অনুষ্ঠিত হয় এ অধিবেশন। বিশেষ এ অধিবেশনে প্রথম এবং শেষ চার কার্যদিবস চলে সাধারণ অধিবেশনের মতো। ৯ নভেম্বর ২০২০ বিশেষ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্ম নিয়ে স্মারক বক্তৃতা দেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ঐ দিনই জাতির পিতাকে শ্রদ্ধা জানাতে সংসদে একটি প্রস্তাব আনেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যা গৃহীত হয় ১৫ নভেম্বর, ২০২০।

মুক্তিযোদ্ধা কর্ণারঃ

■  মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, দেশে এখন গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ২,৩৮,০০০। তবে ডাটাবেইসে যুক্ত হয়েছে ২,১১,০০০। বর্তমানে ভাতা পাচ্ছেন ২,০৩,০০০ মুক্তিযোদ্ধা। সাধারণ মুক্তিযোদ্ধারা ১২,০০০ টাকা মাসিক ভাতা পান। এছাড়া যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, মৃত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধার পরিবার, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরশ্রেষ্ঠদের পরিবারের সদস্যরাও শ্রেণিভেদে ২০,০০০-৪৫,০০০ টাকা হারে মাসিক ভাতা পাচ্ছেন। এর সাথে ২০১৯-২০ অর্থ থেকে জীবিত মুক্তিযোদ্ধাদের জনপ্রতি ৫,০০০ টাকা হারে বিজয় দিবস ভাতা এবং সব মুক্তিযোদ্ধার অনুকূলে মূল ভাতার ২০ ভাগ হারে বাংলা নববর্ষ ভাতা দেয়া হচ্ছে।

■  সনদপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামজারি ১০ কার্যদিবসে সম্পন্ন করতে হবে বলে ১৭ নভেম্বর,২০২০ পরিপত্র জারি করে ভূমি মন্ত্রণালয়। পরিপত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবেদনটি ‘বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নামজারির রেজিস্টার’ নামে পৃথক একটি রেজিস্টারে নথিবন্ধ করার কথা বলা হয়। এছাড়া প্রযোজ্য ক্ষেত্রে সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) স্বয়ং সরেজমিনে তদন্ত করার কথা বলা হয়।

■  মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় সরকারি চাকরিতে নিয়োগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি, শিক্ষা বৃত্তি পাওয়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে সনদ যাচাইয়ের (ভেরিফিকেশন) নতুন ‘প্রমাণক’ নির্ধারণ করেছে সরকার। ১৮ অক্টোবর, ২০২০ মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে সনদ যাচাইয়ের বিষয়ে একটি পরিপত্র ইস্যু করা হয়। পরিপত্রে সাতটি শ্রেণিতে ৩৩টি প্রমাণক নির্ধারণ করে দেয়া হয়।

■  বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুর পর কীভাবে তাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শন করতে হবে, তা নতুন করে নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় ১১ নভেম্বর, ২০২০ ‘বীর মুক্তিযোদ্ধার মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয়ভাবে সম্মান প্রদর্শন আদেশ, ২০২০’ শীর্ষক এ গেজেট জারি করে। এর মধ্য দিয়ে ২০০৫ সালের নিয়ম বাতিল করা হয়। গেজেট অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদর্শনের জন্য মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রমাণকের যেকোনো একটিতে বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম থাকতে হবে।

■  মুক্তিযোদ্ধাদের নামের আগে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহারের বিধান করে গেজেট প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়। ২০ অক্টোবর,২০২০ এ গেজেট জারি করা হয়। গেজেটে বলা হয়, বাংলাদেশে  মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রান্স আইন, ২০১৮ এর ধারা ২(১১) এ মুক্তিযোদ্ধাদেরকে ‘বীর মুক্তিযোদ্ধা’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়। উক্ত আইনের সাথে সঙ্গতি রেখে এবং একাদশ জাতীয় সংসদের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সকল ক্ষেত্রে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নামের পূর্বে বীর শব্দটি ব্যবহার করতে হবে।

■  জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক উপলক্ষ্যে মুজিববর্ষ উদযাপনের আওতায় সরকার অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের আবাসন নির্মাণ নামে একটি প্রকল্প নেয়। এ প্রকল্পের আওতায় বাড়িগুলোর নাম হবে ‘বীর নিবাস’।

বিমানবহরে নতুন বিমান ধ্রুবতারা

জাতীয় পতাকাবাহী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে ২৪ নভেম্বর, ২০২০ যুক্ত হয় কানাডার বিখ্যাত এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত অত্যাধুনিক বিমান ড্যাশ ৮-৪০০। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বিমানের নাম রাখেন ‘ধ্রুবতারা’। ৭৪ আসন সম্বলিত ড্যাশ ৮-৪০০ বিমানটি পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ। এতে রয়েছে হেপা ফিল্টার প্রযুক্তি যা মাত্র ৪ মিনিটেই ভাইরাস-ব্যাকটেরিয়াসহ অন্যান্য জীবাণু ধ্বংসের মাধ্যমে বিমানের অভ্যন্তরের বাতাসকে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ করে। এটা যাত্রীদের ভ্রমণকে করে তোলে অধিক সতেজ ও নিরাপদ । এ নতুন বিমানটিসহ বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইন্সের বহরে বিমানের সংখ্যা বর্তমানে ১৯টি।

নৌবাহিনীতে পাঁচটি আধুনিক জাহাজ

৫ নভেম্বর, ২০২০ বাংলাদেশ নৌবাহিনীতে পাঁচটি জাহাজের কমিশনিং হয়। নতুন কমিশনিং পাওয়া জাহাজগুলোর মধ্যে দুটি আধুনিক ফ্রিগেট ‘বানৌজা ওমর ফারুক’ ও ‘বানৌজা আবু উবাইদাহ’। অন্য তিনটির মধ্যে একটি করবেট যুদ্ধজাহাজ ‘প্রত্যাশা’ এবং দুটি জরিপ জাহাজ ‘বানৌজা দর্শক’ ও ‘বানৌজা তল্লাশি’। নতুন যুক্ত জাহাজগুলো বাংলাদেশের জলসীমা সুরক্ষায় নৌবাহিনীর সক্ষমতা বাড়াবে।

 দেশে প্রথমবারের মতো হেলথ কার্ড চালু

২২ নভেম্বর, ২০২০ দেশে প্রথমবারের মতো চালু হলো কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে হেলথ আউটকাম পরিমাপ ও ইনডিভিজুয়াল হেলথ আইডি কার্ড। এ কার্ডে একজন নাগরিকের চিকিৎসাসংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য সংযুক্ত থাকবে। কার্ডটি সাথে নিয়ে চিকিৎসা নিতে গেলে এ কার্ডের মাধ্যমে সফটওয়্যারে রোগীর আগের তথ্য দেখে চিকিৎসক সহজেই চিকিৎসা দিতে সক্ষম হবেন। প্রাথমিকভাবে এ কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। উন্নত বিশ্বের অনেক দেশেই এ রকম হেলথ আইডি কার্ডের প্রচলন রয়েছে। এ কার্ড বিতরণের মাধ্যমে বাংলাদেশেও স্বাস্থ্যসেবায় আরেকটি মাইলফলক উন্মেচিত হলো।

 রাতারগুলে বেড়াতে ফি লাগবে

দেশের একমাত্র মিঠাপানির বন রাতারগুলে বর্ষায় থৈ থৈ পানিতে বুক ডুবিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে গাছ। আর শীতে ছোট ছোট খাল হয়ে যায় পায়ে চলার পথ। সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার রাতারগুল, বাগবাড়ি ও পূর্ব মহেশখেড় এলাকার ৫০৪.৫০ একর জায়গা নিয়ে মিঠাপানির এ জলাবন। প্রাকৃতিকভাবে বেড়ে ওঠা এ বনে হিজল, করচাসহ ৭৩ প্রজাতির উদ্ভিদ, ২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী, ২০ প্রজাতির সরীসৃপ, ১৭৫ প্রজাতির পাখি ও নয় প্রজাতির উভচর প্রাণী রয়েছে।

রাতারগুল বন ভ্রমণ আগে বিনা পয়সায় করা যেত। কিন্তু ২৯ অক্টোবর, ২০২০ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয় বনটির বিশেষ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের উদ্দেশ্যে এলাকায় প্রবেশ, পার্কিং, ভিডিও ধারণ এবং নৌকা ভ্রমণের ফি নির্ধারণ করে গেজেট প্রকাশ করে।

BGB’ এয়ার উইংয়ের আত্মপ্রকাশ

একটি পরিপূর্ণ ত্রিমাত্রিক আধুনিক সীমান্তবাহিনী গঠনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় ২০১৬ সালে গঠন করা হয় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (BGB) এয়ার উইং। ৮ নভেম্বর, ২০২০ রাশিয়ার তৈরি দুটি অত্যাধুনিক হেলিকপ্টার সংযোজনের মধ্য দিয়ে BGB’র এয়ার উইংয়ের যাত্রা শুরু হয়। সক্ষমতা বৃদ্ধি ও সীমান্তে নজরদারি বাড়াতে হেলিকপ্টার দুটি ব্যবহার করবে BGB । দেশের সকল সীমান্তপথে মাদকদ্রব্যের অনুপ্রবেশ বন্ধে হেলিকপ্টার দুটি ব্যবহৃত হবে। BGB’র দুইজন বীরশ্রেষ্ঠ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ এং ল্যান্স নায়েক মুন্সী আব্দুর রউফের নামে হেলিকপ্টার দুটির নামকরণ করা হয়।

BGB’র এয়ার উইংয়ের আত্মপ্রকাশের দিন BGB- কে একটি ত্রিমাত্রিক বাহিনী হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

নারীদের সাইবার নিরাপত্তায় পুলিশের নতুন ইউনিট

নারীদের সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ পুলিশের উদ্যোগে চালু হয়েছে ‘পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেন’। পুলিশ সদর দপ্তরের LIC শাখার অধীনে পুলিশের নারীসদস্যদের দ্বারা এ সেবা কার্যক্রম পরিচালিত হবে। ১৬ নভেম্বর, ২০২০ এ সেবা কার্যক্রমের উদ্ধোধন করা হয়। নতুন এ কার্যক্রমের সেবা দেয়ার জন্য একটি হটলাইন নম্বর চালু করা হয়। এছাড়াও ই-মেইল ও ফেসবুক পেইজে মেসেজ করে ভুক্তভোগী নারীরা তাদের অভিযোগ জানাতে পারবে।

ভাসানচর (বঙ্গোপসাগরে নতুন নগর)

ভাসানচর সাধারণ কোনো দ্বীপ নয়। এ যেন সাগরের বুকে এক টুকরো শহর। মাত্র ত্রিশ বছর আগেও যে দ্বীপের ওপর দিয়ে জাহাজসহ বিভিন্ন ধরনের জলযান চলাচল করেছে, সেই দ্বীপ এখন বাসযোগ্য। শুধু কোনোরকমে বসবাস নয়, সুউচ্চ বেড়িবাঁধে সুরক্ষিত দ্বীপটিতে জাহাজ ভেড়াবার জেটি, সুবিন্যস্ত সড়ক, সারি সারি ঘর, নান্দনিক নকশার দালান, পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার, চাষাবাদের উপযোগী ভূমি আর রাতে আলোর ঝলকানি কি নেই সেখানে। এ যেন পরিকল্পিত এক জনপদ। ভাসানচর নাম শুনলে ধু ধু বালুচরের যে ছবি মনে ভাসে, তার সাথে এর মিল নেই। বাংলাদেশ নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে ৩,০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে পরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠেছে এ চরটি।

নোয়াখালি হাতিয়া উপজেলাধীন চর ঈশ্বর ইউনিয়নের অধীন প্রায় ১৩,০০০ একর আয়তনের এ দ্বীপ এখন মানুষের বসবাসের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে সাময়িকভাবে স্থানান্তরের জন্য এ ভাসানচরকে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এক লাখ রোহিঙ্গার থাকা আর রান্নার ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, পানি আর পয়ঃনিষ্কাশন, খেলার মাঠ আর ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রের সাথে জীবিকা নির্বাহের সুযোগও সেখানে তৈরি করা হয়েছে। নৌকায় চট্টগ্রামের মূল ভূখণ্ড থেকে ভাসানচর যেতে সময় লাগে দুই ঘণ্টা। আর নোয়াখালীর থেকে এর দূরত্ব ৪০ কিলোমিটার।

 রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত ভাসানচর

 নোয়াখালীর হাতিয়া থানাধীন চর ঈশ্বর ইউনিয়নে ভাসানচর ২০০৬ সালে জেগে উঠে। প্রায় ১৩ হাজার একর আয়তনের এই দ্বীপ এখন মানুষের বসবাসের জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত। মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের একটি অংশকে সাময়িকভাবে স্থানান্তরের জন্য ভাসানচরকে প্রস্তুত করা হয়েছে। এতে খরচ হয়েছে তিন হাজার কোটি টাকার বেশি। কিন্তু জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর আপত্তির কারণে এখনো সেই স্থানান্তর শুরু করতে পারেনি সরকার। প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে এ চরকে সংরক্ষিত বনাঞ্চল এলাকা ঘোষণা করা হয়েছিল।

কী আছে ভাসানচর আবাসন প্রকল্পে

♦ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক নাম- আশ্রয়ণ – ৩। (২০১৭ সালের নভেম্বরে অনুমোদিত)

♦ মোট আয়তন – প্রায় ১৩ হাজার একর। (প্রায় ৬ হাজার ৪২৭ একর ব্যবহারযোগ্য)

♦ প্রকল্পের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে – ১ হাজার ৭০২ একর।

♦ চট্টগ্রামের পতেঙ্গা থেকে দূরত্ব – ২৮ নটিক্যাল মাইল। (১ নটিক্যাল মাইল = ১.৮৫২ কিলোমিটার) সন্দ্বীপ থেকে দূরত্ব – ৪.৫ নটিক্যাল মাইল। হাতিয়া থেকে দূরত্ব – ১৩.২ নটিক্যাল মাইল।

♦ ক্লাস্টার গ্রাম – ১২০টি। (প্রতিটি ক্লাস্টারে রয়েছে ১২টি হাউস, প্রতিটি হাউসে রয়েছে ১৬টি করে কক্ষ, প্রতিটি কক্ষ ৪ জনের একটি পরিবারের থাকার ব্যবস্থা)

♦ শেল্টার ষ্টেশন – ১২০টি (ঘণ্টায় ২৬০ কিলোমিটার গতিবেগের ঘূর্ণিঝড়েও টিকে থাকতে সক্ষম)

♦ বন্যা সুরক্ষা বাঁধ – ১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ।

♦ হাসপাতাল – ২টি (২০ শয্যাবিশিষ্ট) ও ৪টি কমিউনিটি ক্লিনিক।

♦ স্কুল – ২ টি

♦ মসজিদ- ৩টি

♦ পণ্য সংরক্ষণের জন্য গুদাম – ৪টি

♦ সড়ক – ৪৩ কিলোমিটার।

♦ বিদ্যুৎ – সৌরবিদ্যুৎ ১ মেগাওয়াট এবং তেলচালিত জেনারেটর ২ মেগাওয়াট।

♦ বাতিঘর – ৯০ মিটার। (নাম ‘বেকন অব হোপ’ বা আশার আলোকবর্তিকা, যা ১৪ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত নেভিগেশন সুবিধা দিতে পারবে)

♦ বর্তমানে ভাসানচরে রোহিঙ্গা আছেন – ৩০৬ জন।

বাংলাদেশভুটান PTA চুক্তি

বাংলাদেশকে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে প্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ ভুটান। ৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১ বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভুটান। এ ঐতিহাসিক দিনকে সামনে রেখে ৬ ডিসেম্বর, ২০২০ বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের প্রথম দ্বিপাক্ষিক অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যিক চুক্তি (PTA)। এ চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশের ১০০টি পণ্য ভুটানে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে। আর ভুটানের ৩৪টি পণ্য বাংলাদেশে শুল্ক মুক্ত প্রবেশাধিকার সুবিধা পাবে। পরে আলোচনার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে পণ্য সংখ্যা বাড়ানো হবে। বর্তমান বাংলাদেশ তৈরি পোশাক, খাদ্যসামগ্রী, প্লাস্টিক, ওষুধ, গৃহসজ্জাসামগ্রী, ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী ভুটানে রপ্তানি করে। আর ভুটান থেকে বোল্ডার পাথর, সবজি-ফলমূল, নির্মাণসামগ্রী, কেমিক্যাল ইত্যাদি পণ্য আমদানি করে বাংলাদেশ।

BBC’র ১০০ জনের তালিকায় ২ নারী

প্রতি বছর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে ১০০ জন নারীর একটি তালিকা প্রকাশ করে ব্রিটিশভিত্তিক সংবাদমাধ্যম BBC। মূলত বিভিন্ন ক্ষেত্রে অনুপ্রেরণা দান এবং প্রভাব বিস্তারের ওপর ভিত্তি করে ১০০ জন নারীকে নিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়। ২০২০ সালের BBC’র এ তালিকায় স্থান লাভ করেন বাংলাদেশের দুই নারী- যৌনকর্মী রিনা আক্তার ও শিক্ষক রিমা সুলতানা রিমু।

বাংলাদেশি কিশোরের শিশুদের নোবেল লাভ

শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং নাজুক অবস্থায় থাকা শিশুদের সুরক্ষা কাজের অন্য প্রতি বছর ‘কিডস রাইটস’ নামের একটি সংগঠন প্রদান করে ‘শিশুদের নোবেল’ খ্যাত আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার। ২০০৫ সালে রোমে অনুষ্ঠিত নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ীদের এক শীর্ষ সম্মেলন থেকে চালু করা হয় এ পুরস্কার। প্রতিবছর একজন নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী পুরস্কারটি হস্তান্তর করেন।

‘সাইবার বুলিং’ থেকে শিশুদের রক্ষায় কাজ করে ২০২০ সালের আন্তর্জাতিক শিশু শান্তি পুরস্কার লাভ করেন বাংলাদেশের কিশোর সাদাত রহমান। ১৩ নভেম্বর, ২০২০ নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত এক অনুষ্ঠানে নড়াইলের ১৭ বছর বয়সি সাদাতের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। ২০১৩ সালে এ পুরস্কারজয়ী মালালা ইউসুফজাই অনলাইনে যুক্ত হয়ে সাদাতের হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন।

বিবিধ

♦  নির্মাণাধীন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যে মন্ত্রণালয়ের অধীন-–বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়।

♦  বর্তমানে দেশে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা– ১১ কোটি ১১ লাখ।

♦  সম্প্রতি মসলার গুঁড়া তৈরির নতুন পদ্ধতি আবিষ্কার করছেন – মো. মাসুদ আলম (বগুড়ার মসলা গবেষণা কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

♦  বন অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে মোট বনভূমির পরিমাণ– ৬৩ লাখ ৬৮ হাজার ৮৬৯ একর।

♦  দেশে সংরক্ষিত বন রয়েছে– ৩৩ লাখ একর।

♦  বন অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী দেশে বনভূমি আছে মোট আয়তনের– ১৩ শতাংশ। (পরিবেশের ভারসাম্য টিকিয়ে রাখতে হলে একটি দেশে মোট ভূখণ্ডের ২৫ শতাংশ বনভূমি থাকতে হয়)

♦  টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে বনভূমির হার উন্নীত করতে চাইছে– ২০ শতাংশে।

♦  ২৭ অক্টোবর, ২০২০ খুলনা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (আদালত নং-৪) ড. মো. আতিকুস সামাদ একটি মাদক মামলায় মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় ঘোষণা করেন। দেশের বিচার ব্যবস্থাপনায় এত দ্রুত রায় ঘোষণা এটাই প্রথম।

♦  রংপুর, যশোর ও পটুয়াখালীতে নতুন করে আরো তিনটি রাপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল (EPZ) স্থাপনের অনুমোদন দেয় সরকার। দেশের বর্তমানে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (BEPZA) নিয়ন্ত্রিত EPZ চালু আছে আটটি- ঢাকা, চট্টগ্রাম, মোংলা, কুমিল্লা, ঈশ্বরদী, উত্তরা (নীলফামারী), আদমজী ও কর্ণফুলী।

♦  দেশের ৬০ তম তফসিলি ব্যাংক হিসেবে যাত্রা শুরু করতে যাচ্ছে নতুন অনুমোদন পাওয়া বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক (BGCB) । ১১ নভেম্বর, ২০২০ ব্যাংকটির লোগো উন্মোচন করা হয়।

♦  ২৯ অক্টোবর, ২০২০ দেশে প্রথমবারের মতো বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৪১ বিলিয়ন বা ৪,১০০ কোটি ডলার অতিক্রম করে।

♦  বাংলাদেশের যে স্থানে ইন্দিরা মঞ্চ তৈরি হবে- সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে।

♦  বর্তমানে বাংলাদেশে কারাগার রয়েছে– ৬৮টি।

♦  কারাগারে কয়েদিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় –  ৩৮ ধরনের।

♦  ২৮ অক্টোবর ২০২০ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে যাত্রীবাহী বিমান চালু হয় যে নামে- ‘এয়ার বাবল ফ্লাইট’।

♦  বাংলাদেশে প্রবেশে বিদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া হয়- ৩৩ ধরনের।

♦  রাজধানীর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত উড়ালপথে মেট্রোরেলের দূরত্ব– ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার।

Leave a Reply