BCS কঠিন নয়; প্রস্তুতি যদি গোছানো হয়।

About BCS

BCS এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে Bangladesh Civil Service, যেখানে ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করার জন্য যে পরীক্ষা দিতে হয় সেটাই আসলে বিসিএস পরীক্ষা। একটা দেশের সরকারি চাকরিকে আমরা প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করতে পারি, একটা হলো সামরিক বা মিলিটারি সার্ভিস, আরেকটা হলো বেসামরিক বা সিভিল সার্ভিস। বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (BPSC) গেজেট প্রকাশ করে ক্যাডার হিসেবে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে নিয়োগ দেয়ার জন্য যে পরীক্ষা গ্রহণ করে সেটাই হলো বিসিএস পরীক্ষা।

ক্যাডার এর অর্থ হচ্ছে কিছু লোককে নিয়ে গঠিত একটা দল, যাদেরকে একটা বিশেষ কার্য সম্পাদনের জন্য বিশেষভাবে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। সরকারি কর্ম কমিশন একটি স্বায়ত্বশাসিত সংস্থা, যার দায়িত্ব সরকারি চাকরিতে নিয়োগ সংক্রান্ত দায়িত্ব পালন করা। এটিকে ইংরেজিতে পাবলিক সার্ভিস কমিশন হিসেবে উল্লেখ করা হয়। এটি একটি সাংবিধানিক ও স্বাধীন সংস্থা। একজন চেয়ারম্যান এবং কয়েকজন সদস্য সমন্বয়ে পাঁচ বছর মেয়াদের জন্য কমিশন গঠিত হয়। বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং সদস্যদের নিয়োগ প্রদান করেন। বিসিএস ক্যাডার কর্মকর্তা হিসেবে  সাধারণত দুই ধরনের ক্যাডার পদে নিয়োগ দেয়া হয়। একটি হচ্ছে  ‘সাধারণ ক্যাডার’ এবং অন্যটি ‘কারিগরি বা পেশাগত ক্যাডার’ পদ।

আবেদনের যোগ্যতাঃ

শিক্ষাগত যোগ্যতা

(১) আবেদনপত্রে উল্লেখিত ক্যাডার পদের জন্য কোন প্রার্থীর বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞাপনে উল্লেখিত শিক্ষাগত যোগ্যতা না থাকলে তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না।

(২) যদি কোন প্রার্থী কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোন পরীক্ষায় অবতীর্ণ হয়ে থাকেন যাতে চাহিদাকৃত শ্রেণি বা বিভাগসহ পাস করলে তিনি বিসিএস পরীক্ষা দেওয়ার যোগ্যতা অর্জন করবেন, তাহলে তিনি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। তবে শর্ত থাকে যে, এরূপ ক্ষেত্রে বিসিএস পরীক্ষার আবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখের মধ্যে তার সকল লিখিত পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার প্রমাণপত্র আবেদনের সাথে সংযুক্ত করতে হবে।

(৩) উপ-বিধি (২) এ উল্লেখিত আবেদনপত্র সাময়িকভাবে গ্রহণ করা হবে এবং এরূপ ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীকে অবতীর্ণ প্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হবে।

(৪) অবতীর্ণ প্রার্থীকে তার মৌখিক পরীক্ষার নির্ধারিত তারিখের পূর্বে যথাশীঘ্র সম্ভব বিশ্ববিদ্যালয় হতে অর্জিত প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা অর্জনের মূল অথবা সাময়িক সনদ কমিশনে দাখিল করতে হবে।

(৫) এই বিধির অধীন আবেদনকারী প্রার্থীকে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য তার আবেদনপত্রের সাথে উক্তরূপ শিক্ষাগত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের প্রমাণস্বরূপ উক্ত পরীক্ষার প্রবেশপত্র এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদত্ত পরীক্ষা শুরু ও শেষ হওয়ার তারিখ সংবলিত প্রত্যয়নপত্র অবশ্যই জমা প্রদান করতে হবে।

বয়সসীমা

(১) কমিশন কর্তৃক যে মাসে বিসিএস পরীক্ষার বিজ্ঞাপন জারি করা হবে, উক্ত মাসের প্রথম তারিখে কোন প্রার্থীর বয়স ২১ (একুশ) বছরের নিচে বা ৩০ (ত্রিশ) বছরের উপরে হলে তিনি উক্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

(২) উপ-বিধি (১) এ উল্লেখিত বয়সসীমা নিচে বর্ণিত ক্ষেত্রে শিথিলযোগ্য হবে, যেমন-

(ক) মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধাগণের পুত্র বা কন্যা, প্রতিবন্ধী প্রার্থী এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারের প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩২ (বত্রিশ) বছর।

(খ) মুক্তিযোদ্ধা বা শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, মহিলা এবং অনগ্রসর নাগরিক প্রার্থীর জন্য সরকার কর্তৃক সময় সময় সরকারি গেজেটে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে নির্ধারিত বয়সসীমা।

(৩) বিসিএস (সাধারণ শিক্ষা), বিসিএস (কারিগরি শিক্ষা) এবং বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডার পদের ক্ষেত্রে উপজাতীয় প্রার্থীর সর্বোচ্চ বয়সসীমা ৩২ (বত্রিশ) বছর পর্যন্ত শিথিলযোগ্য হবে এবং অবশিষ্ট সকল ক্যাডারের ক্ষেত্রে উপজাতীয় প্রার্থীদের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে ৩০ বছর।

(৪) উপ-বিধি (১) এবং (২) এ উল্লেখিত বয়সসীমা বিশেষ অবস্থায় সরকার কর্তৃক সময় শিথিলযোগ্য হবে।

(৫) এসএসসি বা সমমানের সনদে উল্লেখিত জন্ম তারিখ অথবা কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত অন্য কোন যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক একজন প্রার্থীর নামে ইস্যুকৃত সনদে উল্লেখিত জন্ম তারিখ বয়স প্রমাণের দলিল হিসেবে গণ্য হবে এবং ‘ও’ লেভেল এবং ‘এ’ লেভেল উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ক্ষেত্রে সনদপত্রে উল্লেখিত জন্ম তারিখ দালিলিক প্রমাণ হিসেবে গণ্য হবে।

(৬) বয়স প্রমাণের জন্য হলফনামা (Affidavit) গ্রহণযোগ্য হবে না।

নাগরিকত্ব

(১) বাংলাদেশের নাগরিক নয় এমন কোন প্রার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

(২) সরকারের পূর্বানুমতি ব্যতিরেকে কোন প্রার্থী কোন বিদেশী নাগরিককে বিয়ে করে থাকলে বা বিয়ে করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে থাকলে তিনি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্য বলে বিবেচিত হবেন না।

শারীরিক যোগ্যতা

মেডিকেল বোর্ড কোন প্রার্থীকে স্বাস্থ্যগতভাবে যোগ্য ঘোষণা না করলে এবং প্রার্থী এমন কোন শারীরিক বিকলতায় ভুগছেন না যা তাকে মনোনীত ক্যাডার পদে দায়িত্ব পালনে কোন বাধা সৃষ্টি করতে পারে, মেডিকেল বোর্ড এরূপ প্রত্যয়ন না করলে উক্ত প্রার্থী ক্যাডার পদে নিয়োগের জন্য যোগ্য বিবেচিত হবেন না। সঠিকভাবে স্বাস্থ্যগত পরীক্ষা সম্পন্ন করাও কোন ক্যাডার পদে নিয়োগের নিশ্চয়তা প্রদান করে না।

চাকরিরত প্রার্থীদের ক্ষেত্রে

প্রজাতন্ত্রের কর্মে অথবা স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অধীন চাকরিরত প্রার্থীগণের মধ্যে যাদের পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যোগ্যতা আছে তারা নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমতিপ্রাপ্ত হলে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন।

যোগ্যতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে BCS Recruitment Rule 2014

নিয়োগ প্রক্রিয়া:

বিসিএস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪-এর বিধান অনুযায়ী বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে উপযুক্ত প্রার্থী মনোনয়নের উদ্দেশ্যে সরকারি কর্ম কমিশন নিম্নোক্ত ৩ স্তর বিশিষ্ট নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করে থাকে

প্রথম স্তরঃ ২০০ নম্বরের MCQ Type Preliminary Test ।

দ্বিতীয় স্তরঃ প্রিলিমিনারি টেস্টে কৃতকার্য প্রার্থীদের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা।

তৃতীয় স্তরঃ লিখিত পরীক্ষায় কৃতকার্য প্রার্থীদের জন্য ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা।

বাংলাদেশ গেজেটে ১৩ নভেম্বর ২০১৮ তারিখে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ইকোনমিক) ক্যাডারকে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) ক্যাডারের সাথে একীভূত করার পর থেকে সর্বমোট ২৬ টি ক্যাডারে বিসিএস-এ নিয়োগ দেয়া হয়ে থাকে।

বিসিএস-এর ২৬টি ক্যাডারের নাম (ইংরেজি বর্ণমালার ক্রমানুসারে)

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (প্রশাসন) 

সাধারণ ক্যাডার

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কৃষি)

কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (আনসার)

সাধারণ ক্যাডার

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (নিরীক্ষা ও হিসাব)

সাধারণ ক্যাডার

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সমবায়)

সাধারণ ক্যাডার

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (শুল্ক ও আবগারি)

সাধারণ ক্যাডার

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিবার পরিকল্পনা)

সাধারণ ক্যাডার

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (মৎস্য)

কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (খাদ্য)

সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

১০

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পররাষ্ট্র)

সাধারণ ক্যাডার

১১

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বন)

কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

১২

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সাধারণ শিক্ষা)

কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

১৩

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (স্বাস্থ্য)

কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

১৪

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (তথ্য)

সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

১৫

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পশু সম্পদ)

সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

১৬

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পুলিশ)        

সাধারণ ক্যাডার

১৭

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ডাক)

সাধারণ ক্যাডার

১৮

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল)

কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

১৯

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (গণপূর্ত)

কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

২০

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (রেলওয়ে প্রকৌশল)

কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

২১

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস

(রেলওয়ে পরিবহন ও বাণিজ্যিক)

সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

২২

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (সড়ক ও জনপথ)

কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

২৩

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (পরিসংখ্যান)

কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

২৪

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কর)

সাধারণ ক্যাডার

২৫

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (কারিগরি শিক্ষা)

কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

২৬

বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বাণিজ্য)

সাধারণ এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার

 

প্রথম ধাপ- MCQ Type Preliminary Test

শূন্য পদের তুলনায় প্রার্থী সংখ্যা বিপুল হওয়ায় লিখিত পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত প্রার্থী বাছাই-এর জন্য বিসিএস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা-২০১৪-এর বিধি-৭ অনুযায়ী বাংলাদেশ সরকারী কর্ম কমিশন ২০০ নম্বরের MCQ Type প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণ করে থাকে। ৩৪তম বিসিএস পরীক্ষা পর্যন্ত ১০০ নম্বরে প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণ করা হতো। বিসিএস পরীক্ষা বিধিমালা-২০১৪-এর বিধানমতে ৩৫তম বিসিএস পরীক্ষা হতে ২০০ নম্বরের ২ ঘণ্টা সময়ে ১০টি বিষয়ের উপর MCQ Type প্রিলিমিনারি টেস্ট গ্রহণের ব্যবস্থা প্রবর্তন করা হয়েছে।

প্রিলিমিনারি টেস্ট-এর বিষয় ও নম্বর বণ্টন

ক্রমিক নম্বর

বিষয়ের নাম

নম্বর বণ্টন

১.

বাংলা ভাষা ও সাহিত্য

৩৫

২.

ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য

৩৫

৩.

বাংলাদেশ বিষয়াবলি

৩০

৪.

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি

২০

৫.

ভূগোল (বাংলাদেশ ও বিশ্ব), পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা

১০

৬.

সাধারণ বিজ্ঞান

১৫

৭.

কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি

১৫

৮.

গাণিতিক যুক্তি

১৫

৯.

মানসিক দক্ষতা

১৫

১০.

নৈতিকতা, মূল্যবোধ ও সু-শাসন

১০

মোট

২০০

 

প্রিলিমিনারি টেস্ট -এর বিস্তারিত সিলেবাস

দ্বিতীয় ধাপ-লিখিত পরীক্ষা (গড় পাস নম্বর ৫০%)

প্রিলিমিনারি টেস্ট-এ কমিশন কর্তৃক কৃতকার্য ঘোষিত প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে হয়। নির্ধারিত শিক্ষাগত যোগ্যতা অনুযায়ী ২৬টি ক্যাডার সাধারণ ক্যাডার এবং কারিগরি/পেশাগত ক্যাডার এই দুই ক্যাটাগরিতে বিভক্ত।

ক. সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা।

খ. কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীদের ৯০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা।

ক. সাধারণ ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন

ক্রমিক নম্বর আবশ্যিক বিষয় নম্বর বণ্টন
১. বাংলা ২০০
২. ইংরেজি ২০০
৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০
৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০
৫. গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ১০০
৬. সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ১০০
মোট ৯০০

খ. কারিগরি/পেশাগত ক্যাডারের প্রার্থীদের জন্য লিখিত পরীক্ষার বিষয়ভিত্তিক নম্বর বণ্টন

ক্রমিক নম্বর আবশ্যিক বিষয় নম্বর বণ্টন
১. বাংলা ১০০
২. ইংরেজি          ২০০
৩. বাংলাদেশ বিষয়াবলি ২০০
৪. আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি ১০০
৫. গাণিতিক যুক্তি ও মানসিক দক্ষতা ১০০
৬. পদ-সংশ্লিষ্ট বিষয় ২০০
মোট ৯০০

লিখিত পরীক্ষার বিস্তারিত সিলেবাস

পদ সংশ্লিষ্ট (Job-related) বিষয়ের পরীক্ষা
যে সকল প্রার্থী সাধারণ ও কারিগরি/পেশাগত উভয় ক্যাডারের পদের জন্য পছন্দক্রম দেবেন, তাদেরকে সাধারণ ক্যাডারের জন্য নির্ধারিত বিষয়ের ৯০০ নম্বরের অতিরিক্ত সংশ্লিষ্ট পদ বা সার্ভিসের জন্য প্রাসংগিক বিষয়ের ২০০ নম্বরের লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়।

তৃতীয় ধাপ- ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষা (পাস নম্বর ৫০%)
বিসিএস-এর লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ বাধ্যতামূলক। মৌখিক পরীক্ষায় পাশ নম্বর ৫০%।

বিসিএস-পরীক্ষার সাক্ষাৎকার বোর্ড গঠন
লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের উপযুক্ততা নির্ধারণের জন্য বিসিএস পরীক্ষা বিধিমালার বিধান অনুযায়ী কমিশন নিম্নোক্তভাবে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ড গঠন করে থাকেঃ

১. কমিশনের চেয়ারম্যান/সদস্য বোর্ড চেয়ারম্যান
২. সরকার কর্তৃক মনোনীত যুগ্মসচিব বা তদূর্ধ্ব পদমর্যাদার কর্মকর্তা বোর্ড সদস্য
৩. কমিশন কর্তৃক মনোনীত বিষয়ভিত্তিক বিশেষজ্ঞ বোর্ড সদস্য