কালানুক্রমিক ঘটনাবলি
০৪.০৮.২০২০
♦ ‘রঙ্গিন রূপবান’ ছবির নায়ক আবদুস সাত্তার মৃত্যুবরণ করেন।
০৫.০৮.২০২০
♦ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠপুত্র শেখ কামালের ৭১তম জন্মবার্ষিকী পালিত।
০৬.০৮.২০২০
♦ সাত ডিজিটের ল্যান্ড ফোন নম্বর ১১ ডিজিটে রূপান্তর কার্যক্রম শুরু।
০৭.০৮.২০২০
♦ বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ৭৯তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত।
০৮.০৮.২০২০
♦ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের ৯০তম জন্মবার্ষিকী পালিত।
০৯.০৮.২০২০
♦ বরেণ্য গীতিকার, সুরস্রষ্টা, বেহালাবাদক, সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী মৃত্যুবরণ করেন।
♦ জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনে যোগ দিতে চট্টগ্রাম নৌজেটি থেকে লেবাননের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে নৌবাহিনীর যুদ্ধজাহাজ ‘বানৌজা সংগ্রাম’।
১০.০৮.২০২০
♦ দেশবরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৬তম জন্মবার্ষিকী পালিত।
♦ চেক প্রজাতন্ত্রের সাথে বাংলাদেশের দ্বৈত করারোপ পরিহার ও রাজস্ব ফাঁকি রোধ সংক্রান্ত চুক্তি অনুসমর্থন এবং মালদ্বীপের সাথে দ্বৈত কর পরিহার চুক্তি স্বাক্ষরের খসড়া অনুমোদন ।
১২.০৮.২০২০
♦ পদ্মা বহুমুখী সেতুর রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়ের লক্ষ্যে জিটুজি ভিত্তিতে সার্ভিস প্রভাইডার নিয়োগের সরাসরি ক্রয় পদ্ধতির একটি প্রস্তাব অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে অনুমোদিত।
♦ ৭টি প্রকল্পে জাপানের সাথে বাংলাদেশের ৪১তম Official Development Assistance (ODA) আওতায় সবচেয়ে বড় ঋণ সহায়তা (৩২০ কোটি ডলার) চুক্তি স্বাক্ষরিত।
১৩.০৮.২০২০
♦ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আদালত। সাথে আদালত পলাতক সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহাসহ ৮ আসামীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। দেশের ইতিহাসে একজন সাবেক প্রধান বিচারপতি বিরুদ্ধে বিচার শুরুর ঘটনা এটাই প্রথম।
১৫.০৮.২০২০
♦ ভাসানচরের অদূরে বঙ্গোপসাগরে উত্তাল ঢেউয়ে ‘আক্তার বানু’ ও ‘এমভি সিটি-১৪’ নামে দুটি লাইটার জাহাজ ডুবি।
♦ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদৎবার্ষিকী পালিত।
১৭.০৮.২০২০
♦ জাতীয় সংসদের পাঁচটি শূন্য আসনের (নওগাঁ-৬, সিরাজগঞ্জ-১, পাবনা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-১৮) উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিক্রি শুরু।
♦ আধুনিক বাংলা সাহিত্যের অন্যতম কবি শামসুর রাহমানের ১৪তম মৃত্যুবির্ষিকী পালিত হয়।
♦ ‘ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪’-এ দুর্নীতি দমন কমিশনের মামলায় (দুদক) সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিরুদ্ধে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু।
♦ দেশের প্রথম নারী আলোকচিত্র সাইদা খানমের (৮২) মুত্যু।
১৮.০৮.২০২০
♦ “অনুমতি ছাড়া সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারী কোনো গণমাধ্যমে কথা নয়” জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চিঠি।
♦ ২৪ ঘণ্টার সফরে ঢাকা আসেন ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
♦ বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ৬০ বছরে পর্দাপণ করে।
১৯.০৮.২০২০
♦ আলোকচিত্রশিল্পী, অসামান্য কথাশিল্পী, চলচ্চিত্রকার, বীর ভাষাসংগ্রামী ও মুক্তিযোদ্ধা জহির রায়হানের জন্মবার্ষিকী পালিত।
২১.০৮.২০২০
♦ দেশের খ্যাতিমান ভাস্কর মৃণাল হকের (৬২) মৃত্যু।
♦ ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ১৬তম বার্ষিকী পালন।
২৩.০৮.২০২০
♦ শামীম আহসান ইতালিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিযুক্ত।
২৪.০৮.২০২০
♦ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নীতি-২০২০’ এর খসড়া অনুমোদিত।
২৫.০৮.২০২০
♦ মুক্তিযুদ্ধে ৪নং সেক্টরের কমান্ডার মেজর জেনারেল (অব.) চিত্ত রঞ্জণ দ্ত্ত (সিআর দত্ত) বীরউত্তম মৃত্যুবরণ করেন।
♦ মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ফাঁকি রোধে পরীক্ষামূলকভাবে আধুনিক প্রযুক্তির ইলেকট্রনিক্স ফিসকাল ডিভাইস (EFD) চালু করেন।
আলোচিত বাংলাদেশ
জন্মশতবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করল জাতিসংঘঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে শান্তিরক্ষীদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ এক সেট স্মারক ডাকটিকিট অবমুক্ত করেছে জাতিসংঘ। ‘জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের আন্তর্জাতিক দিবস ২০২০ (শান্তিরক্ষী দিবস)’ উপলক্ষে ২৯ মে এই ডাকটিকিট অবমুক্ত করা হয়। স্মারক ডাকটিকিটের ফলিওতে রয়েছে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, মুজিব বর্ষের লোগো, জাতির পিতার প্রতিকৃতিসহ বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে কর্মরত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের ছবি। আরও রয়েছে জাতিসংঘের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো নিয়োজিত বাংলাদেশের দুজন নারী হেলিকপ্টার পাইলটের আইকনিক প্রতিকৃতি।
বঙ্গবন্ধুর সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য ‘বজ্রকণ্ঠ’ উদ্বোধনঃ
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে ‘বজ্রকণ্ঠ’ নামকরণে দেশের সর্ববৃহৎ ভাস্কর্য তৈরি করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। চট্টগ্রামের হালিশহরের বড়পুল মোড়ে নির্মিত হয়েছে বঙ্গবন্ধুর এ সুবিশাল ভাস্কর্য। ২৯ জুলাই চট্টগ্রাম সিটির মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। বজ্রকণ্ঠ ভাস্কর্যটি নির্মাণ ও স্থাপনকাজে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের ব্যয় হয়েছে ৮৭ লক্ষ ৭০ হাজার টাকা। এর উচ্চতা সাড়ে ২২ ফুট ও বেজসহ পুরো ভাস্কর্যের উচ্চতা ২৬ ফুট। সাদা সিমেন্টের (আরসিসি) ঢালাইয়ের মাধ্যমে ভাস্কর্যটি স্থায়ী রূপপ্রাপ্ত হয়, যার ওজন প্রায় ৩০ টন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সাবেক পরিচালক শিল্পী শায়লা শারমিন এবং নাট্যব্যক্তিত্ব আহমেদ ইকবাল হায়দারের পরামর্শ ও তত্ত্বাবধানে এ ভাস্কর্যকর্ম সৃজিত। এ ভাস্কর্যের ভাস্কর হিসেবে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক ভাস্কর মোহাম্মদ আতিকুল ইসলাম ভাস্কর্যের নকশা (মডেল) প্রণয়ন থেকে শুরু করে মূল ভাস্কর্য নির্মাণের সার্বিক কর্মকাণ্ড সম্পাদনা করেন। সহযোগী শিল্পী হিসেবে ছিলেন জয়াশীষ আচার্য্য, তপন ঘোষ ও মোহাম্মদ পারভেজ আলম, শিক্ষার্থী বিলাস মণ্ডল, নুর-এ-আলা সিদ্দিক, গোপাল কৃষ্ণ রুদ্র, মোস্তাফিজুর রহমান তোহা, জয়দীপ দেওয়ানজী। সহশিল্পী তপন ঘোষ ‘বজ্রকণ্ঠ’ নামটির প্রস্তাবক।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রঃ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে একটি প্রামাণ্যচিত্র নির্মাণ করে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আরটিভি। আরটিভি নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণামূলক ও দুর্লভ ফুটেজ সংযোজন করে ‘বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়’ শিরোনামে ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিটের প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করে। তথ্যচিত্রটির গবেষণা, গ্রন্হনা ও পরিচালনা করেন সৈয়দ সাবাব আল আরজু। ১০ আগস্ট ২০২০ আরটিভি বেঙ্গল মাল্টিমিডিয়া স্টুডিওতে এ প্রামাণ্যচিত্রটির প্রিমিয়ার শো আয়োজিত হয়। প্রসঙ্গত, ২৮ ডিসেম্বর ২০১৯ বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বর্ষ উপলক্ষে একটি দীর্ঘ প্রামাণ্যচিত্র নির্মানের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছিল আরটিভি।
বঙ্গবন্ধু স্মরণে পালিত রাষ্ট্রীয় দিবসসমূহঃ
■ ১ মার্চ: জাতীয় বীমা দিবস
১ মার্চ ১৯৬০ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তৎকালীন পাকিস্তানের আলফা ইন্স্যুরেন্স কোম্পানিতে ‘ইন্স্যুরেন্স কন্ট্রোলার’ হিসেবে যোগদান করেন। বঙ্গবন্ধুর জন্য এটা ছিল রাজনীতির বাইরে কোনো প্রতিষ্ঠানে একমাত্র চাকরি করা । বীমা খাতে বঙ্গবন্ধুর যোগদানের দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ১ মার্চকে জাতীয় বীমা দিবস ঘোষণা করা হয় ৮ জানুয়ারি ২০২০।
■ ৭ মার্চ: জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস
৭ মার্চ ১৯৭১ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) এক ঐতিহাসিক ভাষণ দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ১৩ জুলাই ২০২০ মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৭ মার্চকে ‘জাতীয়’ ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা করা হয়।
■ ১৭ মার্চ: জাতীয় শিশু দিবস
শিশুদের প্রতি বঙ্গবন্ধুর ভালোবাসার কারণে ১৯৯৬ সালে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন ১৭ মার্চকে ‘জাতীয় শিশু দিবস’ ঘোষণা করে। প্রথমে দিনটিকে সাধারণ ছুটি ঘোষণা না করলেও পরবর্তীতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়।
■ ৩ এপ্রিল: জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস
৩ এপ্রিল ১৯৫৭ পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদের অধিবেশনে তৎকালীন শিল্প, বাণিজ্য ও শ্রম মন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান The East Pakistan Film Development Corporation Bill, 1957 উত্থাপন করেন, যা পাসের মাধ্যমে জন্মলাভ করে বর্তমান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (BFDC)। বঙ্গবন্ধু কর্তৃক BFDC প্রতিষ্ঠার দিনটিকে স্মরণ করে রাখতে ৩ এপ্রিলকে ‘জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস’ ঘোষণা করা হয় ২৯ মার্চ ২০১২।
■ ৪ জুন: জাতীয় চা দিবস
Pakistan Tea Act, 1950’র অধীনে ২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫১ তৎকালীন পাকিস্তান টি বোর্ড গঠন করা হয়। ৪ জুন ১৯৫৭ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম বাঙালি চেয়ারম্যান হিসেবে চা বোর্ডে যোগ দেন। ২৩ অক্টোবর ১৯৫৮ পর্যন্ত তিনি ঐ পদে ছিলেন। চা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের তারিখ ৪ জুনকে জাতীয় চা দিবস ঘোষণা করা হয় ২০ জুলাই ২০২০।
■ ৯ আগস্ট: জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস
দেশের জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে বঙ্গবন্ধু ৯ আগস্ট ১৯৭৫ তৎকালীন ব্রিটিশ তেল কোম্পানি শেল অয়েল-এর নিকট থেকে তিতাস, হবিগঞ্জ, রশিদপুর, কৈলাশটিলা ও বাখরাবাদ –এ ৫টি গ্যাসক্ষেত্র ক্রয় করে রাষ্ট্রীয় মালিকানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম সম্পন্ন করেন। জ্বালানি খাতে বঙ্গবন্ধুর সেই ঐতিহাসিক সিদ্ধান্তকে স্মরণীয় করে রাখতে ৯ আগস্টকে ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস’ ঘোষণা করা হয় ৯ আগস্ট ২০১০।
■ ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস
১৫ আগস্ট ১৯৭৫ স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় কতিপয় বিপথগামী সেনাসদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন। ১৯৯৬ সালে ১৫ আগস্টকে ‘জাতীয় শোক দিবস’ ঘোষণা করা হয়।
পরবর্তী সিভিএফ সম্মেলন হবে মুজিববর্ষ উপলক্ষেঃ
মুজিববর্ষকে স্মরণ করে ২০২১ সালের ক্লাইমেন্ট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ) সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে ঢাকায়। ২৯ জুলাই ২০২০ জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব ও গ্লোবাল কমিশন অন অ্যাডাপটেশনের চেয়ারম্যান বান কি মুন এ কথা জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা ৪৮ দেশের বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব হলো ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরাম (সিভিএফ)।
‘রিয়েল লাইফ হিরো’ স্বীকৃতি পেলেন ৪ বাংলাদেশিঃ
জাতিসংঘের ‘বাস্তব জীবনের নায়ক’ (রিয়েল লাইফ হিরো) হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছেন চার বাংলাদেশি। ১৮ আগস্ট ২০২০ ‘বিশ্ব মানবতা দিবস’ উপলক্ষে মানবিক সহায়তার সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে এ স্বীকৃতি দেয় জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা কার্যক্রম সমন্বয় সংস্থা (UNOCHA)। এ চারজন হলেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তানভীর হাসান সৈকত, ব্র্যাকের প্রকৌশলী রিজভী হাসান, অনুবাদক সিফাত নুর ও দারিদ্র্য জয় করে স্বাবলম্বী হয়ে ওঠা আঁখি।
বাংলাদেশ–জাপান সবচেয়ে বড় ঋণসহায়তা চুক্তিঃ
৭টি প্রকল্পে ৩২০ কোটি ডলারের অফিশিয়াল ডেভেলপমেন্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট (ODA) স্বাক্ষর করে বাংলাদেশ ও জাপান। ৪১তম ODA –এর আওতায় ১২ আগস্ট ২০২০ দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় ঋণসহায়তা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। বাংলাদেশের পক্ষে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও জাপানের পক্ষে দেশটির ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এ- সংক্রান্ত নোট বিনিময় করেন। এ পর্যন্ত ২২ বিলিয়ন ডলারের সহযোগিতা দিয়েছে জাপান। এতে ০.৬৫% সুদে ৩০ বছরের ঋণ পরিশোধের জন্য সময় দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ১০ বছরের অতিরিক্ত বা গ্রেস পিরিয়ড সময় দেওয়া হয়েছে। এতে ০.০১% পরামর্শক ফি রাখা হয়েছে।
৭টি প্রকল্প, ঋণ বরাদ্দের পরিমাণ ও বাস্তবায়নের সম্ভাব্য মেয়াদ-
নং | প্রকল্পের নাম | ঋণের পরিমাণ (ইয়েন) | সমাপ্তের সম্ভাব্য মেয়াদ |
১ | যমুনা রেল সেতু-২ প্রকল্প | ৮৯.০১৬ বিলিয়ন | মার্চ ২০২৪ |
২ | হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্প | ৮০ বিলিয়ন | মার্চ ২০২৪ |
৩ | ঢাকা এমআরটি ৪ প্রকল্প | ৭২.১৯৪ বিলিয়ন | ডিসেম্বর ২০২২ |
৪ | এমআরটি ৫ প্রকল্প | ৫৫.৬৯৬ বিলিয়ন | নভেম্বর ২০২৯ |
৫ | চট্টগ্রাম-কক্সবাজার হাইওয়ে উন্নয়ন প্রকল্প | ১.৯০৬ বিলিয়ন | সেপ্টেম্বর ২০২৩ |
৬ | ফুড ভ্যালু চেইন উন্নয়ন | ১১.২১৮ বিলিয়ন | সেপ্টেম্বর ২০২৬ |
৭ | শহর উন্নয়ন ও শহর সুশাসন প্রকল্প | ২৮.২১৭ বিলিয়নন | জুন ২০২৬ |
সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে দেশে করোনার জিন নকশা উন্মোচনঃ
বেসরকারি প্রতিষ্ঠান চাইল্ড হেলথ রিসার্চ ফাউন্ডেশন দেশে করোনা ভাইরাসের জিন-নকশা উন্মোচন করেছে। এ কাজে নেতৃত্ব দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহা। ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক ও ঢাকা শিশু হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক সমীর সাহা গত ১৩ মে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। অণুজীববিজ্ঞানী সেঁজুতি সাহার নেতৃত্বে একদল গবেষক এই বিশ্লেষণের কাজটি করেছেন। সেঁজুতি অধ্যাপক সমীর সাহার মেয়ে। এই গবেষণাকাজে সহায়তা করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, গেটস ফাউন্ডেশন ও চ্যান-জাকারবার্গ বায়ো-হাব। প্রসঙ্গত, জিনোম হলো জীবের জিনগত বৈশিষ্ট্যের বিন্যাস বা নকশা। বংশগতির সব বৈশিষ্ট্যই এক বা একাধিক জিনের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়। এসব বৈশিষ্ট্যের তথ্য জানার প্রাথমিক পদক্ষেপ হলো জিন-নকশা উন্মোচন। এ থেকে দেশে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কৌশল সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যাবে।
ধান উৎপাদনে ইন্দোনেশিয়াকে টপকে বাংলাদেশ তৃতীয়ঃ
ধারাবাহিকভাবে কয়েক বছর ধান উৎপাদন বেড়ে যাওয়ায় ইন্দোনেশিয়াকে টপকে বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ধান উৎপাদক দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এত দিন ধরে চীন ও ভারতের পরই তৃতীয় স্থানে ছিল ইন্দোনেশিয়া । তবে এবার ইন্দোনেশিয়াকে টপকে সেই অবস্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) পূর্বাভাস বলছে, চলতি অর্থবছরে (২০১৯-২০) ধান উৎপাদনে ৩ কোটি ৬০ লাখ টন ছাড়িয়ে যাবে। এর মধ্যে দিয়ে বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ ধান উৎপাদন কারী দেশ হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বৈশ্বিক কৃষি উৎপাদন পরিস্থিতির সর্বশেষ তথ্য নিয়ে গত ১৩ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ধান উৎপাদনে বাংলাদেশের তৃতীয় হওয়ার এ পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। প্রতিবেদনে বৈশ্বিক কৃষি উৎপাদন পরিস্থিতির সঙ্গে বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি কৃষিপণ্যের উৎপাদনের তুলনা করা হয়েছে।
চাল উৎপাদনে শীর্ষ ১০ দেশ (কোটি টন)-
দেশ | উৎপাদন |
চীন | ১৪.৯০ |
ভারত | ১১.৮০ |
বাংলাদেশ | ৩.৬০ |
ইন্দোনেশিয়া | ৩.৪৯ |
ভিয়েতনাম | ২.৭৫ |
থাইল্যান্ড | ২.০৪ |
মিয়ানমার | ১.৩১ |
ফিলিপাইন | ১.১০ |
জাপান | ০.৭৬ |
পাকিস্তান | ০.৭৫ |
ভাস্কর মৃণাল হক (৯ সেপ্টেম্বর ১৯৫৮ – ২২ আগস্ট ২০২০)
দেশের খ্যাতিমান ভাস্কর। তার জন্ম রাজশাহীতে। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী। ১৯৯৫ সালে মৃণাল হক যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান এবং সেখানেই তার প্রথম কাজ শুরু করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে এত বেশি কাজ করেন যে, নিউইয়র্কের সরকারি টিভি চ্যানেলে তার একটি সাক্ষাৎকার ২৬ বার এবং সিএনএন চ্যানেলে ১৮ বার প্রকাশিত হয়। ২০০২ সালে মৃণাল হক দেশে ফিরে আসেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন। একই বছর তিনি নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করেন মতিঝিলের ‘বলাকা’ ভাস্কর্যটি।
মৃণাল হকের উল্লেখযোগ্য ভাস্কর্য ও অবস্থান-
ভাস্কর্যের নাম | অবস্থান |
রত্নদ্বীপ | প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, ঢাকা |
রাজসিক | হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল, ঢাকা |
জননী ও গর্বিত বর্ণমালা | পরীবাগ মোড়, ঢাকা |
কোতোয়াল | মিন্টো রোড, ইস্কাটন, ঢাকা |
বলাকা (চারটি বক) | মতিঝিল, ঢাকা |
অতলান্তিকে বসতি | বাংলাদেশ নৌবাহিনীর সদর দপ্তর, ঢাকা |
অর্ঘ্য | সায়েন্স ল্যাবরেটরির মোড়, ঢাকা |
ইস্পাতের কান্না | ধানমন্ডি ২৭ নম্বর, ঢাকা |
প্রত্যাশা | ফুলবাড়িয়া, ঢাকা |
সীমান্ত গৌরব | পিলখানা, ঢাকা |
দুর্জয় | রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স,ঢাকা |
অগ্নিঝরা একাত্তর | সদর, বরগুনা |
প্রত্যয় ৭১ | মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় |
প্রতিরোধ | মাসদাইর, নারায়ণগঞ্জ |
স্বাধীনতা চত্বর | শিবচর, মাদারীপুর |
বিজয় | রামগড়, খাগড়াছড়ি |
চিত্রশিল্পী মুর্তজা বশির (১৭ আগস্ট ১৯৩২ – ১৫ আগস্ট ২০২০)
চিত্রশিল্পী, কার্টুনিস্ট এবং ভাষা আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। তিনি ‘বিমূর্ত বাস্তবতা’ নামে একটি শিল্পধারার প্রবর্তক। তার জন্ম ঢাকায়। তিনি দেশের আধুনিক চারুকলা চর্চার পথিকৃৎ। তিনি ছিলেন বহু ভাষাবিদ ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহর কনিষ্ঠ সন্তান।
■ উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম ► রক্তাক্ত ২১শে, দেয়াল, শহিদ শিরোনাম, কালেমা তাইয়্যেবা, পাখা।
■ রচিত গ্রন্হ ► গল্পগ্রন্হ: কাঁচের পাখির গান, গল্প সমগ্র ׀ কাব্যগ্রন্হ: এসরেণু, তোমাকেই শুধু, এসো ফিরে অনুসূয়া, সাদায় এলিজি। উপন্যাস: আল্ট্রামেরিন, মিতার সঙ্গে চার সন্ধ্যে, অমিত্রাক্ষর। নির্বাচিত রচনা: ‘মূর্ত ও বিমূর্ত’ ‘আমার জীবন ও অন্যান্য’। গবেষণাগ্রন্হ: মুদ্রা ও শিলালিপির আলোকে বাংলার হাবশী সুলতান ও তৎকালীন সমাজ।
■ প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য পুরস্কার ► বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার (১৯৭৫), একুশে পদক (১৯৮০), সুলতান পদক (২০০৩) ও স্বাধীনতা পুরস্কার (২০১৯)।
১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারির ঘটনার ওপর অঙ্কিত ‘রক্তাক্ত ২১শে’ শিরোনামে লিনোকাট চিত্র, যাকে ভাষা আন্দোলনের ওপর আঁকা প্রথম ছবি হিসেবে গণ্য করা হয়।
ঢাকা–OIC ইয়ুথ ক্যাপিটাল ২০২০’ উদ্বোধনঃ
মুসলিম বিশ্বের তরুণদের দৃঢ় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ করার প্রয়াস এবং নানামুখী কৃতিত্বে উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে Islamic Co-operation Youth Forum (ICYF) ২০১৫ সাল থেকে প্রতি বছর OIC সদস্যভুক্ত দেশগুলোকে OIC Youth Capital’র স্বীকৃতি প্রদান করে আসছে। ২০১৯ সালে থেকে শুরু হওয়া তুমুল প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন ধাপ সফলতার সাথে সম্পন্ন করে ২৫ ডিসেম্বর ২০১৯ বাংলাদেশ গৌরবজনক এ স্বীকৃতি অর্জন করে। ২৭ জুলাই ২০২০ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে OIC Youth Capital 2020- এর উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি উপস্থিত ছিলেন OIC’র মহাসচিব ইউসুফ বিন আহমেদ আল ওথাইমিন, ICYF-এর প্রেসিডেন্ট তাহা আইয়ানসহ বিশ্ব নেতারা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কাতারের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী সালেহ বিন ঘানিম আল আলী দোহা থেকে ঢাকার কাছে OIC Youth Capital key (চাবি) হস্তান্তর করেন। OIC Youth Capital 2020- এর প্রতিপাদ্য Resilience for Party and Prosperity, যা করোনাভাইরাস সংকটকালীন কথা বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়। উদ্বোধনের পর ২৭-২৮ জুলাই ২০২০ দু’দিন ব্যাপী Resilient Youth Leadership Summit শিরোনামে যুব সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রতিপাদ্য: ‘রিসাইলিয়েন্স ফর প্যারিটি এন্ড প্রসপারিটি’। যা এ সংকটকালীন সময়ের কথা বিবেচনা করে নির্ধারণ করা হয়েছে।
বিশ্বের সর্ববৃহৎ জলবায়ু উদ্বাস্তু আশ্রয়কেন্দ্রের উদ্বোধন কক্সবাজারেঃ
জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে উদ্বাস্তুদের জন্য কক্সবাজারের খুরুশকুলে বাঁকখালী নদীর তীরে ২৫১ একর জমিতে নির্মাণ করা হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্র। জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য দেশের প্রথম এ আশ্রয় প্রকল্পকে বিশ্বের সর্ববৃহৎ আশ্রয় কেন্দ্র বলে দাবি করা হচ্ছে। এখানে পাঁচতলাবিশিষ্ট মোট ১৩৯ টি ভবনে আশ্রয় পাবেন ৪,৪০৯টি উদ্বাস্তু পরিবার। প্রতিটি পাঁচতলা ভবনে থাকছে ৪৫৬ বর্গফুট আয়তনের ৩২ টি করে ফ্ল্যাট। ২৩ জুলাই ২০২০ প্রকল্পের প্রথম ধাপে নির্মিত ২০ টি ভবনের স্থান পান ৬০০ পরিবার। উদ্বোধন হওয়া ভবনগুলোর নাম – দোলনচাপা, কেওড়া, রজনীগন্ধা, গন্ধরাজ, হাসনাহেনা, কামিনী, গুলমোহর, গোলাপ, সোনালী, নীলাম্বরী, ঝিনুক, কোরাল, মুক্তা, প্রবাল, সোপান, মনখালী, শনখালী, বাঁকখালী, ইনানী ও সাম্পান। ভবনগুলোর নামকরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
শুধু রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানে WARRANT OF PRECEDENCE:
রাষ্ট্রের ব্যক্তি বা গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তাদের পদের আপেক্ষিক মানক্রম Warrant of Precedence বা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম। মূলত রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানাদিতে কারা আমন্ত্রণ পাবেন এবং তাদের আসনবিন্যাস কী হবে, তারই নির্দেশিকা Warrant of Precedence। এ পদক্রম নির্ধারণ করা হয় রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ পদ ও কর্মক্ষেত্র বিবেচনায় রেখে। Warrant of Precedence বা পদমর্যাদাক্রমের ব্যবহারিক গুরুত্ব রাষ্ট্রীয় আচারের মধ্যে সীমাবদ্ধ। এটি মর্যাদা নিধারণের কোনো মাপকাঠি নয়। শুধু রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠানগুলোর শৃঙ্খলার জন্য এটি করা হয়। এর আইনগত বা সাংবিধানিক কোনো ভিত্তি নেই। স্বাধীন বাংলাদেশে ১১ জানুয়ারি ১৯৭৪ প্রথম Warrant of Precedence জারি করা হয়। তখন শুধু রাষ্ট্রীয় ও আনুষ্ঠানিক অনুষ্ঠানে এর প্রয়োগ হতো। এরপর বিভিন্ন কারণে পাঁচ দফা এটা পরিবর্তন করা হয়। এর মধ্যে ৭ মার্চ ১৯৮৮ করা একটি পরিবর্তনকে কেন্দ্র করে বড় বিতর্ক তৈরি হয়। ঐ পরিবর্তনের মাধ্যমে Warrant of Precedence রাষ্ট্রীয় ও অনুষ্ঠানাদির বাইরে সরকারের অন্যান্য সব ক্ষেত্রেও প্রয়োগের সুযোগ রাখা হয়। সর্বশেষ ২০ জুলাই ২০২০ Warrant of Precedence ১৯৮৬-এ পরিবর্তন আনা হয়। এর ফলে এখন থেকে শুধু রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানাদির ক্ষেত্রে Warrant of Precedence প্রয়োগ হবে।
বাংলাদেশের Warrant of Precedence বা রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদাক্রম ২৫ ধাপের। এর মধ্যে প্রথম ১৮ ধাপের মানক্রম
- প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রপতি।
- প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী।
- জাতীয় সংসদের স্পীকার।
- বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি, সাবেক রাষ্ট্রপতিবৃন্দ।
- মন্ত্রীবর্গ, চিফ হুইপ, ডেপুটি স্পীকার, সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা।
- মন্ত্রিপরিষদের সদস্য না হলেও মন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ।
- বাংলাদেশে নিযু্ক্ত রাষ্ট্রদূত ও কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের হাইকমিশনারগণ।
- প্রধান নির্বাচন কমিশনার, পরিকল্পনা কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যান, সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতিগণ, সংসদে বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রীগণ, হুইপ।
- নির্বাচন কমিশনারগণ, সুপ্রিমকোর্টের বিচারপতিগণ (হাইকোর্ট বিভাগ), প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তিগণ।
- উপমন্ত্রীগণ।
- বাংলাদেশে নিযুক্ত বিদেশী দূতবর্গ, উপমন্ত্রীর মর্যাদাপ্রাপ্ত ব্যক্তিবর্গ।
- মন্ত্রীপরিষদ সচিব; বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রধানগণ এবং সরকারের মুখ্য সচিব।
- জাতীয় সংসদ সদস্যবর্গ।
- বাংলাদেশে নিযুক্ত নন এমন সফররত বিদেশি রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ।
- অ্যাটর্নি জেনারেল, মহাহিসাব-নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (CAG), ন্যায়পাল, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর।
- বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ পুলিশের মহাপরিদর্শক, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল এবং নৌ ও বিমানবাহিনীর সমপদমর্যাদার অফিসারগণ, সংসদের সচিবসহ সরকারের সচিববৃন্দ।
- বিদেশী রাষ্ট্রসমূহের চার্জ দ্যা অ্যাফেয়ার্স, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক, জাতীয় অধ্যাপকগণ, সচিব পদমর্যাদায় অধিষ্ঠিত সরকারি কর্মকর্তাবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যগণ, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের স্থায়ী সদস্যবৃন্দ।
- সিটি কর্পোরেশনের মেয়রগণ (স্ব-স্ব এলাকায়)।