BCS কঠিন নয়; প্রস্তুতি যদি গোছানো হয়।

Loading...

Monthly Affairs

বাংলাদেশ বিষয়াবলি

Bangladesh
December, 2023

কালানুক্রমিক ঘটনাবলি

০১.১১.২০২৩

♦ সম্প্রতি একনেক সভায় বাংলাদেশ সরকার কতটি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে?

উত্তর: ৩৭টি প্রকল্প (৫২ হাজার ৬৬৩ কোটির টাকার অর্থায়নে) ।

♦ ১ নভেম্বর, ২০২৩ ভারতের অর্থায়নে বাংলাদেশ বাস্তবায়িত কতটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন দুই দেশের সরকার প্রধান?

উত্তর: ৩টি প্রকল্প।

♦ প্রখ্যাত বাঙালি নাট্যকার দীনবন্ধু মিত্র কবে মৃত্যবরণ করেন?

উত্তর: ১৮৭৩ সালের ১ নভেম্বর।

♦ কোন মাস থেকে বাংলাদেশ এইচপিভি টিকার কার্যক্রম শুরু হয়?

উত্তর: অক্টোবর, ২০২৩।

♦ দেশব্যাপী 'জাতীয় যুব দিবস' পালন করা হয় কবে?

উত্তর: প্রতিবছর ১ নভেম্বর।

♦ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশ ব্যাংক এর নতুন সেবা ‘টাকা পে’ নামক ডেবিট কার্ড কবে উদ্বোধন করেন?

উত্তর: ১ নভেম্বর, ২০২৩।

০২.১১.২০২৩

♦ প্রতি বছর কোন সময়ে জাতীয় স্বেচ্ছায় রক্তদান এবং মরণোত্তর দিবস পালন করা হয়?

উত্তর: ২ থেকে ৪ নভেম্বর।

♦ কালাজ্বর নির্মূল করে প্রথম দেশ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্বীকৃতি পেয়েছে কোন দেশ?

উত্তর: বাংলাদেশ।

♦ বাংলাদেশ সরকারের সাথে কোন কোম্পানি ২০২৬ সাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) সরবরাহ করতে ১৫ বছরের জন্য চুক্তি করেছে?

উত্তর: মার্কিন কোম্পানি এক্সিলারেট এনার্জি বাংলাদেশ লিমিটেড।

♦ কোন বিদেশি পর্যটক সর্বপ্রথম ‘বাঙ্গালা' শব্দটি ব্যবহার করেন?

উত্তর: ইবনে বতুতা।

♦ সম্প্রতি WHO এর আঞ্চলিক পরিচালক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কোন বাঙালি?

উত্তর: সায়মা ওয়াজেদ পুতুল।

♦ মৈত্রী সুপার থার্মাল বিদ্যুৎ প্রকল্পে ভারতে দেওয়া ঋণের পরিমাণ কত?

উত্তর: ১ দশমিক ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

০৩.১১.২০২৩

♦ বাংলাদেশে ‘জেলহত্যা দিবস’ পালিত হয় কবে?

উত্তর: ৩ নভেম্বর (১৯৭৫ সালের এই দিনে জাতীয় চার নেতাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী অবস্থায় হত্যা করা হয়)।

♦ সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে টাইম ম্যাগাজিনের প্রকাশিত প্রচ্ছদের শিরোনাম কী ছিল?

উত্তর: 'শেখ হাসিনা অ্যান্ড দ্য ফিউচার অব ডেমোক্রেসি ইন বাংলাদেশ।’

♦ বাংলাদেশি রসায়নবিদ, প্রন্থকার, এবং শিক্ষাবিদ মুহম্মদ কুদরাত-এ-খুদা কবে মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর: ১৯৭৭ সালের ৩ নভেম্বর।

♦ বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকার এবং প্রখ্যাত লোক-সাহিত্যবিশারদ দীনেশচন্দ্র সেন কবে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: ৩ নভেম্বর, ১৮৬৬।

♦ চলতি অর্থবছরে অক্টোবর মাসের রপ্তানিকৃত সকল পণ্যের অর্থমূল্য কত?

উত্তর: ৩৭৬ কোটি মার্কিন ডলার।

০৪.১১.২০২৩

♦ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশে 'জাতীয় সংবিধান' দিবস কবে পালিত হয়?

উত্তর: ৪ নভেম্বর।

♦ 'জাতীয় সমবায় দিবস' কবে পালিত হয়?

উত্তর: নভেম্বর মাসের প্রথম শনিবার (৫২তম)।

♦ কাজী ইমদাদুল হক জন্মগ্রহণ করেন কবে? উত্তর: ৪ নভেম্বর, ১৮৮২।

♦ মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করা হয় কবে?

উত্তর: ৪ নভেম্বর, ২০২৩।

♦ বিখ্যাত ‘দুবলার চর' কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: সুন্দরবন।

♦ বিবিএসের প্রতিবেদন ২০২২ অনুযায়ী, হস্ত ও কারু শিল্পের বর্তমান বাজারমূল্য কত?

উত্তর: ২,৪৩০ কোটি টাকা।

♦ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর 'আমার সোনার বাংলা' গানটি লেখেন কত সালে?

উত্তর: ১৯০৫ সালে (মুজিবনগর সরকার বাংলাদেশের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দেয়)।

০৫.১১.২০২৩

♦ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্র কোন জেলায় অবস্থিত?

উত্তর: কক্সবাজার।

♦ বর্তমানে বাংলাদেশে নিবন্ধিত মোট রাজনৈতিক দল কতটি?

উত্তর: ৪৪ টি।

♦ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এমআরটি লাইন-৫ এর হেমায়েতপুর-ভাটারা রুটের নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন কবে?

উত্তর: ৪ নভেম্বর ২০২৩।

♦ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম তিন মাসের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য ঘাটতি কত?

উত্তর: ১৮১ কোটি ৮০ লাখ ডলার।

০৬.১১.২০২৩

♦ ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শেখ হাসিনাসহ ১৯৩টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধানকৃত অনুমোদিত SDG এর শিরোনাম কী?

উত্তর: ট্রান্সফরমিং আওয়ার ওয়ার্ল্ড: 'দ্য ২০৩০ এজেন্ডা ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’।

♦ ২০২৫ সাল নাগাদ সুনামগঞ্জের ‘ছাতক সিমেন্ট কারখানা' প্রকল্পের মোট নির্মাণ ব্যায় কত ধরা হয়েছে?

উত্তর: প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা (১৪১৭ কোটি)।

০৭.১১.২০২৩

♦ প্রতিবছর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস কবে পালন করা হয়?

উত্তর: ৭ নভেম্বর।

♦ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মতে দেশের আনুষ্ঠানিক অর্থনীতির কত শতাংশ নারী কর্মী?

উত্তর: ৪৬ শতাংশ।

♦ বাংলাদেশের প্রথম সমুদ্র বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্র কোথায় নির্মাণ করা হবে?

উত্তর: কক্সবাজারে সাগরের ভেতরে (অফশোর)।

♦ দেশের ১ম সমুদ্র বায়ু বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য বাজেট কত ধরা হয়েছে?

উত্তর: ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার (বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের যৌথ উদ্যোগে)।

♦ এযাবৎ ADB বাংলাদেশকে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য কী পরিমাণ অর্থ সহায়তা করেছে?

উত্তর: ২৯ হাজার ৮৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ এবং ৫৭১.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান সহায়তা করেছে।

♦ 'হস্তশিল্প প্রতিষ্ঠান জরিপ ২০২২ ́ অনুযায়ী মোট হস্তশিল্প কর্মীদের মধ্যে কত শতাংশ নারী?

উত্তর: ৫৬ শতাংশ।

০৮.১১.২০২৩

♦ পোশাকশিল্পের শ্রমিকদের জন্য শ্রম মন্ত্রণালয় ন্যূনতম মজুরী কত নির্ধারণ করেছে?

উত্তর: ১২,৫০০ টাকা যা ১ ডিসেম্বর, ২০২৩ থেকে কার্যকর হবে।

♦ BBS এর খানা ও ব্যায় জরিপ-২০২২ অনুসারে, বর্তমানে দেশে দারিদ্র্যের হার কত?

উত্তর: ১৮.৭ শতাংশ।

♦ বাংলাদেশে কত সালে ড্রাগ অর্ডিন্যান্স জারি হয়?

উত্তর: ১৯৮২ সালে।

♦ বাংলাদেশের চাহিদার কত শতাংশ ঔষধ দেশে উৎপাদিত হয়?

উত্তর: ৯৮ শতাংশ।

♦ বাংলাদেশ ২০২২-২৩ অর্থবছরে কত টাকার ঔষধ রপ্তানি করেছে?

উত্তর: ২ হাজার ২২ কোটি টাকার অধিক (বিশ্বের ১৫৭ দেশে রপ্তানি করা হয়)।

০৯.১১.২০২৩

♦ বাংলাদেশ সরকার কতটি শিল্প প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় রপ্তানি ট্রফি ২০২০-২১ প্রদান করেছে?

উত্তর: ৩২টি খাতের ৭৩টি প্রতিষ্ঠান।

♦ সম্প্রতি কোন দেশ বাংলাদেশকে ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য কিট সহায়তা প্রদান করেছে?

উত্তর: চীন।

♦ জার্মান চিকিৎসক উইলহেম রন্টজেন কত সালে এক্স রে আবিষ্কার করে?

উত্তর: ১৮৯৫ সালে।

♦ বাংলাদেশে জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াকরণে বছরে আয় হয় কত?

উত্তর: ৮০০ মিলিয়ন বা ৮০ কোটি ডলার। (সরকারের রাজস্ব আয় ১০ থেকে ১২ কোটি ডলার)

♦ বাংলাদেশের বার্ষিক জাহাজ পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পের গড় প্রবৃদ্ধি কত?

উত্তর: প্রায় ১৪ শতাংশ।

১০.১১.২০২৩

♦ শহীদ নূর হোসেন দিবস কবে?

উত্তর: ১০ নভেম্বর।

♦ পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তর: মানবেন্দ্র নারায়ণ লারমা

♦ ০৯ নভেম্বর, ২০২৩ একনেক সভায় কত টাকার প্রকল্প পাশ হয়?

উত্তর: ৩৯ হাজার ৯৪ কোটি টাকা (৪৪টি প্রকল্প)।

♦ বাংলাদেশে সংবিধানের ৭ম সংশোধনী কবে গৃহীত হয়?

উত্তর: ১০ নভেম্বর, ১৯৮৬ (সামরিক আইন প্রত্যাহার)।

♦ বাংলাদেশ কবে নিম্ন আয়ের দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের তালিকায় প্রবেশ করেছে?

উত্তর: ২০১৫ সালে।

১১.১১.২০২৩

♦ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে দোহাজারী-কক্সবাজার রেলপথের উদ্বোধন হবে-

উত্তর: ১১ নভেম্বর, ২০২৩।

♦ চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেলপথের দূরত্ব কত?

উত্তর: ১৫০ দশমিক ৮৭ কিলোমিটার (বাণিজ্যিক দূরত্ব ১৮৯ কিলোমিটার)।

♦ কক্সবাজারের মহেশখালীর মাতারবাড়ী কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রথম ইউনিটের উদ্বোধন করা হবে কবে?

উত্তর: ১১ নভেম্বর, ২০২৩।

♦ কবে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বাণিজ্য চালুর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়?

উত্তর: ১১ নভেম্বর, ১৯৯৬।

১২.১১.২০২৩

♦ বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার কত শতাংশ উপকূলীয় অঞ্চলে বাস করে?

উত্তর: ৩৬ শতাংশ।

♦ জাতীয় সংসদে সর্বসম্মতিক্রমে 'ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ' বাতিল হয় কবে?

উত্তর: ১২ নভেম্বর, ১৯৯৬।

♦ বাংলাদেশের কোথায় নতুন করে সাফারি পার্ক তৈরি করা হবে?

উত্তর: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায়।

♦ একটি নবজাতক শিশুর দেহে কতটি হাড় থাকে?

উত্তর: ৩০০টি।

♦ বাংলাদেশ রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত হওয়া সর্বশেষ জেলা কোনটি?

উত্তর: কক্সবাজার (রেলওয়ে নেটওয়ার্কে যুক্ত মোট জেলা- ৪৮টি)।

১৩.১১.২০২৩

♦ প্রথম মুসলিম বাঙালি ঔপন্যাসিক মীর মশাররফ হোসেন কবে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: ১৩ নভেম্বর, ১৮৪৭।

♦ নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদ কবে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: ১৩ নভেম্বর, ১৯৪৮।

♦ সদ্য প্রকাশিত 'আওয়ার ডেট টু দ্য ফোর প্রফেসরস' বইটির লেখক কে?

উত্তর: অর্থনীতিবিদ এস নজরুল ইসলাম।

♦ ২০২২-২৩ অর্থবছরে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি আয়ের পরিমাণ কত?

উত্তর: ১২২ কোটি ৩৬ লাখ ডলার।

♦ কোন বাংলাদেশি এশিয়ার নোবেল খ্যাত ‘র‍্যামন ম্যাগসাইসাই’ পুরস্কার পেয়েছেন?

উত্তর: করভি রাকসান্দ (জাগো ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা)।

১৪.১১.২০২৩

♦ মাতারবাড়ীতে জাহাজ চলাচলের জন্য নৌপথের স্বাভাবিক গভীরতা কত?

উত্তর: ১৬ মিটার।

♦ চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর ১ম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নাম কী?

উত্তর: ‘মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী এক্সপ্রেসওয়ে' (দৈর্ঘ্য- ১৫.২ কি.মি., প্রস্থ-১৬.৬ মি)।

♦ 'নিকাশ' কী?

উত্তর: বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার পদ্ধতি।

১৫.১১.২০২৩

♦ প্রখ্যাত সাহিত্যিক হাসান আজিজুল হক কত সালে "সাহিত্যরত্ন” উপাধি লাভ করেন?

উত্তর: ২০১৮ সালে। (তিনি ২০২১ সালের ১৫ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন)।

♦ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কবে নোবেল পুরষ্কার লাভ করেন?

উত্তর: ১৯১৩ সালের ১৫ নভেম্বর। (এশিয়ার প্রথম ব্যাক্তি হিসেবে)।

♦ জাতীয় রেল দিবস কবে পালন করা হয়?

উত্তর: ১৫ নভেম্বর।

♦ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানার নাম কি?

উত্তর: নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা।

♦ জাতীয় রপ্তানি ট্রফি (স্বর্ণ) ও সনদ-২০২৩ অর্জন করেছে কোন প্রতিষ্ঠান?

উত্তর: স্লোটেক্স আউটারওয়্যার লিমিটেড।

১৬.১১.২০২৩

♦ 'জাতীয় কৃষি দিবস' কবে উদযাপন করা হয়?

উত্তর: ১ অগ্রাহায়ণ।

♦ মানবাধিকার পরিস্থিতির উন্নতিতে বাংলাদেশের জন্য কতটি সুপারিশ চূড়ান্ত করেছে জাতিসংঘ?

উত্তর: ৩০১টি।

♦ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে কবে?

উত্তর: ২০২৪ সালের ০৭ জানুয়ারি।

♦ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধির পরিমাণ কত ছিল?

উত্তর: ১০ দশমিক ২৭ শতাংশ।

♦ চলতি অর্থবছরের ‘জুলাই থেকে অক্টোবর' চার মাসে ইউরোপে পোশাক রপ্তানি বেড়েছে-

উত্তর: ৪ শতাংশ।

১৭.১১.২০২৩

♦ বাংলাদেশ কত সাল পর্যন্ত ইউনেস্কোর নির্বাহী বোর্ডের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছে?

উত্তর: ২০২৭ সাল ।

♦ ইউনেস্কো কত সালে একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেয়?

উত্তর: ১৯৯৯ সালের ১৭ ই নভেম্বর।

♦ হরপ্রসাদ শাস্ত্রীর উপাধি কি?

উত্তর: মহামহোপাধ্যায় (তিনি ১৯৩১ সালের ১৭ নভেম্বর প্রয়াণ লাভ করেন)।

♦ মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী মৃত্যুবরণ কবে?

উত্তর: ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর।

♦ কাজী নজরুল ইসলামের 'কারার ঐ লৌহ-কপাট' গানটি লেখা হয় কবে?

উত্তর: ১৯২১ সালে।

♦ বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় 'মিধিলি' শব্দের অর্থ কী?

উত্তর: ফলপ্রসু বিষয়।

১৮.১১.২০২৩

♦ ২০০০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট মোট ঘূর্ণিঝড়ের সংখ্যা কতটি?

উত্তর: ৬২টি (সূত্র: আবহাওয়া অধিদপ্তর)।

♦ সম্প্রতি ফিলিস্তিনের পরিস্থিতি তদন্তে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে কতটি দেশ আবেদন জানিয়েছে?

উত্তর: ৫টি (বাংলাদেশও এতে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে)।

♦ ‘দ্বিতীয় ভয়েস অব গ্লোবাল সাউথ সামিট-২০২৩′ কবে উদ্বোধন করা হয়?

উত্তর: ১৭ নভেম্বর, ২০২৩।

♦ চলতি অর্থবছরে কৃষি ও পল্লিঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে-

উত্তর: ৩৫ হাজার কোটি টাকা।

♦ বিবিএস-এর জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২০ এর তথ্যমতে, দেশের কতভাগ মানুষ প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আর্থিক লেনদেন করে?

উত্তর: ২৫ দশমিক ৩৫ ভাগ।

♦ সিপাহী বিদ্রোহ কত সালে সংগঠিত হয়?

উত্তর: ১৮৫৭ সালে।

১৯.১১.২০২৩

♦ আইসিডিডিআরবি এবং বি-স্ক্যান কর্তৃক যৌথভাবে প্রকাশিত সমীক্ষা অনুযায়ী, দেশে প্রতিবন্ধিতার হার কত?

উত্তর: ৮ শতাংশ।

♦ বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি কত শতাংশ কমেছে?

উত্তর: ১১.৫২ শতাংশ।

♦ দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম নভোথিয়েটার কবে উদ্বোধন করা হয়?

উত্তর: ১৪ নভেম্বর ২০২৩ (রাজশাহীতে অবস্থিত)।

♦ বাংলাদেশ সংবিধান প্রণয়ন কমিটির বৈঠকে সহযোগিতা করেন ব্রিটিশ আইনসভার কোন খসড়া আইন-প্রণেতা?

উত্তর: আই গাথরি।

♦ দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম আন্তর্জাতিক বোর্ডিং স্কুল কোথায় অবস্থিত?

উত্তর: হেইলিবারি (ভালুকা, ময়মনসিংহ)।

♦ ব্রিটিশ বিরোধী বিপ্লবী তিতুমীরের প্রকৃত নাম কী?

উত্তর: সৈয়দ মীর নিসার আলী (তিনি ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর শহিদ হন)।

♦ জাতীয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের রূপকার ও চিত্রশিল্পীর নাম কী?

উত্তর: হামিদুর রহমান (তিনি ১৯ নভেম্বর, ১৯৮৮ সালে মৃত্যুবরণ করেন)।

২০.১১.২০২৩

♦ ১৩তম ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩ এর চ্যাম্পিয়ন হয় কোন দল?

উত্তর: অস্ট্রেলিয়া (সর্বোচ্চ ষষ্ঠবারের মতো)।

♦ ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের এক আসরে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড কোন ক্রিকেটারের?

উত্তর: বিরাট কোহলি (৭৬৫ রান)।

♦ প্রথিতযশা কবি বেগম সুফিয়া কামাল মৃত্যুবরণ করেন কবে?

উত্তর: ২০ নভেম্বর, ১৯৯৯ সালে।

♦ লোকসাহিত্য বিশারদ দীনেশচন্দ্র সেন কবে মৃত্যুবরণ করেন?

উত্তর: ২০ নভেম্বর, ১৯৩৯।

♦ ফায়ার সার্ভিসের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো কতজন নারীকে ফায়ারফাইটার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে?

উত্তর: ১৫ জন।

♦ জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (FAO)-এর তথ্যমতে, বাংলাদেশ কতটি কৃষিপণ্য উৎপাদনে শীর্ষ দশে অবস্থান করছে?

উত্তর: ২২টি।

২১.১১.২০২৩

♦ বাংলাদেশ সশস্ত্র বাহিনী দিবস কবে পালন করা হয়?

উত্তর: ২১ নভেম্বর।

♦ 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণ' গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন করা হয় কবে?

উত্তর: ২০ নভেম্বর, ২০২৩ (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্মোচন করেন)।

২২.১১.২০২৩

♦ "বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণ" গ্রন্থটিতে কতটি ভাষণ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে?

উত্তর: ৫৮টি।

♦ 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ভাষণ' গ্রন্থটি কে সম্পাদনা করেছেন?

উত্তর: মোঃ আকরাম-আল-হোসেন।

♦ ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাষ্ট্রে কত ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে?

উত্তর: ৯৭০ কোটি ডলার।

♦ ২০২২-২৩ অর্থবছরে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী আয় আসে কোন দেশ থেকে?

উত্তর: সৌদি আরব (৩৭৭ কোটি ডলার)।

♦ বিবিসির ২০২৩ সালের ১০০ প্রভাবশালী নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছে কোন বাংলাদেশি?

উত্তর: জান্নাতুল ফেরদৌস।

২৩.১১.২০২৩

♦ কোন বাঙালি বিজ্ঞানী কে রেডিও বিজ্ঞানের একজন জনক বলা হয়?

উত্তর: স্যার জগদীশচন্দ্র বসু। (তিনি ২৩ নভেম্বর, ২০২৩ মৃত্যুবরণ করেন)।

♦ বাংলা সাহিত্যের প্রথম ঔপন্যাসিক প্যারীচাঁদ মিত্র এর ছদ্মনাম কী?

উত্তর: টেকচাঁদ ঠাকুর। (১৮৮৩ সালের ২৩ নভেম্বর মৃত্যুবরণ করেন)।

♦ ‘ভয়েস এন্ড ভিউজ' কী?

উত্তর: মানবাধিকার সংগঠন।

♦ বিশ্বের কতটি দেশে বাংলাদেশের মাছ রপ্তানি করা হয়?

উত্তর: ৫২টি।

২৪.১১.২০২৩

♦ বর্তমানে বাংলাদেশের পোশাক শিল্পে নারী কর্মীর সংখ্যা কত?

উত্তর: ৫৩.৬৫ শতাংশ।

♦ নারীর জন্য অন্যতম সাহিত্য সম্মনন-অনন্যা সাহিত্য পুরস্কর-১৪৩০ প্রদান করা হয় কাকে?

উত্তর: আফরোজা পারভীন।

♦ ‘মিধিলি’ পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়ের নাম কী?

উত্তর: মিগজাউম (মিচাউং থেকে)।

♦ মিগজাউম বা মিচাউং ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করে কোন দেশ?

উত্তর: মিয়ানমার।

♦ নগর স্বাস্থ্য সেবায় উন্নয়নসহ বাংলাদেশকে কয়টি প্রকল্পে ঋণ দিবে বিশ্বব্যাংক?

উত্তর: ৫টি।

♦ বাংলাদেশকে দেওয়া বিশ্বব্যাংকের ৫টি প্রকল্পের ঋণের পরিমাণ কত?

উত্তর: ১১১ কোটি মার্কিন ডলার।

২৫.১১.২০২৩

♦ আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ দিবস কবে?

উত্তর: ২৫ নভেম্বর।

♦ নারী ও শিশু নির্যাতন রোধে জাতীয় হটলাইন নম্বর কত?

উত্তর: ১০৯ অথবা ১০৯২১।

♦ নারী উদ্যোক্তাদের ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য বিএসইসি নতুন কোন সুবিধা চালু করেছে?

উত্তর: অরেঞ্জ বন্ড।

♦ ডিসেম্বরে IMF এবং ADB থেকে কী পরিমাণ ঋণ পেতে পারে বাংলাদেশ?

উত্তর: ১.১ বিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশ ব্যাংক)।

♦ মোংলা সমুদ্রবন্দরের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের দায়িত্ব পেয়েছে কোন দেশ?

উত্তর: চীন।

♦ বর্তমানে মোংলা বন্দরে কতটি জাহাজ একসাথে নোঙর করতে পারে?

উত্তর: ৪৭টি।

২৬.১১.২০২৩

♦ ইইউর ২৭টি দেশে বাংলাদেশেল মোট রপ্তানি পণ্যের পরিমাণ কত?

উত্তর: ৪৫ শতাংশ।

♦ বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার ২০২৩ পেলেন কতজন বিশিষ্ট ব্যক্তি?

উত্তর: ৭ জন।

♦ ভাষাতাত্ত্বিক পণ্ডিত, সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় কবে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: ২৬ নভেম্বর, ১৮৯০।

♦ ধ্বনি বিজ্ঞানী ও ভাষাতাত্ত্বিক মুহম্মদ আবদুল হাই কবে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: ১৯১৯ সালের ২৬ নভেম্বর৷

♦ সম্প্রতি কোন বাংলাদেশি রোমানিয়ার 'ন্যাশনাল অর্ডার ফর মেরিট' পদকে ভূষিত হন?

উত্তর: এনায়েতউল্লাহ খান (দুই দেশের দ্বিপাক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়নে অবদানের জন্য)।

২৭.১১.২০২৩

♦ শহীদ ডা. মিলন দিবস কবে পালিত হয়?

উত্তর: ২৭ নভেম্বর।

♦ ভাষাবিজ্ঞানী এবং শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরী কবে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: ২৭ নভেম্বর, ১৯২৫।

♦ ভাষা শহীদ আবদুস সালাম কবে জন্মগ্রহণ করেন?

উত্তর: ২৭ নভেম্বর, ১৯২৫।

♦ সম্প্রতি কোন দেশ বাংলাদেশে তাদের দূতাবাস বন্ধ করেছে?

উত্তর: উত্তর কোরিয়া।

২৮.১১.২০২৩

♦ ২০২২-২৩ অর্থবছরে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির পরিমাণ কত?

উত্তর: ৫,৫৫৬ কোটি ডলার।

♦ চলতি অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রবাসী আয়ে যুক্তরাজ্যের অবস্থান কত?

উত্তর: ৩য় (প্রায় ৫৯ কোটি ডলার)।

♦ ২০২২-২৩ অর্থবছরে যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের মোট রপ্তানির পরিমাণ কত?

উত্তর: ৯.৫৫ শতাংশ।

♦ বাংলাদেশের কোন প্রতিষ্ঠান উচ্চপ্রযুক্তির বায়োলজিক্যাল ভায়াল রপ্তানি করবে?

উত্তর: এসকেএফ ফার্মাসিউটিক্যাল লিমিটেড।

২৯.১১.২০২৩

♦ সম্প্রতি বাংলাদেশের কোন জেলায় 'স্মার্ট স্কুলবাস' সুবিধা চালু করা হয়েছে?

উত্তর: চট্টগ্রাম।

♦ বর্তমানে বাংলাদেশের বার্ষিক গড় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত?

উত্তর: ১ দশমিক ১২ শতাংশ।

♦ বিবিএস এর তথ্যমতে সবচেয়ে বেশি প্রবাসী কোন বিভাগের?

উত্তর: চট্টগ্রাম (সবচেয়ে কম- রংপুর)।

♦ জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বছরে বৈশ্বিক জিডিপির কত শতাংশ নষ্ট হচ্ছে?

উত্তর: ৬.৩ শতাংশ।

৩০.১১.২০২৩

♦ জাতীয় আয়কর দিবস কবে?

উত্তর: ৩০ নভেম্বর।

♦ জাতীয় ভ্যাট দিবস কবে?

উত্তর: ১০ ডিসেম্বর।

♦ চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এনবিআর এর নির্ধারিত রিটার্ন জমার লক্ষ্যমাত্র কত?

উত্তর: সারাদেশে ৪০ লাখ।

♦ জাতীয় পর্যায়ে কতটি প্রতিষ্ঠান সেরা 'ভ্যাটদাতা পুরস্কার-২০২৩ পেয়েছে?

উত্তর: ৯টি (জেলা পর্যায়ে ১৩৮টি প্রতিষ্ঠান)।

 

আলোচিত বাংলাদেশ

বাংলা একাডেমি প্রদত্ত পুরস্কার পেলেন জন

৫ নভেম্বর ২০২৩ সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের জন্য ২০২৩ সালে ৭ জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে বাংলা একাডেমি পরিচালিত সাহিত্য পুরস্কারের জন্য মনোনীত করা হয়। ২৫ নভেম্বর ২০২৩ বাংলা একাডেমির সাধারণ পরিষদের ৪৬তম বার্ষিক সভায় গুণীজনদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

নাম বিজয়ী
সা’দত আলি আখন্দ সাহিত্য পুরস্কার কবি ওমর কায়সার
মযহারুল ইসলাম কবিতা পুরস্কার কবি নির্মলেন্দু গুণ
অধ্যাপক মমতাজউদ্দীন আহমদ নাট্যজন পুরস্কার রামেন্দু মজুমদার
মেহের কবীর বিজ্ঞান সাহিত্য পুরস্কার ড. এ বি এম আবদুল্লাহ
সাহিত্যিক মোহাম্মদ বরকতুল্লাহ প্রবন্ধ সাহিত্য পুরস্কার ড. অনুপম সেন
আবু রুশদ সাহিত্য পুরস্কার ড. মোহাম্মদ হারুন-উর-রশিদ
হালীমা-শরফুদ্দীন বিজ্ঞান পুরস্কার আবদুল গাফ্ফার

জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার- ২০২২ পেলেন যারা

২০২২ সালের উল্লেখযোগ্য বিজয়ী- আজীবন সম্মাননা: কামরুল আলম খান খসরু ও রোজিনা

ক্যাটাগরি বিজয়ী চলচ্চিত্র ব্যক্তি/ প্রতিষ্ঠান
চলচ্চিত্র কুড়া পক্ষীর শূন্যে ‍উড়া মুহাম্মদ আব্দুল কাইউম
পরাণ মো: তামজিদ ‍উল আলম
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ঘরে ফেরা এস, এম, কামরুল আহসান
প্রামাণ্য চলচ্চিত্র বঙ্গবন্ধু ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ড. এ জে এম শফিউল আলম ভূইয়া
ক্যাটাগরি বিজয়ীর নাম চলচ্চিত্র
পরিচালক সৈয়দ রুবাইয়াত হোসেন শিমু
অভিনেতা সুচিন্ত্য চৌধুরী (চঞ্চল চৌধুরী) হাওয়া
অভিনেত্রী জয়া আহসান বিউটি সার্কাস
রিকিতা নন্দিনী শিমু শিমু
গায়ক বাপ্পা মজুমদার (এ মন ভিজে যায়…) অপারেশন সুন্দরবন
চন্দন সিনহা (ঠিকানা বিহীন তোমাকে..) হৃদিতা
গায়িকা আতিয়া আক্তার আনিসা (এই শহরের পথে পথে..) পায়ের ছাপ
গীতিকার রবিউল ইসলাম (ধীরে ধীরে তোর সপ্নে…) পরাণ

গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ জাদুঘর ভবন খুলনায়

১৩ নভেম্বর ২০২৩ দক্ষিণ এশিয়ার একমাত্র গণহত্যা জাদুঘর '১৯৭১: গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর'-এর নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের দিনটিকে স্মরণ করে ১৭ মে ২০১৪ ইতিহাসবিদ মুনতাসীর মামুনের উদ্যোগে খুলনায় এ জাদুঘরটি প্রতিষ্ঠা করা হয়। শুরুতে ময়লাপোতা এলাকার শেরেবাংলা রোডের একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে কার্যক্রম শুরু হয়। ২০১৫ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নগরের ২৬ সাউথ সেন্ট্রাল রোডের দ্বিতল একটি বাড়ি উপহার দেন। সংস্কারের পর ২৬ মার্চ ২০১৬ সেই বাড়িতে স্থানান্তর হয় জাদুঘরটি। এই জায়গাতেই সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয় জাদুঘরের তত্ত্বাবধানে নির্মিত হয় বর্তমানের ৬ তলা বিশিষ্ট আধুনিক ভবন।

কক্সবাজার সাগরে বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র

প্রথমবারের মতো সমুদ্রে বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ সরকার। কেন্দ্রটি নির্মাণে যৌথভাবে উদ্যোগ নেয় বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের তিন প্রতিষ্ঠান। ৫ নভেম্বর ২০২৩ বেসরকারি ব্যবসায়িক গোষ্ঠী সামিট গ্রুপ জানায়, কক্সবাজারে সাগরের ভেতরে (অফশোর) প্রস্তাবিত এলাকায় এ প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে তিন বছরের অনুমোদন দেয় সরকার। ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ডেনমার্কের কোপেনহেগেন ইনফ্রাস্ট্রাকচার পার্টনার্স (CIP), কোপেনহেগেন অফশোর পার্টনার্স (COP) এবং বাংলাদেশের সামিট গ্রুপ এই বিনিয়োগের প্রস্তাব জমা দেয়। এ কেন্দ্রের উৎপাদন সক্ষমতা হবে ৫০০ মেগাওয়াট। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এটি হবে দক্ষিণ এশিয়ায় সমুদ্রে নির্মাণ করা প্রথম বায়ুবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

দেশের প্রথম কৃষিবান্ধব সৌরবিদ্যুৎ কুড়িগ্রামে

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার ধরলা নদীর তীরবর্তী সোনাইকাজী ও যতীন্দ্র নারায়নের চরে ১৪০ একর জমিতে তৈরি হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম কৃষিবান্ধব বাণিজ্যিক সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০২২ সালে শুরু হওয়া এ প্রকল্পের মেয়াদ ২০৪৭ সাল পর্যন্ত। আগামী দু-তিন বছরের মধ্যে প্রকল্পের মূল কাজ শেষ হলে দেশের জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে উৎপাদিত ৪০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ। সৌর প্যানেলের নিচে চাষাবাদ হবে ছায়া ফসল। এরই মধ্যে প্রকল্পের জমি লিজ নেওয়ার কাজ প্রায় শেষ। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের যৌথ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে এমএগ্রিন এনার্জি লিমিটেড।

দেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা নরসিংদী

দেশের ইউরিয়া সারের চাহিদা পূরণের লক্ষ্যে ১৯৭০ সালে নরসিংদী জেলার ঘোড়াশালে এবং ১৯৮৫ সালে পলাশে দুটি সার কারখানা স্থাপিত হয়। কারখানা দু'টির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস এবং ডাউন টাইম অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পাওয়ায় ২৪ আগষ্ট ২০১৪ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরাতন সার কারখানা দু'টিকে একীভূত করে উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন, শক্তি সাশ্রয়ী, পরিবেশবান্ধব ও আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর একটি সার কারখানা নির্মাণের নির্দেশনা প্রদান করেন। এরই ধারাবাহিকতায় ২৪ অক্টোবর ২০১৮ 'ঘোড়াশাল পলাশ ইউরিয়া সার কারখানা' প্রকল্প স্থাপনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ কর্পোরেশন (BCIC) জাপানের মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও চায়না ন্যাশনাল কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নং-৭ কন্সট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে।

নাম: ঘোড়াশাল পলাশ ফার্টিলাইজার পাবলিক লিমিটেড কোম্পানি (GPFPLC)।

GPFPLC Ghorashal Palash Fertilizer Public Limited Company

অবস্থান: খানেপুর, ঘোড়াশাল, পলাশ উপজেলা, নরসিংদী জেলা

ধরণ: গ্যাস চালিত

একনেকে অনুমোদন: ৯ অক্টোবর ২০১৮

GPFPLC নামকরণ: ১ জুলাই ২০২১

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: ২১ এপ্রিল ২০২২

পরীক্ষামূলক উৎপাদন শুরু: ১২ অক্টোবর ২০২৩

উদ্বোধন: ১২ নভেম্বর ২০২৩ আয়তন: ১১০ একর

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান: জাপানের মিৎসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড এবং চীনের চায়না ন্যাশনাল কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নং-৭ কন্সট্রাকশ কোম্পানি লিমিটেড (সিসি-৭)-এর যৌথ কনসোর্টিয়াম

দৈনিক উৎপাদন ক্ষমতা: ২,৮০০ মেট্রিক টন

বার্ষিক উৎপাদন ক্ষমতা: ৯,২৪,০০০ মেট্রিক টন।

বিশেষ তথ্য: GPFPLC দেশের সর্ববৃহৎ সার কারখানা। এটি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম সার কারখানা এটি জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব গ্র্যানুয়াল ইউরিয়া সার কারখানা। দেশে ইউরিয়ার চাহিদা বছরে ২৬ লাখ মেট্রিক টন।

ফায়ার সার্ভিসে ফায়ারফাইটার পদে প্রথম নারী

১৮ নভেম্বর ২০২৩ ফায়ার সার্ভিসের ফায়ারফাইটার পদে প্রথমবারের মতো ১৫ জন নারী নারায়ণগঞ্জের পূর্বাচলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মাল্টিপারপাস ট্রেনিং কমপ্লেক্সে আনুষ্ঠানিকভাবে যোগ দেন। যোগদানের পর তাদের মিরপুর ট্রেনিং কমপ্লেক্সে স্থানান্তর করা হয়। ২০ জুন ২০২৩ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি। প্রকাশ করা হয়। ২,৭০৭ জন আবেদনকারীর মধ্যে প্রাথমিক যাচাই-বাছাই, শারীরিক যোগ্যতা ও মেডিকেল টেস্ট, লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে ১৫ জনকে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত করা হয়। এর আগে ফায়ার সার্ভিসে অফিসার পদে মহিলা কর্মকর্তা যোগদান করলেও ফায়ারফাইটার পদে কখনো নারী নিয়োগের কোনো সুযোগও ছিল না। সম্প্রতি 'ফায়ারম্যান' পদের নাম পরিবর্তন করে 'ফায়ারফাইটার' নামকরণ করা হয়।

মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ বিজয় স্মরণীতে

১০ নভেম্বর ২০২৩ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকার বিজয় স্মরণীতে নির্মিত 'মৃত্যুঞ্জয়ী প্রাঙ্গণ' উদ্বোধন করেন। এ প্রাঙ্গণে শেখ মুজিবুর রহমানের 'মৃত্যুঞ্জয়' নামে একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয় যা ২০২১ ও ২০২২ সালের বিজয় দিবসের প্যারেডে প্রদর্শিত হয়। স্থাপত্যটির সাতটি প্রাচীর স্বাধীনতা সংগ্রামের আলোকিত ৭টি আন্দোলন তথা ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ১৯৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন, ১৯৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান এবং ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিচ্ছবি চিত্রিত করা হয়। উল্লেখ্য, জাতির পিতার এই ভাস্কর্যটি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তত্ত্বাবধানে নির্মাণ করা হয়।

শিক্ষার্থী মূল্যায়নে নৈপুণ্য অ্যাপ

৪ নভেম্বর ২০২৩ নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী, শিক্ষার্থীর পারদর্শিতা মূল্যায়নে 'নৈপুণ্য' নামে একটি অ্যাপ উন্মুক্ত করা হয়। নতুন শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন পদ্ধতিতে শিখনকালীন ও সামষ্টিক মূল্যায়নের তথ্য সংরক্ষণ ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে রিপোর্ট কার্ড প্রস্তুতের সুবিধার্থে a2i-এর কারিগরি সহায়তায় জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (NCTB) ‘নৈপুণ্য’ নামে এ অ্যাপ উন্নয়ন করে।

 

ঘটনাময় ডিসেম্বর

ডিসেম্বর: যৌথ কমান্ড গঠন

৩ ডিসেম্বর ১৯৭১ মুক্তিযুদ্ধে ভারত-বাংলাদেশ যৌথ কমান্ড গঠিত হয়। যৌথ বাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন ভারতীয় সেনাবাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। ভারতের সশস্ত্র বাহিনী পরিচিত হয় মিত্রবাহিনী নামে। একই দিনে পাকিস্তানের বিমানবাহিনী ভারতের বিমানবাহিনীর স্থাপনা ও রাডার স্টেশনগুলোতে বিমান হামলা চালায়। এতে করে ভারতজুড়ে জারি হয় জরুরি আইন। এ হামলার জবাবে রাত সাড়ে ১১টায় ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের ওপর পাল্টা হামলা চালায়। এর ফলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে নতুন করে গতি সঞ্চারিত হয়। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত অধ্যায়।

ডিসেম্বর: প্রথম স্বীকৃতি

৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ দক্ষিণ এশিয়ার দুটি প্রতিবেশী দেশ ভুটান ও ভারত বাংলাদেশকে স্বাধীন এবং সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি প্রদান করে। এর মধ্যে আনুমানিক সকাল দশ ঘটিকায় বাংলাদেশকে ভুটানের স্বীকৃতি প্রদানের খবর তারবার্তার মাধ্যমে মুজিবনগর সরকারের কাছে পৌঁছে। এরপর আনুমানিক সকাল ১১.০০-১১.৩০ ঘটিকায় আরেকটি তারবার্তার মাধ্যমে ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। অতএব, ভারতের এক ঘণ্টা পূর্বে ভুটান স্বীকৃতি দিয়ে তারবার্তা পাঠায়।

ডিসেম্বর: প্রথম শত্রুমুক্ত জেলা

স্বাধীনতাকালীন বাংলাদেশের জেলা ছিল ১৯টি- বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, নোয়াখালী, রাঙ্গামাটি, ঢাকা, ফরিদপুর, ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, যশোর, খুলনা, কুষ্টিয়া, বগুড়া, পাবনা, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও সিলেট। এ জেলাগুলোর মধ্যে প্রথম শত্রুমুক্ত হয় যশোর জেলা। ৬ ডিসেম্বর ১৯৭১ যশোরেই প্রথম উঠেছিল বিজয়ী বাংলাদেশের পতাকা।

১৪ ডিসেম্বর: বুদ্ধিজীবী হত্যা

১৯৭১ সালের এ দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয় যখন নিশ্চিত, ঠিক তখন পাকিস্তান হানাদার বাহিনী ও তাদের এ দেশীয় সহযোগীরা হত্যা করে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদগণসহ অসংখ্য বুদ্ধিজীবীকে। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পৃথিবীর বুকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশের অভ্যুদয়ে এসব বুদ্ধিজীবী মেধা, মনন ও লেখনীর মাধ্যমে স্বাধীনতার সংগঠকদের প্রেরণা জুগিয়েছেন। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির উদ্দেশ্যে বাংলাদেশে ১৪ ডিসেম্বর শোকাবহ শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত হয়।

১৬ ডিসেম্বর: বিজয় লাভ

১৯৭১ সালের এ দিনে নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধ শেষে পাক হানাদার বাহিনীর ৯৩,০০০ সদস্য ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করে। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর এটাই ছিল সবচেয়ে বড় আত্মসমর্পণের ঘটনা। এর ফলে পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশ নামে একটি নতুন স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্রের অভ্যুদয় ঘটে। সেদিন বিকাল ৪.৩১ মিনিটে পাকিস্তানের পক্ষে আত্মসমর্পণের দলিলে স্বাক্ষর করেন পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমির আবদুল্লাহ খান নিয়াজি (এ. এ. কে. নিয়াজি) ও যৌথবাহিনীর পক্ষে ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডের অধিনায়ক জেনারেল জগজিৎ সিং অরোরা। ঐতিহাসিক আত্মসমর্পণের দলিলের নাম ছিল- Instrument of Surrender

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ

১ নভেম্বর ২০২৩ আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ উদ্বোধন করা হয়। আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ বাংলাদেশের আখাউড়াকে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের আগরতলার সঙ্গে সংযুক্ত করে। এই রেলপথ নির্মাণের ফলে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চঞ্চলের যে সাতটি অঙ্গরাজ্য আছে সেগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য অনেকাংশে বৃদ্ধি পাবে। এতে দুই দেশই লাভবান হবে।

প্রকল্পের নাম: আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ

ভারতের সাথে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর: ২১ মে ২০১৩

একনেকে অনুমোদন: ১৬ আগস্ট ২০১৬

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: ৩১ জুলাই ২০১৬

নির্মাণ কাজ শুরু: ২৯ জুলাই ২০১৮

অর্থায়নে: বাংলাদেশ ও ভারত

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন: ১ নভেম্বর ২০২৩

মোট স্টেশন: ৪টি আখাউড়া, গঙ্গাসাগর, নিশ্চিন্তপুর এবং আগরতলা

রেলপথের ধরন: ডুয়েলগেজ (বাংলাদেশ) ও ব্রডগেজ (ভারত)

রেলপথের দৈর্ঘ্য: ১২.২৪ কিমি (বাংলাদেশ অংশে ৬.৭৮ কিমি)

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান: টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড (ভারত)

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি স্বাক্ষর: ২১ মে ২০১৮

পরিচালনায়: পূর্বাঞ্চল রেলওয়ে (বাংলাদেশ) ও উত্তর- পূর্ব সীমান্ত রেল (ভারত)

রুট: ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে ভারতের আগরতলার নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত

বিশেষ তথ্য

॥ প্রকল্পটি চালু হওয়ায় আগরতলা এবং পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে ভ্রমণের সময় ৩১ ঘণ্টার পরিবর্তে সময় লাগবে ১০ ঘণ্টা এবং আগরতলা-কলকাতার দূরত্ব ১,৬৫০ কিমি থেকে দূরত্ব দাঁড়াবে মাত্র ৫১৩ কিমি। কলকাতার সঙ্গে আগরতলার দূরত্ব কমবে প্রায় ১,১০০ কিমি

॥ উভয় দেশের মানুষ পর্যটন এবং চিকিৎসার ক্ষেত্রে সহজে যাতায়াত করতে পারবে। বিশেষ করে বাংলাদেশের জন্য পাথর ও গম আমদানি করা সহজ হবে।

খুলনা-মোংলা রেলপথ চালু

১ নভেম্বর ২০২৩ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের দীর্ঘ দিনের আকাঙ্ক্ষিত খুলনা-মোংলা রেলপথ উদ্বোধন করা হয়। এই রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে খুলনাসহ দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে।

প্রকল্পের নাম: খুলনা-মোংলা রেলপথ

একনেকে অনুমোদন: ২১ ডিসেম্বর ২০১০

নির্মাণ কাজ শুরু: সেপ্টেম্বর ২০১৬

উদ্বোধন: ১ নভেম্বর ২০২৩

মোট স্টেশন: ৮টি ফুলতলা, আড়ংঘাটা, ভাগা, মোহম্মদনগর, কাটাখালী, চুলকাটী, দিগরাজ ও মোংলা

ধরন: ব্রডগেজ

দৈর্ঘ্য: ৯০ কিমি

ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান: ভারতীয় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান লারসেন অ্যান্ড টুব্রো ও ইরকন ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড

সংযুক্ত জেলা: খুলনা ও বাগেরহাট

বিশেষ তথ্য

দর্শনা জংশন-খুলনা লাইনের শাখা লাইন হিসেবে এই রেলপথটি তৈরি করা হয়।

খুলনা-মোংলা রেল চালু হওয়ার ফলে ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে যুক্ত হলো বাংলাদেশ

খুলনা-মোংলা রেলপথে অবস্থিত 'রূপসা রেলসেতু' খুলনার রূপসা নদীর ওপর নির্মিত। সংযোগ রেললাইনসহ এ সেতুর দৈর্ঘ্য ৫.১৩ কিমি। এর স্প্যান সংখ্যা ১৪২টি, পাইল ৮৩৬টি এবং পিয়ার ক্যাপ ১৩২টি।

দেশে মোট ৪৮টি জেলা রেল নেটওয়ার্কের অন্তর্ভুক্ত হয়। তার মধ্যে ৪৮তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয় কক্সবাজার। আর ১ নভেম্বর ২০২৩ খুলনা-মোংলা রেলপথ উদ্বোধনের মাধ্যমে ৪৭তম জেলা হিসেবে যুক্ত হয় বাগেরহাট।

শেখ হাসিনা সরণি ১৪ লেনের

১৪ নভেম্বর ২০২৩ উচ্চগতির সড়ক ঢাকার নতুন গেইটওয়ে পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করা হয়। রাজউক এ সড়কের নাম দেয় ‘শেখ হাসিনা সরণি’। এ প্রকল্পের ফলে ঢাকার পূর্ব থেকে পশ্চিমে তৈরি হলো নতুন সংযোগ। নান্দনিক এ সড়ক ধরেই তৈরি হবে পূর্বাচল স্যাটেলাইট সিটির নকশা।

প্রকল্পের নাম: শেখ হাসিনা সরণি (পূর্বাচল এক্সপ্রেসওয়ে)

প্রকল্পের পূর্বনাম: কুড়িল-পূর্বাচল লিংক রোডের উভয় পাশে (কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত) ১০০ ফুট চওড়া খাল খনন ও উন্নয়ন।

প্রকল্পের রুট: রাজধানীর কুড়িল বিশ্বরোড থেকে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পের ১, ২ ও ৩নং সেক্টর হয়ে কাঞ্চন ব্রিজ পর্যন্ত। এটি ঢাকা-সিলেট মহাসড়ককে রাজধানীর প্রগতি সরণি ও বিমানবন্দর সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত করে।

দৈর্ঘ্য: ১২.৫ কিমি

একনেকে অনুমোদন: ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৫

নির্মাণ কাজ শুরু: সেপ্টেম্বর ২০১৫ শেষ: নভেম্বর ২০২৩

বাস্তবায়নে: রাজউক ও সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড

জমি অধিগ্রহণ: ১৮৪.৭৯ একর

মোট লেন: ১৪টি (৮টি লেন এক্সপ্রেসওয়ে ও ৬টি লেন সার্ভিস রোড)

কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত ৫.৫৪ কিমি (৮ লেনবিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে ও ৬ লেনবিশিষ্ট সার্ভিস রোড) এবং বালু নদী থেকে কাঞ্চন পর্যন্ত ৬.৭৬ কিমি (৬ লেনবিশিষ্ট এক্সপ্রেসওয়ে এবং ৬ লেনবিশিষ্ট সার্ভিস রোড) নির্মাণ।

কুড়িল থেকে বালু নদী পর্যন্ত শেখ হাসিনা সরণির উভয় পাশে নিকুঞ্জ, জোয়ার সাহারা, বরুয়া ও ডুমনী এলাকায় ১০০ ফিট চওড়া ২৬ কিমি খাল পুনরুদ্ধার, খনন ও উন্নয়ন কাজ বাস্তবায়ন সরণির উভয় পাশে ৯টি লাইনে প্রায় ১.৫০ লক্ষ বৃক্ষরোপণ ও সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ সম্পন্ন হয়।

সরণিতে রয়েছে ১০টি বড় সেতু, হাতিরঝিলের আদলে ১৩টি আর্চ ব্রিজ, ৫টি এ্যাটগ্রেড ইন্টার সেকশন, ৪ কিমি বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের লাইন, ২টি কালভার্ট, ১২টি ওয়াটার বাসস্ট্যান্ড, ১২টি পথচারী সেতু, ৫টি পাম্প হাউস, ১০টি সুইচ গেইট, ৪টি পাতাল পথ, ১২.৫ কিমি সীমানা প্রাচীর, ৩৬.৮ কিমি ওয়াকওয়ে, ১,১৭০টি সড়ক বাতি ও ১১টি সাবস্টেশন।

দেশের প্রথম টানেল কর্ণফুলী

২৮ অক্টোবর ২০২৩ খরস্রোতা কর্ণফুলী নদীর বুক চিরে নির্মিত 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল'-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। টানেল উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম দেশ হিসেবে নদীর তলদেশে টানেল যুগে প্রবেশ করে বাংলাদেশ।

নাম: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল

যে নদীর তলদেশে: কর্ণফুলী নদী

একনেকে প্রকল্প অনুমোদন: ১২ নভেম্বর ২০১৫

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: ১৪ অক্টোবর ২০১৬

নির্মাণ কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯

টানেলের উদ্বোধন: ২৮ অক্টোবর ২০২৩

যুক্ত করেছে: পতেঙ্গা ও আনোয়ারা; চট্টগ্রাম

বাস্তবায়নকারী সংস্থা: বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ

নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান: চায়না কমিউনিকেশন কনস্ট্রাকশন কোম্পানি (CCCC) লিমিটেড

টানেল রক্ষণাবেক্ষণ ও টোল আদায়কারী: চায়না কমিউনিকেশন্স কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড

অর্থায়নে: চীন ও বাংলাদেশ

মূল টানেলের দৈর্ঘ্য: ৩৩১৫ মিটার (৩.৩২ কিমি)

টানেলের মোট অ্যাপ্রোচ সড়কের দৈর্ঘ্য: ৫.৩৫ কিমি

GDP'র প্রবৃদ্ধি বাড়বে: ০.১৭%

টিউব ð মোট টিউব ২টি প্রতিটি টিউবের দৈর্ঘ্য ২৪৫০ মিটার (২.৪৫০ কিমি), ভিতরের ব্যাস ১০.৮০ মিটার বা ৩৫.৪ ফুট, বাহিরের ব্যাস ১২.১২ মিটার বা ৩৯.৮ ফুট

একটি টিউব থেকে অপর টিউবের দূরত্ব ১২ মিটার টিউবে যানবাহন চলবে ওয়ানওয়ে পদ্ধতিতে।

বিশেষ তথ্য

॥ এটিই বাংলাদেশের প্রথম টানেল এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নদীর তলদেশের প্রথম ও দীর্ঘতম সড়ক টানেল।

॥ চীনের সাংহাই শহরের ন্যায় চট্টগ্রাম শহর 'One city and Two Town' মডেলে গড়ে উঠবে ।

॥ এ টানেল রিখটার স্কেলের ৯ মাত্রার ভূমিকম্প সহনীয় ।

॥ এশিয়ান হাইওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে সংযোগ স্থাপন।

রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র

বাংলাদেশ-ভারত বিদ্যুৎখাতে ক্রমবর্ধমান সহযোগিতার অংশ মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট। বাগেরহাটের রামপালে অবস্থিত কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট ১ নভেম্বর ২০২৩ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করেন।

প্রকল্পের নাম: মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট

বাস্তবায়নকারী সংস্থা: বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রা.) লিমিটেড (BIFPCL)

ধরণ: কয়লা চালিত

অবস্থান: রামপাল, বাগেরহাট

যে নদীর তীরে অবস্থান: পশুর নদী

উৎপাদন ক্ষমতা: ১,৩২০ (২× ৬৬০) মেগাওয়াট

অর্থায়নে: বাংলাদেশ ও ভারত

পরামর্শক পতিষ্ঠান: জার্মানির ফিশনার গ্রুপ

নির্মাতা প্রতিষ্ঠান: ভারত হেভি ইলেট্রিক্যালস লিমিটেড (BHEL)

জয়েন্ট ভেঞ্চার এগ্রিমেন্ট (JVA) স্বাক্ষর: ২৯ জানুয়ারি ২০১২

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন: ৫ অক্টোবর ২০১৩

বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সাথে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি: ২০ এপ্রিল ২০১৩

NTP (Notice to proceed) ইস্যু: ২৪ এপ্রিল ২০১৭

পরীক্ষামূলক উৎপাদন: ১ম ইউনিট: ১৫ আগস্ট ২০২২, ২য় ইউনিট: ২৪ অক্টোবর ২০২৩

বাণিজ্যিক উৎপাদন: ১ম ইউনিট: ২৩ ডিসেম্বর ২০২২, ২য় ইউনিট: অপেক্ষমান

আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন: ১ম ইউনিট: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২২, ২য় ইউনিট: ১ নভেম্বর ২০২৩

বিশেষ তথ্য

॥ আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্বে বাংলাদেশ ১৩তম।

॥ আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারে এশিয়ায় ৭ম।

॥ আলট্রা সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি হলো- পরিবেশ রক্ষায় যে বিশেষ প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে কয়লাভিত্তিক প্রকল্প বা প্লান্টের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা হয়, তাকে আল্ট্রা- সুপারক্রিটিক্যাল প্রযুক্তি বলা হয়। এ প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে কয়লার অতি ক্ষুদ্র কণা বাতাসের সঙ্গে মেশার কোনো সুযোগ থাকে না। ফলে পরিবেশ দূষণ অনেক কমে যায়।

স্বাধীনতা চেতনার কেন্দ্রবিন্দু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা চেতনার উন্মেষকেন্দ্র। ১৯৫২ সালে রাষ্ট্র ভাষা বাংলার জন্য এবং ১৯৬২ সালে বিতর্কিত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জীবন দেয় এবং দাবি আদায় করে। ৭ জুন ১৯৬৬ ঐতিহাসিক ৬ দফার সপক্ষে এবং আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা থেকে বঙ্গবন্ধুকে মুক্ত করতে ১৯৬৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকেই রক্তঝরা আন্দোলন-সংগ্রাম শুরু হয়। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানের পুরো নেতৃত্বে ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। যখন বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সমগ্র বাংলাদেশ একটি সমুদ্রের মোহনায় একীভূত চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে স্বাধীনতা অর্জনের অভিপ্রায়ে উদ্বেলিত চিত্তে এক ও অভিন্ন সত্তায় বিলীন হয়ে গেছে সেখানেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাব ছিল অবিস্মরণীয়। ১৯৭০-এর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় মেনে না নেওয়ার পর শুরু হয় তুমুল আন্দোলন ও দাঙ্গা-হাঙ্গামা। দেশের সাধারণ মানুষ স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখা শুরু করে। বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৯৭১ সালের মার্চ ছিল উত্তাল, আবেগ ও উত্তেজনায় ভরপুর মাস।

অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। ১ মার্চ থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্থগিত হয়ে যায়। জাতীয় পরিষদের অধিবেশন স্থগিত হওয়ার পর সংগ্রামী ছাত্র সমাজের উদ্যোগে ১ মার্চ গঠিত হয় স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ। এ পরিষদের নেতারা ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় ছাত্র-গণসমাবেশের আহ্বান করেন। ঐ সময় ডাকসুর তৎকালীন ভিপি আ স ম আবদুর রবকে ছাত্রলীগ নেতা শেখ জাহিদ হোসেন একটি বাঁশের মাথায় পতাকা বেঁধে মঞ্চে এনে দেয়। ঐদিনই কলাভবনের সামনে সবুজ জমিনের ওপর লাল সূর্য, তার মধ্যে হলুদে খচিত বাংলাদেশের মানচিত্র এই ডিজাইনের পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর থেকে সারা দেশে এই পতাকা উত্তোলিত হতে থাকে। ৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের নেতৃত্বে পল্টন ময়দানে স্বাধীনতার প্রস্তাব, জাতীয় সংগীত ও শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠান পালিত হয়। ৩ মার্চ বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা স্বাধীনতার সপক্ষে সক্রিয় ভূমিকায় নামেন। ৪, ৫৩৬ এ মার্চ সকাল ৮টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত হরতাল পালিত হয়। এ হরতাল সফল করার জন্য রাজপথে নেমেছিল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা। ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছিল সরব উপস্থিতি। ভাষণের পর থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রসমাজ সশস্ত্র সংগ্রামের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করতে থাকে। ২৩ মার্চ পল্টনে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে এবং প্যারেডের মাধ্যমে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর বাড়িতে আসে। পরবর্তীতে তৎকালীন ছাত্রলীগ সভাপতি নূরে আলম সিদ্দিকী স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রামের পরিষদের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর হাতে পতাকা তুলে দেন। এ ধাপের আন্দোলন-সংগ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছিল কেন্দ্রবিন্দু।

মুক্তিযুদ্ধের স্মারক ভাস্কর্য

প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের নেতৃত্বে সংঘটিত বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রাম ও ত্যাগের ইতিহাস ধারণ করে আছে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নির্মিত ভাস্কর্য ও স্থাপনাগুলো। কলাভবনের সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার অন্যতম প্রতীক 'অপরাজেয় বাংলা'। এই ভাস্কর্যের মাঝখানে হাতে গ্রেনেড ও কাঁধে রাইফেল নিয়ে দাঁড়ানো কৃষক, বাঁ পাশে চিকিৎসার বাক্স হাতে নার্স, ডান পাশে দুই হাতে রাইফেল তুলে ধরা তরুণ ছাত্র জানান দেয়, আমাদের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে সব শ্রেণি ও পেশার মানুষ। ডাকসুর উদ্যোগে ভাস্কর্যটির নির্মাণকাজ শুরু হয় ১৯৭৩ সালে। তরুণ ভাস্কর সৈয়দ আবদুল্লাহ খালিদ তাঁর তিন বন্ধুকে মডেল করে ভাস্কর্যটির কাঠামো দাঁড় করেন। অপরাজেয় বাংলার সামনের পথ ধরে একটু হাঁটলেই শহীদদের নামফলক দেখা যায়। চারটি ফলকের দেয়ালে চিত্রিত ছবিগুলো যেন মহৎ প্রাণের ধারক ও বাহক। একই ধরনের না হলেও স্মৃতি চিরন্তন নামে ১৯৪ জন শহীদের নামাঙ্কিত ১৪টি ফলক নির্মিত হয় ভিসি চত্বর সংলগ্ন ফুলার রোড সড়কদ্বীপে। জগন্নাথ হল, সলিমুল্লাহ হল ও বুয়েটের সড়কদ্বীপে নান্দনিক ভাস্কর্য চতুর মন কেড়ে নেয়। স্থপতি শামীম শিকদারের হাতে গড়া শ্বেতবর্ণের 'স্বাধীনতা সংগ্রাম' নামের এই ভাস্কর্য চত্বরে রয়েছে ১৮ জন শহীদের সঙ্গে সমাজ, দেশ ও পৃথিবী বদলে দেওয়া ১১৬ জন বুদ্ধিজীবীর মুখাবয়ব। বঙ্গবন্ধু থেকে ইন্দিরা গান্ধী, লালন থেকে রবীন্দ্রনাথ, নজরুল থেকে হুমায়ূন আহমেদ সবাই যেন এখানে কানে কানে কথা বলেন অবিরাম! টিএসসির সড়কদ্বীপে বীরদর্পে দ্রোহ ছড়াচ্ছে সন্ত্রাসবিরোধী 'রাজু ভাস্কর্য'। নিকটেই অবস্থিত ডাস সংলগ্ন স্বোপার্জিত স্বাধীনতা চত্বর।

তাই দৃঢ়কণ্ঠে বলা যায়, বাংলাদেশের ইতিহাস মানেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস। অর্থাৎ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান- গরিমায় যেমন অনন্য, তেমনি বাঙালি জাতীয়তাবাদের স্ফুরণ ও বিকাশে তার ভূমিকা ঈর্ষণীয়। আসলে পুরো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই ইতিহাসের খোলা বই। এর এক খণ্ড জমিনও পাওয়া যাবে না যেখানে ইতিহাসের চিহ্ন নেই। এখন আমাদের দায়িত্ব হচ্ছে একে আরও সমৃদ্ধিশালী করা।

 

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশ

WHO' আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ছয়টি আঞ্চলিক অফিসের একটি South- East Asia Region (SEARO): সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে এ অফিস গঠিত। বাংলাদেশ, ভুটান, উত্তর কোরিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মালদ্বীপ, নেপাল, শ্রীলংকা, থাইল্যান্ড, পূর্ব তিমুর এবং মিয়ানমার- এ ১১টি দেশ নিয়ে গঠিত। ৩০ অক্টোবর-২ নভেম্বর ২০২৩ ভারতের নয়াদিল্লিতে SEARO'S ৭৬তম অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। অধিবেশনের তৃতীয় দিন ১ নভেম্বর ২০২৩ WHO'র দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ ৮-২ ভোটে পরিচালক নির্বাচিত হন। ১১টি দেশের মধ্যে একমাত্র মিয়ানমার ভোটে অংশ নেয়নি। ২২-২৭ জানুয়ারি ২০২৪ সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় অনুষ্ঠেয় WHO'র ১৫৪তম অধিবেশনে তার মনোনয়ন জমা দেওয়া হবে। ১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ নবনিযুক্ত আঞ্চলিক পরিচালক সায়মা ওয়াজেদ দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

কালাজ্বর নির্মূলে বাংলাদেশ বিশ্বে প্রথম

৩০ অক্টোবর-২ নভেম্বর ২০২৩ ভারতের দিল্লিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) ৭৬তম দক্ষিণ সম্মেলনে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ এশিয়ার আঞ্চলিক সম্মেলন (SEARO) অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে কালাজ্বর নির্মূলের স্বীকৃতি পায়। ৩১ অক্টোবর ২০২৩ এ স্বীকৃতির সনদপত্র তুলে দেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পুনম ক্ষেত্রপাল। এর আগে ২৭ মার্চ ২০১৪ পোলিও এবং ১৩ মে ২০২৩ ফাইলেরিয়া (গোদ) মুক্ত সনদ প্রায় বাংলাদেশ। উনিশ শতকের চল্লিশের দশক থেকে কালাজ্বর বাংলাদেশের একটি আঞ্চলিক রোগ হিসেবে জনস্বাস্থ্য সমস্যা হয়ে উঠে। ১৯৮০ সালে পাবনা জেলায় এর প্রাদুর্ভাব ঘটে। তারপর থেকে প্রতিবছরই এর সংক্রমণ ঘটতে থাকে। ২০০৮-২০১১ পর্যন্ত দেশের ২৬ জেলার ১০০ উপজেলাকে এর সংক্রমণস্থল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। এ রোগ নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূলে ২৫ অক্টোবর ২০১৮ সংক্রামক। রাগ (প্রতিরোধ, নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল) আইন, ২০১৮ পাস হয়।

কালাজ্বর কী

কালাজ্বর (Kala-azar) Leishmania donovani নামক আন্তঃকোষীয় ফ্লাজেলাবিশিষ্ট (flagellate) প্রোটোজোয়াঘটিত সংক্রামক ব্যাধি। কালাজ্বরের জীবাণুবাহী স্ত্রী বেলে মাছি (Phlebotomus species) এর দংশনে এ সংক্রমণ ঘটে। রোগের সুপ্তিকাল সাধারণত ২ থেকে ৬ মাস। এ রোগে যকৃৎ ও প্লীহার রেটিকুলো-এন্ডোথিলিয়াল তন্ত্রে প্রদাহ সৃষ্টি হয় এবং প্রায়শ রোগী মারা যায়। শিশুরাই এ রোগে অধিক আক্রান্ত হয়।

No more data found.