BCS কঠিন নয়; প্রস্তুতি যদি গোছানো হয়।

Loading...

Monthly Affairs

আন্তর্জাতিক বিষয়াবলি

International
October, 2024

কালানুক্রমিক ঘটনাবলি

গত সংখ্যার (সেপ্টেম্বর) বাকি অংশ

২৭.০৯.২০২৪

  ইসরায়েল হামলায় লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন।

৩০.০৯.২০২৪

  যুক্তরাজ্যে কয়লা যুগের অবসান।

অক্টোবর

০১.১০.২০২৪

  লেবাননে স্থল অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী।

  ইসরায়েলি ভূখণ্ড লক্ষ্য করে ১৮০টির মতো ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ে ইরান।

  সামরিক জোট ন্যাটোর ১৪তম মহাসচিব হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রুটে।

  মেক্সিকোয় প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন ক্লডিয়া শেইনবম।

  গণপ্রজাতন্ত্রী চীন প্রতিষ্ঠার ৭৫তম বার্ষিকী পালিত।

০৩.১০.২০২৪

  ডেঙ্গু ও মশাবাহিত অন্যান্য ভাইরাসজনিত রোগের বিস্তার রোধে একটি বৈশ্বিক পরিকল্পনা পেশ করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।

  ভারতে ধ্রুপদী ভাষার মর্যাদা পায় বাংলাসহ আরও ৫টি ভাষা।

  প্রথমবারের মতো বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে এমপক্স শনাক্তকরণ পরীক্ষা পদ্ধতি ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়।

০৭.১০.২০২৪

  ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে ৪০০ মিলিয়ন মুদ্রা বিনিময় চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।

১০.১০.২০২৪

  লেবাননে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষীদের সদর দপ্তরে ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনীর (IDF) হামলা।

১১.১০.২০২৪

  ইরানের জ্বালানি তেল খাতের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র।

১২.১০.২০২৪

  সব ধরনের উড়োজাহাজে যোগাযোগযন্ত্র পেজার ও ওয়াকিটকি নিষিদ্ধ করে ইরান।

১৩.১০.২০২৪

  কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল জম্মু ও কাশ্মীরে রাষ্ট্রপতি শাসনের অবসান।

  জার্মানির রাজধানী বার্লিনে এআই নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (WHO) শীর্ষ সম্মেলন শুরু হয়।

১৪.১০.২০২৪

  বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপায় পানি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে নাসা 'ইউরোপা ক্লিপার' মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করে।

১৫.১০.২০২৪

  সাংহাই সহযোগিতা সংস্থার সরকার প্রধানদের ২৩তম শীর্ষ সম্মেলন পাকিস্তানের ইসলামাবাদে শুরু।

  সামরিক ড্রোন কিনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে ভারত।

১৬.১০.২০২৪

  জম্মু-কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন ন্যাশনাল কনফারেন্স (NC) নেতা ওমর আবদুল্লাহ।

১৯.১০.২০২৪

  ইতালির নেপলসে জি-৭'র প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের প্রথম সম্মেলন শুরু।

২০.১০.২০২৪

  ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন প্রাবোও সুবিয়াস্তো।

২১.১০.২০২৪

  সীমান্ত টহল নিয়ে ভারত-চীনের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষর।

২৩.১০.২০২৪

  জার্মানি ও যুক্তরাজ্য নতুন প্রতিরক্ষা চুক্তি Trity House Agreement স্বাক্ষর করে।

২৬.১০.২০২৪

ইরানে হামলা চালায় ইসরায়েল।

দক্ষিণ আফ্রিকায় মুসলিম বিবাহের স্বীকৃতি।

আলোচিত বিশ্ব

সম্মেলন-বৈঠক

AIIB বার্ষিক সভা

আয়োজন: নবম

সময়কাল: ২৫-২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্থান: সমরকন্দ, উজবেকিস্তান

AIIB- Asian Infrastructure Investment Bank

ASEAN সম্মেলন

আয়োজন: ৪৪তম ও ৪৫তম 

সময়কাল: ৬-১১ অক্টোবর ২০২৪

স্থান: ভিয়েনতিয়েন, লাওস

ASEAN Association of Southeast Asian Nations

SCO'র সম্মেলন

সরকার প্রধানদের শীর্ষ সম্মেলন

আয়োজন: ২৩তম

সময়কাল: ১৫-১৬ অক্টোবর ২০২৪

স্থান: ইসলামাবাদ, পাকিস্তান

SCO: Shanghai Cooperation Organization

কমনওয়েলথ সম্মেলন (CHOGM)

কমনওয়েলথ সরকার প্রধানদের সম্মেলন

আয়োজন: ২৭তম

সময়কাল: ২১-২৬ অক্টোবর ২০২৪

স্থান: আপিয়া, সামোয়া

CHOGM: Commonwealth Heads of Government Meeting

BRICS শীর্ষ সম্মেলন

  আয়োজন: ১৬তম

  সময়কাল: ২২-২৪ অক্টোবর, ২০২৪

   স্থান: কাজান, রাশিয়া

IPU সভা

আয়োজন: ১৪৯তম

সময়কাল: ১৩-১৭ অক্টোবর ২০১৪

স্থান। জেনেভা, সুইজারল্যান্ড

IPU: Inter-Parliamentary Union

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (IMF) ও বিশ্বব্যাংকের বার্ষিক সম্মেলন

সময়কাল: ২১-২৬ অক্টোবর ২০২৪

স্থান: ওয়াশিংটন, যুক্তরাষ্ট্র।

১৯৪৬ সাল থেকে প্রতি বছর সাধারণত সেপ্টেম্বর অথবা অক্টোবর মাসে বিশ্বব্যাংক ও IMF'র এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরপর দুই বছর ওয়াশিংটনে হওয়ার পর তৃতীয় বছর অনুষ্ঠিত হয় অন্য কোনো সদস্য দেশে।

 

আগামীর সম্মেলন

APEC শীর্ষ সম্মেলন

আয়োজন: ৩১তম

সময়কাল: ৯-১৬ নভেম্বর ২০২৪

স্থান: লিমা, পেরু

APEC: Asia-Pacific Economic Cooperation.

জাতিসংঘ জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন

আয়োজন: ২৯তম

সময়কাল: ১১-২২ নভেম্বর ২০২৪

স্থান: বাকু, আজারবাইজান

United Nations Climate Change Conference.

G20 শীর্ষ সম্মেলন

আয়োজন: ১৯তম

সময়কাল: ১৮-১৯ নভেম্বর ২০২৪

স্থান: রিও ডি জেনিরো, ব্রাজিল।

ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলা

আয়োজন: ৭৬তম

সময়কাল: ১৫-২০ অক্টোবর ২০২৪

স্থান: ফ্রাঙ্কফুর্ট, জার্মানি

এটি বিশ্বের সর্ববৃহৎ বইমেলা।

১৯৪৯ সালে আধুনিক ফ্রাঙ্কফুট বইমেলার যাত্রা শুরু। তবে এর গোড়াপত্তন হয় ৫০০ বছর আগে ১৪৬২ সালে।

 

নব-নিযুক্ত

জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি

সালাহউদ্দিন নোমান চৌধুরী

নিয়োগ: ২০ অক্টোবর ২০২৪

তিনি জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের ১৭তম স্থায়ী প্রতিনিধি।

জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের প্রথম নারী স্থায়ী প্রতিনিধি ইসমাত জাহান।

মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট

ক্লডিয়া শিনবাউম

দায়িত্ব গ্রহণ: ১ অক্টোবর ২০২৪

তিনি দেশটির প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট

জলবায়ুবিজ্ঞানী থেকে রাজনীতিতে আসা শিনবাউম মেক্সিকো সিটিরও মেয়র ছিলেন।

 

রিপোর্ট-সমীক্ষা

বিশ্বের ৫০০ প্রভাবশালী মুসলিম

প্রকাশ: অক্টোবর ২০২৪।

প্রকাশক: The Royal Islamic Strategic Studies Centre (RISSC)।

মোট ৫টি ক্যাটাগরিতে প্রভাবশালী মুসলিমদের তালিকা তৈরি করা হয়। এগুলো হলো- ধর্মীয়, রাজনৈতিক, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, শিল্প ও সংস্কৃতি এবং ক্রীড়া ও বিনোদন।

প্রতিবেদন অনুযায়ী-

বর্ষসেরা: পুরুষ- ড. গাসসান আবু-সিত্তাহ (ফিলিস্তিনি সার্জন)।

নারী: রানিয়া আল-আবদুল্লাহ (জর্ডানের রানী)।

বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী মুসলিম ব্যক্তিত্ব জর্ডানের বর্তমান বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ ইবনে আল হুসাইন।

প্রভাবশালী মুসলিমের তালিকায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের অবস্থান ৫০তম।

বিজনেস রেডি

♦ প্রকাশ: ২ অক্টোবর ২০২৪

প্রকাশক: বিশ্বব্যাংক

বিভিন্ন শ্রেণিতে ৫০টি দেশের অবস্থান উল্লেখ করা হয়।

প্রতিবেদনের শিরোনাম: Business Ready (B-READY) 2024.

এটি মূলত 'ইজ অব ডুয়িং বিজনেস' বা 'সহজে ব্যবসার সূচক' শীর্ষক প্রতিবেদনের বিকল্প।

প্রতিবেদন অনুযায়ী-

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বাংলাদেশের অবস্থান (১০০ পয়েন্টে): ব্যবসা শুরু ৭৪.০৮; ব্যবসার অবস্থান ৬৬.৯১; পরিষেবা ৬২.১০; শ্রম ৬৪.০১; আর্থিক সেবা ৬১.৪৫; আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ৫৩.৮৬; কর ৫৬.৩৬; বিরোধ নিষ্পত্তি ৪১.৯০; বাজার প্রতিযোগিতা ৪২.৬৫; ব্যবসার অসচ্ছলতা ৪০.৩৯।

ওষুধ রপ্তানিতে বাংলাদেশ

বাংলাদেশ বিশ্বের অন্তত ১৫৭টি দেশে ওষুধ রপ্তানি করে। এশিয়ার ৪৩টি, দক্ষিণ আমেরিকার ২৬টি, উত্তর আমেরিকার ৬টি, আফ্রিকার ৩৯টি, ইউরোপের ৩৮টি ও অস্ট্রেলিয়ার ৫টি দেশে বাংলাদেশের ওষুধ রপ্তানি হয়।

শীর্ষ ৫ দেশ (কোটি ডলার)

দেশ

২০২২-২৩

২০২৩-২৪

মিয়ানমার

২.৫৮

১.৮১

শ্রীলংকা

২.১৯

২.১৩

যুক্তরাষ্ট্র

১.৫২

২.১৯

ফিলিপাইন

১.৫০

১৬২

আফগানিস্তান

১.০৬

০.৮৯

বিশ্বে মোট রপ্তানি

১৭.৫৪

১৮.৪২

কিডস রাইটস সূচক

প্রকাশ: সেপ্টেম্বর, ২০২৪।

প্রকাশক: দ্য কিডস রাইটস

অন্তর্ভুক্ত দেশ ১৯৪টি।

সূচকের শিরোনাম: Kids Rights Index 2024.

সূচক অনুযায়ী-

  শীর্ষ ৫ দেশ: ১. লুক্সেমবার্গ, ২. আইসল্যান্ড, ৩. গ্রিস ৪. জার্মানি ও ৫. থাইল্যান্ড।

সর্বনিম্ন ৫ দেশ: ১৯৪. আফগানিস্তান, ১৯৩, দক্ষিণ সুদান, ১৯২, সাদ, ১৯১. মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র ও ১৯০. নিরক্ষীয় গিনি।

সার্কভুক্ত দেশের অবস্থান: ৯৪. ভুটান, ৯৬. বাংলাদেশ, ১০৩. ভারত, ১২৪. নেপাল, ১৩৬. মালদ্বীপ, ১৫১. শ্রীলংকা, ১৫৩. পাকিস্তান ও ১৯৪. আফগানিস্তান।

বৈশ্বিক ক্ষুধা সূচক

প্রকাশ: ১০ অক্টোবর ২০২৪।

প্রকাশক: আয়ারল্যান্ড ভিত্তিক সংস্থা Concern Worldwide ও জার্মানভিত্তিক Welthungerhilfe

অন্তর্ভুক্ত দেশ: ১২৭টি।

সূচকের শিরোনাম: Global Hunger Index 2024

সূচক অনুযায়ী-

ক্ষুধার মাত্রা কম: ২২টি দেশে বেলারুশ, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, চিলি, চীন, কোস্টারিকা, ক্রোয়েশিয়া, এস্তোনিয়া, জর্জিয়া, হাঙ্গেরি, কুয়েত, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, মন্টিনিগ্রো, উত্তর মেসিডোনিয়া, রোমানিয়া, রাশিয়া, সার্বিয়া, স্লোভাকিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, উরুগুয়ে ও উজবেকিস্তান।

ক্ষুধার মাত্রা সবচেয়ে বেশি: সোমালিয়া।

সার্কভুক্ত দেশের অবস্থান: ৫৬. শ্রীলংকা, ৬৮. নেপাল, ৮৪. বাংলাদেশ, ১০৫. ভারত, ১০৯. পাকিস্তান ও ১১৬.আফগানিস্তান।

বৈশ্বিক উদ্ভাবনী সূচক

প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

প্রকাশক: World Intellectual Property Organization (WIPO)

প্রতিবেদনের শিরোনাম: Global Innovation Index 2024

অন্তর্ভুক্ত দেশ: ১৩৩

সূচক অনুযায়ী-

শীর্ষ ৫ দেশ: ১. সুইজারল্যান্ড, ২. সুইডেন, ৩. যুক্তরাষ্ট্র, ৪. সিঙ্গাপুর ও ৫. যুক্তরাজ্য।

সর্বনিম্ন ৫ দেশ: ১৩৩. অ্যাঙ্গোলা, ১৩২. নাইজার, ১৩১. মালি, ১৩০. ইথিওপিয়া ও ১২৯. বোরকিনা ফাসো।

সার্কভুক্ত দেশের অবস্থান: ৩৯. ভারত, ৮৯. শ্রীলংকা, ৯১. পাকিস্তান, ১০৬. বাংলাদেশ ও ১০৯. নেপাল।

৭টি উপসূচকে বাংলাদেশের অবস্থান

প্রাতিষ্ঠানিক ১০৯তম মানবসম্পদ ও গবেষণা ১২৮তম · অবকাঠামো ৮৬তম · পরিশীলিত বাজার ৯২তম · পরিশীলিত ব্যবসা ১২৬তম · জ্ঞান ও প্রযুক্তি ৯২তম · সৃজনশীলতা ৮৮তম।

বিশ্বের সবচেয়ে ১০ ধনী দেশ

প্রকাশ: অক্টোবর, ২০২৪

প্রকাশক: ফোর্বস ইন্ডিয়া

প্রতিবেদনের শিরোনাম: Top 10 richest countries in the world by GDP per capita in 2024

প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশগুলো-

দেশ

মাথাপিছু GDP (PPP)

বার্ষিক GDP বৃদ্ধির হার

. লুক্সেমবার্গ

১৪৩,৭৪০

১.৩%

. ম্যাকাও

১৩৪,১৪০

১৩.৯%

আয়ারল্যান্ড

১৩৩,৯০০

১.৫%

সিঙ্গাপুর

১৩৩,৭৪০

২.১%

৫. কাতার

১১২,২৮০

২%

. সংযুক্ত আরব আমিরাত

৯৬,৮৫০

৩.৫%

৭. সুইজারল্যান্ড

৯১,৯৩০

১.৩%

৮. সান ম্যারিনো

৮৬,৯৯০

১.৩%

৯. যুক্তরাষ্ট্র

৮৫,৩৭০

২.৭%

১০. নরওয়ে

৮২,৮৩০

১.৫%

বৈশ্বিক বহুমাত্রিক দারিদ্র্য সূচক

প্রকাশ: অক্টোবর ২০২৪

প্রকাশক: জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (UNDP)

অন্তর্ভুক্ত দেশ: ১১২টি

প্রতিবেদনের শিরোনাম: 2024 Global Multidimensional Poverty Index (MPI)

প্রতিবেদন অনুযায়ী-

বিশ্বে ৫৮.৪০ কোটি শিশু দারিদ্র্যতার মধ্যে বসবাস করছে। যা বিশ্বের মোট শিশুর ২৭.৯%

বিশ্বের প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ১৩.৫% দরিদ্র।

চরম দারিদ্র্যের মধ্যে থাকা ৪৫.৫০ কোটি মানুষ সংঘাত-সহিংসতার মধ্যে বসবাস করে।

বিশ্বের ১১০ কোটি মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করছে।

দক্ষিণ এশিয়ায় ২৭.২০ কোটি দরিদ্র মানুষ এমন পরিবারে বাস করে, যে পরিবারের অন্তত একজন মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছেন।

বিশ্বে দরিদ্র মানুষের বসবাসে শীর্ষ ৫ দেশ- ১. ভারত (২৩৪ মিলিয়ন) ২. পাকিস্তান (৯৩ মিলিয়ন) ৩. ইথিওপিয়া (৮৬ মিলিয়ন) ৪. নাইজেরিয়া। (৭৪ মিলিয়ন) এবং ৫. গণতান্ত্রিক কঙ্গো প্রজাতন্ত্র (৬৬ মিলিয়ন)।

বাংলাদেশে চরম দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাস করে ৪.১৭ কোটি মানুষ। তাদের মধ্যে অতি মানবেতর জীবনযাপন করে ৬.৫%।

অসমতা হ্রাসের অঙ্গীকার সূচক 

প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৪

প্রকাশক: যুক্তরাজ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা অক্সফাম ও ডেভেলপমেন্ট ফাইন্যান্স ইন্টারন্যাশনাল।

অন্তর্ভুক্ত দেশ ১৬৪টি।

সূচকের শিরোনাম: The Commitment to Reducing Inequality Index 2024।

মোট তিনটি বিষয়ের নিরিখে সূচক তৈরি করা হয়। এগুলো হলো- সরকারি সেবা, করনীতি ও শ্রম।

সূচক অনুযায়ী-

ক্যাটাগরি

শীর্ষ দেশ

সর্বনিম্ন দেশ

বাংলাদেশ

সরকারি সেবার মানদণ্ডে

পোল্যান্ড

দক্ষিণ সুদান

১৩৫তম

করনীতির মানদণ্ডে

নরওয়ে

ভানুয়াতু

৭১তম

শ্রম মানদণ্ডে

স্লোভাকিয়া

নাইজেরিয়া

১১৮তম

অসমতা হ্রাসের অঙ্গীকার সূচক

নরওয়ে

দক্ষিণ সুদান

১২৪তম

শ্রমনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে

শীর্ষ দেশ: মোজাম্বিক

সর্বনিম্ন দেশ: উজবেকিস্তান।

বাংলাদেশের অবস্থান ১৬১তম।

শ্রমিকের অধিকার রক্ষায়

শীর্ষ দেশ: সাইপ্রাস

সর্বনিম্ন দেশ: বেলারুশ, চীন, জিবুতি, মিসর, ইরান, ইরাক, লাওস, উজবেকিস্তান ও ভিয়েতনাম।

বাংলাদেশের অবস্থান ১৫৫তম।

বৈশ্বিক জনসংখ্যা

প্রকাশ: অক্টোবর ২০২৪।

প্রকাশক: স্বাধীন অলাভজনক সংস্থা 'ওয়ার্ল্ড পপুলেশন রিভিউ'।

অন্তর্ভুক্ত দেশ ও অঞ্চল: ২৩৪টি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী-

জনসংখ্যায় শীর্ষ ১০ দেশ ও অঞ্চল

অবস্থান

দেশ ও অঞ্চল

জনসংখ্যা

ভারত

,৪৫০,৯৪০,০০০

চীন

,৪১৯,৩২০,০০০

যুক্তরাষ্ট্র

৩৪৫,৪২৭,০০০

ইন্দোনেশিয়া

২৮৩,৪৮৮,০০০

পাকিস্তান

২৫১,২৬৯,০০০

নাইজেরিয়া

২৩২,৬৭৯,০০০

ব্রাজিল

২১১,৯৯৯,০০০

বাংলাদেশ

১৭৩,৫৬২,০০০

রাশিয়া

১৪৪,৮২০,০০০

১০

ইথিওপিয়া

১৩২,০৬০,০০০

 

 

জনসংখ্যায় সর্বনিম্ন দেশ ও অঞ্চল

অবস্থান

দেশ ও অঞ্চল

জনসংখ্যা

২৩৪

ভ্যাটিকান সিটি

৪৯৬

২৩৩

নিউ

১,৮১৯

২৩২

টোকেলাউ

২,৫০৬

২৩১

ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ

৩,৪৭০

২৩০

মন্টসের্রাট

৪,৩৮৯

২২৯

সেন্ট পিয়ের ও মিকেলন

৫,৬২৮

২২৮

টুভ্যালু

৯,৬৪৬

২২৭

সেন্ট বার্থেলেমি

১১,২৫৮

২২৬

ওয়ালিস ও ফুটুনা

১১,২৭৭

২২৫

নাউরু

১১,৯৪৭

 

শিল্প বিপ্লবের দেশে কয়লার অবসান

শিল্প বিপ্লব

আঠারো শতকের শেষার্ধে শিল্পোৎপাদনের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয় সাধারণভাবে তা শিল্প বিপ্লব (Industrial Revolution) নামে পরিচিত। শিল্প বিপ্লব কথাটি পরিচিতি লাভ করে ১৮৮১ সালে ইংরেজ ঐতিহাসিক আর্নল্ড জে. টয়েনবি কর্তৃক অক্সফোর্ডে প্রদত্ত on the Industrial Revolutions of the 18th Century in England শীর্ষক বক্তৃতার মাধ্যমে।

শিল্প বিপ্লব

সময়কাল

আবিষ্কার

প্রথম

১৭৫০-১৮৫০

কয়লার খনি, বাষ্পীয় ইঞ্জিন

দ্বিতীয়

১৮৭০-১৯১৪

বিদ্যুৎ

তৃতীয়

১৯৬০-১৯৯০

ট্রানজিস্টর ও ইন্টারনেট

বর্তমানে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব চলছে।

বিশ্বজুড়ে

মরুর বুকে নতুন রেলপথ

সৌদি আরব-সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ মরুর ছয় দেশকে যুক্ত করতে ১,২০০ মাইলের বেশি দৈর্ঘ্যের রেললাইন তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়। দ্য গালফ রেলওয়ে নামে প্রকল্পটির কাজ ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। রেলপথটির কাজ সম্পন্ন করতে খরচ পড়বে ২৫০ বিলিয়ন ডলার বা ২৫ হাজার কোটি ডলার। প্রকল্পটি জিসিসি এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল বদলে দেবে। উচ্চাভিলাষী এ রেলপথ যে ছয়টি উপসাগরীয় দেশের মধ্য দিয়ে যাবে সেগুলো হলো বাহরাইন, কুয়েত, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত। এই রেলওয়ের লক্ষ্য শুধু সীমান্তজুড়ে মসৃণ বাণিজ্য ও পরিবহণ সহজতর করা নয়, বরং সম্মিলিত অর্থনৈতিক শক্তি বৃদ্ধি করা। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি সদস্য দেশে প্রকল্পের অনেক অগ্রগতি হয়েছে। সৌদি আরব ২০২৪ সালের মার্চ মাসে রিয়াদ মেট্রোর প্রথম অংশ উন্মোচন করে।

এমপক্স শনাক্তের পরীক্ষা অনুমোদন

৪ অক্টোবর, ২০২৪ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) প্রথমবারের মতো এমপক্স শনাক্তকরণ পরীক্ষাপদ্ধতি ব্যবহারের অনুমোদন দেয়। এতে এমপক্স সংক্রমণের শিকার দেশগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ পরীক্ষাপদ্ধতি ব্যবহারের সুযোগ পাবে। আফ্রিকার দেশ গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোয় প্রথম এমপক্স ভাইরাস শনাক্ত হয়। এমপক্স ছড়িয়ে পড়া নিয়ে উদ্বেগের প্রেক্ষাপটে ১৪ আগস্ট, ২০২৪ WHO বিশ্বজুড়ে জনস্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে। ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বৈশ্বিক প্রাদুর্ভাবের মধ্যে এমপক্স টিকার প্রথম অনুমোদন দেয়।

জাপানের নতুন প্রধানমন্ত্রী

১ অক্টোবর, ২০২৪ জাপানের ১০১তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইশিবা শিগেরু। ১৪ আগস্ট, ২০২৪ জাপানের ১০০তম প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ ইশিবা শিগেরু জাপানের ক্ষমতাসীন দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (LDP) আইনপ্রণেতাদের ভোটে দলের নেতা হিসেবে নির্বাচিত হন। LDP'র নেতা তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হয়ে থাকেন। দলীয় নেতার পদে বহাল থাকা অবস্থায় সংসদে দলের সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেও একই সঙ্গে তিনি প্রধানমন্ত্রীর পদেও বহাল থাকেন।

আগাম নির্বাচন: জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ৯ অক্টোবর, ২০২৪ ইশিবা শিগেরু পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ভেঙে দিয়ে নির্ধারিত সময়ের আগে নতুন নির্বাচনের ঘোষণা দেন। নির্বাচনি বিধান অনুযায়ী ২৭ অক্টোবর, ২০২৪ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। জাপানের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের মেয়াদ চার বছর।

স্বাধীনতা পেল চাগোস দ্বীপপুঞ্জ

৩ অক্টোবর, ২০২৪ ভারত মহাসাগরে অবস্থিত চাগোস দ্বীপপুঞ্জ মরিশাসের কাছে ফিরিয়ে দিতে সম্মত হয় যুক্তরাজ্য। অর্ধশতকের বেশি সময় ধরে সামরিক কৌশলগত দিক দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ চাগোস দ্বীপপুঞ্জ নিজেদের দখলে রাখার পর স্বাধীনতা দিতে রাজি হয় দেশটি। এ দ্বীপে একটি মার্কিন-ব্রিটিশ সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। চাগোস দ্বীপ মরিশাসের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হলেও এর অন্তর্ভুক্ত ছোট ও প্রবাল সমৃদ্ধ দিয়েগো গার্সিয়াতে মার্কিন ও যুক্তরাজ্যের ঘাঁটি থেকে যাবে। নতুন চুক্তি অনুযায়ী ঘাঁটিতে আগামী ৯৯ বছরের জন্য সামরিক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হবে। বিপরীতে মরিশাসের জন্য আর্থিক সহায়তার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, ১৯৬৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্য চাগোস দ্বীপপুঞ্জ নিজেদের দখলে নিয়ে নেয়। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত এ মর্মে রায় দেয় যে যুক্তরাজ্যের চাগোস দ্বীপপুঞ্জে যুক্তরাজ্যের দখল অবৈধ।

প্রথম আন্তর্জাতিক মহাসাগর স্টেশন

২০২৭ সালের শেষের দিকে বা ২০২৮ সালের প্রথম দিকে মহাসমুদ্রে ভেসে বেড়াবে অদ্ভুত আকার ও আকৃতির উল্লম্ব এক জাহাজ। এটি মহাশূন্যে স্পেস স্টেশনের আদলে বিশ্বের প্রথম এবং একমাত্র আন্তর্জাতিক মহাসাগর স্টেশন। এর নাম দেওয়া হয় 'সিঅরবিটার'। লম্বায় ৫৭ মিটার বা ১৮০ ফুট উল্লম্ব নৌযানটির ৩০ মিটার বা প্রায় ১০০ ফুট অংশ থাকবে পানির নিচে। মোট ১২টি তলায় বিভক্ত বিশাল এবং সুচিন্তিত স্থাপনাটির ওজন ৫৫০ টন। ১৫০ কোটি ইউরো বাজেটের এমন বিস্ময়কর নৌযানকে বিজ্ঞানীরা সাধারণ নৌযান বলতে নারাজ। তারা বলেছেন, এটি একটি পর্যবেক্ষণ ও অনুসন্ধান প্লাটফর্ম এবং অত্যাধুনিক সরঞ্জামে সজ্জিত একটি ভাসমান গবেষণাগার। সৌরশক্তি চালিত ভাসমান এ গবেষণাগারে মোট ২৪ জন নাবিক, গবেষক এবং প্রযুক্তিবিদের দীর্ঘদিন বসবাসের ব্যবস্থা রয়েছে। পৃথিবীপৃষ্ঠের ৭১% জুড়ে রয়েছে নীল জলরাশির আস্তরণ, এর বেশিরভাগ সমুদ্র, মহাসমুদ্রের দখলে। অথচ এ বিশাল জলভাগের ৯৫% সম্পর্কে মানুষ আজও অন্ধকারে। ১৯৯৫ সালে আমাদের সৌরজগতের বাইরে প্রথম গ্রহটি আবিষ্কারের পরে মানুষ যখন অন্য গ্রহে পাড়ি দেওয়ার চিন্তা করছে, সে সময় ফরাসি নৌ স্থপতি, জ্যাক রুজেরি মনে করেন, মানুষের ভবিষ্যৎ ঠিকানা মহাসমুদ্রে। তিন দশক ধরে সমুদ্রের তলদেশে মানুষের বসবাসের জন্য বাড়ি-ঘর, নগরীর নকশা তৈরি করে চলছেন তিনি। মহাসমুদ্রে সার্বক্ষণিক গবেষণা, সমুদ্র এবং সমুদ্রের বিশাল জীবজগতের গতি-প্রকৃতি, সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্র ও জলবায়ু পরিবর্তনের ওপর মহাসাগরীয় প্রভাব পর্যবেক্ষণ করতে এবং দূষণমুক্ত রাখার উপায় খুঁজতে এ স্টেশনের গুরুত্ব অপরিসীম। বিজ্ঞানীরা তাই 'সিঅরবিটার' নামক ভাসমান গবেষণাগারটি নিয়ে খুব আশাবাদী। দ্রুতই সিঅরবিটার মহাসমুদ্রের মহারহস্যের জট খুলে আমাদের বহু প্রশ্নের জবাব দেবে এবং বিস্মিত করবে।

দুর্যোগ

হ্যারিকেন মিল্টন

৯ অক্টোবর ২০২৪ যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় আঘাত হানে হারিকেন মিল্টন। ২০২৪ সালের মৌসুমে আটলান্টিক মহাসাগরের ১৩তম নামকৃত ঝড়, দ্বিতীয় ক্যাটাগরি হারিকেন হিসেবে, মিল্টন এখন পর্যন্ত ২০২৪ সালের সবচেয়ে শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় হিসেবে চিহ্নিত হয়। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে ফ্লোরিডায় ভয়াবহ তাণ্ডব চালায় আরেক হারিকেন 'হেলেন'। ২০০৫ সালে আঘাত হানা হারিকেন 'ক্যাটরিনা'র পর থেকে যুক্তরাষ্ট্রে আঘাত হানা সবচেয়ে প্রাণঘাতী ঝড় এটি। 'হেলেন'র প্রভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ২৩০ জনেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রে ১ জুন থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত হারিকেনের মৌসুম

সাহারায় ৫০ বছরে প্রথম বন্যা

২০২৪ সালের অক্টোবরে মরক্কোর দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে ব্যাপক বৃষ্টি হওয়ায় সাহারা মরুভূমির কিছু অংশে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়। এতে ৫০ বছর ধরে শুকনো থাকা জাগোরা ও টাটার মধ্যবর্তী বিখ্যাত ইরিকুই হ্রদে পানি ঢুকে পড়ে। মরুভূমি এলাকায় এ ধরনের আকস্মিক বন্যার ঘটনা বিরল। সাহারা মরুভূমি পৃথিবীর উষ্ণতম স্থানগুলোর একটি। বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত ৩ ইঞ্চির বেশি হয় না।

ইউরোপের সুয়েজ খাল

ইউরোপের প্রধান অর্থনীতিগুলোয় নতুনভাবে প্রাণ সঞ্চার করবে আন্তঃসীমান্ত নদীপথ সেইন-নর্ড ইউরোপ ক্যানেল (Seine-Nord Europe Canal-SNEC)এসএনইসি বাস্তবায়ন হলে ফ্রান্স, বেলজিয়াম ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে বড় জাহাজ চলাচল সহজ হবে। এ অনুসারে জলপথটি হবে ইউরোপীয় প্রধান বাণিজ্য রুট, যা ব্লকের অর্থনৈতিক ভাগ্যকে পাল্টে দেবে। রুটের কাজ সম্পূর্ণ হতে ২০৩০ সাল প্রর্যন্ত সময় লাগবে। ১০৭ কিলোমিটারের বিশাল এ অবকাঠামো প্রকল্প জলপথে যোগাযোগ সাশ্রয়ী ও দ্রুত করবে

নতুন ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র

২০২৪ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে নতুন একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্র স্থাপনের অনুমোদন দেওয়া হয়। প্রস্তাবিত এই নতুন উৎক্ষেপণ কেন্দ্রটি নির্মাণ করা হবে দক্ষিণাঞ্চলীয় অন্ধ্র প্রদেশে কৃষ্ণা জেলার নাগায়ালঙ্কা গ্রামে। কেন্দ্রটি নির্মিত হলে এখান থেকে সারফেস টু এয়ার মিসাইল, অ্যান্টি-ট্যাঙ্ক মিসাইলসহ ভারতের তৈরি সব ধরনের স্বল্প-মাঝারি ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ করা যাবে। বর্তমানে ভারতের একমাত্র ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রটি ওড়িশা রাজ্যের ড. আব্দুল কালাম দ্বীপে অবস্থিত। অগ্নি, পৃথ্বি, ব্রহ্মা, নির্ভয়সহ ভারতের যাবতীয় ল্যান্ডমার্ক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ হয় এই কেন্দ্রটিতে। ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনী ২০২৪ সালের মে মাসে ওড়িশায় নিজেদের তৈরি সাবমেরিন বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র স্মার্তের পরীক্ষামূলক সফল উৎক্ষেপণ করে।

পরমাণুশক্তি চালিত সাবমেরিন

৯ অক্টোবর ২০২৪ ভারত সরকার দেশটিতে পরমাণু শক্তিচালিত দুটি সাবমেরিন তৈরি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়। ভারতীয় নৌবাহিনী ছয়টি আধুনিক পরমাণুশক্তিচালিত সাবমেরিন তৈরির পরিকল্পনা করছে। এগুলো ভারতের অরিহন্ত শ্রেণির পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন। সাবমেরিন দুটি ভারতের বিশাখাপত্তনম বন্দরে সরকারি জাহাজ নির্মাণ কেন্দ্রে তৈরি করা হবে। বর্তমানে ভারতের দুটি পারমাণবিক শক্তিচালিত সাবমেরিন রয়েছে। ভারতে তৈরি প্রথম পরমাণু শক্তি চালিত ডুবোজাহাজ আইএনএস অরিহন্ত। দ্বিতীয়টি আইএনএস আরিঘাট। পরমাণুশক্তিচালিত সাবমেরিন ডিজেলচালিত সাবমেরিনের তুলনায় অনেক দ্রুতগতিসম্পন্ন। এগুলো দীর্ঘ সময় ধরে পানির নিচে থাকতে পারে। পরমাণুশক্তিচালিত সাবমেরিন বিশ্বের সবেচেয়ে শক্তিশালী নৌ অস্ত্র। অল্প কয়েকটি দেশের কাছে এ ধরনের সাবমেরিন রয়েছে। দেশগুলো হলো- চীন, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। উল্লেখ্য, বিশ্বের সর্ববৃহৎ নৌবাহিনী চীনের দেশটির কাছে ৩৭০টির বেশি যুদ্ধজাহাজ রয়েছে।

বাংলা: ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি

৩ অক্টোবর ২০২৪ ভারতের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা বাংলা ভাষাকে Classical Language বা ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি দেয়। এই দিন বাংলাসহ আরও পাঁচটি ভাষাকে ভারতের ধ্রুপদী ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। অন্য চারটি ভাষা হলো মারাঠি, পালি, অসমিয়া ও প্রাকৃত ভাষা। এর আগে ধ্রুপদী ভাষার স্বীকৃতি পায় তামিল, সংস্কৃত, তেলেগু, কন্নড়, মালায়লাম ও ওড়িশা ভাষা। ভারতে ধ্রুপদী ভাষার প্রথম স্বীকৃতি পায় তামিল ভাষা। ভারতে কোনো ভাষা ধ্রুপদী স্বীকৃতি পেলে সেই ভাষার প্রচার ও প্রসারের ক্ষেত্রে বেশ কিছু পদক্ষেপ নেয় কেন্দ্রীয় সরকার। ধ্রুপদী ভাষার জন্য জাতীয় পুরস্কার ঘোষণা করা হয়। কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ভাষার প্রচার ও প্রসারে চেয়ার তৈরি করা হয়। ধ্রুপদী ভাষায় কাজের জন্য বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পুরস্কার দেওয়া হয়। মূলত, ধ্রুপদী ভাষা বলতে বোঝায় যা অত্যন্ত প্রাচীন, সমৃদ্ধ সাহিত্যের অধিকারী এবং স্বাধীনভাবে গড়ে উঠেছে।

ধ্রুপদী ভাষা স্বীকৃতির মানদণ্ড: ভারতে ধ্রুপদী ভাষা ঘোষণার ক্ষেত্রে জাতীয় স্তরে সাহিত্য একাডেমি ভাষা বিশেষজ্ঞদের একটি কমিটি তৈরি করে। তারা নির্দিষ্ট মানদণ্ডের ভিত্তিতে কোনো ভাষা ধ্রুপদী কি না, সেই সংক্রান্ত সুপারিশ সরকারের কাছে জমা দেয়। মানদণ্ডগুলো হলো- সংশ্লিষ্ট ভাষায় প্রাচীনতম লিখিত নথির বয়স কমপক্ষে ১,৫০০ থেকে ২,০০০ বছরের পুরানো হতে হবে। হবে সংশ্লিষ্ট ভাষায় রচিত সু-প্রাচীন সাহিত্য ও লিখিত নথিগুলো দীর্ঘ সময় ধরে, ওই একই ভাষায় কথা বলা গোষ্ঠীর হিসেবে বিবেচিত হতে হবে বহু প্রজন্মের ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত হতে হবে।

এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ভাষার প্রাচীনত্ব স্বীকার করার জন্য সুপ্রাচীন শিলালিপি বা অন্য কোনো ধাতব আধারের উপর খোদাই করা তথ্যাবলি প্রমাণ হিসেবে গৃহীত হবে।

সংশ্লিষ্ট ধ্রুপদী ভাষা ও সাহিত্য তার বর্তমান রূপ থেকে পৃথক হতে পারে বা তার পরবর্তী রূপ কিংবা তার শাখাগুলোর থেকেও বিচ্ছিন্ন হতে পারে।

 

মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন

৫ নভেম্বর ২০২৪ যুক্তরাষ্ট্রের ৬০তম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। ২০ জানুয়ারি ২০২৫ থেকে চার বছরের জন্য নতুন নেতা পাবে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশটি। সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প পুনরায় ক্ষমতায় ফিরবেন নাকি বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসই  হবেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম নারী প্রেসিডেন্ট এ নিয়ে চলছে জোর আলোচনা

যেভাবে নির্বাচিত হন

নাগরিকদের সরাসরি ভোটে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন না; বরং যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন পদ্ধতি হলো পরোক্ষ। প্রথমে জনগণ ভোট দিয়ে ইলেকটোরাল কলেজ বা নির্বাচকমণ্ডলী নির্বাচন করেন। এখানে একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখ্য- ব্যালট পেপারে কিন্তু প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের নাম লেখা থাকে। আর একেক অঙ্গরাজ্যের নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচকমণ্ডলীর নাম উল্লেখ থাকতেও পারে, নাও পারে। জনগণ কোনো নির্দিষ্ট প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার অর্থ হলো ঐ প্রার্থীর দলের নির্বাচকমণ্ডলী মনোনীত করা। পরবর্তী সময়ে সেই নির্বাচকমণ্ডলী ভোট দিয়ে জনগণের পছন্দের প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে নির্বাচন করেন। নির্বাচকমণ্ডলী চাইলে দলের বাইরে গিয়ে বিরোধী দলের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারবেন। প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের জন্য বরাদ্দ ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা সেই অঙ্গরাজ্যে জনপ্রতিনিধি ও সিনেটরের সংখ্যার সমান থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা ৫৩৮টি। এর মধ্যে শুধু ক্যালিফোর্নিয়াতেই রয়েছে সর্বাধিক ৫৫টি। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হতে গেলে একজন প্রার্থীকে অবশ্যই ন্যূনতম ২৭০টি ইলেকটোরাল ভোট পেতে হবে। সাধারণত জনসংখ্যার ওপর ইলেকটোরের সংখ্যা নির্ভর করে। নিয়ম হলো, প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে জনসংখ্যা যেমনই হোক, ন্যূনতম তিন পয়েন্ট দিতেই হবে। এরপর জনসংখ্যা অনুযায়ী এ সংখ্যা নির্ধারণ করা হয় প্রতি ১০ বছর পরপর।

ইলেকটোরাল ২৭০ ভোট না পেলে

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ২৭০টি ইলেকটোরাল কলেজে জয় না পেলে মার্কিন সংবিধানের দ্বাদশ সংশোধনী অনুযায়ী হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস বা প্রতিনিধি পরিষদ প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করবে। এ ক্ষেত্রে প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের প্রতিনিধির হাতে থাকে একটি করে ভোট। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হতে হলে একজন প্রার্থীকে সংখ্যাগরিষ্ঠ অঙ্গরাজ্যে জিততে হবে। আর ভাইস প্রেসিডেন্ট বাছাই করে পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ বা সিনেট। সিনেটরদের হাতেও থাকে একটি করে ভোট। যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে ১৮০৪ সালের পর কোনো প্রার্থী ইলেকটোরাল কলেজে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার ঘটনা একবারই ঘটে। ১৮২৪ সালে ইলেকটোরাল ভোটগুলো চারজন প্রার্থীর মধ্যে ভাগ হয়ে যায়। এককভাবে কেউই সংখ্যাগরিষ্ঠ ভোট পেতে সফল হননি। এদের মধ্যে ডেমোক্রেট প্রার্থী অ্যান্ড্রু জ্যাকসনের পক্ষে ছিল সবচেয়ে বেশি ইলেকটোরাল ভোট। পপুলার ভোটও তিনি বেশি পান। কিন্তু চতুর্থ স্থানে ছিলেন হেনরি ক্লে। তিনি আবার ছিলেন হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার। এ হেনরি ক্লে দ্বিতীয় স্থানে থাকা জন কুইন্সি অ্যাডামসকে নির্বাচিত করার ব্যাপারে হাউসকে প্রভাবিত করেন। অবশেষে অ্যাডামসই মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।

কে যাচ্ছেন হোয়াইট হাউসে ডোনাল্ড ট্রাম্প না কমলা হ্যারিস

জন্ম: ১৪ জুন ১৯৪৬; কুইন্স, নিউইয়র্ক

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক (পেনসিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়)

পেশা: আবাসন ব্যবসায়ী, টেলিভিশন প্রযোজক ও রাজনীতিক

রাজনৈতিক দল: রিপাবলিকান পার্টি - দেশটির সবচেয়ে বয়স্ক প্রেসিডেন্ট প্রার্থী

জন্ম: ২০ অক্টোবর ১৯৬৪; ওকল্যান্ড, ক্যালিফোর্নিয়া

শিক্ষাগত যোগ্যতা: স্নাতক (হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়)

পেশা: আইনজীবী

রাজনৈতিক দল: ডেমোক্র্যাটিক পার্টি

ক্যালিফোর্নিয়ার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ অ্যাটর্নি জেনারেল

প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী এবং প্রথম কোনো ভারতীয় বংশোদ্ভূত ভাইস প্রেসিডেন্ট। এছাড়া নারী ভাইস প্রেসিডেন্ট অভিবাসীর সন্তান থেকেও প্রথম

তার বাবা জ্যামাইকান এবং মা ভারতীয় বংশোদ্ভূত

 

মহাকাশ-বিজ্ঞান প্রযুক্তি

বৃহস্পতির চাঁদে পানির অস্তিত্ব

বৃহস্পতির চাঁদে পানির সন্ধানে ১৪ অক্টোবর ২০২৪ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা 'নাসা' মহাকাশযান পাঠায়। বিজ্ঞানীদের ধারণা, সেখানে গোপন সমুদ্র রয়েছে। স্পেসএক্সের ফ্যালকন রকেট বৃহস্পতির চাঁদ ইউরোপার দিকে পাড়ি দেয়। সাড়ে পাঁচ বছর পর মহাকাশযানটি সেখানে পৌঁছাতে পারবে। এ অভিযানের নাম দেওয়া হয় 'ইউরোপা ক্লিপার'। মহাকাশযানে সংযুক্ত যন্ত্রগুলো ইউরোপার পৃষ্ঠের নিচের পরিবেশ, সেখানকার রাসায়নিক ও ভূতাত্ত্বিক গঠন যাচাই করে দেখবে। এ মিশন ভবিষ্যতের মিশনগুলোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করবে। উৎক্ষেপণের পর ক্লিপার মহাকাশযান প্রায় ছয় বছর একটানা মহাকাশে ভ্রমণ করবে এবং ২০৩০ সালের এপ্রিলে এটি ইউরোপার কক্ষপথে পৌঁছাবে।

ঘুমাচ্ছে চন্দ্রযান-৩

২৩ আগস্ট ২০২৩ চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে 'সফট ল্যান্ডিং' করে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশনের (ISRO) তৈরি চন্দ্রযান-৩- এর ল্যান্ডার বিক্রম। চাঁদের প্রাচীনতম গর্তগুলোর মধ্যে একটিতে নামে ভারতের চন্দ্রযান-৩। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চাঁদের মাটিতে রোভারটি ঘুরে ঘুরে তথ্য সংগ্রহ করে পৃথিবীতে পাঠায়। পরে চাঁদে সূর্য ডুবে গেলে চন্দ্রযান-৩ নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। এখনো চাঁদের মাটিতেই পড়ে রয়েছে ওই ল্যান্ডার ও রোভার। 'ঘুমিয়ে' পড়ার আগে রোভারের ক্যামেরায় চাঁদের অদেখা অংশের নানা ছবি উঠেছে।

৮০,০০০ বছর পর দেখা যাবে যে ধূমকেতু

বিশ্ব ২০২৪ সালের অক্টোবরে বিরল এক মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী হয়েছে। এ মাসে রাতের আকাশে দেখা গেছে একটি ধূমকেতু, যেটি কিনা শেষবার দেখা যায় নিয়ান্ডারথালদের সময়। ধূমকেতুটি ২০২৩ সালে চীনের সুচিনশান মানমন্দির এবং দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাটলাস টেলিস্কোপের মাধ্যমে আবিষ্কৃত হয়। তাই এর নামকরণ করা হয় সুচিনশান-অ্যাটলাস (সি/২০২৩ এ৩)। ১২ অক্টোবর ২০২৪ পৃথিবীর সবচেয়ে কাছাকাছি আসে এটি। পুনরায় এ ধূমকেতু দেখতে অপেক্ষা করতে হবে আরও ৮০,০০০ বছর।

ইতিহাস গড়ল স্টারশিপ রকেট

ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের তৈরি রকেট স্টারশিপ সফলভাবে উৎক্ষেপণের পর সেটির নিম্নাংশ সফলভাবে লঞ্চপ্যাডে ফিরে আসে। ১৩ অক্টোবর ২০২৪ টেক্সাসের বোকাচিকা মহাকাশ কেন্দ্র থেকে রকেটটি উৎক্ষেপণ করে। এটি আকাশে উড়ে যাওয়ার পর এক পর্যায়ে এর স্টারশিপ রকেটটি আলাদা হয়ে অস্ট্রেলিয়ার পশ্চিমে ভারত মহাসাগরে পড়ে। আর সুপার হেভি বুস্টারটি ফিরে আসে স্পেস এক্সের সেই টাওয়ারে যেখান থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। বিশ্বের ইতিহাসে প্রথমবার এ ঘটনা ঘটে। বিশ্বে যত রকেট প্রস্তুত হয়, সবগুলোই 'একবার ব্যবহারযোগ্য'। ইলন মাস্কের বারবার ব্যবহারযোগ্য রকেট বড় একটি মাইলফলক।

ইলন মাস্কের নতুন প্রযুক্তি

'সাইবারক্যাব' নামে নিজেদের তৈরি প্রথম রোবোট্যাক্সি (রোবট ট্যাক্সি) ও রোবোভ্যান উন্মোচন করে মার্কিন বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান টেসলা। ১০ অক্টোবর ২০২৪ যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার ওয়ার্নার ব্রাদার্স স্টুডিওতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে সাইবার ক্যাবের পাশাপাশি রোবোভ্যানের আদিরূপ বা প্রোটোটাইপ উন্মোচন করেন টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (CEO) এবং মালিক ইলন মাস্ক। স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলতে সক্ষম রোবোট্যাক্সি গুলোকে ট্যাক্সি হিসেবে ভাড়া করা যাবে। ২০২৬ সালের প্রথম দিকে সাইবারক্যাব উৎপাদন শুরু হবে।

চীনা স্যাটেলাইটে AI প্রযুক্তি

২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ পূর্ব চীনের শানতোং প্রদেশের হাইয়াং শহরের কাছে ভাসমান একটি প্ল্যাটফর্ম থেকে একটি স্মার্ট ড্রাগন-৩ ক্যারিয়ার রকেটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (AI) স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ করে। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে ৫ অক্টোবর পর্যন্ত স্যাটেলাইটটি তার AI লার্জ মডেল সংক্রান্ত ১৩টি পরীক্ষা চালায়। ভিন্ন ভিন্ন অবস্থা ও তাপমাত্রার পরিপ্রেক্ষিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম এ স্যাটেলাইট। কক্ষপথে AI বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন স্যাটেলাইটের মহাকাশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়া এবং মহাকাশে অপারেশন চলাকালীন হাইপারফরম্যান্স পেলোডের কম্পিউটিং শক্তির পরীক্ষাও হয় এ মিশনে।

AI দিয়ে মানব মস্তিষ্কের মানচিত্র

Artificial Intelligence (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে মানব মস্তিষ্কের সবচেয়ে বিস্তারিত বা পূর্ণাঙ্গ মানচিত্র তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড ইউনিভার্সিটি ও গুগল। ২০১৪ সালে ইপিলেন্সি সার্জারির সময় এক রোগীর মস্তিষ্ক থেকে সরানো সেরিব্রাল করটেক্সের এক ঘন মিলিমিটার অংশের ওপর ভিত্তি করে এ গবেষণা পরিচালিত হয়। এক দশক ধরে জীববিজ্ঞানী ও মেশিন-লার্নিং বিশেষজ্ঞদের একটি দল মস্তিষ্কের এ ছোট টিস্যুর নমুনাটি বিশ্লেষণ করে। এ অংশ প্রায় ৫৭,০০০ কোষ ও ১৫ কোটি সিন্যাপসিস ধারণ করে। তাদের এ আবিষ্কার মস্তিষ্কের সংযোগ বোঝার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

 

ইসরায়েলের সাম্প্রতিক আগ্রাসন ও গণহত্যা

হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধ

রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বিভিন্ন সময় ইসরায়েল বিনা কারণে শত শত গাজাবাসীকে হত্যা করে ১৯৭৩ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের ৫০তম বার্ষিকীকে কেন্দ্র করে অক্টোবর ২০২৩ হামাস অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড নামে ইসরায়েলে হামলা চালায় এতে ইসরায়েলের বহু নাগরিক হতাহত বন্দি হয় হামলার প্রতিক্রিয়ায় ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) অপারেশন আয়রন সোর্ডস নামে গাজায় আক্রমণ করে তারপর থেকে ফিলিস্তিনের গাজায় হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল এতে ৪২,০০০ এর বেশি গাজার অধিবাসী নিহত প্রায় সকলেই বাস্তুচ্যুত হয় এটি ইসরায়েলি-ফিলিস্তিনি সংঘাতগুলোর মধ্যে সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত এবং ১৯৭৩ আরব-ইসরায়েলি যুদ্ধের পর এই অঞ্চলে সবচেয়ে বিস্তৃত যুদ্ধ

গণহত্যার এক বছর: অক্টোবর ২০২৩ ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর সে দিনই গাজায় গণহত্যা শুরু করে ইসরায়েল গাজার আয়তন প্রায় ৩৬৫ বর্গ কিমি ছোট্ট ভূখণ্ডে এক বছরব্যাপী গণহত্যায় গাজার প্রায় ৪২,০০০ বেশি মানুষ হত্যা করে ইহুদীরা ২৩ লাখ জনসংখ্যার প্রায় ৯০% কে বাস্তুচ্যুত করে ৬০% বেশি কৃষি জমি বোমা ফেলে নষ্ট করা হয় ৮২৫টি মসজিদ আংশিক বা সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয় ২টি বিশ্ববিদ্যালয় ধ্বংস হয় ১১৪টি হাসপাতাল বা ক্লিনিক অকার্যকর করে ইসরায়েলি বাহিনী।

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ

এতদিন ইরান মধ্যপ্রাচ্যে তার প্রক্সি গ্রুপগুলো দিয়ে ইসরায়েলকে মোকাবেলা করে আসছিল। ১ এপ্রিল, ২০২৪ দামেস্কে ইরানি দূতাবাসে ইসরায়েলি বিমান হামলার মাধ্যমে ১৬ জনকে হত্যা করা হয়। এ হামলার জবাবে ১৩-১৪ এপ্রিল ২০২৪ ইরান অপারেশন ট্রু প্রমিজ নামে ইসরায়েল এবং ইসরায়েল দখলকৃত গোলান মালভূমির ওপর আক্রমণ করে। এতে ইরান প্রায় ১৭০টি ড্রোন এবং ১২০টিরও বেশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে। তারপর ইসরায়েলি হামলায় বৈরুতে হিজবুল্লাহ নেতা হাসান নাসরুল্লাহ ও তেহরানে হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় ইরান ১ অক্টোবর ২০২৪ ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।

হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধ

২০২৩ সালে শুরু হওয়া হামাস ইসরায়েল যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে লেবাননের সশস্ত্র গ্রুপ হিজবুল্লাহ ইসরায়েলে হামলা চালায়। তারপর থেকে সীমিত আকারে চলতে থাকে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধ। ১৭-১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ হিজবুল্লাহ দ্বারা ব্যবহৃত হাজার হাজার হ্যান্ডহেল্ড পেজার একযোগে লেবানন এবং সিরিয়ায় বিস্ফোরিত হয়। ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ 'অপারেশন নর্দান অ্যারোস' নামে লেবাননে স্থল হামলা শুরু করে দখলদার ইসরায়েল। শান্তিরক্ষীদের ঘাঁটিতে দফায় দফায় ইসরায়েলি হামলায় পাঁচ শান্তিরক্ষী আহত হন।

হিজবুল্লাহ

'হিজবুল্লাহ' আরবি শব্দ, যার অর্থ 'আল্লাহর দল'। এটি একটি শিয়া ইসলামি রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন। ইসরায়েল লেবাননের দক্ষিণাঞ্চল দখল করলে তাদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র লড়াই করার জন্য ১৯৮২ সালে হিজবুল্লাহ গঠিত হয়। 'ওপেন লেটার' নামে ১৯৮৫ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের প্রতিষ্ঠার কথা জানায় হিজবুল্লাহ। লেবাননের গৃহযুদ্ধের সময় দেশটির দক্ষিণাঞ্চল নিজেদের দখলে নেয় হিজবুল্লাহ। ১৯৯২ সালে দেশটির জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয় সংগঠনটি। জিহাদ কাউন্সিল নামে সামরিক এবং লয়ালটি টু দ্য রেসিস্ট্যান্স ব্লক নামে রাজনৈতিক শাখা রয়েছে সংগঠনটির। ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ডস কোরের (IRGC) মাধ্যমেই এর প্রতিষ্ঠা। ১৯৯২ সাল থেকেই দেশটির জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে আসছে সংগঠনটি। বর্তমানে লেবাননের প্রথম সারির রাজনৈতিক দল হিসেবে এদের বিবেচনা করা হয়। ২০০৬ সালে একবার ইসরায়েল ও হিজবুল্লাহর মধ্যে ভয়াবহ সংঘর্ষ হয়। ওই সময় সীমান্ত এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে হিজবুল্লাহ। ৩৪ দিন ধরে চলে এ হামলা। একে বলা হয় 'জুলাই যুদ্ধ'। বর্তমানে হিজবুল্লাহর প্রায় ১ লাখ যোদ্ধা রয়েছে।
 

মধ্যপ্রাচ্যের সক্রিয় শক্তি

ইরান ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠী

আঞ্চলিক আধিপত্য বজায় রাখতে ইরান অনানুষ্ঠানিক সামরিক জোট হিসেবে পরিচিত 'এক্সিস অব রেজিসট্যান্স' বা প্রতিরোধ অক্ষকে ব্যবহার করে। এক্সিস অব রেজিসট্যান্সে রয়েছে লেবাননের হিজবুল্লাহ; ইরাক, আফগানিস্তান এবং পাকিস্তানের শিয়া সশস্ত্রগোষ্ঠী; ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের হামাস ও ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহীরা। এ সকল গোষ্ঠী ইরানের কাছ থেকে 'সামরিক, অর্থনৈতিক এবং আদর্শগত সমর্থন' পেয়ে থাকে।

সৌদি আরবের নেতৃত্বে ব্লক

আরব লীগের মতো ২২ দেশের আঞ্চলিক সংস্থার একচ্ছত্র নেতা সৌদি আরব। ২০১৭ সালে সৌদি আরব, বাহরাইন, মিসর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইয়েমেন এবং লিবিয়া কাতারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। ২০২১ সালে কাতারের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় একটি বৈশ্বিক জোট গঠনের ঘোষণা দেয় সৌদি আরব।

মধ্যস্থতার ভূমিকা

কাতার ব্যাপক ধনী দেশ হলেও আয়তনে বেশ ছোট। এ কারণেই নিজের সুরক্ষায় দেশটিকে একাধিক ও বৈচিত্র্যপূর্ণ জোটের সাথে সম্পৃক্ত হতে হয়। যাতে করে তার কূটনৈতিক অবস্থান এবং মর্যাদা সমুন্নত থাকে। বর্তমানে ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যে প্রধান মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে কাতার। বহু বছর ধরে উপসাগরীয় ধনী এ রাষ্ট্রটি ইসরায়েল ও ইরানের মতো রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায়ও কাজ করেছে। এছাড়াও মিসর বিভিন্ন সময় হামাস ও ইসরায়েলের সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে যুদ্ধবিরতিতে ভূমিকা নেয়।

ইসমাইল হানিয়া (১৯৬২ বা ৬৩-৩১ জুলাই ২০২৪)

ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ, হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান। তরুণ বয়সে গাজা ইসলামিক বিশ্ববিদ্যালয়ে মুসলিম ব্রাদারহুডের ছাত্র শাখার সদস্য ছিলেন ইসমাইল হানিয়া। ১৯৮৭ সালে হামাসের প্রতিষ্ঠালগ্নে সংগঠনটিতে যোগ দেন তিনি। ৩১ জুলাই, ২০২৪ ইরান সফরে গেলে সেখানেই গুপ্ত হত্যায় নিহত হন ইসমাইল হানিয়া। এ হত্যাকাণ্ডের জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করে ইরান।

হাসান নাসরুল্লাহ (৩১ আগস্ট ১৯৬০-২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪)

মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের একজন সাঈয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ। ১৯৯২ সালে হিজবুল্লাহর তৎকালীন প্রধান আব্বাস আল-মুসাভি ইসরায়েলি হেলিকপ্টার হামলায় নিহত হওয়ায় তিনি মাত্র ৩২ বছর বয়সে গোষ্ঠীটির প্রধান নিযুক্ত হন। ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ বৈরুতের শহরতলিতে বিমান হামলা চালালে হাসান নাসরুল্লাহ নিহত হন। একই হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কোরের (IRGC) কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্বাস নীল ফরৌশন নিহত হন।

ইয়াহিয়া সিনওয়ার (২৯ অক্টোবর ১৯৬২-১৬ অক্টোবর ২০২৪)

ইয়াহিয়া ইবরাহিম হাসান সিনওয়ার ছিলেন একজন ফিলিস্তিনি রাজনীতিবিদ এবং হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান। ইয়াহিয়া আস-সিনওয়ার হামাসের নিরাপত্তা ব্যবস্থার অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। ৭ অক্টোবর, ২০২৩ ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলে হামাসের হামলার প্রধান পরিকল্পনাকারী হিসেবে তাকে বিবেচনা করা হয়। ৩১ জুলাই, ২০২৩ ইসমাইল হানিয়ার মৃত্যু হলে ৭ আগস্ট, ২০২৪ তাকে হামাসের রাজনৈতিক শাখার প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ১৭ অক্টোবর, ২০২৪ ইসরায়েলি ড্রোন হামলায় তিনি নিহত হন।
 

নোবেল পুরস্কার ২০২৪

মোট বিজয়ী

১১ জন ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠান: পুরুষ ১০ ও নারী ১

পুরস্কার: প্রত্যেক বিভাগের নোবেলজয়ী পাবেন একটি মেডেল, একটি সনদপত্র এবং ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা (বাংলাদেশি টাকায় ১২ কোটি ৮০ লাখ)। যেসব বিভাগে একাধিক নোবেলজয়ী থাকবেন, তাদের মধ্যে ১ কোটি ১০ লাখ সুইডিশ ক্রোনা বন্টন করে দেওয়া হবে। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর আলফ্রেড নোবেলের মৃত্যুদিবসে।

 

বিষয়

পুরস্কার প্রাপ্ত ব্যক্তির নাম

দেশ

অবদান

ঘোষণাকারী প্রতিষ্ঠান

চিকিৎসাবিজ্ঞান বা শরীরতত্ত্ব

ভিক্টর অ্যামব্রোস গ্যারি রাভকুন

যুক্তরাষ্ট্র

মাইক্রো আরএনএ আবিষ্কার এবং ট্রান্সক্রিপশন পরবর্তী জিন নিয়ন্ত্রণে

ক্যারোলিনস্কা ইনস্টিটিউট

পদার্থবিজ্ঞান

জন জে হপফিল্ড

যুক্তরাষ্ট্র

কৃত্রিম নিউরাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মেশিন লার্নিং সম্ভবপর করে তোলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার ও উদ্ভাবনের জন্য।

দ্য রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স

জিওফ্রে ই হিন্টন

কানাডা

রসায়ন

ডেভিড বেকার

যুক্তরাষ্ট্র

কম্পিউটেশনাল প্রোটিন ডিজাইনের জন্য

দ্য রয়েল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স

ডেমিস হাসাবিস জন এম জাম্পার

যুক্তরাজ্য

প্রোটিনের গঠনে ভবিষ্যদ্বাণীর জন্য

সাহিত্য

হান ক্যাং

দ. কোরিয়া

তীক্ষ্ম কাব্যিক গদ্যের জন্য যা ঐতিহাসিক আঘাতের মুখোমুখি হয়ে মানবজীবনের ভঙ্গুরতা প্রকাশ করে

সুইডিশ একাডেমি

শান্তি

নিহন হিদানকিও

জাপান

পরমাণু অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব অর্জনের প্রচেষ্টায়

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি

অর্থনীতি

ড্যারস আসেমোগলু সাইমন জনসন জেমস রবিনসন

যুক্তরাষ্ট্র

বিভিন্ন দেশের মধ্যে সম্পদের বৈষম্য নিয়ে গবেষণার জন্য

দ্য রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্স

 

খেলাধুলা

দেশের সর্বকনিষ্ঠ আন্তর্জাতিক মাস্টার

দেশের ফিদে মাস্টার থেকে আন্তর্জাতিক মাস্টার হন নারায়ণগঞ্জের মনন রেজা। আন্তজার্তিক মাস্টার হওয়ার পথে মনন ভেঙেছে গ্র্যান্ডমাস্টার নিয়াজ মোর্শেদের রেকর্ড। ১৫ বছর ৫ মাসে তিনি আন্তর্জাতিক মাস্টার (IM) হন। আর মনন রেজা আন্তর্জাতিক মাস্টার হন ১৪ বছর ৩ মাস বয়সে। সে হিসেবে মননই দেশের সবচেয়ে কম বয়সি আন্তর্জাতিক মাস্টার। হাঙ্গেরির বুদাপেস্টে অনুষ্ঠানরত ৪৫তম দাবা অলিম্পিয়াডে গ্র্যান্ডমাস্টার প্রতিযোগিতায় নিজের তৃতীয় ও শেষ আন্তর্জাতিক নর্মটি হয় তার। উল্লেখ্য, (FIDE) উপাধি হলো আন্তর্জাতিক দাবা ফেডারেশন (FIDE) কর্তৃক দাবাড়ুদের দক্ষতা ও কৃতিত্বকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য প্রদত্ত আনুষ্ঠানিক উপাধি। প্রধান FIDE উপাধিগুলো হলো গ্রান্ড মাস্টার (GM), আন্তর্জাতিক মাস্টার (IM), ফিদে মাস্টার (FM) এবং ক্যান্ডিটে মাস্টার (CM)। বাংলাদেশে এ পর্যন্ত পাঁচজন গ্রান্ড মাস্টার (GM) এবং মননকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মাস্টারের (IM) সংখ্যা দাঁড়াল পাঁচ জনে।

সর্বাধিক রান এখন মুশফিকের

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট বাংলাদেশের জার্সিতে সর্বোচ্চ রানের মালিক এখন মুশফিকুর রহিম। ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে রানের খাতা খুলতেই এ মাইলফলক স্পর্শ করেন মিস্টার ডিপেন্ডেবল। ছাড়িয়ে যান তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তামিম ইকবালের করা ১৫,১৯২ রানের রেকর্ড। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৯২ টেস্টে ৫,৯৬১ রান, ২৭১ ওয়ানডেতে ৭,৭৯২ রান অন্যদিকে টি-২০তে ১০২ ম্যাচে করেন ১,৫০০ রান। সবমিলিয়ে মুশফিকের রান ১৫,২৫৩।

মাহমুদউল্লাহর বিদায়

১২ অক্টোবর, ২০২৪ অলরাউন্ডার মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ জাতীয় দলের টি-২০ ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। এর পর বাংলাদেশের জার্সি গায়ে দেখা যাবে না তাকে। ১ সেপ্টেম্বর ২০০৭ বাংলাদেশের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে অভিষেক হয় মাহমুদল্লাহ রিয়াদের।

ব্যাটিং

ম্যাচ

ইনিংস

রান

সর্বোচ্চ

৫০

১৪১

১৩০

২৪৪৩

৬৪*

৮টি

বোলিং

ম্যাচ

ইনিংস

বল

রান

উইকেট

১৪১

৮০

৯৫০

১,১৩৫

৪১

 

নবম নারী টি-২০ বিশ্বকাপ

সময়: ৩-১০ অক্টোবর, ২০২৪

স্থান: সংযুক্ত আরব আমিরাত

ভেন্যু: দুবাই ও শারজা

অংশগ্রহনকারী দল: ১০

ম্যাচ: ২৩টি

চ্যাম্পিয়ন: নিউজিল্যান্ড (প্রথমবার)

রানার্সআপ: সাউথ আফ্রিকা

সেরা খেলোয়াড় ও সর্বোচ্চ উইকেট: এমিলিয়া কের (নিউজিল্যান্ড); ১৫

সর্বোচ্চ রান: লরা ওলভারাত (অস্ট্রেলিয়া); ২২৩।

প্রাইজমানি (টাকায়): মোট: ৯৫ কোটি ৯ লাখ

চ্যাম্পিয়ান: ২৮ কোটি

রানার্সআপ: ১৪ কোটি

২০১৪ সালে বাংলাদেশের নারী বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু হয়। পরের চার বিশ্বকাপে ১৬ ম্যাচ খেলে একটাও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। এবারই প্রথম স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয় পায় বাংলাদেশ নারী দল।

সাফ অনূর্ধ্ব-১৭ চ্যাম্পিয়নশিপ

আয়োজন: নবম

আয়োজক: দক্ষিণ এশিয়া ফুটবল ফেডারেশন (SAFF)

সময়কাল: ২০-৩০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

স্বাগতিক: ভুটান

ভেন্যু: ১টি চাংলিমিথাং স্টেডিয়াম, থিম্পু

অংশগ্রহণকারী দল: ৭টি

মোট ম্যাচ: ১২টি

মোট গোল: ৪৪টি

চ্যাম্পিয়ন: ভারত (ষষ্ঠ বার)

রানার্সআপ: বাংলাদেশ

সর্বোচ্চ গোলদাতা: সুজন দাংগোল (নেপাল); ৪টি

সেরা খেলোয়াড়: আরবাশ মোহাম্মদ (ভারত)

সেরা গোলরক্ষক: আহিবাম সুরুজ সিং (ভারত)

ফেয়ার প্লে ট্রপি: ভুটান।

 
 

No more data found.